বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন

কোন পীর আউলিয়ার নামে নয়,
যেমন জালালাবাদ, জামালপুর।
কোন সাহসী নারীর নামে নয়,
যেমন চৌধুরাণী বা ভবানীপুর।
তবু করি সেই অখ্যাত নাম স্মরণ,
বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন!

বুকে ধরা ছিলো চারটে প্লাটফর্ম।
স্লিপার বসানো, পাথর বিছানো
সমান্তরালে আঁকাবাকা রেলপথে
দিনে রাতে ট্রেনগুলো ছয়দিকে
আনমনে আনাগোনা করতো দ্রুত।
বসত ভিটেয় কাঁপুনি লাগিয়ে যেত।

যমুনার ভাঙ্গনে তিস্তামুখ ঘাট
স্থান বদলাতো প্রায় হঠাৎ হঠাৎ।

বিস্তারিত»

একদিন এমনই হবে

একদিন সন্ধ্যা নামার আগেই,
আকাশের মেঘ ফুঁড়ে ঝিলমিল তারারা বেরিয়ে আসবে,
শুক্লা তিথির চাঁদের সাথে ওরা প্রতিযোগিতায় নামবে-
কে তোমার নজরে আগে আসতে পারে!

তোমার দৃষ্টি থাকবে দূরান্তের ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটির ওপর,
দেখবে, সেও দূর থেকে বিচ্ছুরিত আলোর রশ্মি ছড়িয়ে
তোমাকেই ডাকছে। সেদিন তুমি বুঝে যাবে-
সত্যকে যারা বুকে বেঁধে রাখে, তাদের চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
সবাই কুর্ণিশ করে পথ দেখায়।

বিস্তারিত»

তেমন কোন অভিযোগ নেই

তেমন কোন অভিযোগ নেই।
ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।

না তেমন কোন অভিযোগ নেই আর
স্বপ্নের বিলাস ডুবে গেছে ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ
অমাবশ্যার রাতে , উঠেনি সূর্য প্রাতে
কেটেছে দিন ব্রতে বিস্মৃত শত আহ্লাদ।
নেই কোথাও কোন তল্লাটে খোঁজ তার
অলস অবেহলা মুছে গেছে পায়ের ছাপ
জোয়ার জাগেনি জলে শ্রোত অণলে
প্রসাদ প্রণমিল সত্যরে শত অভিশাপ।

তবু আকাশ ভরিল তারকারা আলো
হিংসা উৎকট আরো নিকষিত কালো,

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন জন্মদিন

পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,

আমার একটা দুঃখ আছে সুখের প্রলেপ দেয়া,
সেই সুখেতেই কান্না আছে যত্ন করে পাওয়া।
সুখ দুঃখের আস্তাবলে কষ্ট লাগাম টানে,
বেদনা বিলাসে শান্তি বলো পেলাম কেমন করে?
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,

রাত্রিটাকে খুব ভালবাসি প্রখর সূর্য্য তাপে,
অমাবস্যায় অনেক কালো চাঁদনীর অনুতাপে।
ভুল করে যত জাগতিক ভুল স্বপ্নের কান্ডারী,

বিস্তারিত»

তুমি বিহনে,,,,,,

তুমি বিহনে,,,,,,,,,,,,,,,,,

লিখতে গিয়ে হোঁচট খেলে
বুঝবো আমি কি?
তোমায় ছাড়া ছন্নছাড়া
আমি যে হয়েছি।
তোমায় পেলে মগজটাতে
প্রেমের সুবাস বহে,
তুমিহীনা অলস কলম
বন্ধ্যাত্ব সহে।
তোমার প্রলেপ পরলে বুকে
জোয়ার বয়ে যায়,
তুমি ছাড়া মরুভূমি
অববাহিকায়।
তুমি যখন আমায় খোঁজো
প্রফুল্ল হয় মন,
ফুলে ফুলে ফুলময় হয়
প্রেমের বৃন্দাবন।

