আমরা তিনজন – ১ম পর্ব

“সিসিবিতে ভিজিটর কমে গিয়েছে কিংবা নীরব পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে। লেখা ও তেমন আসছেনা। হয়তোবা সবাই ই ব্যস্ত।”…এগুলো নিয়েই কথা বলছিলাম আমাদের সিসিবির পরিচিত মুখ কামরুলের সাথে ইয়াহু মেসেঞ্জারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে। তারাবীহ শেষ করে রুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ না করেই কম্পিউটার অন করলাম। মেসেঞ্জারে কামরুলকে অন লাইন দেখে কথা বলার লোভ সামলাতে না পেরে নক করলাম। একবারো ভাবিনি যে কামরুল ফ্রি আছে কি নেই।

বিস্তারিত»

আমাদের বাপ ও বেটারা

আমাদের ব্যাচে তিনজন স্যারের পোলা ছিল। তাদের মধ্যে ২জন স্যার আবার আমাদের ২ফর্মের ফর্ম মাস্টার ছিল। এই সুযোগটা কলেজ লাইফে আমরা বহু কাজে লাগিয়েছি। যে কোন আবদার (অন্য কথায় অন্যায় আবদার যাকে বলে ) করলে আমাদের স্যাররা তা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ব্যাচকে যদি কোন সিনিয়র বেশী পাংগাইছে তো তার খবর হইয়া গেছে…ইত্যাদি,ইত্যাদি,

যা হোক দুই ফর্মমাস্টার আবার বিপরীতধর্মী, একজনকে কিছু বললে,

বিস্তারিত»

ঠেলা

বুজতাসি ঠেলা কারে কয়। সকালে নয়টায় অফিসে আইসি, হারাদিন রোজা, সন্ধায় ইফতারির সময় খাইসি এক কাপ কফি। এহনো গনক মহাশয়ের সামনে বতাম টিপি। রাইত সাড়ে দশটা বাজে। কহন যে বাড়ী যামু? লগে আইজকা আবার বিড়ির পাকিট খান আনি নাই। ভাবছিলাম বাসাইয় গিয়া ত টানমুই। অহন খিদার চে লাগছে বিড়ির নিশা।

বিস্তারিত»

টুশকি ৩

টুশকি [১] [২] [৪]

১. মোল্লা স্যার আমাদের কলেজের স্পোটর্স সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ক্যাডেটদের নিয়ে অংশ গ্রহন করতেন। নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে খেলোয়াড় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি ছিলেন অন্যতম ব্যক্তি। সেই মোল্লা স্যার আইসিসি কম্পিটিশনের জন্য প্রস্তুতিরত কলেজ ফুটবল টিমে সদ্য ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠেছে এমন একজনকে নিয়ে নিলেন। ব্যাপারটা অভূতপূর্ব। এর কারণ আর কিছুই না,

বিস্তারিত»

ভিডিও পোস্টঃ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা…

প্রায় একবছর আগে সিসিবি’র যাত্রা হয়েছিল শুরু। পুরাটাই নিজস্ব স্বার্থে। আমাদের লেখার কোন জায়গা ছিল না। থাকলেও আমাদের বিষয়বস্তু একটু অন্যরকম হবার কারণে কমিউনিটি ব্লগে দেবার আগে দুই একবার ভাবতে হতো। পাহাড় সমান জমিয়ে রাখা স্মৃতিকথাগুলো আমরা তাই নিজেদের জায়গায় লেখা শুরু করলাম…

হতে পারে স্মৃতিকথা বেশীদিন লাগাতার হজম করা যায়না। লেখক, পাঠক সবারই একঘেয়ে লাগে। তাই আজ-অবদি আমরা অনেককেই পেয়েছি যারা হঠাৎ করে এসেছেন,

বিস্তারিত»

