মার্চের দুইঃ স্কুল ভ্যান, শোকমোচনের অপর পাতা

প্রতিদিন আমার যাত্রাপথের সময়টুকু আমি খুব অনুভব করি।

কিছুদিন আগেও ঝাঁ ঝাঁ রোদ ছিল না, বেশ মোলায়েম একটা বাতাস থাকতো, অনেক সময় আকাশ ঘন ধূসর হয়ে থাকতো আর সাথে একটা শীতল বাতাসও বইতো, আমার খুব ভাল লাগতো। এখন সেরকম নাই, শুষ্ক বাতাস ডাইনির মতো উড়ে বেড়ায়, সাথে চড়চড়ে রোদ! চামড়া পুড়িয়ে রোদের ঝাঁজ মাংশে গেঁথে যায় বলে আমি শিহরিত হই, যদিও এমন শিহরণে ক্রমশ মজে থাকা যায় না!

বিস্তারিত»

তারা যখন আসলো………..

তাঁর নাম Friedrich Gustav Emil Martin Niemöller। জার্মান কবি। প্রথম জীবনে ছিলেন হিটলার সমর্থক। পরে হিটলারের কর্মকান্ডে শঙ্কিত হয়ে হিটলার বিরোধী হলেন। ফলো পেয়েছিলেন। বন্দী থাকতে হয়েছে বন্দীশিবিরে। মুক্তিপান যুদ্ধ শেষে, ১৯৪৫ সালে।

তাঁর একটা বিখ্যাত কবিতা আছে। এই কবিতা এখন কিংবদন্তীতে পরিণত হয়ে আছে। মূল কবিতাটা এরকম-
“In Germany, they came first for the Communists, And I didn’t speak up because I wasn’t a Communist;

বিস্তারিত»

কেন?

আজ অনেক দিন ধরেই চাচ্ছি ব্লগে লেখার জন্য…কিছুতেই হয়ে উঠছে না।ছুটি চলছিল।২৭ ফেব্রুয়ারিতে বাসা(সিরাজগঞ্জ) থেকে খুলনা(কুয়েট) আসছি।আমার ডাইনোসরটার(মগকক,৯৯) সাথে যেহেতু নিয়মিত ফোনালাপ( আনুমানিক দৈনিক গড়ে ৪ ঘন্টা) হয়,আর এর মধ্যে কলেজের স্মৃতিচারন হয় প্রায় ৫০ ভাগ সময়।

বিস্তারিত»

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জিহাদ , মুহাম্মদ আর ফরিদকে সাথে নিয়ে পিলখানায় বিডিআর গেটে গিয়ে দেখি তখনো কেউ আসেনি।

ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থেকে রিকশা নিয়েছিলাম। আমাদের আগের রিকশায় ছিলো আমাদের ব্যাচের আজিজ আর রাসেল। জ্যামে পড়ে ওরা সম্ভবত আমাদের চেয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলো তাই পৌছলো আমাদের মিনিট দ’শেক পর। কাইয়ূম ভাই আর জুনায়েদ রিকশা পায়নি, তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছিলেন। পরে মাঝপথে এসে রিকশা পেয়েছিলেন কিনা আর জিজ্ঞেস করিনি,

বিস্তারিত»

শ্রীলংকার ক্রিকেটারদের ওপর হামলা

একের পর এক দুঃসংবাদ স্তব্ধ করে দিচ্ছে আমাদেরকে।

আজ সকালে (মঙ্গলবার, মার্চ ০৩) পাকিস্তান সফররত শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ওপর হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। দুই দলের মধ্যে চলমান সিরিজের তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে তাদের গাড়িবহরে এ হামলা হয়। ক্রিকেটারদের ওপরে হামলা পাকিস্তানে তো বটেই সারা বিশ্বেই কখনো কোথাও ঘটেনি! অবশ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে সেখানে ক্রিকেটের ক্ষতি কিংবা সফর বাতিল আগেও অনেক বার হয়েছে।

