করাতটা উপরে পাঠান। মগডালে বইসা আছি। সময় থাকতে কাইটা ফালাই।

প্রফেসর ডঃ জাফর ইকবাল। আমার মতে উনার হেটার্স ক্লাবের স্পেকট্রামের মত বড় স্পেক্ট্রামের হেটার্স ক্লাব আর কারো নাই। বাম, ডান, মধ্যম, আধা-বাম-কিছুটা-ডান, ছুপা সুশীল ইত্যাদি সবাই উনার কথাবার্তায় কম বেশী তেড়েফুঁড়ে উঠেন। কারণ সময়-অসময়ে উনার মতামত, চিন্তা-ভাবনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। স্পেক্ট্রামের মানুষগুলো যেন আশা করে বসে থাকে, কবে মানুষটি একটি বিতর্কিত কথা বলবেন। কিন্তু যখন এই মানুষটি কিছু কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, ভবিষ্যতের ভয়াবহ পরণতির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান তখন উনার পাশে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। তা সে রথি-মহারথি বা আমজনতা যেই হোক। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার, যুদ্ধপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে প্রাণপন লড়াই করে যাচ্ছি আমরা। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নসহ অন্যান্য প্রশ্নের সাজেশানরূপী হুবহু প্রশ্নপত্র শিশুদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে পরীক্ষার আগের রাতে। বজ্র আঁটুনি ফসকা গেড়ো হয়ে গেলনা? মগডালের উপর বসে সেই মগডালে করাত চালানোর মত নির্বুদ্ধিতা আমরা ছাড়া আর কারা করে এই পৃথিবীতে কারো জানা আছে? মুড়ি-মুড়কীর মত প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খেসারত যেদিন থেকে আমরা দেয়া শুরু করবো ততদিনে অনেক দেরী হয়ে যাবে। পুরো ব্যাপারটা চিন্তা করে আজকে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

এতসব দুঃখের মাঝে আজ সকালে উঠে ফেইসবুকে গিয়ে দেখি বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, দার্শনিক জনাব ফাহাম আবদুস সালাম এই বিষয়ে চিন্তা শুরু করেছেন (উনার লেখা পড়া হয় না। কিন্তু ফেবু বন্ধু তালিকায় উনার মুরিদের সংখ্যা একেবারে কম নয়)। ফাহাম সাহেব উনার লেখায় প্রায় সময়ই যেই কৌশলটি অবলম্বন করা হয়ে থাকেন তা হলো অনেকটা এরকমঃ “শুনছেন নাকি ভাই অমুক জেলায় হাতি দুটো ডিম পেড়েছে। চিন্তা করে দেখেন হাতিও ডিম পারে। কি অবস্থা দেশের। হাতি দিবে বাচ্চা মুরগী পাড়বে ডিম। কি যে শুরু হলো। আচ্ছা যা বলছিলাম, বর্তমান সরকারের…..” এবারো তার ব্যতিক্রম হলো না। ডঃ জাফর ইকবালকে “আওয়ামীলীগের অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত কর্মী” আখ্যা দিয়ে উনি আলোচনার জন্য ডানে সালাম (pun intended) দিয়ে কুচকাওয়াজ করতে করতে লাইনচ্যুত হয়ে গেলেন। ফাঁস হচ্ছে প্রশ্নপত্র উনি চেচামেচি লাগিয়ে দিয়েছেন ইংরেজী ও বাঙলা মাধ্যম নিয়ে। ১৯৭৪ সালে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে সর্বস্তরে বাঙলা চালু করার মত নির্বুদ্ধিতার খেসারত দিচ্ছি ইত্যাদি নানান হাতির ডিম, ঘোড়ার ডিম লিখার পরও উনি নিরাশ। আদতে কাজের কাজ কিছুই হলো না।

