যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত

মাঝে মাঝেই কল্পনা করি – যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত, তাহলে কোথায় গিয়ে থামতাম। একটা রেডিমেড উত্তর আছে আমার কাছে। ক্যাডেট কলেজের ক্লাস ইলেভেন-এ। ওখানে জীবনটাকে নিয়ে যেয়ে একটা দুই-নম্বরী কাজ করতাম। ‘প্লে’ বাটন এর জায়গায় ‘পজ’ বাটনটা চেপে দিলাম পারমানেণ্ট ভাবে।

ক্লাস ইলেভেন এর লর্ডের স্টাইলে জীবন কি আর ফিরে আসবে? আমি নিশ্চিত যে আমারা সবাই এই ক্লাসটাকে এনজয় করেছি যার যার মত।

বিস্তারিত»

গল্পঃ গতজন্মের পাপ নিয়ে শুভাগত যা ভেবেছিল

একটানা ঘড়ঘড় আওয়াজ মাথায় নিয়ে শুভাগত যখন চোখ খুললো তখন তার বন্ধ মুখের ভিতরে একটা টক টক স্বাদ জিহ্বা বেয়ে গলা দিয়ে নামতে থাকে, আর সেই টকস্বাদের ঝাঁঝ এড়াতে সে উপরের দিকে মুখ তুলে সময়টা বোঝার চেষ্টা করতে থাকে। একটা ঢোঁক গিলে সে টের পায় কাঁথার নিচে বের হয়ে থাকা বামপায়ের উপরে কেমন ঠাণ্ডা একটা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সকালের আলো বলে দিচ্ছে বেশ একটু আগেই সে শৈশব পেরিয়ে এসে এখন ধীরে ধীরে কৈশোরের দিকে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ ব্লগকে আরও জনপ্রিয় করা প্রয়োজন

আমার দৃঢ় বিশ্বাস ক্যাডেট কলেজ ব্লগ একটা দারুণ ক্রিয়েটিভ, সহায়ক, তথ্যবহুল প্লাটফর্ম হতে পারে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, এই ব্লগে সদস্য সংখ্যা মাত্র ৪০০ এর কিছু উপরে। অসাধারণ ডিজাইনের এই ব্লগটাকে প্রমোট করার জন্য আমরা কতটুকু করছি/করেছি? কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই ও অনুরোধ করি যেন এই ব্লগটাকে আরও জনপ্রিয় করার ব্যবস্থা করা হয়।

বিস্তারিত»

বদনে কৃষ্ণবন

বদনে করেছি কৃষ্ণবন পেয়ার,
লোহা দিয়ে কে যেন মোর ক্ষুর করে দিল তৈয়ার।
জলধি হইতে জল আর সাবান হইতে ফেনা,
কৃষ্ণবন ধ্বংসি আমি অধম একজনা।
চতুর্দশ বর্ষ হইতে মোর
ঊর্বরা হইল মুখ, লাগিল বড় ঘোর।

বিস্তারিত»

আপাতত সটান চিন্তা

একটু পরে একটা ক্লাশে ঢুকতে হবে। কন্ট্রোল সিস্টেমস এর ক্লাশ। মোট ছাত্রসংখ্যা পঞ্চাশ। ক্লাশে ঢুকতেই ড্যাব ড্যাবে ১০০টা চোখ আমার দিকে চেয়ে থাকবে। তাদের সরলরৈখিক দৃষ্টিতে বিদ্ধ হতে হতে ডায়াসে উঠবো, তারপরে রোলকল্‌, এবং গত ক্লাশের কথা বার্তা একটু বলে বকবক শুরু করবো। কন্ট্রোল একটা বাজে সাবজেক্ট, গাদাগাদা ল্যাপ্লাস করতে হয়। ইলেক্ট্রিকালের যে স্যারটা পড়াতেন, তিনি বড়ো বিশ্রিভাবে পড়িয়েছেন। কিছু বুঝিনি তখন। পি.এল.-এ গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ালাম।

