অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ৬

[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
গত পর্ব

১৪

-এই আশিক শুনেছিস, আমাদের কলেজে যে নতুন ইংরেজির টিচার আসার কথা উনি কিন্তু ম্যাডাম।
-কি? চাপা মারার জায়গা পাস না না শালা। তোর কথা তো আমি কোনদিন বিশ্বাস করুম না। গতকাল ও কি জানি কইয়া আমারে ঘোল খাওয়াইছস।
-নাহ দোস্ত আমি লাইব্রেরিতে গেছিলাম তখন আজিজ স্যার কে কথা বলতে শুনছি আলমগীর স্যারের সাথে।
উপলের সিরিয়াসনেস দেখে একটু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে আশিকের। কিন্তু কথাটা অন্য কাউকে বলার আগে আরেকটু শিউর হওয়া দরকার। পিছনেই ছিল সাজিদ। ও আবার কলেজ প্রিফেক্ট । সত্য কথা জানলে ওই জানার কথা। তাই ওকেই জিজ্ঞেস করল আশিক।
দুজনের কথা শুনলেও এতক্ষণ অন্য কাজে ব্যস্ত এর ভান করছিল সাজিদ। কলেজ প্রিফেক্ট হলে এটা সবসময় দরকারী। যে কোন কাজে তোমকে ব্যস্ত থাকতেই হবে। যদিও ম্যাডাম আসছে এই কথা শুনে মনে মনে ও ও চমকে উঠেছে। মুখ দিয়ে প্রায় বের হয়ে গিয়েছিল সত্যি নাকি। কিন্তু তাহলেই গিয়েছিল তার প্রেস্টিজ। কলেজ প্রিফেক্ট হিসেবে কলেজের সব খবর তারই আগে পাওয়ার অধিকার। সেটা যদি অন্য কারো কাছ থেকে শুনতে হয় তাহলে কি আর প্রেস্টিজ থাকে। এই যে আশিক ওকে এখন জিজ্ঞেস করেছে এইটা সত্য নাকি এখন তাকে একটা কূটনৈতিক উত্তর দিতে হবে যাতে কোন মতেই বোঝা না যায় যে ও এইটা সম্বন্ধে জানেনা আবার হ্যা ও বলা যাবে না কারন পরে যদি দেখা যায় আসলেই উপল এইটা চাপা মারছে তাহলে আরো বড় ধরা খাবে ও। এই জন্যই প্রথমবার সে কোন উত্তর দিল না। ভাবল কি বলা যায়।
দ্বিতীয়বার আশিক ওকে জিজ্ঞেস করার পর ও মুখ খুলল।
“হুমম , এখনো পুরাপুরি ঠিক হয়নি। সেদিন আমাকে প্রিন্সিপ্যাল স্যার ডেকেছিলেন। আমাকে বলে দিয়েছে একজন ম্যাডাম আমাদের কলেজে আসতে পারেন। যেহেতু এতদিন আমাদের কলেজে কোন ম্যাডাম ছিল না যেন কোন সিনক্রিয়েট কিংবা খারাপ কিছু না ঘটে। অবশ্য আসবেই যে এখনো শিউর হয়নি। নতুন কিছু স্যার ম্যাডাম যোগ দিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কয়েকজন ম্যাডাম আছেন। আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।”
এই উত্তর দিতে পেরে সাজিদ নিজেই খুশি হয়ে গেল। কেউ বুঝতে পারেনি ও যে কিছুই জানেনা। একটু পরেই কাজের ভান করে চলে যেতে হবে এডজুট্যান্ট এর রুমে। ওখানে গেলেই নতুন নতুন খবর পাওয়া যাবে। কলেজ প্রিফেক্ট হওয়ার বহুত ঝামেলা আছে। এই কথা ভাবতে ভাবতেই সাজিদ উঠে চলে গেল । ক্লাসের সময় যদি কলেজ প্রিফেক্ট ক্লাসে বসে থাকে তাহলেও একটু ভাব কমে যায়। তাকে থাকতে হবে তখন এখানে ওখানে। কোথাও যদি কাজ না থাকে তাহলে চলে যেতে হবে লাইব্রেরীতে। যেতে যেতেই দেখল একটা ছেলে পিছনের দিকের জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছে । ক্লাস নাইনের হবে হয়ত। এই গরমের দিনে আমগাছের আম গুলা সবাইকেই খুব টানে। আর ক্লাস নাইনটাই হল এইসব করার। প্রচুর পাংগা খাবে আর ঘাউরামি করবে। who is there এই কথাটা বলতে গিয়েও বলা হল না সাজিদের। করিডর থেকে ওই ছেলেকে দেখতে দেখতে ৬ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল ওর। সেই সাথে কলেজের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যজনক অধ্যায়ের। যেটার সূত্রপাত ঘটেছিল তাকে দিয়ে।
