পড়বে আমায় মনে

ফাগুন মাসে নীরব রাতে,
দক্ষিণের ওই জানালাতে,
চাঁলতাগাছের ছাঁয়া ঘেঁষে,
জ্যোৎস্না হয়ে রইব বসে।
দেখবে তখন তাদের মাঝে,
আলোছাঁয়ার কারুকাজে,
আলো হয়ে থাকব ঠিকই মিশে।
দুপুরবেলা পুকুরধারে,
হলদেরঙা ঘাসের পরে,
তুমি যখন আসবে ছুটে,
শালুক হয়ে রইব ফুটে;
ভ্রমর এসে গাইবে আমার কানে।
তখন আমায় পড়বে তোমার মনে।
শিমুলগাছে সাঁঝের বেলা,
বাঁদুড় যখন করবে খেলা;

বিস্তারিত»

||দৃশ্যকল্প||

(মাঝে আমার একজন প্রিয়কবি বলেছেন, আমি ইদানিং কবিতায় নিরীক্ষামূলক কাজ কমিয়ে দিয়েছি। কথাটা কিছুটা টনক নড়িয়ে দিল। কবিতার ব্যাপারে আমি এই সময়েও অচল পয়সার মত মায়া পুষে রাখি। যে দৃশ্যের প্রেমে পড়ে আমার ভেতরে শব্দ, পংক্তি ও স্তবক ঝরে পড়ে সেগুলোর প্রতি একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করলাম। নিচের লেখাগুলো পুরোপুরি নিজস্ব বিচারে লেখা, মানে অনেকটা রাইটিং ফর প্লেজার। তবে সবার মতামতের জন্য আকাঙ্ক্ষাটুকু নির্লজ্জের মত বলেই সাহস করে দেয়া…)

ড্রয়ার
দৃশ্যকল্পের কয়েকটা গাছ বুনেছিলাম ঘরের কোণে রাখা পুরনো আলমারির ভেতরের
চাবি দেয়া ড্রয়ারে।

বিস্তারিত»

রাত্রিযাপন !

ডীম লাইটের আবছা আলোয়
একেকটি দীর্ঘরাত্রি শুরু হয়।
অতঃপর কাটে নির্ঘুম প্রহর-
বাইরে এক রাশ অন্ধকার,
একটু দূরে কিছু ঝিঝি পোকা।

দুবার কয়েল সারানো ফ্যানটা
শ্লথ গতিতে দুলে দুলে ঘুরছে।

বিস্তারিত»

বাক্সবন্দী !

আকাশের বিশালতা কে
বক্ষে ধারন করবে বলে;
পরম মমতায় মনের মাধুরী মিশিয়ে
নিজ হাতে বানিয়েছি আমি
বত্রিশটা ছোট-বড় ঘুড়ি।

সকালের মিষ্টি রোদের মত কিছু ,
অন্য কিছু সুনীল সাগরের মত।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-৫

এই বিষ্টিতে একলা থুয়ে
‘অলা তার কই চলে গেছে
কে জানে,
সে শুধু হুড তুলে
চুপচাপ বসে আছে
বিমর্ষ মেঘলা প্রাণে।

কাকভেজা কাটে তার
বৃষ্টির একাকী বিকেল
পারেনা বাজাতে আহা
টুংটাং অভিমানী বেল….

বিস্তারিত»

দ্বার খোলো , প্রেম

উড়ন্ত চুম্বনে বিশ্বাস নেই আমার,
অধরে অধর না মিলিলে কি চুম্বন হয়?
প্লেটোনিক প্রেম? হাহ্, সে কি হয় কখনো?
আমার প্রেম দেবরাজ জিউসের মতো।
হৃদয় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি আমার, ধমনীতে তপ্ত লাভা,
প্রেমিকার চোখেমুখে উন্মত্ত কামনা, নেই লাজরাঙা আভা!
হৃদয়ের উত্তাপ দেহের উত্তাপে হিম হয় যখনি,
প্রেম তার সবকটি দ্বার খোলে তখনি।

মুস্তাকিম (৯৪-০০)
২০ তম ইনটেক
রংপুর ক্যাডেট কলেজ
৩০ জুলাই,

বিস্তারিত»

শূণ্য !

কেন্দ্রে সর্বদাই নবীনদের স্থির অবস্থান
বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে ঘুর্নায়মান প্রবীনেরা।
গোলকের ঘনত্ব ভরে ভরে ঘুরতে থাকে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘটনা।

আমরা কয়েকজন সারাক্ষন ব্যস্ততায় মগ্ন
জ্যা ব্যাস আর ব্যাসার্ধ এঁকে এঁকে ক্লান্ত!
জীবন বৃত্তের বিশাল ক্ষেত্রফল এর সাথে
‘শূণ্য’ গভীরতা জুড়ে দিতেই কেল্লাফতে!

