শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ – ২

স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ভূগোল আমার অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিল। সহপাঠীদের সাথে কিংবা বাসায় বড় বোনের সাথে আমরা ম্যাপ ম্যাপ খেলতাম। বেশ মনে পড়ছে আমরা আরেকটা খেলা খেলতাম, যার নাম ছিল “Name-Place-Animal-Thing”। অর্থাৎ কেউ একজন পালাক্রমে ইংরেজী একটা বর্ণ উল্লেখ করবে, পরে সবাই সেই বর্ণকে আদ্যোক্ষর করে প্রথমে একজন মানুষের নাম, তারপরে একটা জায়গার নাম, তারপর একটা প্রাণীর নাম এবং সবশেষে যে কোন একটা জিনিসের নাম লিখবে। এটাই ছিল প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় “জায়গার নাম” লেখার সময় ভূগোলের জ্ঞানের প্রয়োজন হতো। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ম্যাপ খুলে উল্লেখিত জায়গার নামটা দেখিয়ে দিতে হতো। এজন্য সবুজ প্রচ্ছদের একটা “অক্সফোর্ড স্কুল এটলাস” আমাদের হাতের কাছেই রাখতাম। ম্যাপ ঘাটাঘাটি করতে করতে সেই আমলেই জেনেছিলাম, ভুটানের রাজধানীর নাম ‘পুনাখা’ যা ততদিনে ‘থিম্পু’তে স্থানান্তরিত হয়ে থাকলেও ম্যাপের সংস্করণে উঠেনি। শুধু ঐ টুকু ছাড়া এবং ভুটান একটি ‘পাহাড়ী কন্যা’ দেশ- এই জ্ঞানটুকু ছাড়া ভুটান সম্পর্কে আর কিছুই জানতাম না। কিছুকাল পরে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভুটান সম্পর্কে কৌতুহল অনেকখানি বেড়ে গেল যেদিন রেডিওতে বিবিসি’র খবরে শুনলাম ভুটান ও ভারত একইদিনে, ০৬ ডিসেম্বর ’৭১ তারিখে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মনে পড়ে, অজানা দেশ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতায় সেদিন মনটা ভরে গিয়েছিল। বাঙলার মাটিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর লজ্জাস্কর চূড়ান্ত পরাজয়ের দশদিন পূর্বেই ০৬ ডিসেম্বর ৭১ তারিখে ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নিকট নিম্নোক্ত টেলিগ্রামটি প্রেরণ করেছিলেনঃ

“On behalf of my Government and myself, I would like to convey to Your Excellency and the Government of Bangladesh that we have great pleasure in recognizing Bangladesh as a sovereign independent country. We are confident that the great and heroic struggle of the people of Bangladesh to achieve freedom from foreign domination will be crowned with success in the close future. My people and myself pray for the safety of your great leader Sheikh Mujibur Rahman and we hope that God will deliver him safely from the present peril so that he can lead your country and people in the great task of national reconstruction and progress.

Jigme Dorji Wangchuck
King of Bhutan
6 December 1971

(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

এর পরে আবার ভুটান আমার শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে ভাস্বর হলো, যখন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বরে ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংঘে ওয়াংচুক ঢাকায় এলেন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে। সম্মেলনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানগুলোতে প্রথমে হাঁটু মোড়া মোজা এবং হাফ প্যাণ্ট পরা, লাল-সোনালী রঙের ওপরের আচ্ছাদনে আবৃত “ড্রাগন রাজা”কে দেখে একটু বিস্মিতই হয়েছিলাম। কিন্তু ভুল ভাংলো যখন মান্যবর রাজা ভাষণ দিতে শুরু করলেন। চমৎকার ইংরেজীতে দেয়া এই স্মার্ট রাজার ভাষণের কথা আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে, যারপরনাই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছিলাম সেদিন। তবে অভিভূত হবার পালা তখনো শেষ হয়নি। এলফ্যাবেটিক্যাল অর্ডারে সবার শেষে ভাষণ দিতে উঠলেন সাদা লুঙ্গি, সাদা জামা পরিহিত শ্রীলঙ্কার সাদাসিধে মান্যবর প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জয়াবর্দ্ধন। নিঃসন্দেহে তাঁর সম্মোহনী ভাষণটিই ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সর্বসেরা ভাষণ। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশী চমৎকৃত হয়েছিলাম তাঁর ভাষণটি শুনে। সে ভাষণটি আজ অবধি আমার শোনা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ।

