কৃতজ্ঞতাঃ অভ্র এবং মেহদীর কাছে

নানা কারনে ব্লগে আগের মত ঘন ঘন লিখতে পারিনা। তবে খুশির খবর হচ্ছে লেখালেখিকে লক্ষ্য বানিয়ে কর্মপদ্ধতি সাজিয়ে নিচ্ছি, যাতে মনের মত করে লিখতে পারি।

সবাই যে বয়সে কবি হয়, আমি সে বয়সে কবি ছিলাম, সবাই যে বয়সে রচনা প্রতিযোগীতা কিংবা রহস্য পত্রিকায় লেখা পাঠায়, যায় যায় দিনের বিশেষ সংখ্যায় লেখা পাঠিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনে আমিও সেই বয়সে লিখতাম তাদের মত করে, দুরু দুরু বুকে হলুদ দুইটাকার খামে পৃষ্টার একদিকে লিখে লাল বাক্সে ফেলে আসতাম। এর পরে ধম বন্ধ করা অপেক্ষা, মাদকতাময় অপেক্ষার প্রহর। এর পরে লেখালিখি বন্ধ ছিল অনেকদিন, কারনটা হতে পারে বয়ঃসন্ধির সময়টা পেরিয়ে এসেছি, বা অনুভূতিগুলো মরে গিয়েছিল, অথবা, অথবা হতে পারে কাগজ কলমের চেয়ে বেশি একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম কম্পিউটারে। যেখানে আমার প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইংরেজী।

আমি বাংলায় লিখতে চাইনি তা নয়। আমি বিজয় ইন্সটল করেছি, এখনও আমার ল্যাপটপে বিজয় আছে, আমি বিজয়ে লেখার চেস্টাও করেছি কিছুদিন, কিন্তু আমার বুঝতে সময় লাগেনি যে বিজয় আমার জন্য নয়, আমিও হয়ত বাংলায় আর লিখতে পারবো না কোনদিন। এটা আমার কাছে খুব একটা আক্ষেপের মত মনে হয় নি কখনই, কারন আমি যদি বাংলায় লিখতে খুবই আগ্রহী হতাম, বিজয় আমি শিখে ফেলতাম, বিজয় শেখা আমার তালিকার একদম উপরেই থাকতো।

কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য, জীবিকার তাগিদের জন্যই এটা ছিল আমার তালিকার একদম শেষের দিকে, দিনের দশমিনিটের বেশি আমি তাকে দিতে পারিনি কখনই।

আমি অভ্রর খবর পাই সচল থেকে, প্রথম অভ্র নামাই সচলে দেয়া হাইপারলিংক থেকেই। অভ্র দিয়ে লেখার প্রথম দিনেই আমি বুঝে যাই, বাংলায় এখন লিখতে আমার মোটেই কষ্ট হবে না। আমি মনের আনন্দে বাংলায় লিখতে থাকি। “বাংলায় লিখতে পারা” আমার কাছ থেকে অনেক সময় কেড়ে নেয়, আমি দিনরাত বাংলায় লিখতে থাকি, বউ রাগ করে, কলিগরা অবাক হয়, কিন্তু আমার মধ্যে তখন প্রশান্তি আর প্রশান্তি, আমি বাংলায় লিখতে পারছি। আমি ব্লগ লিখি, আমি গল্প লিখি, আমি কবিতা লিখি, ঠিক যেভাবে লিখতাম বয়ঃসন্ধিতে।

কম্পিউটারে বাংলায় লেখা আমার তালিকার উপরের দিকে চলে আসে। আমি মেইল করি বাংলায়, আমি চ্যাট করি বাংলায়, আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস আসে বাংলায়।

লিখে লিখে আমি হয়ত খুব বড় মাপের কোন কিছু বাংলা সাহিত্যে দিয়ে যেতে পারবো না, আর তাতে কারও কোন ক্ষতিও তো নেই। কিন্তু বাংলায় লিখতে পারার যে আনন্দ আমি পাচ্ছি তাতে তো কোন খাদ নেই। কৃত্রিমতা নেই।

