কী মানি কেন মানি

(ইসলামী আমল-আখলাকের দিক দিয়ে খুব দুর্বল একজন মুসলমান আমি। কেবল ঈমানটা নিয়েই বেঁচে আছি। তবে সে ঈমান ঠুনকো কোনো ফিলিংস নয়, তাই নিয়েই এই লেখা। সঙ্গত কারণে লেখাটি মুহাম্মদ এবং সাদীদ ভ্রাতৃদ্বয়কে উৎসর্গ করলাম।)

বিশ্বাস ব্যাপারটা সবসময় যুক্তি-তর্কের গন্ডিতে আবদ্ধ না-ও হতে পারে। আমাদের চিন্তাজগতের সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্তির বাইরেও অনেক কিছু মেনে নিতে হয় আমাদেরকে। বাস্তবতা হলো, ঈমান বা বিশ্বাসের সাপোর্টে জ্ঞান অত্যন্ত আবশ্যক,

বিস্তারিত»

আওয়ামী সরকারের যে সব বিষয় বোঝা উচিৎ

সিসিবি তে এটা আমার প্রথম লেখা। যদিও আমার প্রথম লেখা হওয়ার কথা ছিল লিন্ডাও সম্মেলনের ওপর, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার মনে হল এই রকম একটা লেখা দেয়া দরকার।
আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমি কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নই, আমি পদার্থবিদ্যার একজন সামান্য ছাত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সমীকরণ আইন্সটাইনের ফিল্ড ইকুয়েশন এর চেয়ে কোন অংশে কম জটিল না, ক্ষেত্রবিশেষে আরো জটিল। ফিল্ড ইকুয়েশন সমাধান এর কিছু অভিজ্ঞতা আমার থাকলেও দেশের রাজনীতি নিয়ে কোন লেখা আমি আগে কখনো লেখিনি,

বিস্তারিত»

আমি খুব ভয় পাই

সানা ভাই,তৌফিক ভাই ও মান্নান ভাইয়ের বিদগ্ধ জ্ঞানপ্রসূত আলোচনার পর আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কজাত চিন্তা-ভাবনা এইখানে সবার সাথে শেয়ার করতে বুকটা ঢিব ঢিব করছে।

তার চেয়েও বেশি ভয় পাইছি এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেখে। বাঙালী বরই আজিব জাতি! আমি নীতিগত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার দলকে সাপোর্ট করি, এবং অবশ্যই হুজুগে নয়। এই ফলাফলে আমার খুব বেশি খুশি হবার কথা।কিন্তু কেন যেন খুশি হতে পারছি না।

বিস্তারিত»

বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন

আজকে বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন। বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলেছি যে আজ বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এবং নির্বাচনে বাংলা বিরোধী, ধর্মব্যবসায়ী ধরাশায়ী হয়েছে। গর্বে বুকটা ফুলে উঠেছিল। আর চোখটা কেমনজানি ভিজে আসছিল।

স্যালুট সেক্টর কমান্ডারদেরকে। তারা আবার ৭১ এর মতো বিজয়ী হয়েছে। বাংলার মানুষ তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেয়নি। নিজামী, মুজাহিদকে আবার বাংলার মাটিতে অপমানিত হতে হলো। যুগে যুগে এভাবেই বাংলা সাজা দেবে তার মাটিতে জন্ম নেয়া বেজন্মাগুলোকে।

বিস্তারিত»

সোমবার সন্ধ্যা আর আমার নিজস্ব ভাবনা

১৪-১৫ মাস ধরে ব্লগের সঙ্গে আমার পরিচয়। সম্ভবত গত জুনে সিসিবিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে এমন ঘণিষ্টতা যে একদিন সিসিবিতে না ঢুকে থাকতে পারি না। একরকম অ্যাডিক্ট যাকে বলে (শওকত মাসুমকেও এই গল্প বলেই ভুলিয়েছি)। আজকাল তো প্রায় প্রতিদিনই মন্তব্যও করি। বাকি দুটো ব্লগে চোখ বুলালেও এখন সহজে লগইন করি না।

অসাধারণ সব ছেলেপিলেরা এখানে। নাম ধরে ধরে বলতে পারি এদের লেখা,

বিস্তারিত»

বড় জানতে ইচ্ছে করে-৩…!!!