এখানে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ভুটান দেশটি সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলে রাখতে চাই। ‘পাহাড় কন্যা ভুটান’ হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ পূর্ব কোল জুড়ে অবস্থিত। দেশটি দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত, উত্তরে তিব্বত ও চীন। পশ্চিমে কিয়দংশ জুড়ে সিকিম (ভারত) এর পর নেপাল অবস্থিত। বহু শতাব্দী ধরে ভুটান একটি সার্বভৌম রাজ্য। ইতিহাসে কখনো ওরা সরাসরি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে আসেনি। তবে এক চুক্তির বলে ব্রিটিশরা ওদের শুধুমাত্র বৈদেশিক সম্পর্কের নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ করতো, রাজার অভ্যন্তরীন শাসনে ওরা কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। পরবর্তীতে ভারতের সাথে ভুটানের অনুরূপ একটি চুক্তি হয়, যার বলে ভুটান তার বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের “পরামর্শ” দ্বারা পরিচালিত হতে সম্মত হয়, তবে দুটি দেশ একে অপরের অভ্যন্তরীন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার অঙ্গীকার করে। আরও পরে, ২০০৭ সালে বর্তমান রাজার শাসনামলে ভুটান ভারতের সাথে মৈত্রী চুক্তিটি নবায়নকালে একে অপরের স্বার্থবিরোধী কাজে নিজ দেশের ভূমি ব্যবহৃত হতে দেবেনা বলে অঙ্গীকার করে এবং দুটি দেশ কেউ কারো অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেনা বলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এই চুক্তির ফলে ভুটানের সার্বভৌম স্ট্যাটাস আরও সুসংহত হয়। বহু পূর্ব থেকেই বহির্বিশ্বের সাথে ভুটান লো প্রোফাইল সম্পর্ক বজায় রেখে চলে এসেছে, যদিও ১৯৭১ সালে সম্মিলিত জাতিসংঘের সদস্য হওয়া এ দেশটি ধীরে ধীরে এখন অনেক দেশের সাথেই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের মোট ৫২ টি দেশের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হলো যে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশের কোনটির সাথেই ভুটানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া ভুটানে অন্য কোন দেশের আবাসিক দূতাবাসও নেই।

এবারে ভুটানের রাজধানী থিম্পু সম্বন্ধে কিছু বলি। পশ্চিম ভুটানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত থিম্পু ভুটানের একমাত্র আধুনিক নগরী ও রাজধানী। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৬১ সালে থিম্পুকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানী হওয়া ছাড়াও প্রচুর প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির এবং দূর্গের জন্য এ নগরী সুপরিচিত। তার মধ্যে তাশিছো দূর্গ এবং মেমোরিয়াল চর্টেন উল্লেখযোগ্য। নগরীর উচ্চতা ৭৬১২ ফিট, আয়তন প্রায় দশ বর্গমাইল, ২০১৫ সালের অনুমিত জনসংখ্যা মাত্র ১,০৪,০০০ জন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানীগুলোর মধ্যে থিম্পু তৃতীয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০০ফিট থেকে ৮৭০০ ফিট পর্যন্ত উচ্চতায় বিস্তৃত এ নগরী সম্ভবতঃ পৃথিবীর একমাত্র রাজধানী, যেখানে কোন বিমান বন্দর নেই। ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পারো বিমান বন্দর হয়ে বহির্বিশ্বে যাতায়াত করতে হয়।

