‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ বা পারিবারিক সহিংসতাঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

পৃথিবীর সব দেশেই, উন্নত বা উন্নয়নশীল, নানারকম সামাজিক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে ‘Domestic Violence’ আমাদের দেশে যা ‘পারিবারিক নির্যাতন’ নামেই অধিক পরিচিত, তা অন্যতম প্রধান সমস্যা। ‘নির্যাতন’ শব্দটার ব্যাপকতা রয়েছে যা নিয়ে আমরা অনেক সময়েই ভাবি না। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস ‘Domestic Violence’ সংজ্ঞায়িত করেছে এই ভাবেঃ

‘A pattern of abusive behavior in any relationship that is used by one partner to gain or maintain power and control over another intimate partner.  Domestic violence can be physical, sexual, emotional, economic, or psychological actions or threats of actions that influence another person. This includes any behaviors that intimidate, manipulate, humiliate, isolate, frighten, terrorize, coerce, threaten, blame, hurt, injure, or wound someone’. (Sources: National Domestic Violence Hotline, National Center for Victims of Crime, and WomensLaw.org. http://www.justice.gov/ovw/domestic-violence)।

যদিও বাংলায় আমরা Domestic Violence কে ‘পারিবারিক নির্যাতন/সহিংসতা’ বলে সংজ্ঞায়িত করি, কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশী। ‘নির্যাতন’ শব্দটা আমাদের কাছে অনেকটাই শারীরিক। কিন্তু মানসিক নির্যাতন, ভয় দেখানো, অসম্মানজনক আচরণ, হেয় করা, হুমকী-ধমকি দেয়া, অকারনে দোষারোপ করা, কোন কাজে জোর জবস্তি করা, শারীরিক বা মানসিক আঘাত ইতাদিও ‘নির্যাতন’ বোঝায়। তাই এই লেখায় ‘পারিবারিক নির্যাতন’ না লিখে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ লিখা হবে সংজ্ঞার ব্যাপ্তির সাথে সমান্তরালে থাকার জন্য।

‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, গোত্র-বর্ণ ভেদে যে কারোর ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে, যে কোন সম্পর্কেই ঘটতে পারে। তবে পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা এর শিকার এবং নির্যাতনের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে।অনেকে ম্নে করতে পারেন যে নেশা, ড্রাগস, মানসিক চাপ, অসুস্থতা ইত্যাদি কারনে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ ঘটে, আসলে তা নয়। বরং নির্যাতনকারী তার ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি প্রয়োগ করার জন্য করে থাকে।  লিঙ্গের ভারসাম্যহীনতা, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিক ভিক্তির উপর অনন্তকাল থেকেই চলছে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’। সমাজের একচোখা নীতি, নীরবতা, বিচারহীনতা, নারীর প্রতি হেয় দৃষ্টি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, ধর্মীয় অনুশাসন ইত্যাদি কারনে একবিংশ শতকেও ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ শুধু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে নয়, উন্নত দেশেগুলোতেও সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিরাজমান।

‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’এ যারা নির্যাতিত হয় শুধু affected হয়না, এটার প্রভাব ব্যাপক – পরিবারের সদস্যদের উপর, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রক্রিতপক্ষে পুরো সমাজের উপর এর প্রভাব পরে। যে শিশু ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ দেখে বড় হয় তার মানসিক অবস্থাও প্রভাবান্বিত হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভায়োলেন্স প্রবন হয়। দুর্বলের উপর, বিশেষ করে, নারীর উপর ক্ষমতা প্রয়োগ এবং নিয়ন্ত্রনের এক অসুস্থ প্রবনতা তৈরী হয় এই সব শিশুদের মনে।