তাই আমি অভ্র এবং এর রূপকার মেহদীর কাছে কৃতজ্ঞ।

যদিও আমি জানি নিঃস্বার্থ মানুষেরা এসবের কথা ভেবে কাজ করেন না, তারা এসবের অনেক অনেক উপরে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, এই লোকের গুনগান না করতে পারলে নিজের কাছেই নিজেকে ছোট করে ফেলবো। তাই আমার এই ব্লগীয় চিৎকার।

মেহদী, আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ ভাই, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকাররা যতই তোমাকে চোর বলুক না কেন।

৭,৭৬৯ বার দেখা হয়েছে

৬৪ টি মন্তব্য : “কৃতজ্ঞতাঃ অভ্র এবং মেহদীর কাছে”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অভ্র এর কারনেই আমরা বাংলিশ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বাংলায় লেখালেখি করছি। অভ্র তৈরীর পেছনের সকলকে স্যালুট :salute: :salute:

    বিজয় নিয়ে আর কি বলবো, বহু সাধনা করেও ওটাকে বাগে আনতে পারিনি :no:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. তৌফিক (৯৬-০২)

    এই ইস্যুতে লেখা না আসলে এইবেলা আমিই বইসা পড়তাম, ফয়েজ ভাইরে ধন্যবাদ।

    জব্বার কাগুর শাস্তি হিসাবে বিজয় কিবোর্ডটারে একটু উলটা পালটা করে শিখানো হোক। অথবা তার বিজয় দিয়াই তারে এক লক্ষ বার টাইপ করানো হোক, "অভ্র রক্করে"

    মুখ খারাপ করে গালি দিলাম না, বউ পাশেই আছে।

    মেহেদী ভাইরে স্যালুট। উনি কিন্তু আবার আমার শহরের মেডিক্যালেই পড়েন। 🙂

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    বিজয় দিয়ে লেখা আমাকে দিয়ে মনে হয় কখনও লেখা হয়ে উঠত না, তাহলে যত্র-তত্র বাংলায় টাইপ করে দু-কথা বলার সুযোগটুকু কখনও হয়ে উঠত না। অভ্র আসায় আমার মত অলস মানুষেরও মনের ভাব সহজে প্রকাশ করার একটা সুযোগ হয়ে গেল। ফয়েজ ভাইয়ের মত করেই বলতে হয়- তাতে বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু আমার মনের যে প্রশান্তি- তার মূল্য আমার কাছে অনেক।

    অভ্র আর তার রূপকার মেহেদী ভাইকে স্যালুট। :salute:

    জবাব দিন
  4. ইফতেখার (৯৫-০১)

    অভ্র না দেখলে কোনোদিনই হয়ত আমি বাংলা লেখা শিখতে পারতাম না। কীবোর্ডে লেখা দেখবো একটা, আর লিখবো আরেকটা (ফিক্সড লেআউট আর কি) এতবড় ভিসনারি আমি না। কি যে খুশি লেগেছিলো অভ্রতে যেদিন প্রথম লিখি 'আমি বাংলায় গান গাই' - অভ্রতে উদহারন হিসেবে এটাই থাকতো।

    এখন অবশ্য আর অভ্র ব্যবহার করা হয় না। হাসিন হায়দারের ফনেটিক আর সিউল রায়হানের রোকেয়া ই এখন আমার সম্বল ... কিন্তু অভ্রএর কাছে যারপরনাই কৃতজ্ঞ, ওটা না থাকলে হয়ত লেখা শিখতামই না।

    এসব অল্টারনেটিভ আসার পর জব্বর কাগু পেটে ব্যপক লাত্থি খায়া এখন উল্টাপাল্টা বকতেসে (হোক উনি একজন 'সম্মানিত' ব্যক্তি, উনি উনার কাজকর্মের মধ্যে সম্মানের কিছুই রাখেননি)।

    জবাব দিন
  5. রাশেদ (৯৯-০৫)

