বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের এক দারুণ মিল পাওয়া গেছে

Kh. Delwar

Pakistan Chief Justice Abdul Hameed Dogar

বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের এক দারুণ মিল পাওয়া গেছে। খন্দকার দেলোয়ারের পাজামা/প্যান্ট কাহিনী অনেকেই জানে। কিন্তু জানে না পাকিস্তানি প্রধান বিচারপতির ঘটনা। দুটো ভিডিও এখানে ব্লগারদের মন্তব্যের জন্য উন্মুক্ত হলো। সৃজনশীলতার একটা পরীক্ষা চলুক।

বিস্তারিত»

মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই

মেজর মশিউর কি আর নেই? কদিন আগে সাইফের পোস্টে ওর অসুস্থতার খবর পড়েছিলাম। আজ (২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ইত্তেফাকের ৪-এর পাতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার জানানো শোক শ্রদ্ধার সংবাদ পড়ে আর সিসিবিতে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। কামনা করি মশিউর ভালো থাকুক। কিন্তু প্রকৃত তথ্যটা কিভাবে জানা যাবে?

বিস্তারিত»

বন্ধুত্বের ৩৪ বছর : জীবনের তিন চতুর্থাংশ

ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচটা একটা জিনিষ! কলেজে যেমন ছিল তেমনি বাইরে এখনো সবগুলো দারুণ প্রাণবন্ত। সুযোগ পেলেই আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো আর ছেলেমানুষি কান্ডকারখানায় প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই বালকগুলোর জুড়ি মেলা কঠিন। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন দূর্দান্ত, তেমনি সম্পর্ক তাদের স্ত্রীদের মধ্যেও। রবীন ও রায়হানের প্রদর্শিত ব্লগীয় ধারা বজায় রেখে ২১তম ব্যাচের একটি ফটোফিচার।

বিস্তারিত»

সেইরকম আবজাব – বেইনসাফ পর্ব

নাহ্, আজকালকার দুইন্নায় ইনসাফ বইলা কিস্সু নাই। এই জিনিসটা অনেক আগেই উপরে উইঠা গ্যাছে।

বয়স বাড়তাছে। মানে বুড়া হইতাছি। অটোমেটিক বাড়তাছে, নিজের দোষে না। কোটেশন মার্কের ভিতরে অবস্থান করা জাস্ট দ্বারা শুরু হওয়া সম্পর্কগুলার এফ.এম বা ডিজুস টাইমটা অল্প কয়েকটা বছর আগে জন্মাইবার অপরাধে ধরতাম পারলামনা। এইটাতেও নিজের কোনো দোষ খুঁইজা পাইলামনা। টার্ণ আউট জিনিসটারে দীর্ঘ এক দশক আগে একশত পচাশি একরের এক জায়গায় নিজের আত্মা সহ রাইখা আইছি,

বিস্তারিত»

জীবনটাকে উপভোগ করে গেল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী

[এক বছর আগে এইদিনে চিরবিদায় নিয়েছিল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী। তাকে নিয়ে এই লেখাটা সামেহায়ারইনে গতবছর এইদিনে দিয়েছিলাম। লেখাটায় কোনো পরিবর্তন না করে এই ভূমিকাটুকু যুক্ত করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিলাম।]

জীবন একটাই, আর সেটাকে পুরোপুরি উপভোগ করে আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেল সঞ্জীব চৌধুরী। আমার বন্ধু। আমাদের কাছে এই মৃত্যু ভাবনায় ছিল না, কামনার তো নয়ই। মাত্র ৪৪ বছরের জীবন! কেউ এই সময়টাকেই যথেষ্ট মনে করেন,

বিস্তারিত»

তোমাকে ভালবাসি বাবা

আমি সারাজীবন নিজের মতো চলতে চেয়েছিলাম। নিজের যা পড়তে ভালো লাগে, যা করতে চাই, যা হতে চেয়েছিলাম- সবই একে একে অর্জন করে চলেছি।
শুরুতে বাবা চেয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তা হই, পরে চেয়েছিলেন অর্থনীতি পড়ি, অবশেষে সরকারি কর্মকর্তা হই। বাবার চাওয়া এসবের কোনোটাই আমি পুরণ করিনি।
এককালে রাজনীতি করেছি। সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছি। প্রিন্ট মিডিয়ায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছি। এখনও মিডিয়ায় আছি।

বিস্তারিত»

অন্ধকারে শোনা গেল ধুপ ধাপ শব্দ আর চিত্কার !!