বিস্তারিত»

ভালবাসার সুখ

অভিমান তো হবেই, যখন বুঝি এ আমার অধিকার –
মুহুর্তের দেরী মনে আনে কষ্ট, কখনও ভয়।
তোমার দূরে থাকা আমাকে হাহাকারে ছেঁয়ে ফেলে,
তোমার হাসিমুখের বিচ্ছেদে আমার কষ্ট হয়।
রিনিঝিনি কন্ঠে তোমার নুপূর বাজে
আমারও গাইতে ইচ্ছে করে সুখের গান –
অথচ তোমার স্পর্শ আমাকে নিশ্চুপ করে দেয়,
তোমার স্পর্শে আমি পাই সুখের আহবান।
তাই বারে বারে তোমার কাছে ছুটে আসি
মনে হয় ক্ষণিকের দূরে থাকা যেন হারিয়ে যাওয়া সুখ –
অস্থির মনে অযথা আশংকা হারাবার –
বুঝি,

বিস্তারিত»

উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি-১ (আন্দা’র ভাগাড়ী পংক্তিগুলো)

ভাগাড়ী পংক্তিগুলো

বলতে দ্বীধা নাই, আরও অনেকের মত আমিও আন্দালিবের বিশাল ভক্ত। ছেলেটার লেখা যতই পড়ি ততই ওর চিন্তা ভাবনার রসাল রসে রসসিক্ত হই। মাঝে মাঝে এও ভাবি, সেদিন হয়ত দূরে নয়, আন্দালিবের কবিতা পাঠ্য বইয়ে চলে আসবে। সে যুগের কথা ভেবেই … ‘এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে দিয়ে যাব’ টাইপ কবিতার নোটবই …
আন্দালিব নিশ্চই মাইন্ড করবে না। বরং আমাকে মার্কিং করতে পারে ওর চিন্তার সাথে আমার ব্যাখ্যা কতটুকু মিলল … ওর ব্লগে কমেন্ট আকারে দিতে চেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

ভাগাড়ী পংক্তিগুলো


এভাবে একদিন আমার কথাও শুকিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় আমি মূক।
হাসিও মুছে যেতে পারে হঠাৎ পিপাসা পাওয়া রাতে
এমনকি আমি বোধহীন হতে পারি, এ ঘটনাও অসম্ভব নয়
নিউরনে স্ফুলিঙ্গ থেমে গেলে আমি অরূপাক্ষ নদে ভেসে যেতে চাই।

বিস্তারিত»

টুকলিফাইং-০২

তুমি স্বর্ণের বর্ণ চুরি করে তোমার অঙ্গে লুকিয়ে রেখেছ। চন্দ্রের কিরণ চুরি করে রেখেছ তোমার চন্দ্রাননে। মদনের ধনুকটা চুরি করে রেখেছ তোমার নিজের ভুরুর মাঝখানে। বনের হরিণীর কাছ থেকে তুমি হরণ করেছ তোমার চোখদুটি। পক্ক বিম্ভের শোভা চুরি করেছ তমার ওষ্ঠে। সাদা বেগুনের মসৃণতা চুরি করেছ তোমার চিবুকে। কোন মরালীকে নিঃশ্বেষ করে তৈরী করেছ তোমার গ্রীবা। সিংহের কাছ থেকে চুরি করেছ তোমার কোমরের খাঁজ। গজের কাছ থেকে চুরি করেছ তার গতি।

বিস্তারিত»

টুকলিফাইং – ০১

কল্পনা মানে হল একটা সত্যিকে দেখতে পাওয়া, মনে মনে দেখতে পাওয়া। যা দেখছ সেটা যদি এই মুহুর্তে তোমার সামনে সশরীরে উপস্থিত নাও থাকে, কিছু এসে যায় না। তুমি মনে মনে দেখতে পাচ্ছ বলেই সেটা সত্যি। আজ যা দেখতে পাচ্ছ একদিন হয়তো তার বাস্তব প্রমাণ পাবে। হয়তো কোনওদিন প্রমাণ পাবে না। তবু, মনে মনে যা দেখবে সেটা কোথাও সত্যি। মনে মনে একটা সত্যিকে দেখতে পাওয়া!

