অনেকদিন পর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে

অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। ভ্রমণ সঙ্গী সহকর্মী Monirul Karim । দু’জনেরই ইচ্ছে কাজের ফাঁকে রাজশাহী ঘুরে দেখা যতদূর সম্ভব, যতটুক সম্ভব। এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে এসেছিলো বিপুল। রাজশাহীর ছেলে। আমাদের মতলব শুনে বলল, ‘শার, আগে চলেন পুঠিয়া রাজবাড়ি যাই, ফেরার পথে পদ্মার পাড়, আর কালকেরটা কাল দেখা যাবে’। আমাদের সময় মোটে পরের দিনের বিকেলের ফ্লাইট পর্যন্ত। তার মধ্যে তিনটে অফিসিয়াল মিটিং সেরে, বিকাশের এজেন্টদের দু’একজায়াগায় ঢুঁ মেরে,

বিস্তারিত»

একটি স্ট্যাটাস ও তৎপরবর্তি প্রতিক্রিয়া থেকে নারীর অবস্থান নিয়ে ভাবনা

গতবছর এই রকম সময়েই নিচের স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম আমার ফেসবুক টাইমলাইনে

Status_Inbox

========
দি স্ট্যাটাস
========
\\আমাদের তৃতীয় কন্যার জন্মের পর পিছনে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করলো, আহারে, এবারও মেয়ে? কি হবে এঁদের? বৃদ্ধ বয়সে তো দেখার কেউ থাকবে না, ইত্যাদি।
আমার প্রথম উত্তর ছিল, ছেলেদের প্রধান কাজ কি বৃদ্ধ বাবা মা কে দেখা?

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ দোবার টেক

প্রতিবেশী গ্রেস পাওয়ারসের বাড়িতে ডিনার শেষে পোর্সেলিনের রেকাবীতে যে মিষ্টান্নটি এলো তার নাম সেক্স ইন আ প্যান!
হোয়াট? এটি কি তোমার দেয়া নাম নাকি, গ্রেস?

আমরা পূর্বের রক্ষণশীল মানুষ; আমাদের খাবারদাবারে এখনো পরিবার পরিজনবর্গ আসেন বটে; কিন্তু সেক্স টেক্স নৈব নৈব চ! মামুর হালিম, বউ খুদ, বড় বাপের পোলায় খায় এসব নাম চলতে পারে কিন্তু ডেভিলড এগ, হাশ পাপি, ডাচ বেবি প্যান কেক,

বিস্তারিত»

সামান্য ঘটনা

ইয়ুনিভার্সিটির পূব পাশে “টেক গেটো” বা বস্তি, সেখানে রাজ্যের পুরোনো জরাজীর্ন বাড়িঘর আর এপার্টমেন্ট। আসার পরপরই সাবধান করে দেয়া হয়েছিল যেন শহরের ওদিকটায় বেশি একটা না যাই। ওটা অপরাধ প্রবন এলাকা। ছিনতাই রাহাজানি খুন সবই চলে। আর আছে ড্রাগস- কতগুলো বাড়ী তো রীতিমত “ক্র্যাক হাউস” হিসাবে পরিচিত। এই মহল্লায় থাকে যত নিম্ন আয়ের লোকজন, বেশির ভাগই কালো আর হিস্পানিক। আর থাকে যত বিদেশী ছাত্রছাত্রী, যার মধ্যে ভারতীয় ও চীনেরাই বেশি।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ পাশ্চাত্যের জীবন প্রাচ্যের যাপন

আ বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা কতবার যে দেখেছি! নোবেল বিজয়ী গনিতজ্ঞ জন ন্যাশের জীবন অবলম্বনে বানানো এই মুভিটি আমার অল টাইম ফেভারিট। এখনো কানে বাজে এলিশিয়া (মিসেস ন্যাশ) বলছেন, গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?

নোবেল পাওয়ার বহু আগে থেকেই জন ন্যাশ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়মুখ ছিলেন। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে তিনি যেচে পড়ে কারো সাথে কথা বলতেন না বটে,

বিস্তারিত»

কিজন্য আমি “বন্ধুবৃত্ত” নাটকের সাথে সংশ্লিষ্টতা পরিত্যাগ করেছি

আসসালামু আলাইকুম। আমাকে বোধহয় কমবেশি অনেকেই চেনেন। আমি সালেহ তিয়াস নামেই বেশি পরিচিত, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছি।

গত বছর আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে একটা টিভি নাটক বের করি। এই নাটকে আমার ভূমিকা ছিল অতি নগন্য, কাহিনীর কিছু অংশ লিখেছি, স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ লিখেছি, এবং নিরুপায় হয়ে এক অংশে অভিনয়ও করতে হয়েছে। এই নাটকে আমাদের পুরো ব্যাচ থেকে অনেকে অভিনয় করেছিল।

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়িটির তীরে


সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল দিনলিপি

একঃ
বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনায় তারার প্রি-কে স্কুলের একটি গল্প মনে পড়ে গেল আজ!