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – সাত

সেদিন ছিলো ভালোবাসা দিবস
আগেই পৌছে গেছি, মনে হলো
কিছু একটা ভুলে গেছি, সিঁড়ি দিয়ে
তাড়াহুড়া করে নামছি। এক ডজন
লাল গোলাপ আনতে। একটু পরে
থমকে গেলাম, সামনে নীলা সিঁড়ি
দিয়ে উপরে আসছে। ধ্যৎতেরিকি।

দুই হাত পিছনে লুকোলাম, ভাবটা
এমন হাতে কিছু ধরা আছে, বললাম
“নীলা তুমি বসো, আমি একটু আসছি।”

তাড়াহুড়ো করে গিয়েও লাভ হলো না।

বিস্তারিত»

অগ্রগামী যাত্রী

আরোহী বিহীন রিক্সা কিংবা খোলা ভ্যান থেকে
যখন স্বয়ংক্রিয় একটি যান্ত্রিক ঘোষণা ভেসে আসে-
‘একটি শোক সংবাদ’ — ইত্যাদি ইত্যাদি,
আমি তখন আর আগের মত
কান পেতে উদগ্রীব থাকি না এ কথা জানতে-
হায়! কে চলে গেল!

ভেবে নেই–
যার সময় হয়েছে যাবার, সেই চলে গেল!
এ এক অমোঘ নিয়তি, অলঙ্ঘনীয়।
আমি শুরু করি আমার প্রস্তুতি,

বিস্তারিত»

ভাল থেকো

ভাল থেকো শীতে হেমন্তে,
ভাল থেকো বর্ষায়, বসন্তে।
ভাল থেকো গ্রীষ্মে, খরায়,
ভাল থেকো ধূলির এ ধরায়।

ভাল থেকো তুমি অঘ্রাণে শরতে,
ভাল থেকো এ শুভ্র তুষারপাতে।
ভাল থেকো জ্যোৎস্নায় অমাবস্যায়,
নিশীথে ও দিবসে, প্রাতে ও সন্ধ্যায়।

(আনায়াকে মনে পড়ে)

ঢাকা
০৬ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

পুনর্জন্ম

ঘুরে ঘুরে আরও দূরে
উড়ে যায় বাজ
শুনতে সে পায় না
মালিকের আওয়াজ।

সব কিছু আছড়ে পড়ছে
ভরকেন্দ্রের বিপরীতে
অরাজকতার বৃষ্টি যেন
ঝরছে এ পৃথিবীতে।

ভাটার টান এখন
রক্তের সম্পর্কে
সরলতা লাশ হয়ে
পড়ে আছে মর্গে।

সেরাদের আত্মবিশ্বাস যা ছিল
সব এখন অচল তলানীতে
প্রবল উৎসাহে নষ্টেরা মাতে
সম্ভোগ আর নোংরামীতে।

বিস্তারিত»

~ ‘প্লেটো থেকে পাওলি দাম’ পড়তে পড়তে কবিকে প্রণাম ~

[ গ্রন্থপাঠ প্রতিক্রিয়া বা গ্রন্থ সমালোচনা ]

নেশাগ্রস্ত হতে হয়, বুঁদ হতে হয়। পাঠের অলিগলি ঘুরে যেনো শব্দে শব্দে উন্মোচিত হয় এক চুম্বকাকর্ষী কামার্ত শরীর। না প্রেম নয় নারী নয় তার উপজীব্য। খুব লাগসই আর নির্ভুল কথাটুকুন কাভারের ফ্ল্যাপেই অনবদ্য শব্দমালায় গাঁথা আছে।

[ ‘আমি প্রেমের কবিতা লিখতে পারি না, হাঁটু কাঁপে’ – একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সুবোধ। প্লেটো থেকে পাওলি দাম (বইটাতে) এমন একটা দীর্ঘ সময়ের কথা ধরে আছেন এখানে যেখানে ‘সিস্টেম’ হয়ে ওঠে সুবোধের লক্ষ্য।

বিস্তারিত»

