সম্রাট বাবর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ……

ক্লাস ৭ থেকে আমাদের ইতিহাস ক্লাস নিতেন জহির স্যার। জহির স্যার সম্রাট বাবরের বিশাল ফ্যান। তিনি মুঘল আমলকে পড়াতেই সবচে বেশি পছন্দ করতেন। তাই আমরা তার নাম দিয়েছিলাম সম্রাট বাবর।

স্যার ক্লাস এ আসলে ফর্ম সাবধান না বলে আমরা মোঘল আমলের মত সুর করে বলতাম (ফর্ম লিডার বলতো)……মুঘল-ই-আজম……মুঘল-ই- শাহেনশা………… সম্রাট বাবর……এইসব…

স্যারের একমাত্র পানিশমেন্ট সিল ব্যান্ড পজিশন করায়ে পশ্চাৎদেশে কাঠের স্কেল দিয়ে মাইর।

বিস্তারিত»

অলিভার

অলিভারের সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল যখন Real wheel এর একটা সমস্যা নিয়ে আমাদের কোম্পানীতে আসে। মোটামুটি লম্বা। প্রায় ৫ ফুট ৯ অথবা ১০ ইঞ্চির মত হবে। কাঁচা-পাকা চুল আর ছোট ছোট চোখের সামনে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাঁটে একটু ঝুঁকে ঝুঁকে। Stainless Steel এ মরিচার মতন সাদা সাদা দাঁতের উপর কালো কালো দাগ। সিগারেটের প্রতি আসক্তিটা তখনই বুঝে গিয়েছিলাম। দেখে মনে হয়েছিল বয়স চল্লিশের আশেপাশে কিন্তু পরে জেনেছিলাম পঞ্চান্ন।

বিস্তারিত»

ট্রেন রোল অন….

ট্রেনে চড়েছি। এই নিয়ে চতুর্থবার। অবরোধে প্রথম। তিস্তা এক্সপ্রেস, “ঝ” বগি। প্রথম সিটে, জানালার পাশে। ব্যাপক প্যানিকের মধ্যে আছি। বসেই আমি আর শিপু দুইজন মিলে ট্রেনের বেগ,বাতাসের বেগ,গতিশীল পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,স্থির পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,ঢিলের ট্য্রাজেক্টরি ইত্যাদি বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাব কষা শুরু করলাম। সাথেসাথে আমরা পিকেটার হলে কোথায় ঢিল ছুড়তাম? বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাবগুলা করতাম কিনা?ঢিল ছুড়ার জন্য সুবিধাজনক জায়গা কোথায় হত?কতটুকু দুরত্ব থেকে ঢিল ছুড়লে লক্ষ্যভেদ করার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে?কত ডিগ্রি কোণে?

বিস্তারিত»

তলিয়ে যাবার আগে

গ্রহণে গ্রাসে যে অন্ধকার
আমার চারপাশ, তারই ঘ্রাণ
অস্তিত্বে চড়াও আবার।
অসহায় আমি আর্তপ্রাণ!

প্রাণপাতে জ্বালি দীপশিখা
দিগন্তে, আলেয়ার উৎসবে
ম্লান সেও যেন এক নির্মম ধোঁকা।
দিশেহারা মুখ গুঁজেছি সময়ের শবে!

ঘুরেফিরে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত
নিংড়ানো যে জীবন মিলায়েছে
সেই প্রাচীন শূণ্যতায়, বিবস্ত্র;
শরীর জড়ায়ে শুধুই অন্ধকার আছে!
তার আর কিছু নেই!…

বিস্তারিত»

কিঞ্চিৎ রস

ঘোষনাঃ সত্যিকার ঘটনার চরিত্রের সাথে নামের কোন মিল নেই।

 

ক্লাস সেভেন। মামুন আর দিনার রুমে টেবিল টেনিস খেলে ধরা খেল প্রচন্ড কড়া টিচার আনিস ফিরোজা ম্যাডামের কাছে। ম্যাডামের আবার একটু গুন্ডামী করার মানে পিঠে দুই চারটা দেবার অভ্যাস আছে। মামুন দেখলো কপালে মার নিশ্চিত। তো একা খাবে কেন? সাথে সাথে করুণ সুরে বলল, ম্যাডাম, আমাদের কোন দোষ নাই, আসিফ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে রুমে খেলতে বলেছে।

