মাটির গান মানুষের গান

কয়েক দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম। নদী পাড়ে ঘুরতে গেলাম। দেখলাম প্রচুর মানুষ, কোলাহল আর হই হই আওয়াজ। বুঝতে বাকি রইলো না যে নৌকা বাইচ হচ্ছে। আগে যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন একবার দেখেছিলাম, এই ব্রম্মহপুত্র নদী তীরে নৌকা বাইচ। ছোট বলতে স্কুলেও যাইনা। ভাবলাম এখনো নৌকা বাইচ হয়। এ জিনিস পরে আর কখন দেখতে পারবো চিন্তা করতে গিয়ে দেখলাম, চান্স নাই বলতে গেলেই হয়। আর কোন চিন্তা করতে হবে না।

বিস্তারিত»

রামসাগর – দিনাজপুর

রামসাগর শুধুমাত্র দিনাজপুর অঞ্চলেরই নয় বরং সারাদেশের একটি অতি পরিচিত আইকন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্ন-তাত্ত্বিক দ্রষ্টব্যও বটে। বহুল আলোচিত দিনাজপুর রাজবংশের এক অনন্য কীর্তি – রামসাগর। শ্রীমন্ত দত্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ রাজবংশ সপ্তদশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও’র বিভিন্ন স্থানে তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ রাজবংশের সব থেকে কীর্তিমান ও প্রসিদ্ধ নৃপতি রাজা প্রাণনাথ। প্রাণনাথের পালক পুত্র রাজা রামনাথও তার পিতার মত ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিস্তারিত»

কান্তজীর মন্দির – দিনাজপুর

আদি এক রত্ন মন্দির

রাজা প্রাণনাথ দিনাজপুর রাজ পরিবারের মধ্যে অন্যতম এবং তিনি নিজ গুনে তার বংশের সকল নৃপতিকে অতিক্রম করে ইতিহাসের খেরো-খাতায় অত্যন্ত সফলভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি তার জীবণদশায় শুধু জনহিতকর কাজই করেননি বরং রাজ্য বিস্তারেও তার অবদান সর্বজনবিদিত। রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতায় তিনি তার বৈমাত্রীয় ভাই রাজা জয়দেব কর্তৃক অধিগৃহীত ঘোড়াঘাটের প্রজা-পীড়ক জমিদার রাঘবেন্দ্রের ৯ আনা, ভারতের মালদহ জেলার মালিগাঁও পরগনা ও দিনাজপুরের আশে-পাশের ১২টি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জমিদারি নিজ রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে সমর্থ হন।

বিস্তারিত»

চেহেলগাজীর মাযার – দিনাজপুর

মাযার
দিনাজপুর শহরের উত্তর প্রান্তে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন সদর উপজেলার চেহেলগাজী গ্রামে চেহেলগাজী মাযার নামে একটি অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট্য মাযার রয়েছে। মাযারের নামে গ্রাম ও ইউনিয়নের নামও হয়েছে চেহেলগাজী। আপাতঃ দৃষ্টিতে মাযারের আকৃতি দেখে মনে হয়, এখানে একক কোন ব্যাক্তি শায়িত নন। সম্ভবত, যুদ্ধে শহীদ যোদ্ধাদের খন্ড-বিখন্ড দেহ একত্রে করে এখানে কবর দেওয়া হয়েছিল। মাযারটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোন সঠিক ইতিহাস এ যাবত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিস্তারিত»

ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে

ভূমিকা
অনেক দিন পরে আমার ক্যাডেট কলেজের অনুজ যার ক্যাডেট নাম শফিক আর ডাক নাম অ্যাঞ্জেল । তবে ক্যাডেট নামের থেকে অ্যাঞ্জেল শফিক হিসাবে বেশি পরিচিতি। অনেকদিন পরে দেখা আর একই কলেজের প্রায় পিঠাপিঠি ব্যাচ তাই দীর্ঘদিন দেখা না হলেও হৃদয়ের এক আলাদা বন্ধনের সাথে জড়িত বলেই মন হতে দূরে যাওয়ার কোন উপায় নাই। শ্মশ্রুমণ্ডিত অ্যাঞ্জেল শফিকের দাড়িতে আবার হালকা পাক ধরেছে। এই লেবাসে অনেকদিন পরে দেখা বলে একটু চিনতে কষ্টই হচ্ছিল।

বিস্তারিত»

DSLR ক্যামেরা কিনছেন? পর্ব- ২ ( লেন্স পরিচিতি )