    ব্লগে লেখালেখি নিয়ে যদি কোন দিন কাউকে আমার কৃ্তজ্ঞতা জানাতে হয় তাহলে প্রথমে সবার উপরে থাকবে অভ্র। আমি ব্লগে পাঠক হিসেবে বহু পুরান কিন্তু তখন লিখতে ইচ্ছে করলেও লেখা হয় নায় কারণ বিজয় দিয়ে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই অভ্র সত্যিকার অর্থে আমার জন্য নতুন একটা দিক খুলে দিয়েছে।

    আর মেহেদী ভাইকে খালি যে শুধু অভ্রের জন্য ভালু পাই তা না লোকটা এমনিতেই দারুণ। উনার মত বিনয়ী মানুষ আমার চারপাশে আমি সত্যিই খুব কম দেখেছি। আশা করি একদিন মেহেদী ভাই একুশে পদক পাবে।


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  6. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    আপনার দেখা লিংকটা পড়ে একটু কনফিউজড ছিলাম, কেনো জব্বার সাহেব অভ্রকে পাইরেটেড বলছেন। ফ্রী জিনিস পাইরেটেদ হয় কেম্নে?? আর ইফতেখারের দেয়া ছবিটা দেখে বুঝলাম, প্রথম বাংলাতে কি বোর্ড বানিয়েছেন দেখে জব্বার সাহেব মনে হয় বাংলা কি বোর্ড লে আউটের মালিকানা নিয়ে নিয়েছেন।

    যা হোক, অভ্র আর মেহেদীকে :salute: :salute: :salute:

    জবাব দিন
  7. রকিব (০১-০৭)

    পরীক্ষা আছে, তারপরো লগ ইন না করে পারলাম না। এবছর মাতৃভাষা দিবসে নিজস্ব ব্লগে প্রকাশিত এক পোষ্টের একটা উদ্ধৃতি তুলে দিচ্ছিঃ

    আর বিশেষ ধন্যবাদ দুটি ভিন্ন মঞ্চের জন্য বরাদ্দ। সিসিবি আর ওমিক্রন ল্যাব (অভ্র কি-বোর্ড)- যাদের জন্য আমি আবারো উপলব্ধি করেছি; বাংলায় লিখতে পারা বাঙ্গালির জন্য কত সাবলীল, কতটা সুখকর।

    পরিশেষে, উপরে ইফতেখার ভাইয়ের কমেন্টে দেয়া জনাব মোস্তফা জব্বারের স্ট্যাটাসের প্রশ্নটার একটা জবাব দেবার ইচ্ছে হচ্ছে। ব্লগে প্রচুর টেকি বিশেষজ্ঞ কিংবা প্রফেশনাল সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এর জবাবটা একটা ব্লগ আকারে দেয়া হোক, যেটা আমরা জব্বার সাহেবের কাছে পাঠাবার ব্যবস্থা করবো। আফটার অল, What is piracy?- এপ্রশ্নের জবাব জানাটা উনার জন্য এখন ফরয হয়ে গেছে।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  8. রাব্বী (৯২-৯৮)

    অভ্র তৈরি করে মেহেদী যে বাংলার জগতে কি জোয়ার এনেছে ইন্টারনেটে তা আসলে শুধু ধন্যবাদ জানিয়ে প্রকাশ করা যায় না। অভ্রর লেখা দেখতেও খুব ভাল লাগে। তরুণ এক মেডিকেল ছাত্র এত বড় একটা কাজ করলো জেনে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু একসময় রুটিরুজির কারণে বিজয় শিখতে হয়েছিল, তাই আমি অভ্রতে ইউনিবিজয় দিয়ে লিখি।

    মালিকানা ও পাইরেসির বিষয়ে আমার ধারণা কম। অভ্র কি কারণে পাইরেটেট বলা হয়েছে জানিনা। কিন্তু এটা যদি ইউনিবিজয় অভ্রতে যুক্ত করার কারণে হয়ে থাকে, তাহলে বলবো, এখন তো পার্টনারশীপের যুগ। পত্রিকায় অভ্রর বিরুদ্ধে বিষোধাগার না ছড়িয়ে বক্তব্য অন্যভাবে আসলে বোধহয় তা গঠনমূলক হতো। মনে হয় না, চাইলেও বিজয় এখন অভ্রর স্থান নিতে পারবে।

