ধুলোমাখা শহর, ধুলোমাখা স্মৃতি – ০২

এবার এক রাজকন্যার গল্প বলি।

রাজকন্যার গায়ের রঙ সাদার কাছাকাছি। আয়ত আর মায়ামাখা চোখ। হাসলে গালে টোল পড়ে। কথা বলার সময় মাথাটা একটু একটু দুলে উঠে কি? বব কাট চুল। অন্য সব মেয়েদের মত রাজকন্যা মাথার মাঝখানে সিথি করে না। কারন বোধহয়, তাদের মাঝখানে সিথি করতে হয় না, বামদিকে সিথি করতে হয়। বার্ষিক ক্রীড়া কিংবা পিকনিকের দিন জিন্সের প্যান্ট পড়ে স্কুলে আসে। আমাদের মুগ্ধতা বাড়ে।

বিস্তারিত»

রাজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি কিছু করা যায়?

এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ফিরে এসেছি। ক্লাস ইলেভেন। দারুণ সময়। পড়াশুনার চাপ নেই, আবার মোস্ট সিনিয়রদের মতো দায়িত্ব নেই। যতোরকম সৃজনশীল বাদরামির জন্য প্রস্তুত। যেন যুদ্ধে নামার শ্রেষ্ঠ সময়। সময়টা ১৯৭৮ সাল।

কিশোর বয়স। হাত-পাগুলো লম্বা হচ্ছে। শরীরটাও। কিন্তু মনটা, মাথাটা! যেন জায়গায় দাঁড়িয়েই দীর্ঘ সময় ধরে ডান-বাম করতে থাকে। ভীষণ স্পর্শকাতর থাকে মনটা। যা দেখে সবই আচ্ছন্ন করে রাখে। মেঘ-বৃষ্টি আর সবুজ-নীল খেলা করে অবিরত।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -২য় কিস্তি

প্রিন্সের তালতো ভাই আরিফ

আমরা আসলে দুই বন্ধু না তিন বন্ধু হলাম হরিহর আত্মা। প্রিন্স (আসল নাম এর ধারে কাছেও না), আরিফ (আসল নামটা একটু বদলে দেয়া হয়েছে) আর আমি। কে কার বেশি আপন তা অবশ্য হাওয়া বদলের সাথে উঠানামা করত। যখন বিড়ি খাওয়ার পয়সা নাই তখন আরিফ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আর ওর বাসায় বিড়ি খেলে যখন ও ঘর থেকে বের করে দিত অথবা ওদের দোকান থেকে শার্ট বা গেঞ্জি নিযে আসলে ও যখন চোর বলত তখন আমি আর প্রিন্স একজন আর একজনের প্রিয় বন্ধু হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

ফাইট ক্লাব

‘ফাইট ক্লাবে’র সাথে আমার প্রথম পরিচয় বুয়েটে গিয়ে।

আমি তখন ঢাবি’র একুশে হলে থাকি। আমাদের ব্যাচের আর কেউ নেই কার্জন হলে। বন্ধু-বান্ধব সব কলা ভবনে। সনেট ম্যানেজম্যান্টে, সুব্রত ল’তে। সারাদিন ওখানে আড্ডা দেই আর রাতে বুয়েটে গিয়ে মাসুদের রুমে থাকি। কি করবো ? বন্ধুদের ছাড়া থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না। তাই নিজের হলের রুম আর ডিপার্টমেন্টের ধারে কাছেও যাই না। এমন অনেক সময় গেছে আমি মাসের পর মাস ধরে বুয়েটে মাসুদের রুমে।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -প্রথম কিস্তি

ঈশপের গল্প

আমরা সবাই ঈশপের গল্পের সাথে কম বেশি পরিচিত। সেই গল্পটা আছে না, দুই বন্ধু বনে বেড়াতে গেছে হটাৎ একটা ভালুক সামনে পড়ল। দুই বন্ধুর একজন গাছে চড়তে পারে অন্যজন পারে না। যেই না ভালুক সামনে আসল অমনি যে গাছে চড়তে পারে সে অন্যজনকে রেখে গাছে চড়ে বসল। অন্যজন কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাটিতে মরার মতো শুয়ে পড়ল। ভালুক এসে তাকে শুকেটুকে মরা ভেবে চলে যেতেই গাছে চড়া বন্ধুটা নেমে এসে বলল ভালুক তোকে কি বলেছে ?

