আমাদের বাদশাহ নামদার হুমায়ুন আহমেদ

অকালেই চলে গেলেন হুমায়ুন আহমেদ। দেশের সব স্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও সব চেয়ে নন্দিত ছিলেন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কাছে। ছিলেন মধ্যবিত্তের অন্যতম প্রতিনিধি। আমাদের একটি বিখ্যাত সামাজিক বচন- উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে। মধ্যবিত্তের এই তফাতে চলা কথাটা এক ধরণের বক্রোক্তি হলেও, বাস্তব সত্য হচ্ছে মধ্যবিত্তের তফাতে চলা ছাড়া উপায় নেই। কারণ মধ্যবিত্তকে হিসাব করে চলতে হয়। সেই হিসেবে সামান্যতম ভুল হবার জো নেই,

বিস্তারিত»

ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ ও তার মৃত্যুকে

হুমায়ুন আহমেদ মানুষ হিসেবে কেমন ছিলো সেটা নির্ণয় করার আমি কেউ না । অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে এই মুহূর্তে আমি তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বোধ করছি না । তবে গত ৫ দিনে যা ঘটলো সেটা থেকে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তিনি একজন শক্তিধারী লেখক ছিলেন – হতে পারে সেটা সস্তা সাহিত্য, হতে পারে সেটা শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের কথাসাহিত্যের রূপকার হিসেবে । কিন্তু সেটাও মাথা ঘামানোর মত তেমন কিছু না ।

বিস্তারিত»

আবু জাহলের ছেলে ইকরামাঃ ইনিই কি সেই লোকটি?

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবা হবার সৌভাগ্য যারা লাভ করেছেন কুরআনে বর্ণিত আয়াতের প্রেক্ষিতে তাদের নামের সাথে একটি বিশেষণ তৎপরবর্তি কালের স্কলারগণ যুক্ত করেছেন যা হলো ‘রাদিআল্লাহু আনহু’, যে কথাটার অর্থ হলো আল্লাহ্ যার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। এই বিশেষণটি যে একদিন ইকরামার জন্য প্রযোজ্য হবে তা ছিল অসম্ভব কল্পনার মতো। তার বাবার নাম হলো আবু জাহল্, যে লোকটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলো ইসলামের প্রধান শত্রু। বাবার মতোই ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে শত্রুতায় আর সকলের চেয়েই অগ্রগামী ছিলো ইকরামা (কিংবা ইকরিমা,

বিস্তারিত»

হুমায়ূন আহমেদ : এক অনন্য স্রষ্টা

* এই লেখাটার বয়স ছ’বছর। কলেজ বার্ষিকীতে ছাপাবার জন্যে লেখা। কৈশোর জীবনের অণুপ্রেরণা এই প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে সামান্য কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এখানে দিলাম। প্রসঙ্গত, কারো যদি লেখার কোন অংশ নিয়ে দ্বিমত থাকে, তবে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবেন, তবে এতদিন আগে ভিন্ন চিন্তাভাবনা নিয়ে লেখা একটি রচনা নিয়ে তর্ক করবো না!

“আমাকে আর দশটা ছেলের মতো হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধারণ।

বিস্তারিত»

অচিনপুরে যাত্রা…

হুমায়ূন আহমেদ চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর কিছু কাজের জন্য তাঁকে অপছন্দ করলেও তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য প্রাপ্য সম্মানীয় জায়গাটি ছিল অটুট। আমার একজন প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। অদ্ভুত এক ধরনের শূন্যতা বোধ করছি।

শিল্প-সাহিত্যে ভয়ংকর রকম দুর্বল আর পিছিয়ে থাকা এই আমার সাহিত্য জগতে যা কিছু বিচরণ তার প্রায় পুরোটা জুড়েই হুমায়ূন আহমেদের গল্প আর উপন্যাস – বাকিটা জাফর ইকবাল, সত্যজিৎ রায় আর আর্থার কোনান ডয়েল এর কিছু লেখা।

বিস্তারিত»

