বাসে একদিন

ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:

মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।

বিস্তারিত»

দিনলিপি ০৩: হঠাৎ গরমে আম-কাঠাল ট্যুর

পরশু সন্ধ্যায় হঠাত মোস্তফা (এমসিসি) ফোন দিলো “আম খাইতে যাবি?” আমিঃ “মানে?”
মানে হইলো তোহা (এমসিসি)এর গ্রামের বাড়িতে যাবার প্লান হচ্ছে আম খাবার জন্য। প্রায় বিশ জনের মতো রাজি হয়েছে যাবার জন্য।
এরকম চান্স কে মিস করে? চাকুরি করতে করতে বোরড হয়ে গেছি। এরকম চান্স পেলে ইদানিং মিস না করার চেষ্টা করি। ঠিক আছে যাবো বলে জানালাম………
গতকাল অফিস করে বিকালে গেলাম আহসান (এমসিসি) এর অফিসে একটা কাজে।

বিস্তারিত»

গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার

বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:

২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।

বিস্তারিত»

এলোমেলো-৩: বান্দরবান

রাজশাহী থেকে ঘুরে আসছি মাত্র দুই দিন হল- এমন সময়ে জনি বলল, “চল, এই উইকএন্ডে বান্দরবান ঘুরে আসি”। আমার যদি অনেক টাকা থাকত তাহলে আমি সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতাম। আফসোস্‌, এত টাকা তো আমার নাই! তারপরও আল্লাহ যা দিছেন তা দিয়ে আমার মত একলা মানুষের মোটামুটি দেশের এমাথা-ওমাথা ঘুরে আসা যায়। ফলাফল- জনির প্রস্তাবে আমি সাথে সাথে রাজী। অফিস থেকে বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে হবে। বুধবার রাতে রওনা দিব,

বিস্তারিত»

পাখির চোখে দেখা আমেরিকা, ২০০৪

[২০০৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একমাস ছিলাম। ওই সময়ের নির্বাচনটি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কাভার করতে গিয়েছিলাম। কোনো একটা দেশ, সমাজ বা মানুষকে জানা-বোঝার জন্য একমাস তেমন সময় নয়। তবে সাংবাদিকরা হলো “সকল কাজের কাজী”। আমরা মনে করি, আমি সব জানি, বুঝি। আমার বোঝার কিছু বাকি নাই। তাই আমার শেখারও কিছু নাই। (কতো বড়ো মাতব্বর!!)

ওটাই ছিল আমার প্রথম এবং শেষ আমেরিকা সফর।

বিস্তারিত»

আমার ডাক্তার হওয়ার গল্প

আসলে সিসিবিতে অনেকেই খুব ভাল লিখেন । মাহমুদ ভাইয়ের ব্লগ পড়লে তো আমার লিখতেই ইচ্ছে করে না । আর আমি পিচ্চি তো । তবুও কিছু কিছু ঘটনা প্রায়ই মনের মধ্যে উকিঝুকি দেয় ।

কলেজে থাকাকালীন সময়ে দেখতাম সবাই ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ ব্যস্ত ।
আমি আবার অংকে একটু দূ্র্বল আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করার চিন্তা মাথা থেকে তাড়ালাম ।
মেডিকেল কোচিং করার জন্য ভর্তি হলাম রেটিনাতে ।

বিস্তারিত»

লাস ভেগাসের ছবি

ভাই সকল (বোনদের কইতে সাহস হল না),

এই ছবিগুলো আমার এক বাংলাদেশী সিনিয়র ভাইয়ের কথা অনুযায়ী ইহজগতে শয়তানের আখড়া+পরকালে দোজখের স্যাম্পল “লাস ভেগাস” এ গিয়ে তোলা। সেই বড় ভাইয়ের মুক্তহস্ত স্পন্সরে আমরা চার বাংলাদেশী ভদ্রলোক B-) এবং এক ভদ্র মহিলা এক কাফেলায় সমবেত হয়ে বিস্তীর্ণ মরুভূমির বুক চিরে ফাইভ-সিটেড লেক্সাসে করে গিয়েছিলাম শয়তানের আখড়া জিয়ারতে। দুইদিন দুই রাত্রির সেই ভ্রমনের কিছু কিছু স্মৃতি তুলে রেখেছি আমার কাঁচা হাতে মোটামুটি মানের এক ক্যামেরায়।

বিস্তারিত»

ভ্রমোলগ ১: ক্লান্ত ঢাকাত্যাগ এবং ক্রমশ সবুজায়ন

ভ্রমণে বেরোলেই অপরিচিত মুখগুলোকে কেন আমার পরিচিত মনে হয়? এমন না যে এটা আজকেই ঘটছে। আমি আগেও খেয়াল করেছি, সহযাত্রীদের, অপেক্ষমাণ মানুষের মুখ আমার কাছে আপন মনে হয় খুব। অথচ সেই মুখটাকেই এই স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের বাইরে দেখলে আমি ফিরেও তাকাতাম না! ঘরের বাইরে বেরিয়ে আমি কি কিছুটা বিপন্ন হয়ে পড়ি? এজন্যে অচেনাকেও আপন মনে হয়? অথবা আমি একটু সাহসী রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে উঠি, তাই অপরিচিতকেই ভাল লাগে!