বিস্তারিত»

আকর্ষণীয়া, সুন্দরী আর চঞ্চলার গল্প

আমরা সবাই তাদের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মাত্র কাশ শুরু করেছি। সে আমাদের অর্থনীতির ছাত্রী ছিল না। তার নাম দিলাম আকর্ষণীয়া। তার দুই বন্ধু পড়তো আমাদের সাথে। তাদের একজনের নাম দিলাম সুন্দরী, আরেকজন চঞ্চলা। মাঝে মধ্যে সাথে দেখতাম একটি ছেলেকে। তার নাম দিলাম পাজী। x-(
তখন আমাদের মধ্যে কয়েকটা গ্রুপ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল ঢাকা কলেজ থেকে। ওরা একটা গ্রুপ। নটরডেম আরেকটা গ্রুপ।

বিস্তারিত»

ফাহিম-বন্দনা-১

যুবরাজ

(গল্পের যুৎসই কোন নাম না পেয়ে এই নামটা চুরি করলাম আরেকটা গল্পের নাম দেখে, আডমিন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন আশাকরি)

সোহরাব আলী তালুকদার নামে একজন প্রিন্সিপাল ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। আমি তাঁর গল্প শুনতে শুনতে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম। “ তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি’ টাইপ প্রেম। এই সব গল্প আমি শুনতাম ফাহিমদের কাছ থেকে।

বিস্তারিত»

চাকু উই মিস ইউ

কলেজে প্রথম যেদিন ঢুকলাম সেদিন খুব বেশী কারও সাথে পরিচয় হয় নি । অপিরিচিত একটা জায়গায় গিয়ে সব কিছু কেমন জেন আজব আজব লাগছিল । আর তাছাড়া এমনিতি মনটাও খারাপ থাকার কারনে ( যেহেতু বাবা, মা কে ছাড়া প্রথমবারের মত থাকতে যাচ্ছি ) কোনদিকে খুব একটা মন ছিল না। শুধু দুয়েকজন যাদের কোচিং থেকে চিনতাম তাদের সাথেই কথা বলছিলাম। আর রুম লিডার মাঝে মাঝে এটা সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৪)

আমার ক্যাডেট জীবনে শিক্ষকদের পরিচিতি

আমি আমার আমার ক্যাডেট জীবনে যে সকল শিক্ষকদের পেয়েছি তাদের অবদান আমার কাছে অনেক গুরত্নপূর্ন এজন্য যে বাবা মা বাদে যা শিখেছি তার বেশিরভাগই শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া। আর আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিলো ক্যাডেট জীবন। যে সকল শিক্ষকদের সংস্পর্শে এসেছি তাদের নাম দিলাম। পরে তাদের ব্যাপারে লিখবো।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রুপকথা : ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ – (প্রথম পর্ব)

[সামহোয়্যারইনব্লগ এ প্রকাশিত…১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৭]
আমার ব্যক্তিগত এই রূপকথার শেষ পর্বটা ‘সামহোয়্যার’ এর পাতা থেকে হারায়ে গেছে…দোষটা আমারই, কোন ব্যাকআপ রাখা হয় নাই…যাইহোক, আপাততঃ পুরান চোথা দিয়াই সিসিবিতে ডেব্যু করি! ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে 😀 …

—‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’—

ছোট্ট স্টেশন।বালক ট্রেন থেকে নামে; দ্যাখে -প্ল্যাটফর্মের এককোণের বেঞ্চিতে বালিকা বসে আছে..