ডাবল ক্যাডেট নম্বর এবং joining এর আগেই out

আমরা যারা ৯৬ এ কলেজে জয়েন করেছি তারাই মনে হয় ২ টা করে ক্যাডেট নং এর মালিক( সবাই না)। আমাদের ব্যাচ থেকেই নিয়ম হয় যে কেও দুই বার ভর্তি পরিখখা ( কিভাবে লেখে? ) দিতে পারবে না। তাই যারা finnaly chance পেয়েছিল তাদের মধ্যে যারা 2nd timer ছিল তাদের কে out করে দেয়া হয় ( কলেজে আসার আগেই 😀 ) বরিশাল এ আমরা select হয়েছিলাম ৫২ জন।ভর্তিও হয়েছিল ৫২ জন।

বিস্তারিত»

তারা আমাদের সিনিয়র ক্লাশ এইট…..

ভাইরা তোমরা কোথায় আছো? কেমন আছো?যে যেখানে থাকো ভালো আছো তো? এখানে আমরা আমাদের জীবনের ছয়টা বছরের নানা সুখ,দু:খ,আনন্দ বেদনার কথা বলি, বিশেষ করে ক্লাশমেটদের সাথে আমাদের যাপিত-দিনলিপি, একজন ক্যাডেট হয়ে বেড়ে ওঠার কাহিনী, ডাইনিং এর কাহিনী,কলেজের প্রতিটি ইমারতের, মুর্হুতের কাহিনী, কত না স্মৃতি আমাদের এই জীবনে………..।

কিন্তু একবারো কি আমি পিছনে ফিরে তাকাই? আমি কিভাবে এই ক্যাডেট লাইফ পেলাম? কি ভাবে আমি কলেজের নিয়ম কানুন শিখলাম?

বিস্তারিত»

কলেজের বন্ধুরা

তীব্র ব্যাস্ততার মাঝে মাঝে যখন একটু সময় পাই প্রায়ই পিছনে ফিরে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াই । আপনা আপনি একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে আবার মুহুর্তেই বাতাসে মিলিয়ে যায় । সেই দিনগুলোর কথা কি করে ভুলি ?

সালেহীনের নাটকে প্রাপ্তবয়স্কদের পত্রিকা কেনার অভিনয় করে বিশেষ ( !! ) পুরস্কার পাওয়া । আরিফের হঠাৎ হঠাৎ হুজুর হয়ে যাওয়া আবার দুই দিন পরেই রসময় দা’র উপন্যাসের খোঁজে পোলাপাইনের নিকট ধর্না দেওয়া ।

বিস্তারিত»

অতঃপর-২

যাহারা আমার পুর্বের লেখাটি পড়িয়াছেন তাহাদের জন্য বলিতাছি…এই কাহিনীটি পুর্বের ন্যায় বাথরুম সংক্রান্তই……

কত মজার কাহিনীই না আছে এই বাথরুম ঘিরিয়া । যাহারা ক্যাডেট কলেজে পড়িয়াছেন তাহারাই বুঝিবেন । আজকে যে কাহিনীটা বলিব উহা আমার অতীব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর তিক্তময় অভিজ্ঞতার কাহিনী । নামটা নাহয় নাই বললাম । কারন বেচারা বর্তমানে আমার মতই হাটু বাহিনীতে কর্মরত কিনা…

যাই হোক ঘটনাটা হইল এইরুপ …

বিস্তারিত»

অতঃপর……

গতকাল্য বগুড়া ভ্রমণে গিয়া পুরোণো অনেক বন্ধুবর্গের সহিত সাক্ষাত হইল…অনেক দিন পর একত্রিত হইলে যাহা হয় আর কি…কলেজ এর বেশ কিছু মজার ঘটনার কথা মনে করিয়া অনেক হাসাহাসি হইল…তখনি ভাবিলাম এই ঘটনাটা আসিয়াই লিখিয়া ফেলিব । যেই ভাবা সেই কাজ……

তখন অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত । একদিন বৈকালে খেলাধুলার পার্ট চুকাইয়া যখন হাউজে ক্লান্ত দেহে প্রবেশ করিতেছি… হঠাৎ মনে হইল আমার পাশ দিয়া গুলির বেগে কি একটা যেন বাহির হইয়া গেল ।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক – ৩ (well, not entirely!)