অদৃশ্য কেউ হঠাৎ – বৃত্তগুলো দেয় থামিয়ে~
যাহ! সব গননা শূণ্য হয়ে যায় অবশেষে।।

বিস্তারিত»

নিঃশব্দ কবিতা

মাঝরাতে করোটির জরাজীর্ণ ছোট্ট কুটিরে,
আচম্‌কা হানা দেয় অশরীরি কবিতার দল;
দৈত্যের ক্ষুধা নিয়ে তারা শুধু শব্দ খেতে চায়।
তাদের আপ্যায়নে মগজ ব্যস্ত হয়ে ওঠে,
আবেগের তেলে ভেজে ক’রে দেবে শব্দের ফ্রাই,
তাই শব্দ হাঁতড়ে মরে স্মৃতির নিঃস্ব ভাঁড়ারে।

বিস্তারিত»

মধ্যমাস জর্নালঃ

সকলের মত সকাল আসে না আমার
জানালায়
ভোর কিংবা সকালের রোদসকল দানাবাঁধা
সিলুয়েট
ছবিহীন দুপুর আঁকতে থাকে নিরলস শ্রমে।

২.
আমাদের শহরে বছরের মাঝের মাস দু’টা ঘুণপোকার মতো একাগ্রতায় বিঁধে থাকে। কাঠের শরীর কুরে কুরে খাওয়ার সুখ পেতে থাকে মধ্যমাসের ঘন্টাগুলো। তারা শ্লথ এবং নির্বিকার, সেই কারণে অনেকাংশেই নিঃসংশয়ে আমাদের শহরের ইতিহাস থেকে মধ্যমাসের ঘটনাবলি ঝরে যায়। জুন ও জুলাই মধ্যমাসের টানাহ্যাঁচড়ায় পড়ে বাদী-বিবাদী অথবা বাঁদী হয়ে আদালত চৌকাঠে আছড়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব-৪

সে পৌঁছুতেই
শেওলাধরা ভগ্নদশার
প্রাচীন পুকুরঘাটের
মনে পড়ে
কবেকার যুবাদিনের
স্নান-ভীড়, ভিজেশাড়ি
ছলকে ওঠা কলস
প্রাত্যহিক আদিরস
তপ্ত টিটকারি….

বিস্তারিত»

গাঙচিলের ভীড়ে আমি !

পুরাতন ব্র্যান্ডের কোন মদ নয়
স্রেফ তরঙ্গিত জলজতার নেশায়
তরল হয়ে উঠলো ভ্রমনের সময়।

জাহাজময় ছড়ানো ছিটানো
আলোছায়া মনকাড়া নানা গড়ন
চিত্ত বিনোদন হেতু সকল উপকরন
এক শ্রান্ত অবসরের ক্লান্ত অনুসরন।

বিস্তারিত»

খৈ

সানা ভাই বলছিল মিশন এর কথা লেখতে কিন্তু টাইপ করা আমার জন্য এত কঠিন ~x( যে বেশি লেখতে গেলে আমার আর লেখা হবে না এই জনমে , তাই আমি যেইটা ভালা পাই আর লেখতেও সহজ 😀 ওইটা দিয়া দিলাম , আবারও বলতেছি হজম নিজ নিজ দায়িত্বে করিবেন । হজমের অসুবিধা জনিত যে কোন সমস্যার জন্য লেখক দায়ি নহে…
( অনুকবিতা/পরমানু কবিতার সিরিজ দিতে মঞ্ছায়,সাহস দিলে 🙂 )

খৈ-১
ম্যাসেঞ্জারে অলস সময়,

বিস্তারিত»

জানো কি?

তোমার চোখের রঙ কি জানো
আমি নিশ্চিত তুমি জানো না
আমি এটাও নিশ্চিত
শ্রাবণের এই বৃর্ষ্টির রাতে যার বুকের উত্তাপে তুমি উষ্ণ থাক
সেও জানেনা
কিন্তু আমি জানি ঈষত লালচে কালো

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু – ৪

চাঁদ নেই সাদা মেঘ নেই
নিঝুম পাতারা কাঁপে না বাতাসে বেগ নেই
ঘুমহীন রাত অঢেল সময় আছে।

জাপান বাংলা ক্রোমজমে বাঁধে জুটি
বনলতা চোখ চন্দ্র চিবুক ফুজি মেশে মেঘনায়
মিনি স্কার্টে হাইব্রীড মেয়ে যায়।

বিস্তারিত»

জানেন কি?

জ্যোৎস্নাস্নাত এক রাতে
ঝরনা কলম নিয়ে
বসেছিলাম ছাদে।
মনে মনে বলছিলাম,
“আজ আমি লিখবই”।

হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা
অসাধারণ লেখনীশক্তি দিয়ে

বিস্তারিত»