বিস্তারিত»

নিজেদের কেমন যেনো পাকিস্তানি পাকিস্তানি মনে হচ্ছে

১.
মাহবুব আমার দুই ব্যাচ ছোটো। আমরা একই হাউসে ছিলাম, শরিয়তউল্লা। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়েছি সেই ৮৫ সালে। তারপর অনেকটা সময় চলে গেছে। বয়স ৪০ হয়ে গেছে, চুলও সাদা হতে শুরু করেছে। কলেজে আমি অনেক শুকনা ছিলাম। এখন অনেক বদলে গেছি। সেই সময়ের আমার সাথে যারা ছিল তারা এখন আর আমাকে চিনতে পারে না। একজন বেক্সকা নাইটে গেছি, সবাই মনে করেছে আমি মনে হয় অতিথি কেউ।

বিস্তারিত»

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সেটা ছিল আশির দশক, আমার ছাত্রজীবনের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। গণসংগীত আর গণনাট্য ছিল সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।

রূপেশ বড়ুয়া উদীচীর প্রাণ ছিল। অসাধারণ তবলা বাজাতো। সব অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহড়া, আড্ডায় তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রূপেশ জীবিকার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে একটা পোশাকের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো।

বিস্তারিত»

ও ক্যাপ্টেন…..মাই ক্যাপ্টেন

২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মাজহার শেষবারের মতোন ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করেছে এইভাবে, “Mazharul is back from tour”. ভাবীকে নিয়ে ট্যুরটা ওর জন্য কাজের ব্যস্ততার মধ্যে একটা রিলিফ হয়ে এসেছিল। ২১, ২২, ২৩ এই তিনদিন ওকে অনেকটা ইনএ্যাকটিভ দেখে ২৪ তারিখে তাসফিক জিজ্ঞেস করেছিল, “কিরে অবস্থা কি? গায়েব কেন? বৌয়ের সাথে নাকি? দ্যাট উইল এক্সপ্লেইন ইট…হাহ হা”।

এরপরই ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ভয়ঙ্কর সব সম্ভাবনায় উদ্ধিগ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীরা লিখেছে:
“ভাইয়া,

বিস্তারিত»

বিডিআর বিদ্রোহঃ সর্বশেষ সংবাদ

দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সর্বেশেষ সংবাদ হচ্ছে বিডিআর ডিজির বাসভবনে দুজন বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলার ডেডবডি পাওয়া গেছে। তাদেরকে সনাক্ত করা যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা লেঃকঃ দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম। উনারা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে ডিজির বাসায় উঠেছিলেন। লিঙ্ক এখানে
সামিয়াপুর আব্বুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিপুল সেনা অফিসার সহ ১৩৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। আমরা সবার জন্য প্রার্থনা করি উনারা ফিরে আসবেন।

বিস্তারিত»

এর শেষ কোথায়?

১. কদিন আগে সিঙ্গাপুরে গেছিলাম। স্ট্রেইট টাইমস-এ দেখলাম মূল সংবাদ হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে। বাংলাদেশে আমরা কল্পনাই করতে পারি না এ ধরণের সংবাদ প্রধান খবর হতে পারে। বাংলাদেশে অবশ্য আমরা সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছি। প্রতিদিনই ঘটনা ঘটছে। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ ঘটনাই নেতিবাচক কিছু একটা। মিডিয়াও এইসব খবর পছন্দ করে, সাধারণ মানুষ পড়ে, বাড়ে পত্রিকার বিক্রি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যখন শুনি বিডিআরে বিদ্রোহ, মনে হলো ভালই তো,

বিস্তারিত»

