মরিচীকা সুখ।

ম‌রিচীকা সুখ
‌মো ও খা ও।

কা‌রো কা‌রো ম‌নে এত সুখ, সুখ ফে‌রি ক‌রে
বচ‌নে‌ে সুখ বস‌নে সুখ মু‌খে‌তে সু‌খের খই উড়ে
আস‌নে সুখ বাস‌নে সুখ, সু‌খেই নিদ্রা হ‌রে
সুখী ভে‌বে সুখ খু‌জে বসত সু‌খের অন্ধকা‌রে ।

‌বৈশা‌খে না‌মে নাই প‌থে বজ্র‌নিনাদ শুন‌তে পা‌বে
আষা‌ঢ়ে ভিজে নাই দিন প‌ঙ্কে কদম পিছ‌লে যা‌বে,
হাত দি‌য়ে খায়‌নি‌ খাবার সোনর চামচ ছিল মু‌খে
মা‌য়ের বু‌কে‌তে হয়‌নি‌তো ঘুম এখনো নির্ঘুম চো‌খে।
‌লেখা পড়া শি‌খে প‌ন্ডিত বড় প্রভা‌বে অভাব নেই
‌প্রাসা‌দে প্রণা‌মে ভরপুর অন্ত‌রে জাগ্রত টঙ্কা খেই,
সু‌খের আলো‌তে ঝলমল আলোহীন জন্ম নিবাস
দুয়ার খোলে‌নি ভিখা‌রির ভ‌য়ে অভাবী চার পাশ।

অসুখ যত ধ‌রে‌ছে আমার ব্যা‌মোয় ভরে‌ছে জনম
‌প্রেম পিরী‌তি বাধিলোনা বা‌স ছা‌ড়িল প্রণয়ী সনম,
পা‌য়ে হে‌টে পথ সাত‌রি‌য়ে গাঙ উঠিলাম যে ডাঙায়
সৎ নির্ভীক যাই ব‌লে জ‌নে নেপ‌থে সক‌লি ঠ্যাঙায়।
জ্ঞা‌নি সু‌খে কম কথা ব‌লে আমিতো কথায় গরগর
মন প‌ড়ে বাশঝাড় ব‌নে মন বাধে গ্রা‌মেই বসত ঘর,
আা‌পিস আদালত ব্যাবসায় চেনা মুখ বন্ধু হাজার
সু‌খে‌তে অসু‌খ বা‌ধিল ব‌ু‌কে ভা‌লো‌বে‌শে কপটাচার।

স্বজন ছে‌ড়ে‌ছে অসু‌খে বিসু‌খে সু‌খের ঘর ভরা পর
সু‌খের ঘুম ভা‌ঙে হকার দুর কামার কিষান কা‌রিগর,
দরজা কপাট বন্ধ ‌রেখে নোঙর বাধা সু‌খের বন্দ‌র
স্বার্থ মগ্ন সু‌খের আধার ম‌রিচ‌কা সুখে ম‌লিন সুন্দর‌।

ঢাকা। ২১/০৪/২০১৮।

৩ টি মন্তব্য : “মরিচীকা সুখ।”

  1. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    কবিতায় জীবনের প্রেক্ষাপট সার্বজনীন।
    বর্ণণায় উপমা গুলো আসন করে নিয়েছে নির্মেদ।
    সাধুবাদ জানাই কবি কে।

    ভাই, আমার নাম ওবায়দুল্লাহ। 🙂
    সালাম।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।