উগ্র দলীয় রাজনীতি ও রাজনৈতিক মতাদর্শের এই দেশে আমরা হা-ভাতে নাগরিকের মত মতাদর্শের উর্ধ্বে নিরপেক্ষ মানুষ খুঁজে বেড়াই। সম্ভাবনাময় কোন মানুষ যখন পাওয়া যায় তখন তার বলা, লিখা প্রতিটি অক্ষর আমরা গবেষণা করা শুরু করি। এরপর উনাকে টেনে হিচড়ে মাটিতে নামানো সময়ের ব্যাপার। এটা কি মোরাল অ্যাবসোলুটিজম (ভাল বাঙলা পেলে দয়া করে কমেন্ট জানান।) নাকি পরশ্রীকাতরতা? যেটাই হোক, দুয়ের কোনটি নিয়ে বেশীদূর আগান‌ো সম্ভব নয়। ডঃ জাফর ইকবাল বিভিন্ন সময়ে প্রচুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সামনেও করবেন। কথা হচ্ছে আমার-আপনার দৃষ্টিতে যা বিতর্কিত তা উনার দৃষ্টিতে বিতর্কিত নয়। এখন সেই কারণে উনার ভাল প্রচেষ্টাগুলোকেও ছুড়ে ফেলে দিতে হবে? উনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে যতটুকু করছেন ততটুকু কি আর কেউ করছে? এই ফাহাম সাহেব কি পারেন না এরকম কিছু আয়োজন করতে। উনার তো থাকা লাগবে না। ফেইসবুক যেহেতু আছেই আয়োজনটা উনি করে দেখাক। হোক না এক দুটো মানববন্ধন, একটা ছোট প্রেস কনফারেন্স। ঘুরে ফিরে ডঃ জাফর ইকবালই বরং সর্বশেষ পরীক্ষার সময় গোটা বিশেক উৎসাহী জনতা নিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর কেউ তো করে দেখাচ্ছে না। কেন? এর কারণ কি কি হতে পারে চিন্তা করছিঃ
ক) প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ছাত্র-সন্তানদের হাতে তুলে দেয়ার যে ভয়াবহ পরিণাম সেটা দৃশ্যমান নয় অথবা পরিনাম অত্যন্ত ধীরগতির। অন্তত আগামী ২০ বছর এর ভয়াবহতা টের পাওয়া যাবে না। একই সমস্যায় ভুগছে জলবায়ু পরিবর্তন। আপাতদৃষ্টিতে দৃশ্যমান নয়।
খ) জনগণ “দেশে তেল নাই, গ্যাস নাই, কারেন্ট নাই, জিনিসপত্রের দাম বেশী, স্কুলে প্রতিযোগিতা বেশী এর মাঝে আবার প্রশ্নপত্র নিয়া হুড়াহুড়ি কে করতে যায়” এই অজুহাতে বসে আছে
গ) বরাবরের মত বাঙলাদেশের গণমাধ্যম “কিছু দেখি নাই, কিছু শুনি নাই” নীতিতে অবিচল রয়েছে। নাকি বিষয়টার “পলিটিক্যাল সেক্স অ্যাপীল” নাই?

আরেক আজব নীরব জায়গা হলো আমাদের সুপ্রিম কোর্ট। পান থেকে চুন খসলে যেখানে রীট পিটিশান হয়, সেখানে আমি আমাদের কোন বাঘা উকিলকে দেখছি না এই বিষয়ে রীট করতে। বিচারকদেরও সুয়োমোটো রুল জারি করতেও তো দেখছি না। কেন? বিদেশে বসে উত্তর খোঁজা বড় কষ্টের। আচ্ছা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কি আওয়ামীলীগ, বিএনপি আছে? কট্টর ডানপন্থী, যুদ্ধ-তেলখনন-কর্পোরেশানবান্ধব, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর টেড ক্রুজও নিউ ইয়র্কের উদারনৈতিক ডেমোক্রেট সেনেটর কার্স্টেন জিলিব্র্যান্ডের সামরিক বাহিনীতে যৌন হয়রানি বন্ধের বিল স্পন্সর করে। কারণটা স্পষ্ট। সেনেটের টেড ক্রুজ দুই কন্যা সন্তানের জনক। নিজের ভালো পাগলও বোঝে।

cutting_the_branch_728795

৩,০৯০ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “করাতটা উপরে পাঠান। মগডালে বইসা আছি। সময় থাকতে কাইটা ফালাই।”