সুখের অসুখ

একটা প্রশ্ন ইদানিং ঘুরে ফিরে আমাকে বড় বেশি বিরক্ত করে যাচ্ছে। বিয়ে করে কি ভুল করে ফেললাম? কিছুদিন আগেও তো দিনগুলো এত দ্রুত পার হয়ে যেত না! উলটো স্থবির, শ্লথ, শম্বুক গতির দিনগুলোর একেকটা ঘন্টা এত বেশি সময় ধরে চলত যে বিরক্তি এসে যেত। আর এখন আমার সময় কাটে ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে। চব্বিশ ঘন্টা পার হতে সময় নেয় মাত্র আধ ঘন্টা। এই হারে হিসেব করলে আয়ু যে চরম দ্রুত কমে আসছে সেই চিন্তা থেকেই কি বিরক্তিকর প্রশ্নটা প্রশ্রয় পাচ্ছে ??

বিস্তারিত»

ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায়

একুশ নিয়ে ছোট ভাইরা নানারকম পোস্ট দিয়েছে। কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা স্মৃতিচারণের পোস্ট তাই আর নয়। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি এবিসি রেডিওতে অমর সূরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায় সকাল ৯টা, ১১টা এবং বেলা ২টার খবরের পর প্রচারিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১১টার খবরের পর এটি আবারো প্রচার হবে।

কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে সেটা শুনেছোও।

বিস্তারিত»

আমার (প্রায়)নির্বান লাভ

ডানপাশে ঊড়ুক্কু পলিথিনের ব্যাগ হাওয়ার নিঃশ্বাসে ফুলছে ফাপছে, বাতাসে কর্কশ ধূলো ,নিশ্বাসে রিসেশনের দুর্যোগকালীন দামী জ্বালানীর পোড়া সৌরভ, শাহবাগের মুড়িভর্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম বিশাল এক টসটসে টোপ হয়ে। চারপাশের নাগরিক মাকড়শার জালে আটকানো ,কুকড়ানো নষ্ট আকৃতির জীবনটা ফেরি ঝুলিয়ে ধেয়ে আসছে টোপ গেলার জন্যে। পাকস্থলীর জারক এনজাইমে সাতড়ানো অবস্থায়ই সাধারনত আমার দুঃস্বপ্ন গুলো শেষ হয়। সেদিন শেষ হল নারী দেহের বক্র অনুপ্রবেশে। হতাশ ভাবে ভাবলাম “মেয়েমানুষ!!

বিস্তারিত»

ঊনবিংশ ফেব্রুয়ারিঃ ঘূর্ণাবর্তের দিন

আজকে রোদ উঠেছে। চড়চড়ে তামাটে করে দেয়া রোদ। সরাসরি চামড়ার ভাঁজে ঢুকে যাচ্ছে। আমি বাইরে বেরিয়েছি সকালেই, এক বন্ধুর সাথে। সে বাসায় এসেছিল, ওকে নিয়ে বেরিয়েই টের পেয়েছি তুমুল উৎসবে মেতেছে সূর্য। অনেকদূর থেকে তার উত্তাপ আসছে শলাকার মতো বিঁধে ফেলছে আর আমি জড়বৎ সম্মোহিত হচ্ছি। সেই রূপালি-রেলিং পেরিয়ে নিয়মানুগ রিকশায় উঠি/ কালো চামড়ায় ফুলে ওঠা রগ দেখি/ স্বল্পচুল মাথা থেকে গড়িয়ে পড়া জ্বলন্ত ঘাম দেখি।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৬

গতকালরাতে আমার ঘুম আসছিল না। শুয়ে শুয়ে কত কথা মনে পড়ে। অনেক আগে একসময় ঘুম না আসলেই একজনকে মেসেজ পাঠাতাম। ভার্চুয়ালি সে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যেত। চোখ বন্ধ করলে ঠিক যেন অনুভব করতাম স্পর্শটা। কাল অনেক চেষ্টা করলাম, স্পর্শটা ভুলে গেছি। স্পর্শ মনে করার সেই চেষ্টা আমার ঘুমকে আরো দূরে সরিয়ে নিল। মাথায় হাত বুলানোটা আমার এত্ত পছন্দের।

বিস্তারিত»