বাংলাদেশে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ঃ পারিবারিক নির্যাতন শুধু মানবাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং আত্মসম্মানবোধের লঙ্ঘন করা হয় না, আমাদের সংবিধানের ভিক্তিমুলকেও লঙ্ঘন করা হয়।  যদিও নারীশিক্ষায় (৫৩.৪%, ২০১১, সুত্রঃ CIA Factbook, 2014), মাতৃ মৃত্যু হার (১৭০/১০,০০০ জীবিত শিশু, ২০১৩)  বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, নারীদের বিরুদ্ধে  ভায়োলেন্স বা নির্যাতন শহর এবং গ্রাম ভেদে এখনও অনেক বেশীমাত্রায় ঘটে থাকে।এবং এর বেশীরভাগ ঘটে গৃহে যা নারীরা অতি আপন করে সাজান, নিজের মতো করে বেহেস্ত তৈরী করতে চান। বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরো পরিচালিত এক সার্ভেতে (বিবিএস, ২০১১) উঠে এসেছে বিভিষীকাময় সব তথ্য। বিবাহিত জীবনে ৮৭% নারী কোন না কোন সময়ে স্বামীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং সার্ভের আগের এক বছরে এই সংখ্যা ৭৭% ছিল।এর মধ্যে মানসিক নির্যাতন বেশী ছিল, শারীরিক নির্যাতনের (৬৫%) তুলনায়। ২০-৩৯ বছরের নারীরা বেশী নির্যাতনের শিকার। যদিও ২০০৭ সালে ৫৩% নারী স্বামী কর্তৃক যৌন বা শারীরিক নির্যাতনের শিকার ছিল। একতৃতীয়াংশ নারী মেরিটাল রেইপ এর শিকার হলেও স্বামীর ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননা। (The 5th Bangladesh Demographic and Health Survey, (BDHS) 2007)। Centre for Policy Dialogue 2009 এর রিপোর্টে দেখা যায় ৯৩% শারীরিক, ১৩% যৌন, ৯১% অর্থনৈতিক এবং ৮৪% নারী মানসিকভাবে স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত। শহর এবং গ্রামাঞ্চলের মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য দেখা যায় না। কখনো বিয়ে হয়েছে, এমন নারীদের মধ্যে শহরে ৪০% এবং গ্রামে ৪২% শারিরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছিলো যদিও যৌন নির্যাতনের হার শহরের (৫০%) তুলনায় গ্রামে (৩৭%) কম ছিল ২০০৬ সালে আইসিডিডিয়ার,বি পরিচালিত এক সমীক্ষায়। একই সংস্থার ২০১১ সালে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায় উত্তরদাতাদের মধ্যে ১২৬ জন জানিয়েছেন তাদের পরিবারের কোন না কোন সদস্য আত্মহত্যা করেছে পারিবারিক সহিংসতার কারনে। স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নেবার কারন হল – তাদের পাশে পরিবারের কেউ ছিল না। বেচে থাকার অবলম্বন নিশ্চিত করতে পারেনি – না পরিবার, না সমাজ, না রাষ্ট্র। অধিকাংশ পুরুষ যৌন নির্যাতনকে তাদের প্রকৃতিদত্ত অধিকার বলে মনে করে। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই মানবাধিকার সংস্থা ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’ এর গবেষণায়। এই সংস্থার তথ্য অনুসারে ৫,৬১৬ টি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয় ২০১২ সালে। এর বেশীরভাগই ধর্ষণ (৯০৪), তারপর হত্যা (৯০০) উক্তত্ত এবং হত্যা (৬৬২), যৌতুক সম্পৃক্ত হত্যা (৫৫৮), এবং আত্মহত্যা (৪৩৫)। (http://www.asianews.it/news-en/In-Bangladesh,-87-per-cent-of-women-victims-of-domestic-violence-30204.html)