    জয়তু অভ্র।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

      আমি আজকাল মানুষকে ওপেন সোর্স ইউজ করার ব্যাপারে ইনসিস্ট করি। সৎভাবে কম্পিউটিং যদি করতেই হয় তাহলে ওপেন সোর্স এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে বাংলাদেশিদের জন্য? কারণ আমি মোটামুটি শিওর, ১২০০০টাকা খরচ করে জেনুইন উইন্ডোজ কেনার খায়েশ অধিকাংশের-ই নাই। লিনাক্স-এর জি এন ইউ প্রজেক্ট এর আন্ডারে যে সব ডিস্ট্রোগুলা আছে সেগুলা তে আমাদের অফিস-আদালত গুলি'র অভ্যস্ত হওয়া উচিত। ভাইরাসের টেনশন নাই, ফ্রেন্ডলি GUI, এবং সাধারনত যেসব প্রোগ্রাম আমরা ব্যবহার করি তার সবই দেওয়া (ওপেন অফিস, ফটো এডিটর আরো অনেক)।
      মেহেদি তো বলেছেই যে এটা ওপেন সোর্স, আর তার ইউনিজয় লেআউটের ক্ষেত্রে সেখানেও ডীক্লেয়ার করা আছে। জব্বার হালায় হুদাই ফট ফট করতেয়াসে!! ওপেন সোর্স-এর মর্তবা ওরে বুঝানো দরকার।

      জবাব দিন
  9. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    মেহেদী ভাইরে জেনারেল :salute: উনার সম্পর্কে তো কিছুই জানি না বলা যায়। কেউ উনারে নিয়া একখান ব্লগ দেন। এই কাগুরে সবাই চেনে, কিন্তু মেহেদী ভাইরে এই পোস্টের আগে আমিও চিনতাম না 🙁

    জবাব দিন
  10. সাজিদ (২০০২-২০০৮)

    বাচ্চা কালে প্রথম প্রথম আব্বার অফিসের কম্পিউটারে বিজয় পাইসিলাম কোনদিন ব্যবহার করি নাই করাও হবে না, সিসিবির কল্যানে অভ্রর সাথে পরিচয় হইসে এবং নেটে আমার প্রথম বাংলা লেখাও অভ্র দিয়ে এইজন্য সিসিবি, অভ্র আর মেহদী ভাইএর কাছে কৃতজ্ঞ। ফেসবুকে বাংলা লেখার জন্য কিছুদিন লাফালাফি করসিলাম, সবার কাছে অভ্র বিলি করসিলাম কিন্তু পরে উৎসাহে কিছুটা ভাটা পরসে। কেউ আগ্রহী হলে এখানে ঢু মারতে পারেন।
    অফ টপিকঃ ওনার নাম মেহদী হবে মনে হয় মেহেদী না

    জবাব দিন
  11. আজাদ (৯৪-০০)

    আমি জনকন্ঠে মোস্তফা জব্বারের একটা লেখা পড়ে বিরক্ত হয়ে তাকে মেইল দেই । এটার রিপ্লাই তে উনি দাবি করেছেন

    Avro will not be a pirated software if they do not include my patented Keyboard layout Bijoy.

