পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তর-সর্বশেষ বধ্যভূমি।

বধ্যভূমির শব্দটির উচ্চারণ কেউ করলে প্রথমেই মাথায় চলে আসে রায়েরবাজার বদ্ধ ভূমির কথা। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আরেকটি বদ্ধভূমি হবে তা কি কল্পনা করেছে কেউ? তাও আবার বিডিআর এর পিলখানা সদর দপ্তরে? ইউনিফর্ম পরিহিত নিরস্ত্র সামরিক কর্মকর্তাদের নিশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে? একাত্তরের স্বাধীনতার পর রায়বাজারের বদ্ধভূমিতে আমরা পেয়েছিলাম অসামরিক বুদ্ধিজীবীদের লাশ আর স্বাধীনতার পরে আমাদেরকে পিলখানার বধ্যভূমিতে পেতে হলো সামরিক পোশাক পরিহিত সামরিক কর্মকর্তাদের লাশ।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৬

লেখালেখিতে সাহিত্যচর্চা বনাম বানিজ্যিক চিন্তাভাবনা

সোশাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে আমার ক্যাডেট কলেজের বেশ কয়েক বছরের এক বড় ভাইয়ের (সিনিয়র ক্যাডেট) “লেখালেখি” এবং “ছাপানো লেখা/বই বিক্রি করা” নিয়ে একটা রম্য ক্রিটিসিজম পড়েছিলাম। সেই সিনিয়রের লেখার বিষয়বস্তুটা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হওয়াতে সেখানে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি সেটাও বেশ খানিকটা বড় আকার নিয়ে ফেলেছে। অবশ্য এমনটা এবারেই প্রথম নয়; কারো লেখার বিষয় বা উপস্থাপন কোনভাবে ভাবনাগুলোকে স্টিমুলেট করে ফেললে তাতে মন্তব্য এবং পাল্টা-মন্তব্য বেশ ইন্টারেস্টিংভাবেই চলতে থাকে;

বিস্তারিত»

জাতিসংঘের ‘উন্নয়ন গবেষণা প্রধান’ ড. নজরুল ইসলাম কে যেমন দেখেছিঃ একজন সহপাঠীর দৃষ্টিতে

এটি মূলতঃ একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা। ড. নজরুল ইসলাম বর্তমানে জাতিসংঘে সিনিয়র ইকনমিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ তাকে ‘উন্নয়ন গবেষণা প্রধান’ (চীফ অভ ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ) হিসেবে নিয়োগ দান করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের একটি বিষয়। আমি স্কুল-কলেজ জীবনে তার সহপাঠী ছিলাম। তাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনি। অর্ধ শতাব্দীরও কিছু বেশি সময় আগের স্মৃতির ঝুলি হাতড়িয়ে এসব কথা আজ মনে হলো। নজরুলের সাম্প্রতিক সাফল্যে আমি এতটাই অভিভূত হয়েছি যে আমার মনের ভেতর থেকে তাগিদ অনুভব করেছি,

বিস্তারিত»

ভিন্নচোখে ভিন্নতার মাত্রাজ্ঞান

লেখাটা ১৩ জুলাই ২০২১ তারিখে লিখেছিলাম, কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে ব্লগে পোস্ট হচ্ছিল না।

হালের আলোচিত মাস্টারশেফ অনুষ্ঠান ও তাতে বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা কিশওয়ার সম্পর্কে শুধু ফেসবুকেই পড়ে গেলাম। এত আলোচনা হচ্ছে একবার অন্ততঃ সময় বের করে দেখা উচিত বলেই মনে হলো। কারন এখানে আমাদের ঐতিহ্যের রিপ্রেজেন্টেশন নিয়ে কথা হচ্ছে। এবং আজই প্রথম তার ছোট্ট একটা ভিডিও ক্লিপ দেখলাম, সম্ভবত ফাইনাল ডিশের।

বিস্তারিত»