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ৪ বছরে যৌন হয়রানির কারনে ৯৯ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং যৌন হয়রানিতে বাধা দেয়ায় লাঞ্ছিত হয়েছেন দুই হাজারের উপর নারী এবং ৪৮৯ জন পুরুষ (তত্থসুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২০ মে, ২০১৫)। যদিও বেশীরভাগ ঘটনাই প্রকাশ পায় না বিভিন্ন কারনে। যেমন, এক সমীক্ষায় প্রকাশ – হয়রানি বা নির্যাতনের ঘটনায় সহায়তা পেতে পুলিশের উপর ৯৫% নারী আস্থাশীল নন, ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানী বা নিপীড়নের শিকার হলেও কোথাও কোন অভিযোগ করেননি। লোক-নিন্দার ভয় (৭৬%), পরিবারের সুনাম (৬৯%), অভিযোগ দাখিলের জটিল পদ্ধতি ও তাতে প্রতিকার না পাওয়া (৪৭%), এবং পুলিশের মাধ্যমে পুনরায় হয়রানীর আশংকা কে (৩০%) অভিযোগ না করার কারন হিসেবে উল্লেখ করেছেন (বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ২০১৪, দৈনিক প্রথম আলো, ২১ মে, ২০১৫)।

আমরা প্রায় ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ এর সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত Impact বিবেচনা করি না  কিন্তু এর অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে ভাবি না যেহেতু এটা সামাজিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং লিঙ্গ বৈষম্য সৃষ্টি করে। ।‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ এর কারনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রতি বছর ২.০৫% কমে বা নষ্ট হয়. (CARE 2011).

তাহলে দেখা যাক পারিবারিক সহিংসতার কারন কি? নারী নির্যাতন কি পুরুষদের শক্তিমত্তার ফসল? গবেষণা তা বলে না। ছোট এবং কৃষি নির্ভর সমাজে এই প্রবনতা অনেক কম অর্থাৎ সমাজ শারীরিক শক্তিকে কি ভাবে দেখে সেটাই নির্ধারণ করে দেয় নারী নির্যাতনের ব্যাপকতাকে।‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ এর কারন ব্যাপক – লিঙ্গ অসমতা থেকে শুরু করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, দারিদ্রতা, মানুষ হিসেবে নারীর অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞাততা, বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিস্ক্রিয়তা, ক্ষেত্র বিশেষে নির্যাতনকারীর ভূমিকা নেয়া, নির্যাতনকারীর পক্ষ নেয়া ইত্যাদি কারনে বেড়েই চলে নারী নির্যাতন।বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠাণের সমীক্ষা ২০১৪ এ পুলিশের উপর আস্থাহীনতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের ৬৫ শতাংশের মতে পুলিশ অভিযোগকারীকেই দোষারোপ করে, ৫৭ শতাংশের মতে মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করে, ৫৩ শতাংশের মতে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।  অতি সম্প্রতি পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে হাজার হাজার মানুষ এবং পুলিশের উপস্থিতে অনেক নারী যৌন নিপীড়নের স্বীকার হলেও আজো অপরাধীদের ধরার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়েনি। ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে অপরাধীরা।এই ঘটনা সমাজকে কি সংকেত দেয়? অপরাধী পুরুষ হলে সহজেই পার পাওয়া যায়। পুলিশের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একে ‘কতিপয় দুষ্টু ছেলের দুষ্টামি’ বলে ঘটনাটি কে ‘জলবৎ তলরং’ করার অপচেষ্টা করলেন। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ করার ‘অপরাধে’ রাজনৈতিক কর্মী ইসমত কে পিটুনি দিলো পুলিশ দিনে দুপূরে। শুধু একজন কন্সটেবলকে সাসপেন্ড করা ছাড়া আর কোন অপরাধী পুলিশের বিরুদ্ধে কোনরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি আজ পর্যন্ত। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন আইনের শাসন বলে কিছু থাকে না। পারিবারিক নির্যাতন তো তখন অতি সামান্য ব্যাপার। ধর্তব্যের মধ্যেই পরে না।