সেদিন যদি মাসুদ ভাই সেই ঘটনা কলেজের অথরিটির কাছে বলে দিতেন তাহলে যে কি হত আল্লাহ মাবুদ। কলেজ তখন চরম উত্তেজনায়। ২ দিন আগে ভিপি স্যার মারা গেছেন। খুন নাকি অন্য কিছু কেউ বুঝছিল না। তার এক মাস আগে থেকেই সাজিদের সাথে সামিয়া আপুর দেখা। মাঝে মাঝেই তাকে নিয়ে কোথায় কোথায় যেত আপু। পিছনের পাহাড়ের উপরে এসে ওকে ডাক দিত। অন্য কেউ শুনতে পেত না সেই ডাক। যেদিন ভিপি স্যার মারা গেলেন তার আগের রাতের কথা তার মনে নেই কিছুই। শুধু মনে আছে সে রাতেও সামিয়া আপু এসেছিলেন আর তাকে নিয়ে গিয়েছিল কোথায় যেন। এরপর আর কিছু মনে নেই । পরে দেখল সে শুয়ে আছে তার বিছানায় আর কলেজে নাকি তুমুল হৈচৈ। অনেক রহস্যজনক ঘটনা, সে নাকি ১ রাত ছিলই না হাউসে। বোকামি করে নি সাজিদ। কাউকে সামিয়া আপুর কথা কিছু বলেনি। তারপরই তো সেই ঘটনা। সামিয়া আপু তাকে বলেছিল বাথরুমের টাওয়েল স্ট্যান্ড হাতে নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যেতে রাতের ১২ টায়। শুনেই আত্মা শুকিয়ে গিয়েছিল সাজিদের। তার উপর তখন ভিপি স্যার এর অস্বাভাবিক মৃত্যু। রাতের বেলা ধরা পড়ে গেল সে মাসুদ ভাইর হাতে। মাসুদ ভাই তখনকার কলেজ প্রিফেক্ট। একবার ও কথা হয়নি এর আগে। ক্লাস ৮ এর কেউ তাকালেই তখন বুক শুকিয়ে যায় আর কলেজ প্রিফেক্ট তো বিশাল ব্যাপার। সে খেয়াল করেছে কলেজ প্রিফেক্ট এর সাথে তার ক্লাসের সবাইও বেশ সমঝে কথা বলে।
মাসুদ ভাই যখন বলেছিল who is this? তখনই সে ফ্রিজ হয়ে গেছিল। এরপর মাসুদ ভাই কাছে আসার পর হাউমাউ করে কান্না। কি বুঝেছিল মাসুদ ভাই কে জানে তাকে নিজের রুমে নিয়ে গেছিল। হয়তবা ওনার ও পুরা ব্যাপার টা রহস্যজনক মনে হয়েছিল। সেখানে গিয়েই সেই একবারই কাউকে সামিয়া আপুর কাহিনী বলেছিল সাজিদ। সব শুনে তাকে রুম পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়েছিলেন মাসুদ ভাই এবং সাবধান করে দিয়েছিলেন এই কথা যেন কাউকে না বলে তিনিও আজ রাতে কিছুই দেখেন নি। সাজিদ কিভাবে জানবে তার আগের রাতেই যে সামিয়া আপু মাসুদ ভাইর সাথেও দেখা করেছিলেন। সেটা সে জেনেছিল আরো ৩ বছর পরে যেবার রিইউনিয়নে মাসুদ ভাই এসেই ওকে খুঁজে বের করেছিলেন। এরপর গোপনে হাউসের ছাদের উপরে আলাপ করেছিলেন এটা নিয়ে। তিনিও নাকি আজ পর্যন্ত আর কাউকে এটা বলেন নি। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন সামিয়া আপু আর এসেছিলেন কিনা। নাহ আর আসেনি সামিয়া আপু। আর ভিপি স্যারের মৃত্যু রহস্য কিভাবে যেন ধামাচাঁপা দেওয়া হয়েছিল।
-কি সাজিদ এখানে দাঁড়িয়ে কি করছ?
রকিব স্যারের কথায় চমক ফিরল সাজিদের।
-নাহ স্যার এইত
-অনেকক্ষণ দেখলাম এখানে দাঁড়িয়ে আছ। ব্যাপার কি।
-আমার স্যার এডজুট্যান্ট স্যারের সাথে একটু কাজ আছে আমি আসি স্যার।