আবারো আমাদের ভ্রমণ প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। বেলা দেড়টা নাগাদ আমাদের পারো বিমান বন্দর ত্যাগের আনুষ্ঠানিকতাদি সম্পন্ন হলো। পৃথিবীর যেকোন দেশ সম্বন্ধে পর্যটকরা প্রথম ধারণা পায় তাদের বিমান বন্দরে নেমে। পারোতে নেমে আমার প্রথম অভিজ্ঞতাটাই ছিল, এটা একটা শান্তির দেশ। ছিমছাম, শুনশান, সুন্দর ও পরিষ্কার বিমান বন্দর, লোকজন আস্তে আস্তে কথা বলে। সবকিছু ধীর স্থির, কারো যেন কোন তাড়াহুড়ো নেই। ইমিগ্রেশনের লোকদের ব্যবহার সৌহার্দ্যমূলক ছিল (তবে এখানেই বলে রাখি, ফেরার দিনে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় এক কটকটে মহিলার আচরণ ভাল লাগেনি- ভালমন্দ তো সব দেশেই আছে, All grass is not greener on the other side!)। আমাদের যে বন্ধুটি প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিল, সে ট্যুর গাইডের খোঁজে প্রথমে একাই বাইরে গেল। কিছুক্ষণ পর সে একটা ছাতা হাতে আবার ভেতরে প্রবেশ করলো এবং আমাদেরকে যার যার ট্রলী নিয়ে এগোতে বললো। বাইরে বেরিয়ে দেখি একটা সুন্দর দশ সীটের মাইক্রোবাস, তার সামনে অনেকটা সৈনিকদের মত এক সারিতে দাঁড়ানো দু’জন ভুটানী, তাদের জাতীয় পোষাকে, অর্থাৎ হাফ প্যান্ট, হাঁটু মোড়া কালো মোজা আর ওপরে মেয়েদের কাফতান জাতীয় একটা কটিবন্ধনযুক্ত পরিচ্ছদে আবৃত। পরে ওদের সাথে আলাপচারিতায় জেনেছি, অফিসে আদালতে, দাপ্তরিক কাজে কিংবা কোন কর্তব্য পালনের সময় ওদেরকে ঐ পোষাকই পরিধান করতে হয়। অন্যান্য সময় ওরা যখন আড্ডা দেয় কিংবা কোথাও ঘোরাফিরা করে, তখন ওরা জীন্স/ডেনিম এবং পোলো/টী শার্ট পরিধান করে। ওদেরকে দেখে প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এলো, আমাদের যদি কোন জাতীয় পোষাক থাকতো, তাহলে আমাদেরকে কেউ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজে কর্মে কি ঐ পোষাকটি পরিধানে বাধ্য করাতে পারতো?

মুহূর্তের মধ্যে নিপুণ দক্ষতায় আমাদের ব্যাগেজসমূহ গাড়ীতে ওঠালো ওরা দু’জনে মিলে। একজন MIGMA TSHERING, অবিবাহিত, সে ভারতের দার্জিলিং এ গ্রাজুয়েশন করেছে। অপরজন WANGCHEN TOBGYEL, সে একজন নেপালী মেয়েকে বিয়ে করে সুখের সংসার করছে। MIGMA TSHERING আমাদের ট্যুর গাইড, বয়স ২৭/২৮ বছর হবে, অত্যন্ত মায়াবী চেহারা। সে এগিয়ে এসে শুদ্ধ ইংরেজীতে প্রথমে নিজেকে, পরে WANGCHEN TOBGYEL কে ইন্ট্রোডিউস করিয়ে দিল। ওরা উভয়েই বয়সে প্রায় আমাদের সন্তানসম, তথাপি চলার পথে আলাপচারিতায় সুযোগ পেলেই ওরা হাল্কা হিউমার যোগ করে আমাদের সাথে বেশ হাসি ঠাট্টা করে চলছিলো। মিগমা জন্মের পর পরই তার মাকে হারায়, পরে তার বাবা আবার বিয়ে করে। ফলে সে কিছুকাল সৎ মায়ের আশ্রয়ে এবং পরে নেপালী বংশোদ্ভূত তার বড় ভাবীর সংসারে বড় হয়। অত্যন্ত ভাল লেগেছে যে সে আমাদের সাথে আলাপচারিতায় তার বাবা, সৎ মা, বড় ভাই এবং বড় ভাবী, সবার সম্বন্ধে খুব প্রশংসা করেছে এবং কারো সম্বন্ধে একটাও বদনাম করে নাই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে এখনও গ্রামে গিয়ে তার বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করে বলে জানায়। দারুচিনি তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল বলে সে জানিয়েছে। ওয়াংচেন গাড়ীচালক, তার বয়স মিগমা’র চেয়ে বছর পাঁচেক বেশী হবে। সে নিত্য পানখোর, ঝাঁঝালো ভুটানী পান, শুপারি ও চুনে তার ফর্সা মুখ সবসময় লাল থাকে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক, তীক্ষ্ণ কৌতুকবোধের অধিকারী।