১৯৭৫ সাল। তখন ক্লাস এইটে পড়ি আমরা। ২১তম ব্যাচে বান্দর হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছি আমি আর ফয়সাল (অপু)। দুইটা কি তিনটা এক্সট্রা ড্রিল ইতোমধ্যে আমাদের একাউন্টে জমা হয়ে গেছে। ওই সময় ইডিতে ২১তম ব্যাচে আমরা দুজন সিনিয়র ছিলাম। পের অবশ্য ইজাজ আহমেদসহ অনেকেই আমাদের ডিঙ্গিয়ে গেছে।

প্রেপে পড়াশুনা? এটা আবার কি? লাইব্রেরি থেকে ইস্যু করে আনা গল্পের বই তাহলে আছে কি জন্য? আর সেটারও যদি স্টক ফুরিয়ে যায়,

বিস্তারিত»

ক্যাম্পাসের রানী শম্পা

আমগোর আছিল শম্পা ম্যাডাম। পুরা কলেজের রানী। আন্ডা-আব্বা হুদা না সিনিয়র-জুনিয়রেরও বালাই নাই। পোলাপাইন খালি তসবি নিয়া জপে শম্পা, শম্পা। কেউ কেউ গভীর রাইতে উদাস হইয়া দরাজ গলায় হিন্দি সুরে গান ধরে “শম্পা শম্পা, ও মাই ডারলিং…..”। হাহ…

এইরকম একদিন সকাল ১০টা-১১টা অইবো। কুনু কারণে নির্ধারিত শিক্ষক ক্লাস নিতে আসে নাই। পোলাপাইন গ্যাজাইতাছে। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে নানা সৃজনশীল আঁকাঝুকিতে ব্যস্ত। কে হইতে পারে এইডা,

বিস্তারিত»

প্রথম আলোর জন্মদিন : অভিনন্দন কমরেডস

[ বিষয়টি ক্যাডেট কলেজের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। একসময় প্রথম আলোতে কাজ করতাম। তাই প্রথম আলোর জন্মদিনে আজ প্রথম আলো ব্লগে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাবলাম তোমাদের সঙ্গেও শেয়ার করি। কারো ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় জানিও।]

প্রথম আলোর আজ জন্মদিন। বেশ সশব্দে এবং সগৌরবে দিনটি আজ পালন করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও আলোচিত সংবাদপত্রটি। অভিনন্দন প্রথম আলো, অভিনন্দন প্রথম আলোর সব সাংবাদিক-কর্মীকে।

বিস্তারিত»

তোমার কি ‘উইপনে’ সমস্যা আছে?

ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকরা এক একজন দারুণ চরিত্র। দোষ-গুণ নিয়ে এরা আছেন, থাকবেন। বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে পার্থক্য এটাই যে ক্যাডেটরা এদের সঙ্গে দিনের ২৪ ঘণ্টা, বছরে ৩০০ দিন এবং ছয়টা বছর কাটায়। কাছ থেকে মানুষগুলোকে দেখে। এদের কাউকে কাউকে নিয়ে রীতিমতো উপন্যাস লেখা যায়। কেউ মজার, কেউ আমুদে, কেউ ভিলেন, কেউ ক্লাউন, আবার কেউবা একেবারে বাবার মতো মানুষ।

ক্যাডেটদের বিনোদনের একটা বড় অংশ জুড়েই আছেন শিক্ষকরা।

বিস্তারিত»