প্রাচীন চীনে পরিবারের বড় সন্তানের নাম রাখা হতো খুব ঘটাপটা করে। প্রথমটির পরে একটা দুটো বাচ্চা হলে চং, মং, চিয়াং, মিয়ান কিছু একটা রাখলেই হলো কিন্তু বড়জন ভবিষ্যতে পরিবারের ত্রানকর্তার ভূমিকা পালন করবে তাই তার নামের গুরুত্ব অনেক। আমরা যেমন মোমেনা কে আদর করে মুমু বলি, হোসনে আরা কে হাসু অথবা ক্যাটরিনাকে ক্যাট বলি ওদের নিয়ম ছিল ভিন্ন।

বিস্তারিত»

ফেসবুকামি

ফেসবুকামি

২৮.০৭.২০১৫

আলহামদুলিল্লাহ। দেড় ঘন্টায় ডাউনলোড হল ১৬ মেগাবাইট, আপলোড ৪ মেগাবাইট। বাঁধ ভাঙ্গা টেলিটক থ্রিজি। সংশ্লিষ্ট সকলকে অনাগত চতুর্থ প্রজন্মের মোবারকবাদ জানাই।

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে অথচ আমার পকেট টাকায় ভরা ।— making a mess.

Teletalk 3G

২৫.০৭.২০১৫

হাশিম আমলা অত্যন্ত ভাল মানুষ। আল্লা মেঘ দে পানি দে বলে তিনি কেঁদে কেটে আকুল হয়েছিলেন তারই ফলে এত বৃষ্টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মুখরক্ষা হল।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ ক্রিসমাস ইন জুলাই

ঈদ অবশেষে
আমাদের ব্যক্তিগত শোক সন্তাপের সাথে ঈদের কিছু যোগাযোগ থাকার কারণে বহু বছর বাড়িতে ঈদ উদযাপন করা হয় নাই। তারাকে হয়তো জিজ্ঞেস করেছি, ঈদে কি খাবে, ভূতো? সে ছোট্ট করে বলেছে, চিরিওস উইথ হোল মিল্ক, মা! কন্যারত্নের কথায় হাসলেও আমি তার পছন্দের সব খাবার রান্না করি ঈদে। ব্যাংক থেকে কড়কড়ে ডলারের নোট এনে রাখি ঈদি দেবো বলে কিন্তু ঈদে লোকজন ডেকে আমাদের আহারবিহার করা হয় নাই অনেকদিন।

বিস্তারিত»

ঈদ ইন সিঙ্গাপুর

ঈদ মুখে সিঙ্গাপুর এসে স্বস্তি পাচ্ছিলামনা। দেশের বাইরে এ’টি আমার চার নম্বর ঈদ। তিন নম্বরটা গত বছর দিল্লীতে করেছিলাম হামিদ( এমসিসি ৭৬-৮২) আর আইভী ভাবীর বদান্যতায় ঈদটি খারাপ কাটেনি। ইন্টারনেটে সিঙ্গাপুরের ঈদের আয়োজনকে জমকালো মনে হলেও গতকাল আধাবেলা পর অফিস ছুটি হবার আগ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ঈদ ঈদ ভাবটা আসেনি। যে সব বাঙালি পরিবারের সাথে জানাশোনা আছে, তাদের ঈদের কেনা কাটা হয়েছে বাংলাদেশে। ঈদের জামাতের সময় না জেনেই রাতে ঘুমোতে গিয়েছি।

বিস্তারিত»

কমন সেন্স, দ্যা আনকমন

কমন সেন্স, দ্যা আনকমন

আনেক বছরের পুরোনো ঘটনা মনে হঠাত উঁকি দিলে কেমন লাগে? তাও যদি তা আবার হয়, কোন এক বিরক্তিকর মুহূর্তে! বহু বছর আগের কথা, প্রায় ১৫-১৬ বছর হবে হয়তোবা, ক্লাসে একদিন এক স্যার হাস্যরসের ছলেই বলেছিলেন, “কমন সেন্স ইজ একচুয়ালি আনকমন”। মজা পেয়েছিলাম কথাটাতে, কোন সন্দেহ নেই। তিনি হাসির ছলে আরো কিছু ‘তিতা কথা’ বেশ মধুর করে বলতেন, যেমন – “ইউ আর রেগুলারলি ইররেগুলার” কিংবা “ইউ আর টূ আরলি ফর দ্যা নেক্সট ক্লাস”।

বিস্তারিত»

১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ (ফকক)

২৮ বছর অনেক সময়, কিন্তু মনে হচ্ছে এইতো সেদিন। প্রায় ১২ বছর বয়সী একদল কিশোরের যাত্রা শুরু ক্যাডেট কলেজ জীবনের। দিনটা ছিল ১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ আজ থেকে ঠিক ২৮ বছর আগের একদিন। আমিও ছিলাম তাদের একজন। আমার মেঝ ভাই আমার প্রায় ৬ বছর বড়। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ আমাদের চট্টগ্রামের বাসা থেকে ৭ মাইলের মত দুরে। ১৯৮১ সালে আব্বা বললেন, ভাইয়াকে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াবেন।

বিস্তারিত»

পুলিশ প্রশাসনের এ’কি হাল?

আজকের (জুলাই ১৪, ২০১৫) বাংলা পত্রিকাগুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে গেল দৈনিক আমাদের সময়ের একটা সংবাদে যেখানে বলা হয়েছে যে, সিলেটের রাজন-হত্যার প্রধান আসামী কামরুলকে জনতা হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ঘুষের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিলে সে সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।- পুলিশ যে ঘুষের বিনিময়ে বড় বড় আসামীকে ছেড়ে দেয় এমন দু’একটা সংবাদ মাঝেমধ্যেই সংবাদপত্রে আসে। আর এমন দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হাজার হাজার পুলিশের মধ্যে দু’একজন ঘটাতেই পারে।

বিস্তারিত»