CCB তে জয়েন করেছি প্রায় এক সপ্তাহ হোল। জীবনে কোনদিন বাংলায় লিখিনি কম্পিউটার এ, ব্লগ তো দূরের কথা। এমনকি হাতে বাংলা লিখেছি সেও মনে হয় বছর পাঁচেক আগে (প্রেমিকাকে তো আর ইংরেজিতে চিঠি লেখা যায় না)। সেদিন হাতে লিখতে গিয়ে দেখি হাত কাঁপে, দুলাইন লিখেই হাত ব্যাথা। এমনকি হাতে ইংরেজিও লেখা হয় না। গণক মহাশয়ের সামনে সারাদিন বসে থাকি, বোতাম টিপি,অন্য কিছু করার উপায় কই।

বিস্তারিত»

পরাটা এবং পুডিং … উল্টা চিত্র!

প্রথমেই বলে নেই এটা আমার প্রথম লেখা, আর এর আগে কথাও এক-দুই লাইন ও লিখে দেখিনি,  লেখাটি পড়ার সময় এ কথা মনে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
পরাটা ও পুডিং এর অনেক প্রশংসা শুনলাম, আমার নিজের ও খুব ভাল লাগত, এ ছাড়াও আরও অনেক meal ছিল যা ভাল লাগত, কিন্তু এরকম ও কিছু meal ছিল যা মুখেও দেওয়া যেত না। আমার ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে অপছন্দ ছিল ব্রেড ( অবশ্যই ব্রেকফাস্ট এর টা,

বিস্তারিত»

ধরা..

আমাদের ব্যাচের ছোট খাট সাইজের ইমরানের নাম ছিল “ধরা”। কারন ও কিছু করলেই ৯০ ভাগ সময় ধরা খেত, এমনকি কোন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু করলেও বেচারার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হত। আমরা তখন নতুন ইলেভেনে…তখন আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন সদ্য বি.এম.এ ফেরত একজন স্টাফ (কোন কোন কলেজের ওস্তাদজী )। যা হোক সে সেই সাইজের স্টাফ। তার দশাশই সাইজের কারনে আমরা তাকে আদর(!)করে ডাকতাম “পটল” বলে। যারা ডিফেন্সে তারা ভাল বুঝতে পারবেন,

বিস্তারিত»

টুশকি ২

টুশকি [১] [৩]

১. ক্লাস সেভেনের ফয়সালের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হাতঘড়ি সিজ করার পর জুনিয়র প্রিফেক্ট আরাফাত ভাইয়ের মন্তব্য, “ঘড়ি তো ঘোড়া হয়ে গেছে ফয়সাল”।

২. সাইফুল ইসলাম স্যার (বাংলা) কক্ষনও ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতেন না। অহর্ণিশ আমরা যেসব ইংরেজি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করি উনি তাও করতেন না। যেমন:
“আমাকে একটা লৌহ গোলকযুক্ত কলম (বলপেন) দাও তো”।

বিস্তারিত»

এম.জি.সি.সি………………২

সে শুধু আশায় বুক বেধে ক্ষান্ত দেয়নি। অন্য কিছু পথও অবলম্বন করা শুরু করলো…যেমন আগে আগে হাউসে এসে হাউসঅফিসে চিঠি স্যারদের আগে চেক করা। হাউসবেয়ারাকে ম্যানেজ করে হাউসমাষ্টারের টেবিলের ড্রয়ার চেক করা….ইত্যাদি। মোট কথা তার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব সে তার শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ফলাফল শূণ্য…………………

মাঝে মাঝে তাকে আমরা তার সেই বিখ্যাত I.C.C.L.M এর কাপুনি দেয়া গানটি গায়তে বলতাম,

বিস্তারিত»