পারো বিমান বন্দর থেকে আরামদায়ক মাইক্রোবাসে চড়ে আমরা রাস্তার আশে পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে রাজধানী থিম্পু’র দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, আমাদের গাড়ীটি আস্তে করে রাস্তার একপাশে সরে থেমে দাঁড়ালো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম, রাস্তার অপর পাশ দিয়ে ১০/১৫ টা গাড়ী নিয়ে একটা গাড়ী বহর চলে গেল- কোন সাইরেন নেই, কোন হুইসেল নেই, কোন কর্মতৎপরতা প্রদর্শনের আতিশয্য নেই! গাইড মিংমাকে জিজ্ঞেস করাতে সে জানালো, রাজ পরিবারের কেউ বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছেন। ওনাদের গাড়ী বহর দেখলে সবাই রাস্তার একপাশে থেমে দাঁড়াবে, এটাই ওখানে নিয়ম। শুধুমাত্র সামনের পাইলট গাড়ীতে আলো জ্বলবে, ব্যস, ওটুকুই যথেষ্ট আইন মান্যকারী ভুটানবাসীদেরকে স্বেচ্ছায় তাৎক্ষণিক থামিয়ে দিতে। গাড়ী বহর চলে গেলে আবার যে যার মত কোন সংকেত ছাড়াই আপন গতিতে চলা শুরু করলো। প্রায় ঘন্টা দেড়েক চলার পর আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত রামাদা ভ্যালী রিসোর্টে এসে পৌঁছলাম। প্রবেশের সাথে সাথেই অভ্যর্থনাকারীগণ আমাদের উষ্ণ অভিবাদন জানালো এবং শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে সাদা উত্তরীয় পরিয়ে দিল আর চা পানে আপ্যায়িত করলো। রিসেপশনের আনুষ্ঠানিকতাদি সম্পন্ন করার পর দেখি বেল বয় আমাদের যার যার লাগেজ নিয়ে দরজার সামনে অপেক্ষমান। প্লেন তিন ঘন্টা বিলম্ব করাতে এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে। বাকীটুকু দিনের আলোতে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুই দেখার জন্য আমরা সামান্য বিরতি নিয়ে পুনরায় বের হ’লাম।

থিম্পু, ভুটান
১৫ মে ২০১৭


এক প্রাচীন মন্দিরের একপাশে দাঁড়িয়ে…


সাইন বোর্ডটা কিসের, এখন আর তা মনে নেই


সুখ ও শান্তি,
প্রকৃতি ও জনবসতি,
পাশাপাশি….


“বৃক্ষের নিকটে গিয়ে বলি;
দয়াবান বৃক্ষ তুমি একটি কবিতা দিতে পারো?
বৃক্ষ বলে আমার বাকল ফুঁড়ে আমার মজ্জায়
যদি মিশে যেতে পারো, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!” – কবি শামসুর রাহমান এর “একটি কবিতার জন্য” কবিতা থেকে।


ভুটানের রাজপ্রাসাদ


উচ্চতায় দাঁড়িয়ে, আরও ঊর্ধ্বে তাকিয়ে…

৫,৩১৮ বার দেখা হয়েছে

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।