১৫

-may i come in sir
-yes sajid, come in. i am about to call you.
-anything wrong sir?
-no no , not at all. but something to say you. you know , a new English teacher is coming in your college. and this time it is a she teacher. as you never saw a madam here , we are a bit anxious about the surroundings for her. junior classes dare to do anything but you guy should make understand class 11 and 12 that any bad manners will not be excused.
– yes sir, i will.
-okk you can go.
সাজিদ চলে আসছিল তখন আবার জিজ্ঞস করল
-sir, what is her name?
-ohh , ummm i think samia , samia jaman.
বুকটা কেঁপে উঠল সাজিদের। সে যেন জানত সামিয়াই হবে এই ম্যাডামের নাম। সামিয়া আপু আসছে। ৬ বছর আগে যেই কাজ উনি শেষ করতে পারেন নি সেটা নিজেই করার জন্য এবার তিনি কলেজে আসছেন। হতবাক সাজিদকে দেখে
-any more inquiry sajid?
-no sir, its alright. thank you.
ক্লাসে আসার মুহূর্তে সাজিদের মাথা কাজ করছে না। এইবার কি হবে। তার মন বলছে এই সামিয়া জামান ই সেই সামিয়া আপু। আর এটা যদি ঠিক হয় তাহলে খুব শীঘ্রই কিছু একটা হবে। কারন বর্তমান কলেজ অথরিটিও খুব খারাপ। শুধু ভিপি স্যার নয়, প্রিন্সিপ্যাল , হাউসের হাউস মাষ্টার দের মধ্যে ২ জন সবাই খুব খাইস্টা। ক্যাডেটদের বাঁচিয়ে রেখেছেন এই এডজুট্যান্ট মেজর গাফফার। কত জিনিস যে তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়ে ক্যাডেটকে বাঁচান। এমনিতে ক্যাডেটদের সাথে তিনি খুব খারাপ ব্যবহার করেন। ফল্ট পেলে তিনি প্রচুর পানিশমেন্ট দেন । কিন্তু সিনিয়র ক্লাস এমন কি প্রিফেক্ট ছাড়া আর ভুক্তভোগী ছাড়া আর খুব কম ক্যাডেটই জানে যে এইসব পানিশমেন্ট আর ছোটখাট লোক দেখানো কিছু করে তিনি কত কলেজের সিরিয়াস একশন এবং অথরিটির ঝামেলা থেকে বাঁচান।
ক্লাসে এসে নিজের কাজ ঠিক করে সাজিদ। এমনিতেই কলেজ প্রিফেক্ট হিসেবে তার কাজ অনেক। আর এটা যদি সামিয়া আপু হয় ওর কাজ আরো বেড়ে যাবে। কেউ যেন ম্যাডাম এর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে না পারে। সবার আগে নিজের ক্লাসের ছেলেপিলেকে বুঝাতে হবে। তারপর কৌশলে ১১ কে । ১১ ই হল আসল ঝামেলা। ওদের হ্যন্ডল করাটা বিরাট কৌশলের। কোনমতেই ওদের বুঝতে দেওয়া যাবে না যে ওদের কে কন্ট্রোলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বারবার সাজিদের চিন্তা চলে যাচ্ছে, সামিয়া আপু কেন আসছে ? একেবারে সশরীরে। কি হবে এইবার?

