বুমেরাং

শওকত (৭৯-৮৫, বরিশাল), এর দুটো লাইন তখন থেকেই তুখোড় এক বুমেরাং এর মতো বোধের বাতাস কেটে ফিরছিলো।
নীচে আরো দুটো লাইন জুড়ে (ছুড়ে) দিলে কেমন হয় —

আমি লিখলাম সম্ভাবনা
তুমি পড়লে সম্ভব না।
তুমি বললে বন্ধু
আমি শুনলাম বন্ধ।

বিস্তারিত»

হত্যাকাণ্ডের পর

তখন কি জানতাম
আহ্লাদে দরোজা ভেজাতে গিয়ে
একটা টিকটিকি কাতরাচ্ছে
ভীষণ থেঁতলে গিয়ে?
বেচারা টিকটিকি
শরীর ভরা তার অ্যানিমিয়া নাকি?

বিস্তারিত»

শৈশব-ইন্দ্রিয়ের গান

ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভেবেছি: কাটাকুটি খেলার গোপন টিফিন-আওয়ার,

বিস্তারিত»

শেখাটাই বাকী

অনুভূতির আনাজপাতি থরে থরে
সাজাবো বলে বহুদিন ধরে
একটা ঝুড়ি বানাবার ইচ্ছে
উপযুক্ত বেত বাঁশ দড়াদড়ি
এসবের তো আর ছড়াছড়ি
নেই, কে-ই বা দিচ্ছে

দৈবাৎ কিছু নাগালে
এসে গেলে দেখি,
বুনন শেখার এখনো
পুরোটাই বাকী।

বিস্তারিত»

অপ্রাপ্তি

অতটা ভালবাস না তুমি আমাকে
যতটুকু ভালবাসলে ভুলকে ক্ষমা করা যায়,
অতটা ভালবাসা পাইনি তোমার আমি
যতটায় নিঃসঙ্কোচে কথা বলতে পারি তোমার সাথে।
দায়িত্ব থেকে আবেগ বড় – এই ভালবাসা আমি
এখনও পাইনি তোমার কাছ থেকে,

বিস্তারিত»

ঘুম

চোখে আমার এখন নগরের ঘুম।
কী গভীর সেই ঘুম! স্নায়ুগুলো যত
শ্রান্তক্লান্ত পথহারা পথিকের মত
পেয়েছে গহীনে তার হারানোর ধুম।

এখানেই শেষ হয় ভালোবাসাবাসি
লাল নীল স্বপ্নগুলো থমকে দাঁড়ায়
হতাশাকে না পাওয়া বিদায় জানায়
আনন্দ বেদনা শুয়ে থাকে পাশাপাশি।

বিস্তারিত»

এবং প্রেম ৪

আমরা যদি এ বিশ্বের নৃতত্ব পুনরায় ঘাটি
আর তালিকাবদ্ধ করি সমাজের উন্মেষ নৈর্বত্তিক দৃষ্টিতে
তবে উপেক্ষায় কাদবে সাদামেঘসমুহের আকাশে নীলের সঙ্গম।
কিভাবে লাল সুর্যোদয় হয়ে উঠে প্রেমিকার ঠোটে চুম্বন
পৃথিবী কোন দিক হতে সবুজ হয়ে ঊঠল আর কিভাবে বিমুর্ত সঙ্গীত
পটভুমিকায় বেজেই চলল,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-৩

কোন দূরদূরান্তে পড়ে রয়েছো
বৃষ্টি দ্যাখোনা কতকাল,
কতকাল শোনোনা ঝমঝম বরিষণ
আজ তোমার বাড়ি যাবার পথে তাই
কিনে নিয়েছি
এক বাক্স উৎকৃষ্ট বৃষ্টি।
ভেজার একটা উপলক্ষ আজ

বিস্তারিত»

জননিরাপত্তা

দিনকে দিন কেমন যেন
বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বাতাস,
চারদিকেতে শুনতে পাই
মৃত্যুশীতল হা-হুতাশ।
সকালবেলা ঘর থেকে সব
মানুষগুলো বের হয়ে যায়,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-২

একটুখানি শুকনো মাটি-প্রধান উঠোনমত জায়গা — ঘাস নেই, পরিধি ঘিরে কয়েকটি গাছ — ক’দিনের বিষ্টিতে-পিছল-কালো শরীর নিয়ে বিষণ্ণ ঝুঁকে। আজো, আকাশের সাদাটে ক্যানভাসে ৩B পেন্সিলের মোটা মোটা শেড লেগে আছে — যখন তখন শুরু হয়ে যাবে জলীয় সূঁচের অনবরত পতন; বৃক্ষেরা ঘিরে আছে যে জায়গাটুকুন,তাকে চকিতে ভীষণ সম্ভাবনাময় মনে হয়– মনে হয়, প্রকৃতির ইংগিতে আজ পাল্টে যাবে তার পুরনো পরিচয়।

বলতে না বলতে প্লাটুন-সেনানীর মতো বর্ষার বাহিনী আসে ধেয়ে–

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-১

এবং এইমাত্র
চৌরাস্তার মোড়ে এসে
দাঁড়াতে’
সমস্ত ট্রাফিক
ছবির মতো জমে গিয়ে
পলকহীন হেডলাইটে
ড্যাবড্যাব তাকিয়ে দ্যাখে

বিস্তারিত»

অচেনা আবরণ

ভুলে যাও জীবনের দুঃখগুলো
খুঁজে নাও সুখ-
বেরিয়ে এস কষ্টের বৃত্ত থেকে।
কেঁদো না নিজে,কাঁদিওনা কাউকে
উদ্ভাসিত হও স্বর্গীয় হাসিতে।
হয়ত কেউ দেখছে তোমায়,
বহুদূর থেকে,সঙ্গোপনে।

বিস্তারিত»

মন খারাপ গল্প

জলে ভেজা একখন্ড কাগজ। তার কীবা দাম এই জীবন-সংসারে? কাগজটির গায়ে লিখে থাকা এককালের বিখ্যাত কোনো কাব্য-গল্প কেউ এখন তুলে দেখে না। পথিকের পদভারে দলিত হয়, অবহেলায় মুষড়ে পড়ে। দক্ষিনা হাওয়া এসে যদিবা উড়িয়ে নিয়ে যায়- এ প্রত্যাশায় বুক বাঁধে সে, কিন্তু তার ডাকে বন্ধুবেশে আসেনা কেউই। রোদের ঝলকে কিছুটা শুকিয়ে আসতেই আবার বৃষ্টির বৈরিতা নেমে আসে তার উপর। আবারো সে জলে ভেজা কাগজ, আবারো বর্জ্যের জীবন।

বিস্তারিত»

দ্বিধাবিভক্ত আমি

যেদিন থেকে
স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছি,
অনেক সুখে আছি জানো?
তোমার কাছ থেকে
দূরে যেতে আজ আর

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব

কারেন্ট-ছিলোনা-সন্ধ্যায়
অগত্যা ছিলো মোম
দেয়াল জুড়ে কাঁপতেছিলো ছায়া
জলের শব্দ পড়ে অবিরল….

বালতিসমেত জল তুলে ওই কায়া

বিস্তারিত»