  1. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    চমৎকার সময়োপযোগী লেখা :clap: :clap: :clap:
    ৩০/৩৫ বছর আগেকার পাপের ফল যেমন এখন ভোগ করছি, ঠিক তেমনই ২০/৩০ বছর পরে আজকের এই সব পাপের ফল ভোগ করব। একেবারে করায় গণ্ডায়।

    ডানে সালাম (pun intended) দিয়ে কুচকাওয়াজ করতে করতে লাইনচ্যুত হয়ে গেলেন

    এটা তো এখন আমাদের মাঝে রীতিমত মহামারী আকার ধারণ করেছে । ফাহাম সাহেবরা সামনে থেকে ডানে তাকিয়ে লীড দিচ্ছেন আর পেছনের সবাই সামনে তাকিয়েই ওনাদের পশ্চাৎ ধাবন করে বেলাইনে ছুটছেন। তোমার মত অবস্থা আমারও, ফেবু বন্ধুদের বদান্যতায় মাঝে মধ্যেই ওনাদের মত বিদ্বজনেদের কথাবার্তা আমার চোখে পড়ে যায়।


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ধন্যবাদ ভাই। গত এইচএসসি পরীক্ষা থেকে অস্বস্তি লাগে। ক্লাস ফাইভেও শেষ পর্যন্ত? কি ভয়াবহ ক্ষতি করছি এটা কি কেউ বুঝতে পারছে না? নাকি মতিকন্ঠে গতকাল যেটা বললো, এত হট টপিক থাকতে ক্লাস ফাইভের পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে মুলামুলি করার কি দরকার?


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  2. হুমায়ুন (২০০২-০৮)

    ফাহাম সাহেব,আরিফার সাহেবদের ভালো পাই,কারণ তারা খুব সফলভাবে লেজটাকে গুটিয়ে পুটুতে লুকিয়ে রাখতে পারে 😀


    তুমি গেছো
    স্পর্ধা গেছে
    বিনয় এসেছে।

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ফাহাম আমাদের ব্যাচের ৯০-৯৬ ক ক ক ।
    ফেবুতে বন্ধুতা থাকলেও আমি প্রায় কখনোই তার পোষ্ট ফলো করি না।
    তার একপাল ফলোয়ার গোষ্ঠি আছে।
    আপাত নিরপেক্ষতার আড়ালে সে বিশেষ একটি দলকে সমর্থন করে।
    মাঝে মাঝে তার লেখা বিতর্ক তৈরি করে। (খুব সম্ভবত উচ্চ শিক্ষিত হওয়ায় তার নিন্ম মানের বিতর্ক ও বাজার পায়)
    তখন কেউ শেয়ার দিলে পড়ি।
    তার লেখায় কমেন্ট করার আগ্রহ কখনো বোধ করিনি।

    ফাহাম তার পলিটিকাল অবস্থান প্রচার করার বিষয়ে অতিশয় ধূর্ততার আশ্রয় নেয়।
    যার অনেকটাই তুই ধরে ফেলেছিস।
    প্রথমে সে তার মনোমত একটা উপসংহার দাড় করায় যাতে তার উদ্দেশ্য হাছিল হবে। অতঃপর সে কাহিনী বুনে চলে।

    কিছুদিন আগে সে একটা কাজ করেছিলো। জিন্নাহ, গান্ধী, নেহেরু এদের টেনে এনে সোহরাওয়ার্দি, মুজিব ক্যানো বিশ্ব মাপের নেতা না এইটা প্রমাণের চেষ্টা ছিলো তাতে। মুজিব ক্যানো বিশ্বমাপের নেতা না তার কারণ বলতে গিয়ে ফাহাম বলে যে মুজিব ইংরেজি জানতেন না। আজকের যুগে ইংরেজি জেনে তার বিশ্ব নেতা হতে হবে এই টাইপ কথা ছিলো তাতে। এছাড়াও মুজিব-ভূট্টোর একটা ছবি হাজির করে সে ঐখানে যাতে মুজিবকে বেশ বিনয়ী দেখা যাচ্ছিলো অথচ ভূট্টোকে একটু দাম্ভিক মনে হচ্ছিলো। এটাকে সে ছাত্র-শিক্ষক নাম দেয়। এটাও আমাদের সে স্মরণ করিয়ে দেয় যে ঐ ছবি টা ছিলো মুক্তিযুদ্ধের পরের।