পরের পর্ব

৩৭ টি মন্তব্য : “অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ৬”

  1. চরম!!!

    উপন্যাসে অনেক কিছুর বিস্তৃত বর্ণনা দরকার...যেটা আমি আমার পর্বে করতে পারি নাই...:( আপনি উড়ায়া দিলেন...

    লেখা চরম...কাহিনী আরও চরম...আপনার জন্য (বিপ্লব)

    জবাব দিন
  2. অসাধারণ হয়েছে এই পর্বটা। কাহিনী আরও গোছানো হয়েছে। এখান থেকে আশাকরি অনেকেই লিখতে আগ্রহী হবে।
    ব্লগে যারা নতুন তাদেরকে অনুরোধ করবো আগের পর্বগুলো পড়ে নিন। মজা পাবেন। সেই সাথে পরের পর্ব লেখার সিদ্ধান্তটাও নিতে পারবেন।
    পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।

    জবাব দিন
  3. সবগুলো পর্ব পড়লাম, এমন "গুছানো হয়েছে" যে মাথায় কিছুই
    ঢুকতাসেনা। (আসলে কদিন ধইরা একটা রোমান্টিক ব্লগ মাথায় নিয়া বেড়াইতেসি,
    তাই এইসব কঠিন বিষয় পারমু না।)
    সামিয়া অথবা শামস ভাইয়ের লেখার কথা ছিল। এরা পালায়া আছে ক্যান? সাব্বির ভাই ট্রাই করবেন কি?
    কুচ্ছিত হাঁসের ছানা, বন্য ফুয়াদ, হাসনাইন কই গেল?

    জবাব দিন
  4. আপনে 'পুরানো' হইতে হইতে কাহিনী আরো গিট্টু লাগবে মনে হয়।

    মডারেটরস,
    "অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ" ধারাবাহিকের প্রবক্তা কে? কার মস্তিষ্কপ্রসূত? 'বোকাসোকা' ভাই নাকি? তাকে congratulation পৌঁছায়া দিও।

    জবাব দিন
  5. ধন্যবাদ সবাইকে। কিন্তু কেউ লেখার জন্য হাত তুলল না। আমি দুইবার লিখে ফেললাম। কারো এই ব্যাপারে কোন গিয়ার নাই কেন? আর কনক এর একটা ধারাবাহিক কবিতা ছিল ঐটার কি হল? জিহাদ এর টার নতুন পর্ব আসে না কেন?

    জবাব দিন
  6. @মাশরুফ
    মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, তুইই পরের পর্বটা লেখার জন্যে পারফেক্ট ব্যক্তি।
    Come on dear.

    @তপু ভাই
    সাজেদের CP চরিত্রটা পড়ে মনে হচ্ছিলো, লেখকও বুঝি CP ছিলেন।

    জবাব দিন
  7. (ব্যক্তিগত পর্যালোচনা)
    সামিয়া যখন সেভেনে 'অংকুর' ছাড়ে তখন ওর বয়স ১৩ হবে।
    পর্ব-৩এ ৩০ বছর আগের কাহিনী বলা হয়েছে। অর্থাৎ ভিপি মারা যাবার সময়ে সামিয়া আপুর বয়স ৪৩।
    তার মানে পর্ব-৬এর সামিয়া ম্যাডাম (৪৩+৫) ৪৮ বছরের একজন যৌবনলুপ্তা মহিলা।
    এই হইলো বাস্তবের সামিয়া। আর পরীটা??
    ওফফফ, মাথায় কিছুই ঢুকতাসেনা।