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের প্রায় সবারই ফটোগ্রাফির প্রতি খানিকটা দুর্বলতা আছে, এটাই স্বাভাবিক। হরেক রকমের সোস্যাল নেট ওয়ারকিং আর ফটো আপলোডের এত প্লাটফর্ম থাকায়, সবাই এখন ভালো ছবির কাঙ্গাল। ভালো ছবির জন্য DSLR ক্যামেরা একটি অন্যতম মাধ্যম।আমদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন হইতো চিন্তা করছেন DSLR কিনবেন, কিন্তু বাজারে এত বেশি অপশন থাকায় ঠিক ধরতে পারছেন না , কি করা উচিত।

বিস্তারিত»

DSLR ক্যামেরা কিনছেন? পর্ব- ১ ( মধ্যম দামের মধ্যে কয়েকটা ক্যামেরা )

আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া আপুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের প্রায় সবারই ফটোগ্রাফির প্রতি খানিকটা দুর্বলতা আছে, এটাই স্বাভাবিক। হরেক রকমের সোস্যাল নেট ওয়ারকিং আর ফটো আপলোডের এত প্লাটফর্ম থাকায়, সবাই এখন ভালো ছবির কাঙ্গাল। ভালো ছবির জন্য DSLR ক্যামেরা একটি অন্যতম মাধ্যম।আমদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন হইতো চিন্তা করছেন DSLR কিনবেন, কিন্তু বাজারে এত বেশি অপশন থাকায় ঠিক ধরতে পারছেন না , কি করা উচিত।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

রাজবাড়ির বহিঃঅঙ্গন

রাজবাড়ির মূল অংশ পেরিয়ে দ্বিতীয়াংশে রাজবাড়ির চতুর্পাশে দীর্ঘ ও প্রশস্ত পরিখার মধ্যে শুকসাগর, মাতাসাগর, আনন্দসাগর, ফুলবাগ, সব্জিবাগ, রাজ কর্মচারীদের আবাসস্থল ইত্যাদি ছিল। সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যই রাজবাড়িকে কেন্দ্র করে চারিদিকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সব নিদর্শনের চিহ্ন এখনো কোথাও কোথাও দেখতে পাওয়া যায়।

পদ্ম পুকুর

রাজবাড়ির সদরমহল ও শুকসাগরের মধ্যবর্তী অংশে পদ্ম পুকুর অবস্থিত।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

হীরাবাগ

ঠাকুরবাড়ির কালীয়াকান্তের মন্দিরের উত্তরে, মন্দির ও রানীমহল সংলগ্ন রাজ পরিবারের একটি রাজকীয় বাগান আছে। রাজার আমল থেকেই চারিদিকে সু-উঁচ্চ প্রাচীর ঘেরা বাগানটি হীরাবাগ নামে পরিচিত। দেশী-বিদেশী হরেক রকম বাহারি গাছ-গাছালিতে ভরপুর ছিল রাজাদের এ বাগান। কালের পরিক্রমায় আজ সে সব কেবলই ইতিহাস। চিত্ত বিনোদনের জন্য রাজ পরিবারের সদস্যরা এখানে অবসরে ঘুরে-বেড়াতেন। হীরাবাগে প্রবেশের জন্য রাণী মহল থেকে একটি প্রবেশপথ থাকার কথা জানতে পারলাম।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

ঠাকুরবাড়ি

আয়না ও রাণী মহলের পশ্চিমে মহলদ্বয় সংলগ্ন রাজবাড়ির ঠাকুরবাড়ি অবস্থিত। ঠাকুরবাড়িতে মোট তিনটি মন্দির। উত্তরে কৃষ্ণ মন্দির (কালিয়াকান্ত মন্দির নামে অধিক পরিচিত) ও দক্ষিণে দূর্গা মন্দির। দূর্গা মন্দিরের প্রধান ফটক সংলগ্ন পূর্বপাশে সন্ন্যাসী মন্দির অবস্থিত, যা মূলতঃ কাশী ঠাকুরের (মতান্তরে শ্রীমন্তের) সমাধি মন্দির। সুউচ্চ পাঁচিল দ্বারা পরিবেষ্টিত মন্দিরগুলোতে প্রবেশের জন্য সিংহ দেউড়ী ব্যবহার করতে হয়।