    অটঃ ফাহামের শশুড় হচ্ছেন আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, ও চাচা শশুড় অবঃ লেঃ জেঃ মাহবুব। জানিস কিনা মাহবুব সাহেব (আঙ্কেল- দুই ছেলে এক্স ক্যাডেট) কে যে ছাত্রদলের ছেলেটি অপমান করেছিলো শহীদ প্রেঃ জিয়া র মাজার শরীফে ফুল দিতে যাওয়ার সময় তাকে পরে ক্রস ফায়ারে মারা হয়।
    তাই বেশি কথা বলা বারণ।
    এখন আমি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আগুনপীর বলেও সম্বোধন করি না।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      এমনেই ঘাড় গর্দান নিয়া ভয়ে থাকি। নিজের দলের লোকরে ক্রসফায়ারে? কি কইলেন এইটা! 🙁
      ফাহাম ভাই আপনার ব্যাচমেট উনার শ্বশুড় মিফখই এইটা আপনি বলেছিলেন। কিন্তু উনার লেখার এই স্টাইলটা আগে খেয়াল করি নাই। ঐদিন দেখতে গিয়ে আরো দুইচারটা লিখা দেখলাম। প্রথমে হাসি পাইলো তারপরে মেজাজ গরম হয়ে গেল। এই কারণেই বললাম ডানে সালাম দিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া পার্টি। আচ্ছা জ্ঞানপাপী এই শব্দটার ইংরেজী আছে নাকি? জানেন? বাঙলা ভাষায় এইসব ভয়াবহ শব্দ হুদা কামে আসে নাই এইটা মাঝেমধ্যে চিন্তা করি।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের ভাষ্য তুলে দিলাম

    অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের আরেকটি শিক্ষা এই যে মাতৃভাষার মাধ্যম ছাড়া শিক্ষা-ব্যবস্থা কখনই পূর্ণ হইতে পারে না। বিশেষত আমাদের দেশে। তিনি বলিয়াছেন, 'আমাদের দেশে সাধারণত ইংরেজী ভাষা শেখার জন্য চৌদ্দ, পনের, ষোল অথবা কুড়ি নিই। দুনিয়ার কোন দেশে বিদেশী ভাষা শেখার জন্য এবং এই রকম incompetent knowledge acquire (অযোগ্য জ্ঞান অর্জন) করার জন্য এত সময় দেওয়া হয় না। পনের বা বিশ বছর পরেও যে ইংরেজি আমাদের শেখা হয় যে সব দেশে [লোকে] ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে সে সব দেশে গেলে বুঝা যায় যে এই শেখাটা কত অসম্পূর্ণ। এই অসম্পূর্ণ জ্ঞানের ভিত্তিতে শিক্ষক এবং ছাত্র মিলে যে অবস্থার সৃষ্টি করেন তাহা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখ করিবার মতন নহে। শুদ্ধ এই মাত্র কারণে আমি মনে করি যে বাংলা ভাষা ছাড়া মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার বাহন আর কিছুই হইতে পারে না।'
    ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে বাংলা একাডেমিতে দেওয়া আরেকটি বক্তৃতায় তিনি একই বিশ্বাসের পুনরাবৃত্তি করিয়াছিলেন, 'প্রায় আড়াই হাজার তিন হাজার বছরের ইতিহাস এই উপমহাদেশের ভেতর কখনো দেশের ভাষা, জাতীয় ভাষা, জনগণের ভাষা কিংবা মাতৃভাষা যাহাই বলেন কখনো শিক্ষা বা সংস্কৃতির বাহন হিসেবে স্বীকৃত হয় নাই। বাংলাদেশেই এটা প্রথম। আমি মনে করি ইহাতে সামান্য একটু গর্ব করার অধিকার হয়।'

    মূল লেখার লিঙ্ক।

    তাহাতে কি..।
    ফাহামদের ইংরেজি প্রীতি কমিবে না।
    ইংরেজি কম বুঝি বলিয়া আমার যে খেদ নাই তাহা নহে। ইয়েটস, এলিয়ট, পো, ডিলান এদের কবিতা বুঝিতে বেগ পাইতে হয় বইকি...