    আমি যদিও অভ্র ছাড়া কিছু ব্যাবহার করি না এবং মোস্তফা জব্বার কে অপছন্দ করি কিন্ত তার এই দাবি যে মিথ্যা তা প্রমান হবার প্রয়োজন মনে করি। পাইরেসি বা এর অভিযোগ তা যতই ফাউল মানুষের কাছ থেকে আসুক না কেনো তার যথাযথ খন্ডন হলে আমাদের সফটঅয়ার শিল্প উপকৃত হবে।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      আজাদ ভাই,বস রাগ কইরেন না প্লিজ আমি আসলে জানি না-জানার জন্য প্রশ্নটা করতেছি।পেটেন্টেড জিনিস বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করলে তো পাইরেসি হয় বইলাই জানি(বস,প্লিজ আবার কই-খেইপেন না।আমার এই ধারণাটা সম্পূর্ণ অজ্ঞানতাপ্রসূত)।অভ্র যদি বিজয়ের লেয়াউট বিনা অনুমতিতে নিয়া থাকে-সেই ক্ষেত্রে কি জব্বার কাগুর বক্তব্য সঠিক?

      অফ টপিক-আমি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটে বিশ্বাস করিনা কারণ প্রত্যেক ধরণের জ্ঞানই পূর্বে অর্জিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়।নিউটনের সূত্র বা আইন্সটাইনের থিয়োরি যদি উনারা পেটেন্ট কইরা বইসা থাকতেন তাহইলে কি হইতো ভাবতেই ভয় লাগে!

      জবাব দিন
      • রকিব (০১-০৭)

        মাস্ফ্যুদা, সচলের ব্লগার দ্রোহীর একটা মন্তব্য তুলে দিচ্ছিঃ

        দুটো কিবোর্ড লে-আউটে যদি একটা অক্ষরের অবস্থানের পার্থক্য থাকে তাহলে লে-আউট দুটিকে স্বতন্ত্র লে-আউট বলে ধরা হয়। ইচ্ছা করলে লে-আউট দুটোকে আলাদা নামে বা কাছাকাছি নামে পেটেন্ট করা যায়।

        অভ্রে ব্যবহৃত ইউনিবিজয় লে-আউটটির সাথে বিজয় লে-আউটের কয়েকটি অক্ষরের অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে। ফলে আইনগতভাবে দুটো লে-আউটকে আলাদা লে-আউট হিসাবে গণ্য করতে হবে।

        অর্থাৎ একটি লে-আউট চুরি করে আরেকটি তৈরি হয়েছে কথাটি আইনগতভাবে ধোপে টিকবে না।

        অভ্রের বিরুদ্ধে মোস্তফা জব্বারের রাগের মূল কারণটি পুরোপুরি ব্যবসায়িক। ইউএনডিপি নির্বাচন কমিশনের কাজে অভ্র নামের এই বিনামূল্যের সফটঅয়্যারটি ব্যবহার করার কারণে মোস্তফা জব্বার বিজয় বিক্রি করে পয়সা রোজগার করতে পারেননি। মোস্তফা জব্বারের হিসাবমতে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজয় বিক্রি বাবদ তিনি প্রায় ৫ কোটি টাকা উপার্জন করতে পারতেন।

        আশা করছি মোস্তফা জব্বারের অপপ্রচারের কারণটা বুঝতে পারছেন।


        আমি তবু বলি:
        এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

        জবাব দিন
      • আজাদ (৯৪-০০)

        সত্যি বলতে আমার ধারনাও খুব পরিষ্কার না।
        পেটেন্টেড জিনিস বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করলে পাইরেসি হয় বলেই আমি মনে করি, কিন্তু এটা অবশ্যি নির্ভর করে দেশের আইনের ওপর এবং পেটেন্টের ধরনের উপর। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটে আমরা বিশ্বাস করি কি করি না সেটা বড় কথা না বড় কথা হল এই ব্যাপারে আইন কি বলে।

        তবে একটা ব্যাপার আমার জানতে ইচ্ছা করে, অভ্র বিজয় লেআউট কিভাবে ব্যাবহার করেছে। যেমন - লিনাক্স এর ওপেন অফিস মাইক্রোসফট এর ফরম্যাট .doc ফাইল পড়তে পারে, কিন্তু .doc মাইক্রোসফট এর পেটেন্টেড ফরম্যাট এবং পাবলিকলি পাওয়া যেত না।
        কিন্তু ওপেন সোর্সার রা ঠিকই (reverse engineering) করে ওইটা বের করে ইউজ করছে, এবং এইটা কিন্তু পাইরেসি হিসাবে গন্য হয় নাই।
        এইজন্য পুরা ব্যাপারটা নির্ভর করছে অভ্র বিজয় লেআউট কিভাবে ব্যাবহার করেছে তার উপর।