বিস্তারিত»

মগের মুল্লুক

কবিতাটা লিখেছিলাম অনেকদিন পূর্বে । বর্তমান পরিস্থিতির সাথে ব্যপক মিল যায় বলে দিলাম ।

নির্বিচারে মরছে মানুষ এ দেশের পথে পথে
হরতাল অবরোধে,
দিকে দিকে শুধু বিশৃংখলা আইন মানেনা কেউ
সংঘাত আর সংগ্রামে আজ উঠেছে মরণ ঢেউ
শাসকগোষ্ঠী মত্ত হয়েছে নতুন খেলাতে মেতে
ওরা চায় শুধু ধোকাবাজি করে ক্ষমতার রশি পেতে
হায় হায় শুধু করি
এসব তামাশা বুঝতে না পেরে আমরা জনতা মরি
এখানে অবুঝ জনতার চোখে ওরা দিয়ে যায় ধূলা
এখানে শাসক মদ গিলে যায়,

বিস্তারিত»

ইনসমনিয়া

দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, মরবিড শীতের রাতের কার্নিশে
পাপ জমে তিলেতিলে শিশিরের মত অসহায় ঘাসে।
ভেন্টিলেটরে জেগে ওঠে স্টুপিড চড়ুইয়ের প্রলাপ
অপসৃয়মান রাতের ছায়া,চড়ুই আর আমাতে জমে ওঠে আলাপ।
ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে পুরনো চেয়ারটা হিঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে যাওয়া,
অতঃপর বাসি তামাকে সূর্যের বিপরীতে নাচে নীলচে রঙের ধোঁয়া!!
“তোমাদের শোক যখন আমার কবিতার পুঁজি
তখন আমি একফালি রোদের বিলাসিতা খুঁজি।
বহুদিন আগে ছায়াদের দেশ থেকে চুরি করে আনা রোদ,

বিস্তারিত»

ঘাপলা যখন নাম নিয়ে…

বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর অনেক বালক-বালিকারই নাম নিয়ে ঘাপলা হয় হলের লিস্টে। বেশ কয়েকজন বালকের ক্ষেত্রে দেখেছি এই সমস্যা। কোন বালিকার ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা জানা নাই। তবে যেহেতু ছাত্রী হলও বুয়েটেরই হল, ঘাপলা হওয়ারই কথা।

আমার জন্মের পর বাপ-মা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নাম রাখলো “মোঃ সামিউল ইসলাম”। স্কুল, কলেজ কোন জায়গায় নাম নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই। যদিও ক্যাডেট কলেজে আমার লকারে আমার নাম “SAMI”র বদলে “SHAMI” লেখা ছিল।

বিস্তারিত»

লিডার

মসৃণ শব্দের চাদরে লুকায়ে রেখেছ তোমার লালায়িত
বাসনাগুলো,
উপপত্নীর গর্ভে নিজের ঔরসজাত জারজ সন্তানটির
মত!
স্বীকারও কর না,অস্বীকারও করতে চাও না!
ভয় পাও,পাছে লোকে পচা বলে!
দুয়ে দুয়ে চার বল না তুমি কখনও,
বল “তিনের চেয়ে এক বেশি অথবা পাঁচের চেয়ে এক কম,
তাকে তোমরা চার বল অথবা ষাঁড় ;
অবস্থানে কোন ছাড় নেই আমার!”
আমরা বলি নাই বা হল চার,

বিস্তারিত»

অন্তর্নিহিতা

টিএসসির গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কলাভবনের কাজটা শেষ করে সারিনি মাহিরের সামনে পড়লাম। আর তার কোথা রাখতে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা। শালা মানুষ হলো না। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করেছে। তার যেন কোন অন্ত নাই, নাই বিরক্তি। ছোটবেলা থেকে খাতার পাতায় অযথাই আঁকিবুঁকি করার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আর আলপনাও মোটামুটি আঁকতে পারতাম। তাই যখন আমার টেনেটুনে করে পরীক্ষার পাশে কোথাও চান্স পেলাম না,

