বিদ্যুৎ চলে যাবার কূফল

আমাদের কলেজে তখন সবেমাত্র জেনারেটর লাগানো হয়েছে। নাইট প্রেপের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে ১-২ মিনিট পর জেনারেটর চালু করা হতো। একদিন প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে গেল। আমাদের তখন কেবলমাত্র বদঅভ্যাস হয়েছে যে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া মাত্র এলোপাথাড়ি এ ওকে চড় থাপ্পর দেয়া (হারিকেনের যুগে এই সুযোগটা ছিলনা যা আমরা খুব মিস্ করেছি)। সেদিনও যথারীতি বিদ্যুৎ চলে যাবার সাথে সাথেই কে কতটুকু সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় নেমে গেল। জেনারেটর চালু হবার শব্দ শোনার সাথে সাথেই আবার যে যার জায়গার সুবোধ বালকের মতো চুপ হয়ে বসে গেল, কারণ আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে।

বসাক স্যার হয়তো সেই সুযোগটা পাননি। কারণ বিদ্যুৎ আসার সাথে সাথে তাঁকে দেখা গেল টাই টা ঠিক করছেন। চুলও উস্কো খুস্কো (না জানি পিঠে কিল কয়টা পড়েছে?)। উনি শুধু একটা কথাই বললেন, “তোমরা বড়ই ফাজিল হয়ে গেছ”। আসলে উনি বিদ্যুৎ চলে যাবার ঠিক আগ মূহুর্তে পেছনের দরজা দিয়ে ক্লাসরুমে ঢুকেছেন যা আমাদের কারোরই নজরে পরেনি। তবে এই কারণে আমাদের কাউকে এ্যাডজুট্যান্টের রুমের সামনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। ধন্যবাদ স্যার আমাদের ভূলটা উপলব্ধি করার জন্য।

১,২১৮ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “বিদ্যুৎ চলে যাবার কূফল”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    :))

    অনেকটা একই ধরণের আরো কয়েকটা কাহিনী আমি শুনেছি। তবে কলেজগুলো ভিন্ন ছিল।
    বোধহয় এই রকম ব্যাপারগুলা সব কলেজেই মোটামুটি এক দুইবার কমন পড়ে যায়। 😀

    ব্লগে আপনাকে স্বাগতম 🙂


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. আমরা করতাম 'বোরিং ফান' বলা প্রতিযোগিতা...
    জুনিয়র থাকা অবস্থায় একবার বিদ্যুত্‌ চলে যাবার পর আমাদের যিনি প্রেপ গার্ড ছিলেন জিজ্ঞাসা করলেন কেউ কবিতা আবৃত্তি করতে পারে কি না...আমদের হাসান(ও পরে কলেজ প্রিফেক্ট হয়েছিল!) লাফ দিয়ে উঠে বলল,'আমি কবিতা পারি না, তবে অন্য কিছু করব...সেটার নাম 'বোরিং ফান'।'
    ও উঠল, বোরিং ফান করল এবং লিজেন্ড হয়ে গেল।
    কয়েকটা নমুনা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না...

    'এক বার এক লোক খেজুর গাছে উঠেছে রস সংগ্রহের জন্য হাঁড়ি লাগাবে বলে...গাছে চড়ে অনেকক্ষন ধরে কাটার পরও দেখে কোন রস আসছে না...এরপর ভাল করে খেয়াল করতেই সে টের পেল সে আসলে নারিকেল গাছে উঠেছিল... =)) !!!'

    'গ্রীষ্মের দুপুর। এক ভদ্রলোক গোসল করার জন্য পুকুরে গেছেন...জামা কাপড় ছেড়ে পুকুরে নেমে অনেক লাফ-ঝাঁপ করার পরও দেখেন গা ভিজছে না...বিস্মিত হয়ে উপলব্ধি করলেন পুকুর ছিল পানি শূণ্য...!!!'

    আমাদের CP কে নিয়ে আলাদা করে লেখার ইচ্ছা আছে....

    জবাব দিন
  3. হাসনাইন (৯৯-০৫)

    :))

    ভাই আমাদের ইন্টেকেও সেইম সিস্টেম চালু ছিল। কারেন্ট চলে গেলে কেউ একজন বলত, "বয়েজ ওমুক(নাম)"... সাথে সাথে গণ ইসু হত আর কিছুক্ষণ পর খালি পটপট শব্দ...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : হাসান (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।