:পথে কষ্ট হলো?

বিস্তারিত»

সচী

বন্যর এই পোস্টখানা পড়ে আমি এই পোস্ট লিখতে বসছি। আমার জন্ম ১৯৮৭ সালের অক্টোবরে এবং আমার একজন বড় ভাই আছে যার জন্ম ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে। আমাদের দুইজনেরই ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল যে আমাদের একটা ছোট বোন থাকবে। কামরুলতপু ভাইয়ের মত জীবনে অসংখ্য কাজলাদিদি হয়ত পাইনি, কিন্তু আমারও পাতানো বোনের সংখ্যা কম ছিল না। কিন্তু কেন যেন বোনের অভাব পূরণ হচ্ছিল না।

আমি তখন কলেজে পড়ি।

বিস্তারিত»

বিমানবালা

কলেজে কিছু কিছু ব্যাপার ছিলো খুবই মনোমুগ্ধকর। জানিনা সভ্যতার কোন প্রাঙ্গনে এই ঘটনাগুলির স্থান, তবুও এসব ঘটনা মনে পড়লে হঠাৎ নিজের অজান্তে হেসে উঠি, মনে মনে বলি, ‘হায়, আমি এমন ছিলাম।’ জানিনা আজ এই বয়সে এসে ব্যাপারগুলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লেখা উচিত হচ্ছে কিনা, কিন্তু না লিখেও পারছি না। যেহেতু সুযোগ আছে, তাই লিখে ফেললাম।

ক্যাডেট কলেজের ‘টার্ম-এন্ড’ দিন গুলি খুবই আনন্দের থাকে ক্যাডেটদের কাছে।

বিস্তারিত»

একটি ব্লেজার স্মরনে

যুবরাজ

:salute: (আন্তরিক কৃ্তজ্ঞতা মডারেটর ও এডমিন এর প্রতি, আমার অতি প্রিয় এ ব্লগে লেখার সুযোগ দেয়ার জন্য।)
আমি ক্যাডেট কলেজে ঢুকিনি বলে জীবনে প্রথম আক্ষেপ হল বিএমএতে যাওয়ার পর।আমার ২৮ জেনারেশনে কেউ সেনাবাহিনীতে ছিলনা। নিজেকে সিভিলিয়ানের কোন ধাপে ফেলা যায় সেটা নিয়ে আমি নিজেও সন্দিহান।“ র সিভিলিয়ান” বলে একটা কথা আছে, আমি বোধহয় সেই গোত্রের।

বিস্তারিত»

তথ্য চাই

তথ্য সংগ্রহের জন্য সাময়িক ব্লগ
আমার এই লিখাটি আসলে কোন ব্লগ নয়। এই লিখা মূলত সবার জন্য যারা আমকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। আমি শুধু হুজুগের বশবর্তি হয়ে সিসিবিতে লিখতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছি। যেহেতু ক্যডেট কলেজে ওয়াল ম্যগাজিন বা বার্ষিকিতে কখনও কিছু লিখার স্থান পায়নি তাই ভাবলাম, এখানে একটু ফুটায়। কারন এখানে তো হাউস মাস্টার বা হাউস টিউটর নাই যে আমার লিখা নিয়ে বলবে,”

বিস্তারিত»

স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ৩

[স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ১] [স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ২]

ছোটবেলায় জামাকাপড় পাল্টানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হত না। স্রেফ দিগম্বর হয়েই কম্মটা সেরে ফেলা যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে লজ্জা নামক ব্যাপারটা সংবেদনশীল হয়ে দেখা দিল। তখন হয় লুঙ্গী বা টাওয়েল পেঁচিয়ে অথবা রুমে খিল তুলে ড্রেস চেঞ্জ করতাম। ক্যাডেট কলেজে লুঙ্গি এক অচিন্তনীয় বিষয়।

বিস্তারিত»