স্বাভাবিক সৌজন্যের বৈপরীত্য

অনুকূল ভাবনাঃ

আমাদের জীবনের কিছু অদৃশ্য ছাতার কথা ভেবে গত ০৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে একটা কবিতা লিখেছিলাম। সেটা একটি ইংরেজী কবিতার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। গতকাল একজন আমেরিকান গল্পলেখক আমাকে জানালেন যে তিনি একটি গল্প লিখছেন, সে গল্পের জন্য তিনি একটি ‘ছাতা’ বিষয়ক কবিতা খুঁজছিলেন। সার্চে তিনি আমার ‘An Invisible Umbrella’ শীর্ষক কবিতাটির সন্ধান পেয়েছেন, যেটা তার গল্পের সাথে সম্পূর্ণ সাযুজ্যপূর্ণ (তার ভাষায়, ‘it fits perfectly into my story’)।

বিস্তারিত»

হাউজ মস্ক

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমরা সাধারণত আমাদের সুখের স্মৃতি নিয়ে লিখে থাকি। সব সময় যে ঠিক একই রকম লেখা আসে তাওনা, আমাদের কিছু দুঃখের কাহিনীও ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখা আছে।
আজকে অন্যরকম ব্যাপারে আলোচনা করতে চাই যা আজকে একটা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ পড়তে গিয়ে চোখে পরে।

ব্লগটি লেখা হয়েছে হাউজমস্ক নামের একটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে। আমি নিজেও কলেজে হাউজ মস্কে মোটামুটি একটিভ থাকার কারণে আগ্রহ নিয়েই ব্লগটা পড়লাম।

বিস্তারিত»

করোনা পরবর্তী শিক্ষাদান: যেসব উদ্যোগ ও কৌশল জরুরি

কভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে এ বছরের ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। এর ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ও শিক্ষণ প্রক্রিয়া দারুণভাবে ব্যাহত হয়। পুরো পৃথিবী এখনও করোনামুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন শীতে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধেয়ে আসছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা কেউ বলতে পারছে না। অন্যদিকে, দেখতে দেখতে প্রায় আট মাস হয়ে গেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে আছে।

বিস্তারিত»

কতোদূর এগোলো মানুষ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামের এক শব্দবন্ধের সঙ্গে আমাদের তারুণ্যের বেড়ে ওঠার অনেক স্মৃতি জড়িত। মনে পড়ে, তখন হঠাত করেই পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন কিংবা জনমুখে ‘ডিজিটাল’ শব্দের ব্যবহার বেড়ে গেলো। সে সময়ে মানুষের মস্তিষ্কে তা এমন অভিঘাত তুলেছিলো যে শহর কিংবা মফস্বলে বিভিন্ন দোকানপাটের নামের সঙ্গে দেদার্চে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত হওয়া শুরু করলো। ‘মায়ের দোয়া ফুচকা’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল ফুচকা শপ’, ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল বিরিয়ানি হাউজ’ এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

হাতেতে যদিও না মারিত তারে, শত যে মারিত ঠোঁটে

“হাতেতে যদিও না মারিত তারে, শত যে মারিত ঠোঁটে”
… পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের “কবর” কবিতা থেকে নেয়া।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ইদানিং “থাপ্পড়” মুভিটার রিভিউ লিখছেন। যে কটা পেয়েছি, সব কটাই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। এখন পর্যন্ত আমার পঠিত প্রতিটা রিভিউ সবাই খুবই সুন্দর লিখেছেন।

তবে দুয়েকজনের কিছু জায়গায় খানিকটা দ্বিমত পোষণ করি। “৯৫% পুরুষ এই মুভিটা দেখে হিহি করে হেসেছেন”, কোন একটা রিভিউ-এ কেবল এই লাইনটা মেনে নিতে পারিনি,

বিস্তারিত»

অন্য নায়কেরা

নিশুতি নিঃশব্দ রাত, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন কান্দাই শহর। হঠাৎ রাতের আঁধার চীরে ভেসে আসে তেজী ঘোড়ার খুরের শব্দ। ঘুমে টুটে যায় যত অত্যাচারী শোষক ক্ষমতাধর বদ লোকের, তাদের বুকে জাগে ভয়ের কাঁপন। কারন এই ঘোড়ার সওয়ার আর কেউ নন, স্বয়ং দস্যু বনহুর- গরীবের বন্ধু, অত্যাচারী মাথায় উদ্যত গড়্গ। জমকালো পোষাকে অস্ত্র হাতে প্রিয় ঘোড়া তাজের পিঠে চেপে বের হয়েছেন নৈশ অভিযানে। কে জানে আজ রাতে কোন মানবতার দুশমনের হবে শেষ বিচার!