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      লিঙগুইস্টদের আলাদা থিওরী আছে কিন্তু সত্য কথা কইলে ইংরেজী শিখতে ৫-৬ বছরের বেশী লাগার কথা না। যদি সাথে ভাল বন্ধু পরে যারা লাইনে পড়াশোনা করতেসে এবং শিখাইতে চায় তাইলে আরো কম। আমরা বেজায়গায় যাঁতা দেই। মুখস্ত কইরা সব শিখা ফালাইতে চাই। মাঝে দিয়া কিছুই হয় না। যে কোন ভাষাই শোনা, দেখা, পড়া, ও খেয়াল করার বিষয়। আমার মামা ইতালি ছিলেন ১০ বছর। রেস্তোরার স্টোর ইনচার্জ ছিলেন। ইতালীয় শুরু করলে বোঝা যাবে না কোন দেশী লোক। বেশী কিছু না। খেয়াল করে শোনা, দেখা, পড়া। নিজে নিজে খবরের কাগজ কিনতো। বোঝার চেষ্টা করতো। এখন লিখতে, পড়তেও পারেন। মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক। উনারা যদি পারেন তাইলে বাকিদের সমস্যা ক‌োথায়। সমস্যা হইসে এক জায়গায়। এই ফাহাম সাহেব টাইপ কিছু পীর আছেন উনারা ইংরেজী বলতে বলতে জিকির করেন। যাই হোক। জানা হইলো অনেক কিছু। লিংকের জন্য ধন্যবাদ। এইটা পড়া হয় নাই আগে।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    তবে নিঃসন্দেহে সবার লক্ষ্য মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। শোনা যায় তিনি আবার নাস্তেক। কলায় কলা পূর্ণ।
    তার উপর লুকটা বেশি কথা বলে।

    আমি তো বলি সে দেশে আসিলো কেনে>>>>
    কি উদ্দেশ্য পিছে>>>>


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    নিজের নিউজফিড (অথবা ফেবুকের আনফলো অপশন 😛 ) এর প্রতি ভক্তি চলে আসলো, এই ফাহাম সাহেবের নাম এই প্রথম শুনলাম 🙂

    প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিষয়টা একদম লাগাম ছেড়ে যাচ্ছে, ফাঁস হচ্ছে আর হচ্ছে না দুই গ্রুপ পুরো ১৮০ ডিগ্রিতে অবস্থান করছে। আমার মনে শুধু বারবার একটা প্রশ্নই আসছে, এত বলে কয়েও যখন কতৃপক্ষকে স্বীকার করানো যাচ্ছে না তখন কেউ একজন পরীক্ষার আধা ঘন্টা -১৫ মিনিট আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন অনলাইনে প্রকাশ করে দিয়ে পরীক্ষার পরে সেটার সাথে মিলিয়ে হাতে কলমে প্রমান করে দিচ্ছে না কেন যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তখন কিভাবে চুপ থাকতো সেটা দেখতাম।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ছোটভাই তুহিন দেখলাম বেশ কয়েকটি পেইজের লিংক দিয়েছে যেখানে লাইক, শেয়ার ইত্যাদি কাজ করলে ইনবক্সে প্রশ্ন এসে যাবে বলে দাবী করা হচ্ছে। ডঃ জাফর ইকবালও লিখেছেন, "যখন এই লিখাটি লিখছি, আগামীকালের গণিতের প্রশ্নের ইমেইল আমার কাছে এসে পড়েছে। খুলে দেখতেও ইচ্ছা করছে না।" জানি না উনার করাটা কতটুকু মানায়, তখন আবার নতুন উছিলা পেয়ে যাবে উনাকে ধরার। হয়তো বলবে প্রশ্নপত্র আপনি ফাঁস করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আপনি যেটা বললেন, অনেকেই চাইলে আরেকটু প্রোএ্যাক্টিভ হতে পারেন। কিন্তু সমস্যা আরেক জায়গায়। মূলত যারা প্রশ্নপত্র খুঁজছে তারা কিন্তু ধরার জন্য খুঁজছেন না। তারা তাদের সন্তান, আত্মীয়দের ডেলিভারী দেয়ার জন্য খুঁজছে। গোড়া থেকে পঁচলে ধরবেন কোথায়? 🙁