কালিয়াকান্তের মন্দির

কালিয়াকান্তের মন্দিরটি ১৭৬৩ খ্রীঃ বাংলার সনাতনি চৌচালা নকশায় হিন্দু ও মুঘল স্থাপত্যরীতিতে ছোট আকারে মহারাজ বৈদ্যনাথ কর্তৃক নির্মাণ করা হয়।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

রাজবাড়ি

প্রায় ৪০০ বছরের অধিক সময় ধরে গড়ে তোলা দিনাজপুর রাজবাড়ি নির্মাণে রাজ-পরিবারের প্রায় সকল নৃপতিরই কোন না কোন অবদান রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতা এখানে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাই রাজবাড়িতে যেমন আছে ইউরোপীয় ধাচের গড়ে ওঠা হর্ম্যরাশি তেমনি দেখা যায় মুঘল ও হিন্দুয়ানী স্থাপত্যকলার সম্বন্নয়। ১৭৬৫ খ্রীঃ বৃটিশ অধিকৃত দিনাজপুর শহর আরো তিন দশক পর ১৭৮৬ খ্রীঃ বৃটিশ কালেক্টর এইচ জে হ্যাচের হাত ধরে আধুনিকরূপে বিস্তৃতি লাভের সুযোগ পায়।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – দিনাজপুর রাজবাড়ি

দিনাজপুরের প্রাচীনতম নাগরিক এলাকায় ৪০০ বছরের অধিক কাল ধরে বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজবাড়ি সকল প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে অত্যন্ত জীর্ণাবস্থায় কালের স্বাক্ষী হয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। জায়গাটির নামই আজ রাজবাড়ি। রাজবাড়িকে ঘিরেই দিনাজপুর শহরের গোড়া পত্তন। সেই কবে প্রাচীন অখন্ড বাংলার উত্তর রাঢ়ীয় এক কায়স্থ বংশের রায় উপাধিধারী পরিবার দ্বারা সূচিত হয়েছিল এ রাজবংশ তা আজ কিংবদন্তী। কে ছিল এ রাজবংশের আদি পুরুষ?

বিস্তারিত»

দিনাজপুর

হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উতপন্ন হয়ে নানা চড়াই – উতরাই ঠেলে প্রায় ১৬০ কি.মি. দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, প্রাচীন জনপদের নানা ইতিহাস রচনার মাধ্যমে; প্রাকৃতিক কারণে উrসমুখ হারিয়ে নির্জীব-ক্ষীন স্রোতধারায় আজও বহমান যে পুর্নভবা নদী, তারই তীর ঘেঁষে পৌরানিক কালে গড়ে উঠা এক সম্মৃদ্ধ জনপদ – দিনাজপুর। ‘পরশুরাম’ যিনি ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার হিসাবে স্বীকৃত তার রাজ্যের অধীন ছিল দিনাজপুর। মৌর্য্য যুগে বগুড়ার পুন্ড্রবর্ধনে ছিল রাজা পরশুরামের রাজধানী।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সম্পর্ক যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতিদিন হাজিরা, ইয়েস স্যার, উপস্থিত ম্যাড্যাম,
হাজির…..

দু একদিন ক্লাস মিস গেলেই দরখাস্ত,
জবাবদিহীতা…কারণ দর্শাও নোটিশ।
প্রতিদিন জানান দিতে হয়, আছি, আছি, আছি।
সম্পর্কগুলো কেমন যেন, নড়বড়ে…
একটু গ্যাপ বাড়লেই তুই থেকে তুমি,
আর তুমি থেকে আপনি….

অচেনা অচেনা ভাব, আন্তরিকতার অভাব।
যেন মাত্রই পরিচয়,

শেষ যে কে কবে বলেছিল,

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – শিবরামপুরের জোড়া মন্দির

উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে দিনাজপুর জেলায় দিনাজপুর রাজবংশের কীর্তিকলাপ সর্বজনবিদিত। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে প্রাচীন সভ্য জনপদ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কালের পরিক্রমায় গড়ে উঠেছিল সে ধারাবাহিকতায় ঈতিহাসে দিনাজপুর রাজবংশের একটি আলাদা স্বকীয়তা রয়েছে। শিবরামপুর গ্রামে পাশাপাশি অবস্থিত শিব মন্দিরদ্বয় তারঈ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

জেলা সদর থেকে উত্তরমুখী যে সড়কটি দিনাজপুর – পঞ্চগড় বরাবর চলে গেছে সে রাস্তা ধরে এগোলে চেহেলগাজীর মাযার হতে প্রায় ১ কি.মি.

বিস্তারিত»