বিস্তারিত»

সুবচন নির্বাসনে

১৯৯২ সালে ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে বাবার সাথে বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে একটা নাটক দেখেছিলাম- নাম ছিল “সুবচন নির্বাসনে”। নাটকটিতে তিনটা প্রবাদ বাক্য (সুবচন) মিথ্যা প্রমানিত হয়।

নাটকে একজন স্কুল মাস্টারের তিন ছেলেমেয়ে- বড় ছেলে স্বপন সেকেন্ড ডিভিশনে এমএ পাশ করে একটা অফিসে চাকরির ইন্টারভিউ দেয়, সেখানে তাঁর থার্ড ডিভিশনে পাশ করা এক বন্ধু ঘুষ দিয়ে চাকরিটা বাগিয়ে নেয়। “সততাই সর্বোতকৃষ্ট পন্থা”

বিস্তারিত»

প্রেম-বন্ধুত্ব-যৌনতা: বিবিধ মিথস্ক্রিয়া

এক
প্রেম-বন্ধুত্ব-যৌনতা:` এই তিনের মিথোস্ক্রিয়া নিয়ে একটা ভ্যান-ডায়াগ্রাম আছে।
এটা খুব একটা রিসার্চড কিনা, জানি না, তবুও ইন্টারেস্টিং!!!
এই লেখাটা তা নিয়েই।
ভ্যান-ডায়াগ্রামটি পরীক্ষিত হোক বা না হোক, দিস ক্যান বি ইউজড ইন এক্সপ্লেইনিং মেনি থিং এবাউট রিলেশনশীপ।
সেদিন বন্ধুদের আলাপে উঠে এলো, আজকাল ডিভোর্স বেড়ে যাওয়ার ইস্যুটি।
ভাবলাম, এই ভ্যান-ডায়াগ্রাম দিয়ে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করি……

বিস্তারিত»

রোজায় খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত?

কলেজে রমজান পালনের সুযোগ হয় নি। তবে প্রতি বছর আমরা মহাসমারোহে পালন করতাম শবে বরাতের রোজা। ভোররাতে পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়ে ডাইনিং হলে সবাই মিলে সেহরি খাওয়ার স্মৃতি এখনো টাটকা। মেন্যু — ভাত, ডাল, সবজি ও মুরগী বা মাছ। আর আসর থেকে শুরু হতো ইফতারের জন্যে অপেক্ষা। মেন্যু—একাধিক ফল, চপ, বেগুনি, পেয়াজু, হালিম, মুড়ি, জিলাপি ইত্যাদি। এদেশের অধিকাংশ সামর্থ্যবান পরিবারে সেহরি-ইফতারের মেন্যু অনেকটা এরকমই। অথচ রোজাদারের জন্যে এরকম মেন্যু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৪

১. আমার পরিচিত কাউকে যখন দেখি সামনে অনেক মানুষকে নিয়ে কোন কিছু বোঝাচ্ছে/বোঝাচ্ছেন, আমার অনেক ভাল লাগে বিষয়টা। আমার ক্ষেত্রে এর অন্যতম একটা সম্ভবত এটাই যে, সেই মানুষটা, যিনি নিজে পেশায় শিক্ষক না হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকতার পেশায় মনে-প্রানে নিয়োজিতদের আত্মিক প্রশান্তিটা উপলব্ধি করতে পারছেন।

২. তবে আমার কাছে মোটিভেশনাল লেকচার বিষয়টা এখনো একটা আপেক্ষিক ধাঁধা মনে হয়। কারনটা একটু খুলে বলি।

বিস্তারিত»