আমার বন্ধু ভাগ্য

এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ। একেকটা লেখা পড়ি আর নিজের অজস্র স্মৃতির মধ্যে ডুবে যাই। অমোঘ এক চক্রে ঘুরপাক খাই, লেখা পড়লেই লিখতে ইচ্ছে হয়। রেডবুকের ‘কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি’ নীতি আর মাথায়ই থাকে না।

যারা অসাধারণ বন্ধু ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে, তারাই ক্যাডেট কলেজে উত্তীর্ণ হয় বলে আমার ধারণা। নইলে কি আর সিনিয়র, জুনিয়র,

বিস্তারিত»

অখ্যাতের আত্মকথন

আমি সেই সব মানুষের দলভুক্ত নই যাদের আত্মকথন লোকে সময় নিয়ে পড়ে। তবুও এই অখ্যাতের আত্মকথনের দুঃসাহস পেলাম এই ভেবে যে আমাদের ক্যাডেটদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ঘটনা, কারো না কারো সাথে মিলে যায়ই।

সুসন্তান জন্মদানের গর্বে গর্বিত হবার আনন্দটা উপভোগ করার জন্য আমার বাবাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকগুলি বছর। তিন মেয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ একমাত্র ছেলের প্রতি তার প্রত্যাশা দিগন্ত ছুয়ে যেত। তিনি শুধু গর্বিত হতে চেয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

মাতু রোগ

হোসেন ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখে এক কাহিনী মনে পড়ে গেল। তাঁর ব্লগেই কমেন্ট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল, কিন্তু বেশী প্রচারের লোভ মৃত্তিকার তৈরী আমি সামলাইতে পারলাম না।

গ্রোয়েন স্ক্র্যাচিং ডিজিজ (ভালো নাম জানি না 😛 ) ক্যাডেট কলেজে অল্পবিস্তর সবারই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাচে সবার প্রথম হইছিল যার, তার নাম ধরা যাক মধু। ঢুলুঢুলু চোখে জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলত বলে তার নিকনেম ছিল মাতাল।

বিস্তারিত»

আচার ০০৫: পরবাসীর রোজনামচা

ল্যাপটপের কোনার ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে সকাল ৭ টা বেজে ০৪ মিনিট। গতরাত ঘুমাইনি। একটা ছোট ডাইনামোমিটার ডিজাইন করেছি, এখন কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট জোড়া লাগানো। কিছু কিনে এনেছি আর কিছু বানাতে হচ্ছে মেশিন শপে আর র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে। রাতে দুটো জিনিস বানাতে দিয়েছিলাম র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে এবং আরও কিছু কাজ ছিল। কখন সকাল হয়ে গেছে টের পাইনি। র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনটাকে আমার চমৎকার লাগে। মেশিনের কম্পুটারে আপনি যে জিনিস বানাতে চান তার ক্যাড মডেল দিতে হবে,

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা – দুই

এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে ।

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা – এক

এক.
সময় ক্লাস সেভেন 2য় টার্ম । সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতলার তের নম্বর রুমে নাদান আমরা সবাই থাকি । আমাদের পাশের রুমেই অল্টারনেট সিনিয়রদের রুম । নেমপ্লেট দিয়ে দেয়ালে বারি দিলেই ছুটে যেতে হয় ফাই ফরমাস খাটার জন্য । বন্ধু মাহমুদ হোসেন, আর সবার মত কলেজে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে । ঘটনার শুরু একদিন রাতে আফটার লাইটস আউট সে রুমে এসে দেখে বন্ধু জান্নাতুল ওর বেডে ঘুমিয়ে আছে ।

বিস্তারিত»

আর্টসফিকশন

বিকেলের প্রেপ।

কোয়াইট আওয়ারের ঘুমটা আসতে আসতে বড় দেরী করেছিল বলেই হয়ত মেজাজটা চড়েই ছিল। হাউজ বেয়ারা আউয়াল ভাইয়ের উপর দিয়ে তাই ছোট্ট একটা ঝড়ও বইয়ে দিয়ে এসেছি। আজ বই নিয়ে বসার প্রশ্নই ওঠে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে একাডেমিক ব্লকের বারান্দায় দাঁড়িয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল। বাসন্তি শাড়ী পরে একাডেমিক ব্লকের সামনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে একটা গাঁদা ফুল ছিড়ে খোঁপায় গুজলেন তিনি। শুরু হল আমার বুক ধড়ফড় আর শূণ্যতা’র অনুভূতি।

বিস্তারিত»

দশ বছরের ক্যাডেট জীবনঃ বিদায়বেলার কথা

আইইউটি-তে ‘০৫ ব্যাচে আমরা মির্জাপুরের ৬ জন আছি। কলেজে ছয় বছর কাটিয়ে আসার পর কখনও ভাবিনি আবার একই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবো। অন্তত আমি ভাবিনি। প্রথম আইইউটি-তে এসে যখন ইমন আর তুহিনকে দেখলাম তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। তিনজনে মিলে এক রুম নিয়ে নিলাম। পরে দেখলাম আমাদের কলেজের আরও তিনজন আছে: শামীম, জিহাদ আর মামুন। এ বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ ছিল না যে,