ওদের কথা

হ্রদের পাড় ঘেঁষে পায়ে চলা পথ ধরে
হেঁটে যায় আত্মমগ্ন কিছু বেভুল পথিক।
কেউ কেউ প্রেমিক যুগল, কেউ শুধুই
আনমনে হেঁটে যাওয়া কোন মুগ্ধ কবি,
আহত হয়েও যে মনে মনে রচে যায়
অবিনাশী প্রেমের পংক্তিমালা। ওদের
কথায় কান পেতে রয় শান্ত দিঘীর জল,
নির্বাক ল্যাম্প পোস্ট, কিছু ঝরা পাতা,
আর কিছু পর্ণমোচী উদাসী ডালপালা।

বিস্তারিত»

ন্যূনতা

পা জোড়া তো ঠিকই আছে;
হাঁটলামও অনেক।
বিশ্বের এ অনন্ত চরাচরে
কত ঘুরে বেড়ালাম,
কিন্তু কোথাও কোন পদচিহ্ন
রেখে আসতে পারলাম না।

হাত দুটো তো ঠিকই আছে;
লেখালেখিও করেছি অনেক।
থিতু মনের খেরোখাতায়
কত কিছুই তো লিখলাম!
কিন্তু কোথাও কোন স্বাক্ষর
রেখে আসতে পারলাম না।

চোখ দুটো তো ঠিকই আছে।
দেখলামও অনেক।

বিস্তারিত»

মরিচীকা সুখ।

ম‌রিচীকা সুখ
‌মো ও খা ও।

কা‌রো কা‌রো ম‌নে এত সুখ, সুখ ফে‌রি ক‌রে
বচ‌নে‌ে সুখ বস‌নে সুখ মু‌খে‌তে সু‌খের খই উড়ে
আস‌নে সুখ বাস‌নে সুখ, সু‌খেই নিদ্রা হ‌রে
সুখী ভে‌বে সুখ খু‌জে বসত সু‌খের অন্ধকা‌রে ।

‌বৈশা‌খে না‌মে নাই প‌থে বজ্র‌নিনাদ শুন‌তে পা‌বে
আষা‌ঢ়ে ভিজে নাই দিন প‌ঙ্কে কদম পিছ‌লে যা‌বে,
হাত দি‌য়ে খায়‌নি‌ খাবার সোনর চামচ ছিল মু‌খে
মা‌য়ের বু‌কে‌তে হয়‌নি‌তো ঘুম এখনো নির্ঘুম চো‌খে।

বিস্তারিত»

দেখা

নীল সাগরের তল দেখিনি
দেখেছি তোমার নীল দু’চোখ
দেখেছি কত গভীর সে তা
সেথা ডুবেই না হয় মরণ হোক।

দেখেছি গোলাপ পাঁপড়ি আমি
দিন শেষে সেও হয় মলিন
রাঙা তোমার ঠোঁটের হাসি
বুকে আমার বাজায় বীণ।

শান্ত দিঘীর জল দেখেছি
কি মায়াময় রুপ যে তার
দৃষ্টি তোমার ততই গভীর
শিহরণে মন জাগে আমার।

বিস্তারিত»

ক্লান্তি

জেগে থাকার আছে
এক বিস্ময়কর ক্লান্তি

তবুও মানুষ জেগে থাকে
তার যাপিত জীবনের সমস্ত স্মৃতি নিয়ে
সেই কবে, পেয়ারা গাছে পাখির বাসা
পেঁপের ডাটিতে বানানো
সাবানের বুদ্বুদ,
সময়ের মতই যা গেছে উড়ে,
প্যারেড মাঠের কোনায়, কুমকুমদের বাড়ি ছুঁয়ে

এই তো কবে যেন, তোমার ঠোঁটে
আঁকতেই চুমু , গলে গেলো উত্তর মেরু
বিস্ফোরিত হোল ক্র্যাকাটাও
তোমাদের সেই বিখ্যাত চিলে কোঠায়

এই তো সেদিন
জয়নাল,

বিস্তারিত»