আখেরি আবজাব…

০১. দুপুরে রেস্ট টাইমে রুম ক্রিকেট চলাকালে হঠাৎই কলেজ ডিউটি মাস্টার এর আগমনে সবাই যে যেভাবে পারলো লুকিয়ে পড়ছে। কেউ ঘুমের ভান করে পড়ে আছে, কেউ সাবান নিয়ে ঢুলু ঢুলু চোখ বানিয়ে টয়লেটের দিকে রওনা দিয়েছে। শুধু হোসেন নামাযে দাঁড়িয়েছে। এবং সে’ই ধরা পড়লো শুধু। বেচারা তাড়াহুড়ায় স্লিপিং শার্টের সাথে হাফপ্যান্ট পড়ে বেশ মনোযোগ দিয়ে মুনাজাত করছিলো।

০২. মাগরিবের নামায শেষে ইভনিং প্রেপে যাওয়ার জন্য হাউসের সিড়ির সামনে এসে ডিউটি ক্যাডেটের খুব খুব জোরে জোরে হুইসেল দিচ্ছে।

বিস্তারিত»

ব্লগের সবচেয়ে বুড়া সদস্য!!

কামরুল আমাকে ‘বুড়া’ বলেছে। আসলেও আমার চুল বেশিরভাগ পাকা। বয়সও কম হলো না, ৪৬। আমাকে ও বুড়া বলতেই পারে। এই বুড়া বয়সে ব্লগাচ্ছি! নিজেকে নিয়েই মাঝেমধ্যে অবাক হয়ে যাই। নইলে এই সময়ে এসে সংবাদপত্র ছেড়ে রেডিও স্টেশন সামলাতে বসেছি?

জীবনে অনেক কিছুই অল্প বয়সে করেছি। ১৪ বছর বয়স থেকে সিগেরেট খাওয়া! ১৮-১৯ বছর বয়সে রাজনীতি। ২০ বছর বয়স থেকে সাংবাদিকতা। ২৩ বছর বয়সে বিয়ে।

বিস্তারিত»

আবজাব ০১

০১. আন্থঃ হাউস বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলছে। তখন যুক্তি-তর্কের মাঝখানে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ‘সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই প্রতিপক্ষ’ বলাটা অনেকটা কমন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তো তুমুল তর্কের যুক্তিখন্ডনের সময়, প্রতিপক্ষের অসাড় যুক্তির তোড়েই কিনা, আমাদের হাউসের এক তার্কিক প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্যে এই মোক্ষম ডায়লগটা দিতে গিয়ে গমগমে গলায় ব্যাপক তাচ্ছিল্যের সাথে বলে উঠলো, ‘সত্যিই প্রতিপক্ষ, কি বিচিত্র এই সেলুকাস’ !!

০২. ক্লাশ সেভেনের ঘটনা,

বিস্তারিত»

কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন

মূল রচনা – KEEP CADET COLLEGE CAMPAIGN
লেখক – মিনু খাদেম (১৩তম ব্যাচ, এফসিসি)

১. সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম যে, অন্য সবগুলো ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ক্যাডেটদের কাউকেই বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের ইতিহাস সম্পর্ক কিছু জানানো হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের অস্তিত্বের ইতিহাস বলার দায়িত্ব কেউই নেয়নি।

২. বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের বিলোপ ও পুনরাবির্ভাবের ইতিহাস সম্বন্ধে বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে ১৯৭২-৭৩ সালের যন্ত্রণাদায়ক দিনগুলোতে।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ

হারিয়ে গেছে বন্ধু মিজান- মিজানুল মাহবুব। মেধাবী ছিল। আঁকার হাতটা ছিল দারুণ। বুয়েটে যখন স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হলো আমরা কেউ অবাক হইনি। ক্যাডেট কলেজে ঢুকে আমাদের অধিকাংশ বন্ধুর ড্রইংয়ে হাতখড়ি হয়েছিল। সেসময় মিজান, সোহেলসহ কয়েকজনকে আমরা রীতিমতো ঈর্ষা করতাম।

মিজান স্থাপত্য পড়া শেষ করে ছোটখাট কিছু কাজ করছে এমন সময় তার অসুখটা ধরা পড়লো। দুটো কিডনিই তার পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বন্ধু মিজান হারিয়ে গেল ১৯৯৩ সালে।

বিস্তারিত»