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
        মূলত যারা প্রশ্নপত্র খুঁজছে তারা কিন্তু ধরার জন্য খুঁজছেন না। তারা তাদের সন্তান, আত্মীয়দের ডেলিভারী দেয়ার জন্য খুঁজছে। গোড়া থেকে পঁচলে ধরবেন কোথায়?

        :grr:


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      On a second thought গত ইন্টারের হুবহু প্রশ্ন সাজেশান বলে উড়ায় দিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেব। এইটা মুখের উপর অস্বীকার করতে গায়ে বাঁধবে না। উনি নির্লজ্জ্ব এই কথাটাও এখন আন্ডাররেটেড হয়ে গেছে। উনি ডিনায়ালের সাগরে ডুবে আছেন।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আমি আমার অনেক ফেবু ফ্রেন্ডদের ও আনফলো করে রাখি। তাদের অনেকে হয়তো আমাকে করেন। হা হাহ হা


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        গনহারে আমিও আনফলো মারি ইদানিং। পছন্দের পেইজগুলার খবর জানাই হয় না এই হাজার মানুষের ভীড়ে। এমন না যে তাদের অপছন্দ করি কিন্তু উনাদের সবাইকে এ্যাড করে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছি। তাই এখন আনফলো করে রাস্তা পরিস্কার রাখি। 😛


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
  7. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এসএসসি পরীক্ষা দেবার সময় একটা অজানা রচনা এসেছিল প্রথমবারের মত। অথচ পরীক্ষার দিনসাতেক আগে পত্র মাধমে কোন এক বন্ধু জানতে পারে তা। যদিও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল ওটা কাউকে না বলার, কিন্তু আমি সহ কেউ কেউ জেনে যাই তা।
    আমার প্রতিক্রিয়া ছিল, "ধুর, এমন উদ্ভট রচনা আসে নাকি কখনো? জীবনেও যা আসে নাই।"
    তারপরেও একটু দেখে রেখেছিলাম। আর খুবই অবাক হয়েছিলাম প্রশ্ন পত্রে ঐ রচনার উপস্থিতি দেখে। যাহোক সেই দেখার কারনে ঐটা লিখেও ছিলাম।
    সেই তখন থেকে আমার মনে একটু একটু করে এই বিশ্বাস জন্মায় যে এদেশে প্রশ্ন পত্র ফাঁস হওয়াটা নতুন কিছু না।
    যুগ যুগ ধরেই তা চলছে, সাজেশনের অবয়বে, সুক্ষ এক প্রক্রিয়ায়।
    আজকাল যোগাযোগের উন্নতি তাতে ঘী ঢেলে আগুন লাগিয়ে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে তার আচে পুড়ছি আমরা সবাই।
    পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার গোটা ব্যবস্থ্যটাকে ঢেলে সাজানো ছাড়া এই অবস্থার কোন উন্নতি হবে না বলেই আমি এই বিষয়ে কোন কথা বলি না।
    বিশেষ করে প্রশ্ন মডারেশন, টাইপিং, ছাপানো এইসবে যত বেশী লোক জড়িত হবে, তা ফাঁস হবার সম্ভবনা ততই বাড়বে।
    এর কোন ব্যতিক্রম ঘটার সম্ভবনা দেখতে পাচ্ছি না।

    ভাল লিখেছো মোকাব্বির।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।