বিস্তারিত»

অব্যক্ত ভালোবাসা

রাত্রি ১১.৩০ মিনিট। ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে মোবাইলের ডিসপ্লেতে আলো জ্বলে উঠলো। অচেনা নাম্বার। কিছুটা ইতস্তত ভাব, ধরবে কি ধরবে না? অবশেষে পরিচিত কেউই হয়তো নাম্বার পরিবর্তন করেছে ভেবে ধরলো। তারপর যা হলো তার জন্যে হয়তো রুদ্র প্রস্তুত ছিলো না।

ফোনটার কলার ছিলো একটি মেয়ে। রুদ্র তার নাম জানেনা। তাকে চিনেও না। তবে মেয়েটির কন্ঠে এমন কিছু একটা আছে যা রুদ্রকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে।

বিস্তারিত»

মেঘের ‘পরে বসত তোমার

একলক্ষ  বছর অপেক্ষার পর সাব্যস্ত হবে, তুমি আমার কিনা?

ওসব কথা এখন থাক।

এখন চলো মিকির পাহাড়ে বুনো কুল পেকেছে

চলো খেয়ে আসি।

লাল রুখু চুল

সূর্যাস্তের মধ্যে

অর্কিডের উজ্জ্বল শিকড়ের মত উড়ছে

-দেখি দেখি, তোমার তামাটে মুখখানি দেখি!

সূর্য এখনি অস্ত যাবে। পশুর মতো ক্ষীণ শরীরে

আমারা হাঁটু পর্যন্ত জলস্রোত পেরিয়ে চলেছি

জলস্রোত ক্রমশ তীব্র…………………কনকনে।

বিস্তারিত»

সোমেশ্বরী

নিশুতি নির্জন জোছনার রাতে আবছা আলোছায়ায়
শুয়ে রুপালি বালির বুকে যে সোমেশ্বরী বয়ে যায়
তুমিতো এখনো দেখনি কখনো সে মৃতের বিবর্ণতা
মিষ্টি ঘ্রাণে স্রোতের উজানে শালুকের নির্জনতা।

ভাদ্র মাসের আর্দ্র রোদে তাই একলা বিকেলে হেঁটে
লতাগুল্মের ঝোপে তোমার স্বপন বোনা ক্ষেতে
থেমে যাওয়া সোমেশ্বরী আর মৃত ভালবাসাটি খুঁজো
কোনদিন যদি না পাও তারে নিভৃতে দুচোখ মুছো।।

[সোমেশ্বরী নদীটি বিরিশিরি বিজিবি ক্যাম্পের পেছন দিয়ে নির্বিবাদে কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি বয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

কেন আমি আত্মহত্যা করবো??

কয়েক মাস আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম ছুটিতে। আব্বুর সাথে কী একটা কথা বলতে বলতে হঠাৎ বললেন, “ইমন মারা গেছে জানো?”

আমি- “কোন ইমন?”

আব্বু- “তোমার আফতাব চাচার ছেলে”।

আমি- “কিভাবে মারা গেছে?”

আব্বু- “সুইসাইড করেছে”।

আমি- “কেন?”

আব্বু- “খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতো নাকি, ড্রাগ নেয়া শুরু করেছিল। একটা মেয়ের সাথে নাকি সম্পর্ক ছিল। শেষের দিকে কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

অসম্পৃক্ত ব্যবধান

অথচ আমি মৃত নই;
শুধু তোমার পাঠ্যবইয়য়ের শেষের পাতায়।
সেখানে চাওনি যেতে তাই
দুপুরবেলা ধূলো জমে আমার কালো কায়।
তোমার অপেক্ষাই ভাললাগায়!

রাতের উপকূলে
হুট করে বেজে ওঠা পতঙ্গের পাখায়
জমে থাকা কষ্টের যে গান শুনেছিলে,
পতনশীল দুঃস্বপ্ন থেকে সে কি ঘুম ভাঙায়?
কার অপেক্ষায় চোখ ফিরে যায়,
নির্লিপ্ত জানালায়?

পৃথিবীর কম্পনে আড়ি পেতেছিলে,

বিস্তারিত»