[লেখাটি উৎসর্গ করছি আমার বন্ধু ও অনেক অপকর্মের সাথী ইসলাম (জেসিসি, ১৯৯৫-২০০১) কে…ওর সাথে কথা বলার সময়ই প্রথম আজকের প্রসংগটি উঠে এসেছিল…]

দৃশ্যপট-১: গ্রামের মেয়ে কুলসুম। যৌতুকের বিনিময়ে তার বিয়ে হয় একই গ্রামের রুস্তমের সাথে। ছেলেটা অকর্মার ধাড়ি, এবং নেশাখোর…কয়েকমাস যেতে না যেতেই, আরও টাকার জন্য সে দাবী করে কুলসুমের বাবার কাছে। দরিদ্র বাবা তার এ দাবী মেটাতে ব্যর্থ হলে কুলসুমের উপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।

বিস্তারিত»

বৃত্ত ভাঙ্গার গান গাই

(একান্ত নিজের ভাবনা, তথ্যগত ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিলে ঠিক করে নিব)

আমার ব্লগে সুশান্ত একটা কাজের কাজ করেছে। “হ্যাটস অফ” টু সুশান্ত। আর এক বুড়ো খোকা বলেছেন, তিনি সহজে হাল ছেড়ে দেবেন না। খুব আশা পাবার মত একটা খবর।

গত বেশ কয়েকমাস ধরে ভাবছি আমাদের মুল সমস্যাটা আসলে কোথায়। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটা চলছে কিভাবে?

বিস্তারিত»

আমার পরাণ যাহা চায়

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আস্‌সালামু আলাইকুম ও ঈদ মোবারক। আমি সিসিবির নতুন একজন সদস্য। এটি আমার প্রথম লিখা। আপনাদের কেমন লাগবে বুঝতে পারছিনা। অনেক সংকোচ, লজ্জা আর দ্বিধা নিয়েই লিখছি বলতে পারেন। খারাপ হলে ব্লগ এ্যাডজুট্যান্ট মুছে ফেলতে পারেন।

শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সায়েদের প্রতি, যার মাধ্যমে এই নতুন জগতে আমার অনুপ্রবেশ। গত ২৩ শে নভেম্বর আমি যেদিন মনরোভিয়া থেকে ফিরব তার আগের দিন সায়েদ আমাকে বলল “তুই কি সিসিবি র মেম্বার?” আমি বললাম,

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধ আমার অজ্ঞানতা

অনেকদিন ধরে লেখা পরেই যাচ্ছি, কিছু লেখা আর হচ্ছেনা । আলসেমি কাজের চাপ বলতে গেলে কেন যেন হয়ে উঠছিলনা । আজকে মাস্ফুর পোস্টটা পরে কিছু লিখতে ইচ্ছ করছে । মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ , বংগবন্ধু , জিয়া ,আওয়ামী লীগ, বি এন পি, রাজাকার, এরশাদ সবকিছু নিয়ে কম বানিজ্য হ্য়নি । মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার এবং আরো অনেকেরই সম্যক ধারনা নেই ।

বিস্তারিত»

বাচ্চালোক তালিয়া মার

[ আমার আগের ফালতু পোষ্টটায় সবাই এমন ভাবে কমেন্ট করেছে যে খুব তাড়াতাড়ি একটা পোষ্ট দেওয়া ফরজ হয়ে গেছিল। বহুদিন ধরে একটা কাঁটা বিঁধে আছে সেটা নিয়েই লেখলাম। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে মিস করার জন্য (যারা করেনাই তারা এই ধন্যবাদ পাবে না ) ]

এখানকার সব বাচ্চালোক একসাথে তালিয়া মার। চাইলে বুড়ারাও মারতে পারেন। আমাদের তো সামনে সুখের দিন আসতেছে। ২৯ তারিখ নির্বাচন হবে তারপর ফিরে আসবে আমাদের ঘোড়ার ডিম বহু আরাধ্য গণতন্ত্র।

বিস্তারিত»