        অ,ট, মাসরুফ - তুমি বার বার 'খেইপেন না' বলতেছ কেন? তুমি যদি ভেবে থাক আমি মোস্তফা জব্বার কে পছন্দ করি তাহলে মস্ত ভুল ভেবেছ। আমি জাষ্ট বলতে চেয়েছি "অভিযোগ তা যতই ফাউল মানুষের কাছ থেকে আসুক না কেনো তার যথাযথ খন্ডন হওয়া ভাল"।
        এটা আমাদের পরমত সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে 🙂 ।

        জবাব দিন
      • আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

        ডুড, যায়া দেখে আয়, ডিক্লারেশন দেয়া আছে - ইউনিজয় এর লেআউট বিজয়ের সাথে মিল, কিন্তু 'কপিরাইট জটিলতা এড়াতে' সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
        যাই হোক, মেহেদী হাসান কিন্তু এটা ইনক্লুড করসে শুধু যারা বিজয় ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের জন্য। মূল উদ্দেশ্য কিন্তু ফোনেটিক রাইটিং কে প্রোমোট করা, ওপেন সোর্স কে প্রোমোট করা।
        মনে হয় বুঝতাসস, কি 😉 ?

        জবাব দিন
  12. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অন্য একটা ফোরামে এটা পেলাম, বিজয় আর ইউনিবিজয়ের মধ্যে পার্থক্য
    1
    2


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  13. এত কিছুর পরেও এখনও দেখি,কিছু লোক টাকা খরচ করে বাংলা টাইপিং এ ভর্তি হয়,বিজয় শিখার জন্য।আমি বুঝে পাই না,এত জটিলভাবে টাইপ শিখার দরকার কি?অভ্রতে টাইপিং এতই সোজা যে,পৃথিবীর যে কোন কিবোর্ড,এমনকি জাপানী লেখা কি বোর্ডও যদি আমাদের কাছে এনে দেয়া হয়,অনায়াসে টাইপ করে দিতে পারব।:P

    জবাব দিন
  14. মাহমুদ (৯৫-০১)

    অভ্রকে ধণ্যবাদ আরও একটা কারনে...
    At least কম্পউটার অন করার সাথে সাথে মিঃ জব্বর (!) সাহেবের সুন্দর সুরতখানা দেখতে হয়না :guitar:
    অভ্র'র খোজ পাওয়ার পর আমাদের অফিসের সব কম্পউটার থেকে বিজয়ের গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়েছে... 😀

    জবাব দিন
  15. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অভ্র-বিজয় বিতর্ক নিয়ে কিছু বলার নাই। এইরকম তর্ক-লড়াই জ্ঞানের সব ক্ষেত্রেই চলতে থাকবে।

    আমার অভিজ্ঞতা অধিকাংশের সঙ্গে মিলবে না। পেশাগত কারণেরই আমার বিজয় শেখা হয়েছে আগে। ফলে বিজয় কিবোর্ড আমার এক আঙুলের আয়ত্ত্বে। এ দিয়েই এতোবছর চালিয়ে এসেছি। ব্লগে এসেই প্রথম ইউনিজয় পরে অভ্র ব্যবহার শুরু। বিজয়ের সঙ্গে অভ্রের তফাৎটা সামান্যই। ৎ, ঁ, ঃ, ং, ঙ; এরকম কিছু অক্ষর ছাড়া বাকি প্রায় পুরোটাই এক। ইউনিজয়ে কিছু সমস্যা হতো। ই, ঈ, এ-কার ইত্যাদি নিয়ে। অভ্রে তাও নেই। একেবারে বিজয়ের মতো করেই লিখছি। ফলে এই দুটো কিবোর্ডে আমি একইরকম অভ্যস্ত হয়ে গেছি।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কচুপাতা (১৯৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।