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ৩ (শেষ)

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১ , ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২

সিঁড়ি দিয়ে উঠে প্রথমেই দৃষ্টি আটকে যায় কালের ধূলোয় জীর্ণ এক এলিভেটরে। একটা টানা দড়ি এর একেবারে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত চলে গেছে আর ভেতরে একটা হুইল চেয়ার রাখা । বোঝাই যাচ্ছে হুইল চেয়ার ফ্রাঙ্কলিনের ব্যবহারের জন্য ছিল, কিন্তু টানা দড়ি? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি বিশালদেহী ফ্রাঙ্কলিনের শরীরের সচল ঊর্ধ্বাংশের শক্তি এই এলিভেটরসহ নিজেকে টেনে তোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল!

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট – শেষ পর্ব

পরদিন ভোর বেলায় উঠে সবাই গেলাম কাঞ্চনজঙ্গা’য় সূর্যোদয় দেখতে। ‘টাইগার হিল’ থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্গা’র চূড়া। মাইনাস ৪/৫ তাপমাত্রায় ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে টাইগার হিল যাওয়ায় সময় মনে হচ্ছিলো এবস্যালুটলি রঙ ডিসিশান। আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে একটা জীপ নিয়ে সবাই পৌছে গেলাম ‘টাইগার হিল’। আমাদের মতো আরো অনেক ট্যুরিস্ট অপেক্ষা করছে সেখানে। প্রচন্ড শীতে অনেকেই কাহিল। আগুন গরম চা খাচ্ছি একের পর এক,

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট -০২

ষ্টেশন থেকে একটা টাটা-সুমো নিয়ে চলে এলাম দার্জিলিং চৌরাস্তায়। আসার পথটা এতো উঁচু-নিচু আর সরু সেটা দেখলে রীতিমতো ভয় লাগে। গাড়ি প্রতিটা বাঁক নেয়ার সময় মনে হচ্ছিলো এই বুঝি খাদে পড়ে যাবে। রাস্তাটা বিপজ্জনক বলেই একটু পর পরই সবার জন্যে সতর্কবাণী ছিলো দেখেশুনে গাড়ি চালাতে। একটা সতর্কবানী আমার এখনো মনে আছে- donate your blood in blood bank, not in the road। চৌরাস্তায় এসে পছন্দসই একটা হোটেল খুঁজে বের করে ফেললাম সবাই মিলে।

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট – ০১

সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসার পর মনটা কেমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছিলো। এতো আনন্দ ফুর্তির হঠাৎ পরিসমাপ্তি খুবই বেদনাদায়ক। তাই চলে আসার পর থেকেই মনে মনে ফন্দি আঁটতে শুরু করি যে আবার কোথায় যাওয়া যায়। ভাবলাম সমুদ্রতো দেখা হলো, বাকি রইলো পর্বতশৃংগ। বাকি রইলো হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্গা। নামটা মনে হতেই এক অজানা রোমাঞ্চ অনুভব করলাম। যে করেই হউক হিমালয়কে কাছ থেকে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। অন্তত পশ্চিমে আসার আগে হিমালয় আমাক দেখতেই হবে।

বিস্তারিত»

সুইস আল্পস (হিমায়িত ঝর্না)

niagara20falls2
কাউকে বলতে হবে না এইটা হচ্ছে নায়াগ্রা ফলস। এখন দেখুন নিচের ছবিটি

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১

হেনরী ওয়ালেস ভিসিটর’স সেন্টারের লবি যেখান থেকে আমাদের গাইডেড ট্যূরের সূচনা সেখানে মেঝের মোজাইকে আঁকা Pictorial Map এ পুরো স্প্রিংউড এস্টেটটিকে এক পলকে দেখা যায়। এস্টেটের পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে অবিরাম বয়ে চলেছে হাডসন নদী। তবে শীতকালে প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বরফ জমে থির হয়ে থাকে। হাডসনস্নাত এই এবং তদ্‌সংলগ্ন এলাকাটি হাডসন ভ্যালী নামেই সমধিক পরিচিত। পূর্বমুখী মিউসিয়াম,লাইব্রেরী আর বাড়ির অবস্হান পশ্চিম তীরের বেশ কাছাকাছিতে।

বিস্তারিত»

সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস – শেষ পর্ব

সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস০১০২

খাওয়ার পরে সিগারেট ধরিয়ে সবাই একসঙ্গে বের হলাম সমুদ্রের পারে হাঁটতে । খোলা গলায় এবং হেড়ে গলায় গান চললো কিছুক্ষণ। অনেক্ষণ পর ফিরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম, কিন্তু রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেখি এই গরমে রুমে ঘুমানো সম্ভব না। বালিশ তোশক নিয়ে একজন বারান্দায় এসে শুয়ে পড়লো, তার দেখাদেখি বাকি সবাই।

বিস্তারিত»