একটি নক্ষত্রের বিদায়

আজ সকালে উঠে অভ্যাসবশতঃ অনলাইনে পত্রিকা খুলেই দেখি হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু-সংবাদ! – আমার কাছে এটা একটা আকষ্মিক সংবাদই। কারণ, পত্রিকা মারফত বেশ কিছুদিন ধরে জানতে পারছিলাম তার শরীরিক অবস্থার ক্রমান্নতির কথা। আশা করেছিলাম তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে।

আমার পাঠাভ্যাসে এক বিশাল অংশ জুড়ে আছেন হুমায়ুন আহমেদ। শুরু করেছিলাম তার ‘আমার আছে জল’ আর ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’ দিয়ে, সে-ই ক্লাস সিক্সে।

বিস্তারিত»

হুমায়ূন আহমেদ

আমার এখন হিংসাই হচ্ছে। একটা মানুষ এত মানুষের ভালবাসা পায় কি ভাবে। মাত্র ঘন্টা খানেক পার হয়েছে তার মৃত্যু সংবাদের অথচ দেশ-বিদেশ জুড়ে সবাই শোক-বার্তা পাঠাচ্ছে। বন্ধুর ফোন পাচ্ছি – “শুনেছিস ?”

হুমায়ূনের লেখার ভাষা সহজ সরল – কোন অতিরিক্ত বাহুল্য নেই সেখানে। অথচ এই সহজ ভাষার লেখা দিয়েই সবার মন জয় করেছেন তিনি। এখানে অবশ্য তার লেখা সম্পর্কে কিছু লিখতে বসিনি। ইতিমধ্যে অনেক লেখা বের হবে হুমায়ূনের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে।

বিস্তারিত»

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ,

অনেক আবেগ জমে গেলে আমি লিখতে পারিনা। শ্রাবন মেঘের দিনে তোমার চলে যাওয়াটাও মানতে পারছিনা। এই শ্রাবনে তোমার কোথাও যাবার কথা ছিলনা। শঙ্খনীল কারাগার কিংবা নন্দিত নরক কেউ তোমাকে পাওয়ার যোগ্য নয়। তুমি কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হয়ে আমাদের জোছনা ও জননীর গল্প শোনাবে। তেতুল বনে যে জোছনার রূপ ঝরে পড়বে। মধ্যাহ্নের তীব্র রোদে হিমু হেঁটে চলবে ঢাকার রাস্তায়,তুমি রূপাকে চিরদিনের জন্য তাঁর করে দেবে।

বিস্তারিত»

সাহাবী আবদুল্লাহ বিন হুজাফাহ আস সাহমীঃ “প্রতিপালক, শুধু তোমার কাছেই আমি মাথা নুইয়েছি”


রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন ইসলামের প্রচার শুরু করেছেন, তখন পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলে দুটি সুপার পাওয়ার কর্তৃত্বরত ছিলো। এর একটি ছিলো বাইজেন্টাইন রোমান সাম্রাজ্য আরেকটি হলো পারস্য সাম্রাজ্য। সে সময় বাইজেন্টাইন সম্রাট হলেন হিরাক্লিয়াস আর পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ (আরবীতে বাইজেন্টাইন সম্রাটকে বলা হতো কাইসার আর পারস্য সম্রাটকে কিসরা)। দীর্ঘ সময় ধরে এই দুটি প্রতিবেশী সাম্রাজ্য যুগপত বিস্তার করে চলছিলো তাদের রাজ্যের সীমানা। একই সাথে পরস্পরের সাথে অব্যাহত বিরোধে প্রতিনিয়ত মারা পড়ত তাদের হাজার হাজার সেনাদল।