বিস্তারিত»

প্রকৃত অনুভূতির চরিত্র বিষয়ক

বিষাদকে একটা চরিত্র ধরা যাক। ধরা যাক তার হাত মুখ নাক চোখ গলা গ্রীবা চুল সবই আছে। তার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হয়। পথে, ফুটপাতে, রিকশা ঠিক করার সময়ে, পাবলিক বাসে ঝুলতে ঝুলতে ঘামে ভিজভিজে হতে থাকলে। মাঝে মাঝে পরিচিত ঘরে ফিরে জুতোজামা খুলতে খুলতেও তার মুখ দেখি। সে এসে বসে থাকে বিছানার প্রান্তে। চুপচাপ। বেশি জ্বালায় না। আগে অনেক বিব্রত করতো। এখন আমিও ঘাগু হয়ে গেছি।

বিস্তারিত»

আর্থ্রোপোড-ভার্টিব্রেট মিথোস্ক্রিয়া

মশা কামড়াচ্ছে। পিন্‌ পিন্‌ করে কয়েকটা মশা ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার রুমটাতে। আমি হাত বাড়িয়ে চটাশ চটাশ করে মারার চেষ্টা করেছি কয়েকবার, মরেনি। আমার লক্ষ্যভেদ করার প্রয়াস খুবই হাস্যকরভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সম্ভবত হস্ত-চক্ষুর সমন্বয় করার ব্যাপারটিতে আমি খুবই খারাপ। একটু পরে চটাশ চটাশের কারণে লাল হয়ে যাওয়া হাত টেবিলে মেলে রেখে আমি মশা-মারার হাল ছেড়ে দেই, এবং এই সুযোগে দুয়েকটা মশা আমার হাত-পায়ে দ্রুততার সাথে কামড় দিয়ে দেয়।

বিস্তারিত»

বাসর রাত

শীতের রাতে আজ কুয়াশা নেই,
আছে পূর্ণিমার আলো;
আজ রাতের গভীরেও পাখি গান গেয়ে যায়;
প্রকৃতি যেন আজ ভুলে গেছে যত তার নিয়ম-অনিয়ম।
অপ্রত্যাশিত মহিমায় আজ প্রকৃতি ভুলে গেছে সুরের ব্যাকরণ,
হারমোনিয়ামে বাজছে উল্টা-পাল্টা আওয়াজ –

বিস্তারিত»

সুন্দরী ও স্বপ্নভঙ্গ

সুন্দরী!
মৃগনাভী কস্তুরী
তৎসম সুগন্ধি,
উচ্ছাসে বাসন্তী …
চকিতে কটা চাহনি,
পরক্ষণে মৃদু হাসি,
চলনে উঠে হিল্লোল
ধরনী হল চঞ্চল –

বিস্তারিত»

একদিন ভোর দেখার রঙ আমাকে মেরে ফেলবে না

গ্রাফিতি-ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলাম,
বিবিধকোণ ছকত্বকী ফুটপাত
সেখানে পদছাপেরা ক্ষণস্থায়ী এবং ধুলিকণার নিবিড় নিবাস;
আমি হাঁটছিলাম অথচ সেখানে আমার ছাপ পড়ছিল না।

প্রসারিত হাতের রেখাগুলো কুঁচকানো,
আমার দিকে তেড়ে আসে, “ভিক্ষা দে”!
চাপা ক্রোধ! “দিবি না কেন”!
আমি কররেখার মতোই কুঁকড়ে যাই। “দে!”
অলৈঙ্গিক শৈথিল্য কামড়ে ধরে তলপেটের চিনচিনে ব্যথায়, “দিবি না?”
ওই হাত অনেক জীবন সয়েছে,

বিস্তারিত»