বিস্তারিত»

আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও

১। কলেজে ফল বলতে ম্যাক্সিমাম সময়-ই দিতো কলা। কালে-ভদ্রে অন্য ফল দিত। সেই রকম এক কালে-ভদ্রে লাঞ্চে ‘আম’ দিয়েছে। ডিউটি মাস্টার সেইদিন কেমিষ্ট্রির ম’আলি। তিনি আবার খুবই পরিপক্ক প্রোনান্সিয়েশানের সহিত ইংলিশে টক করতেন। ডাইনিং-এ ঢুকে তিনি বীকট শব্দে ঘন্টা বাজায়ে ঘোষনা দিলেন ‘জেন্টেলমেন, ম্যাংগো হ্যাজ বিন গিভেন। পার ম্যাংগো, ওয়ান ম্যান’।

২। ভূগোল ক্লাসে ফয়জুল হাসান স্যার কে ধরে রাখা যেত না। শুরু ভূগোলে হলেও তিনি কোথায় যে শেষ করতেন।

বিস্তারিত»

তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে

১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে।

বিস্তারিত»

আমার প্রথম প্রেম

আমরা সেভেন-এ জয়েন করার কিছুদিন পর এক ম্যাডাম জয়েন করলেন। দেখতে শুনতে আল-হামদুলিল্লাহ। আমি কিছু বুঝে না বুঝেই তার প্রেমে পরে গেলাম। সেই রকম প্রেম, রাতে ঘুম হয় না টাইপ, আমার প্রথম প্রেম। তখনকার টুয়েল্ভ-এর এক ভাইয়ের বড় ভাই যিনি নিজেও আমাদের কলেজেরই এক্স-ক্যাডেট, উনার সাথে পরে তিনার বিয়ে হয়ে যায়। দুঃখ পাইলেও কষ্ট পাইনাই এই ভেবে যে ‘যাক, ফ্যামিলিতেই তো রইল’।(এই ম্যাডামকে লইয়া আমার অনেক অম্ল মধুর গল্প আছে।

বিস্তারিত»

আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…

খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।

বিস্তারিত»

হিয়ার লাইজ দ্যা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

১।
ব্ল্যাকবোর্ডে নাম লিখার সময় ক্যাডেট অনেক সময়ই ঐচ্ছিক-অনৈচ্ছিক ভুল করে ফেলতো। ‘ক্ষুরসিধা বানু’, ‘ষাঁড়মীণ’ লিখে বেদম পিটন খেয়ে পুনঃ যেই লাউ সেই কদুই …… অতিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত এই ভুল গুলিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখা হোত।
২।
রাতজেগে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ পাশের হাউজ থেকে ক্লাসমেট এসে খুব ডাকাডাকি, ‘দোস্ত দেইখা যাও, তাড়াতাড়ি’। কি এমন জিনিস যে কাল সকালে দেখা যাবে না? প্রশ্নের উত্তরে বলল ‘সকালে সুইপার আসার আগেই দেখতে হবে’।

বিস্তারিত»

রিভিউ পাড় হওয়া বুঝি হোলনা আমার

১।
ধুপীতে কাপড় দেয়ার কি চমৎকার সিস্টেম ছিল কলেজে আহারে। ধুপীতে আন্ডি গেঞ্জি ধুইতে দিয়া ক্লাস সেভেন-এর এক ক্যাডেট বেদম প্রহার খাইলো। ক্লাস এইট-এর রুম লিডার প্রহারের ফাকে জিজ্ঞাসা করলো ‘ধুপী’র চিট-এ কোথাও তো আন্ডি আইটেম টা নাই, তাও তুমি দিলা ক্যান ?’ ক্লাস সেভেন-এর উত্তর ‘নতুন সিরিয়াল নম্বর দিয়া হাতে লিখা দিছিলাম আন্ডারওয়্যার এ্যান্ড স্যান্ডোগেঞ্জি’।

২।
কেমিস্ট্রি ক্লাসে ম্যানা মিন মিন করে কি যে বলতো,

বিস্তারিত»

অতি উৎসাহিত হইয়া তৃতীয় ব্লগ

১।
যখনকার সময়ের কথা বলছি, তখন ‘ফিট ইতনা মাস্ত, নো এ্যাডজাষ্ট’ আন্ডি বাজারে অতটা এ্যাভেইলেবল ছিল না। সারাদিন আন্ডি এ্যাডজাষ্ট করতে করতে কারও কারও নামই হইয়ে গেলো ‘স্ক্র্যাচার’। লাইভ অভিনয় ব্যাতিত ‘স্ক্র্যাচার’এর অভুতপুর্ব স্ক্র্যাচিং টেকনিক বর্ণনা করা ডিফিকাল্ট। তিনি ক্লাস চলাকালিন সময় পুরোটাই ব্যাস্ত থাকতেন ওই কাজে। কখনও পকেটে হাত দিয়া, কখনও ফুটবল খেলার আগে ওয়ার্ম-আপ করিবার ভংগিতে হাটু ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া, কখনও বা সরল মনে লোকলজ্জা বা ক্যাডেটলজ্জা ভুলে ফ্রি-ফ্র্যাঙ্ক হাত চালাইয়া।

বিস্তারিত»