আমরা যদি সভ্য জাতি হিসেবে পরিচিত হতে চাই, তাহলে, ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় বের করতে হবে আমাদেরকেই। এই জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে বহুমুখী এবং চলমান। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অধিকার নিয়ে গনসচেনতা গড়ে তুলার জন্য সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ব্যাপক পদক্ষেপ ও কর্মসূচী নিতে হবে। ধর্মীয় সংঘঠন, উপাসানালয় কে এই ব্যাপারে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসন কে বাধ্য করতে হবে এই ব্যাপারে আরো সংবেদনশীল হতে। কঠোর হতে হবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নারী শিক্ষা, নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদের সামাজিক অবস্থান কে আরো সম্মানজনক করবে নিশ্চতভাবে। ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ এখন অনেকটাই সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত যা বাংলাদেশে একটা সুস্থ ও সভ্য সামাজিক ব্যবস্থা গঠনে অন্তরায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সামাজিক সমস্যা অনেকাংশেই দূর করতে সক্ষম হব।এই ক্ষেত্রে নারীদেরকেও অগ্রণী ও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। কারন BNWLA সমীক্ষায় দেখা যায় শতকরা ৩০ ভাগ নারী মনে করেন তাদের উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অধিকার তাদের স্বামীদের রয়েছে। এই ভ্রান্ত মনোভাব দূর করতে হলে নারীর শিক্ষা, সচেনতা বাড়াতে হবে, তাদেরকে আইনী সহায়তা দিতে হবে, বিদ্যমান আইনগুলোর ত্রুটি দূর করে যথাযত আইনী প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ‘Domestic Violence (Prevention and Protection) Act 2010’ পাশ হলেও এখন পর্যন্ত আইনগত প্রক্রিয়া গঠন করা হয়নি।তাছাড়া এই Act সম্পর্কে জনসচেনতা গঠন করতে হবে যাতে সামাজিকভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয় এবং নারীরা নির্ভয়ে তাদের অভিযোগ যথাযথ করতিপক্ষকে জানাতে পারে। আইনী আওতায় না আনলে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়, নিছক পারিবারিক ব্যাপার – এই মনোভাব সমাজ থেকে কখনই দূর হবে না।

নিম্নে বর্ণিত একটা ঘটনাই এটা বোঝাতে যথেষ্ঠ যে ‘পারিবারিক সহিংসতা আমাদের দেশে কোন পর্যায়ে আছে এবং আমাদের বিবেক কতো মানবিকতা বর্জিতঃ

২০১৩ সাল। নভেম্বার ২৮। স্থান – নারায়নগঞ্জ। রুপা রানি দাস  নামের এক তরুনী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যু বরণ করেন। রুপা নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে নিজেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। কারন? স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার রুপা আর সহ্য করতে পারেনি। আত্মহনন কে বেছে নিয়েছিল অত্যাচার থেকে বাচার জন্য। এই সমাজ ব্যর্থ রুপার জীবনের নিরাপত্তা দিতে। সভ্যতা, মানবিকতা পরাজিত পশুত্তের কাছে। আমরা আর কতকাল নিরব থাকবো এবং পশুত্তের কাছে হার মানবো?

১,৪৯৯ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ বা পারিবারিক সহিংসতাঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স-এর পরিধি ব্যাপ্তির বোধগম্যতা আমাদের সবার কাছে দর্পণ স্বচ্ছ্ব হোক ।
    হোক সাধারণ আপামরের কাছে । ক্রমশ বিলীন হয়ে যাক এর সব কটি ধারা ও ধরন ।
    সুখী সুন্দর সুস্থ্য ও আনন্দময় হয়ে উঠুক আমাদের সবার জীবন ।

    সাধুবাদ লেখাটির জন্য ।

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    সিসিবিতে সুস্বাগতম মোরতায়েজ! খুব চমৎকার একটা লেখা দিয়ে তোমার এখানে পদচারণা শুরু হলো।
    Charity begins at home. Domestic violence এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিজ নিজ বাড়ী থেকেই শুরু করতে হবে। তুমি যেমন ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছো, এর বহু প্রকারভেদ আছে। তবে facts figures নারীদের অনুকূলে বোধগম্য কারণে থাকলেও, ভায়োলেন্স এর ব্যাপারে নারীরাও যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণও তো আমরা মাঝে মাঝেই প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়াতে দেখতে পাই।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।