প্রণয় এবং বিচ্ছেদের অবশ্যম্ভাবিতাঃ একটি ময়নাতদন্ত

সম্পর্কের রসায়ন বেশ কুটিল। আমরা মানুষরা একটা নির্দিষ্ট মুখের ভাষায় যে মিথস্ক্রিয়া চালাই, একে অপরের সাথে- তার বাইরেও আরেকটা মানবীয় অস্ফূট ভাষায় ভাব-চলাচল ঘটে। খানিক চাহনি, একটু নীরবতা, শরীরের একটা বাঙ্ময় আলাপ ঘটে চলে অহরহই আমাদের মাঝে। বিশেষ করে নারী-পুরুষের প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে। এই ময়দানে রোজ কত ক্রন্দন-হাস্য আর আনন্দ-বিষাদ মিশে থাকে তা চিন্তা করে বড়ই অবাক হতে হয়! যেন একটা রোলার-কোস্টার রাইডের মতো আমরা দিগ্বিদিক ছুটে শা শা করে চলে যাচ্ছি,

বিস্তারিত»

রং বেরংয়ের ভুল

গোলাম মুরশিদ এইবার প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, শিরোনাম – (অ) শিক্ষার ইতিকথা। আত্নজীবনী ধাচের এই লেখায় তিনি নিজেকে অকাট মূর্খ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যাইহোক জ্ঞানী গুনীরা বিনয় দেখিয়ে অনেক কিছুই বলে কিন্তু তার সবই ধর্তব্য নয়। নিজের মূর্খতার প্রমাণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন- এম, এ ক্লাসে যখন রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ পড়ানো হচ্ছিল তখন তিনি অবলীলায় লিখে গেছেন “বিষর্জন” । আবার তিনি বহু বছর পর সুদূর লন্ডনে গিয়ে বিবিসিতে নিজের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়ে স্বান্তনা পেয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ভাবনা

১.
মাত্র দু’বছর আগেও এদেশের তরুণ প্রজন্মেরর একজন কবি লিটল ম্যাগ কিংবা দৈনিকে তার কবিতা ছাপা হবে কিনা এই চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যেতেন। এবং মোটামুটি একটা স্বপ্নমিশেল কাব্যবন্দী ঘুম হতো। এদেশের তরুণ প্রজম্ন এখনও ঘুমাতে যান। তবে আবহটা একটু ভিন্ন। এখন তাদের চোখের স্বপ্ন রূপালী, এখন তাদের ফ্রেমবন্দী ঘুম। দেশে একটি নিরব বিপ্লব ঘটে গেছে। সেলুলয়েড বিপ্লব।

যিনি গান লিখছেন, যিনি সুর দিচ্ছেন,

বিস্তারিত»

টিটোর গল্প, বউ কথা কও-

‘সবচেয়ে ভালো…/ পছন্দের/ শক্তিশালী…’ এইরকম শর্ত দিয়ে কিছু বেছে নিতে বললে বিপদে পড়ে যাই। এই ব্যাপারগুলো সময়ের সাথে বারবার বদলে যায়। আজ এটা ভালো লাগলো, কাল হয়তো অন্যটা।
তবু মাঝে মাঝে অল্প কিছু লেখা মনে খুব দাগ কেটে যায়। বদলে যাবার তালিকায় ওরা আর থাকে না তখন, বরং পাহাড়ের মতন অবিচল থেকে মনের ভেতর একটা জায়গা করে নেয়।

একাত্তর নিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী লেখা বেছে নিতে বললে আমি তাই চোখ বুজে আহমদ ছফা-র ওঙ্কার তুলে নিবো।

বিস্তারিত»

সোফির জগৎ

সোফির জগতের কথা প্রথম শুনেছিলাম ২০০৪ সালে। এক শনিবার, এসেম্বলিতে প্রিন্সিপাল তার বক্তৃতায় বলেছিলেন। নরওয়েজীয় ভাষায় মূল বইটির নাম “সোফিস ভার্ডেন”, লেখক ইয়স্তেন গার্ডার। পলেট মোলারকৃত ইংরেজি অনুবাদের নাম “সোফিস ওয়ার্ল্ড”। আর ইংরেজি থেকে বাংলা করেছেন জি এইচ হাবিব, নাম দিয়েছেন “সোফির জগৎ”। জি এইচ হাবীব আমাদের কলেজের (মির্জাপুর) প্রাক্তন ছাত্র, প্রথমে মনে হয়েছিল বিশেষভাবে এই বইয়ের নাম বলার কারণ বোধহয় এটাই। পরে কলেজ লাইব্রেরিতে বই হাতে নিয়ে দেখি,

বিস্তারিত»