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় জন্ম, প্রথম মৃত্যুর আগে

ক্লাস সেভেন পর্যন্ত বেশ গালভারী একটা নাম ছিল আমার। লোকে জিজ্ঞেস করলে যখন বলতা, তখন অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যেত। মাহিন? মাজিদ? তখন আমি বলতাম, “না, মাহিদ। শেষে “দ” হবে।” সামীউর রহমান নামটা তখন শুধু ব্লু বার্ড স্কুলের নাম ডাকার খাতায়, গড়ে প্রতি ২৮ ঘন্টায় একবার শুনতাম! ঐ স্কুলের প্রথম পিরিয়ডে আরকি! ১৫ বছর আগের আজকের দিনটায় এয়ারপোর্ট রোডের চা বাগানগুলো ছাড়িয়ে যখন সাদা চুনকাম করা দালানগুলো চোখে পড়েছিল,

বিস্তারিত»

আবু জর আল গিফারীঃ ডাকাত থেকে সাহাবী

মক্কা যে গিরিপথের মাধ্যমে বাকী পৃথিবীর সাথে যুক্ত ছিল সেটা ছিল ওয়াদান ভ্যালী এবং সেখানেই ছিল গিফার গোত্রের বাস। অত্যন্ত দুর্ধর্ষ এই জাতি মক্কা এবং সিরিয়ার মধ্যে যে সকল বানিজ্য বহর চলাচল করত তাদের জিম্মি করে চাঁদবাজী করত । বানিজ্য কাফেলা তাদের দাবী পূরণে ব্যর্থ হলে তারা মালামাল আর ধনসম্পদ লুন্ঠন করত । জুনদুব ইবন্ জুনাদা নামে এই গোত্রের ভয়ংকর এবং ক্ষিপ্র একজন নেতা ছিল,

বিস্তারিত»

সকল রবীন্দ্রনাথকে রবীন্দ্রজয়ন্তীর শুভেচ্ছা

আমার মাথা নত করে দাও হে
তোমার চরণ ধূলার পরে,
সকল অহংকার হে আমার
ডুবাও চোখের জলে

ঠিক এ কথাগুলোই মনে বাজছিল যখন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার একটি একক রবীন্দ্রসন্ধ্যা দেখছিলাম। ইচ্ছে করছিল তখনই গিয়ে ঠাকুরের পায়ের ধুলো নিয়ে আসি। কথায় আছে অতি শ্রদ্ধার মানুষের পায়ের ধুলো নাকি সোনালী হয়। রবীন্দ্রনাথের পদধূলি নিশ্চিত স্বর্ণই ছিল।

ঠাকুরবন্দনা আসার আগে বণ্যাবন্দনায় আসি।

বিস্তারিত»

“সত্য” সমগ্র

আজকাল ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে কলেজের স্মৃতিচারন করা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কোন কাহিনী লিখতে গেলে তা স্যার অথবা এডজুট্যান্টের চোখে পরার সমূহ সম্ভাবনা। 😕 কিছুদিন পূর্বে বন্ধু দিবসের এই পোস্টের ম্যাডাম তার পোস্ট খানা পড়ে বড়ই লজ্জ্বাগ্রস্থ হয়ে পরেছে বলে খবরে প্রকাশ। :grr: তাই “নাম বলব না” খালি অর্থনীতির এক শিক্ষকের কাহিনী বলে ক্ষান্ত দিব।

ক্লাশ নাইনে থাকতে স্যারের এফসিসি থেকে বিসিসিতে আগমন।

বিস্তারিত»

জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..

মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।

ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!

এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!

বিস্তারিত»

লিখছি নয়, পড়ছি

বিভিন্ন ব্যাস্ততায় লেখা হয়ে ওঠেনি বেশ কিছুদিন। তবে সময় পেলেই ব্লগে ঢু মেরে গেছি, অন্তত মন্তব্যগুলো মিস না করার চেষ্টা করেছি। সময় যেটুকু পাচ্ছি পড়ে পার করছি।

হুমায়ুন আজাদ এর বইগুলো আবার পড়ছি। বাংলাদেশে থাকলে একই অনুভূতি (বই পড়ার) হতো কিনা বলতে পারছি না। এই বিদেশের মাটিতে ব’সে, বিশেষ ক’রে এই স্বাধীনতার মাসে ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল পড়ার অনুভূতি কিছুটা আলাদা বৈকি।

বিস্তারিত»