    জবাব দিন
  8. ভাইয়া আপনি একটু বেশি চিন্তা করে ফেলেছেন। পরী সম্বন্ধে আপনার ধারণা খুব কম দেখি। সামিয়া অঙ্কুর যখন ছাড়ে তখন তার বয়স ১৩ এটা ঠিক আছে। এরপর কেউ আর সামিয়ার কোন খবর জানেনা। এরপর যদি ধরি যে সামিয়া পরী হয়ে গেছে তাহলে বয়স, যৌবন এইসব মানুষের হিসাব থেকে পরীর হিসাবে চলে গেছে। আপনাকে কে বলল পরী দেশে ৩৬৫ দিনেই এক বছর কিংবা সেখানেও মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আর পরীদেশে তো বয়স বাড়েই না। পরীরা যখন যে বয়সের ইচ্ছা সেই রূপ ধরতে পারে। ৬ বছর আগে ক্যাডেট দের কব্জা করার জন্য তার একজন বড় আপু সাইজ দরকার ছিল শেষে কেউ যখন তার কাজ করে দিতে পারলনা তখন তার দরকার একজন ম্যাডামের তাই এখন সে ম্যাডাম হতে পারে। আর আপনাকে কেই বা বলল এই সামিয়া জামান ই সেই সামিয়া আপু? তাও কিন্তু কোথাও লেখা নাই। দূর্ভাগ্যক্রমে সেই সামিয়া আর এই সামিয়া দুইটাকেই আমি এনেছি। তবে আমি কিন্তু আপনার এই হিসাব মাথায় রেখেই লিখেছি। এটা জানবেন যে পরীরা চিরযৌবনা।

    জবাব দিন
  9. @Mahmudul Alam:
    বোকাসোকা (মহিব) এই উপন্যাসটা শুরু করছিল অতিপ্রাকৃত বা জেনেটিক মিউটেশনের কিছুর কথা ভেবে। এক্ষেত্রে সবই সম্ভব। কিভাবে সম্ভব তা-ই আপনাকে বের করতে হবে। আর পরীর কথা আনলে সেটা রূপকথা হয়ে যায়। উপন্যাসের কোথাও বলা হয়নি যে সে পরী। অতিপ্রাকৃত কোন ক্ষমতা থাকতে পারে। আবার বিবর্তনের পথে কোন জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তার বার্ধক্য নাও আসতে পারে। সুতরাং এত চিন্তার কোন কারণ নাই। এখনও কেউ বলে নাই কেন এমন হয়েছে।

    জবাব দিন
  10. হাত তোলার সিচুয়েশন নাই রে ভাই। সব যেন এন্টেনার উপর দিয়া যাইতেসে।
    একজন দেখিয়েছেন পরীর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, বয়সের মোজেযা। আরেকজন বলছেন জেনেটিক মিউটেশনের কথা, বলছেন "পরীর কথা আনলে সেটা রূপকথা হয়ে যায়"।
    অতএব "নানা মুনীর নানা মত" হয়ে যাচ্ছে মনে হয়।
    আমি মূর্খ পাবলিক, অতোসতো বিতর্ক যে বুঝি না।

    জবাব দিন
  11. আলম ভাইর মনে হয় এই উপন্যাসটা খুব একটা পছন্দ হয়ে উঠছে না। যাই হোক জিহাদ আস দেখি হাত তুলে গল্পটা শেষ করে দাও। তুমি তো এইটা শেষ করার জন্য অপেক্ষা করছিলে বলেই আমার ধারণা।

    জবাব দিন
  12. আলম (৯৭--০৩)

    ২রা মে তারিখে "ঘুম" লেখার পর থেকে সামিয়া অন-লীভে, এখনো আসেনি।
    এখানে হাত তুলে বসে আছে, অথচ লেখে না। এসব কী? দেড় মাসে ওর হাত তোলাটা expire হয়ে যাওয়া উচিত।............

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়হান আবীর

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।