আমি কেন ডঃ রমিত আজাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার — এডমিন সমীপে

গেল দুদিন খুব ঝক্কি গেল। ব্যাস্ততার কারণে অনেক প্রিয় লেখা পড়া হয় না, মন্তব্য করা হয় না।
মাঝেমধ্যে ঢুঁ মেরে চলে যাই। হঠাৎ ডঃ রমিত আজাদের সাম্প্রতিক একটি লেখায় অস্বাভাবিক ট্রাফিক লক্ষ্য করে কৌতূহলী হয়ে উঠি।
প্রসঙ্গৎ বলে রাখা ভালো, ইতোপূর্বে নানান কারণে তিনি সিসিবিতে হতাশার কারণ হয়েছিলেন দফায় দফায় – তা সেসবার বিস্তারে যাচ্ছিনা, অনেকে অবগত আছেন – প্রয়োজনে পুরনো লেখা উত্তোলন করে দেখয়ে নিতে পারেন (অবশ্য কোন ভায়াবহ দুর্যোগ যে নেমে আসবেনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারবোনা)।

আপনারা হয়তো গত ৪৮ ঘণ্টায় সিসিবিতে আমার অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করে থাকবেন। কেবল একজনের পোস্ট নিয়ে আমাকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্য কোন পোস্টে আমার উপস্থিতি একেবারে ছিলই না প্রায়। তাছাড়া কিছু কিছু মন্তব্যে দেখা গেছে আমাকে বেশ বেপরোয়া এবং উদ্ধত ভঙ্গিতে কথা বলতে। ডঃ আজাদ আমার চেয়ে দুবছরের বড় বলেই কেবল নয়, বয়সে তরুণতর কাউকেও এমনভাবে বলাটা বেশ বাড়াবাড়িই সেটা আমি নিজে স্বীকার করি। তবে কি এই যে, আমি এ আচরণের জন্যে অনুতাপ করতে বসেছি এখানে? না, আমার তা মনে হয় না। একবারেই তা মনে হয় না আমার।

ভেবে দেখলাম, ডঃ সাহেবের প্রতিটি পোস্টে তাড়া করে বেড়ানোর থেকে এখানেই গুছিয়ে কিছু বলবার চেষ্টা করি। এডমিনকে এবং সম্মানিত সদস্যদেরও বলবার চেষ্টা করি।

আজ পর্যন্ত পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে, কোনপ্রকার নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে তিনি নানান জায়গা থেকে একদম হুবহু কপি করে ব্লগ পোষ্ট করে আসছিলেন। কখনো এক দু প্যারা, দাঁড়ি কমা সহ —কখনো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। তাঁকে চ্যালেঞ্জ করা হলে আজ পর্যন্ত কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। নানান টালবাহানা করে এড়িয়ে গেছেন। দাবী করেছেন নেহাত অসাবধানতাবশত এ ‘ভুল’ হয়ে গেছে। এবং কর্ণপাতও করলেননা একাধিক সদস্যের মন্তব্যের প্রতি, যে, ফিরে এসে রেফারেন্সে দিলেই টুকলিফাই করার অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
ঘটনার শুরু তাঁর ‘ইসলামের স্বর্ণযুগ -৬’ ব্লগটি নাড়াচাড়ার মাধ্যমে। তারপর আমি এবং অন্যেরা কৌতূহলী হয়ে তাঁর আরও কিছু ব্লগ নিয়ে কিঞ্চিৎ ঘাঁটাঘাঁটি করতেই দেখা যায় আরও ন্যাক্কারজনক আসলে পুরো চিত্রটি। বিভিন্ন জায়গা থেকে অকাতরে তিনি চুরি করে চলেছিলেন বেশ কিছুটা সময় ধরেই। কোথাও দায়সারা করে একটা লিঙ্ক দিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেননি। অথচ পাঠকের ভূয়সী প্রশংসা এবং স্তুতি মাথা পেতে নিয়েছেন।

গতকাল তাঁকে বেশ সোচ্চার দেখা যাচ্ছিল মন্তব্যে। বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছিলেম রেফারেন্স অফিসের দেরাজ বা কম্পিউটার থেকে জনতার জন্যে অবমুক্ত করবেন যাবতীয় তথ্য আর আমাদের ভুল মুহূর্তে ভেঙ্গে যাবে — যদিও অভিযোগের মূল তীরটি ছিল এসব লিঙ্ক থেকে লাইন বাই লাইন টোকাটুকির দিকেই। তিনি এও বলছিলেন — ‘আমাকে বোঝার চেষ্টা কর’ এবং যাদের আপন ভেবে আসছিলেন তারাই না কি ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে ইমোশন কার্ড খেলতে চেষ্টা করলেন।

যাক, কেন আলাদা একটি ব্লগে আমার ভাবনা লিপিবদ্ধ করছি। প্রথম যুক্তি হচ্ছে — আনুষ্ঠানিক দায়মুক্তির। ডঃ আজাদ আমাদেরই একজন, আমাদেরই ভাই। তিনি অন্য ব্লগ এবং ব্যক্তির লেখা চুরি করে নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করেছেন, চালিয়েছেনও। এর একটা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ হবার প্রয়োজন ছিল। আমি জানি সিসিবির রেডবুক চৌর্যবৃত্তির বিরুদ্ধে;তাই আশা করেছিলাম আমার আগেই এডমিন কিছু বলবেন এবং তাঁর অবস্থান প্রকাশ করবেন। সেটা দেখতে পেলাম না বলে আমি সিসিবির হয়ে সে-সমস্ত লেখকগণ (যাঁদের লেখা চুরির শিকার হয়েছে)-এর প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। এবং ডঃ আজাদের এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করছি। বিশ্বাস করুন, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কথাগুলো লিখছি। তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়েই আমার মতের অমিল আছে, কিন্তু তাঁকে একজন পণ্ডিত এবং সৎ ব্যক্তি হিসেবেই জানতাম। সন্দেহ থাকলে বহু আগেই এসকল কাজ জনসমক্ষে চলে আসতো, পোস্টগুলো তো সিসিবি সাইটেই পড়ে ছিল।

দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে — একটি উদাহরণ সৃষ্টি করা বর্তমান এবং ভবিষ্যত সদস্যদের জন্যে। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তার একটি নজির স্থাপন করা আমাদের কর্তব্য বলে আমি মনে করি।

ডঃ আজাদের পোষ্টগুলো নিয়ে বিস্তারিত আর এখানে বললাম না। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মন্তব্যে তাঁর চৌর্যবৃত্তির অজস্র প্রমাণ ছড়িয়ে। উৎসাহী পাঠক দেখে নিতে পারেন। এডমিনের প্রতি আমার অনুরোধ — দ্বিধা না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যতই সময় পেরুচ্ছে ততই আপনাদের দোদুল্যমানতা প্রকট হচ্ছে। সিসিবির রেডবুকে যা আছে অন্তত তাকে বাস্তবায়ন করা আপনাদের দায়িত্ব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডঃ আজাদের আকাউন্ট স্থবির করে দেয়ার পক্ষপাতী। যেন তিনি কোন প্রমাণ লোপাট করতে না পারেন সেজন্যে তাঁর পোস্টগুলোকে কোন আর্কাইভে স্থানান্তর করা যেতে পারে। কোনমতেই পোস্ট মুছে দেয়া হোক এটি কামনা করছি না। পাঠকদের উদ্দেশ্যে — যদি মুছে দেয়া হয়ও, ডঃ সাহেবের বিতর্কিত পোস্টগুলো আমার কাছে সেভ করা আছে মন্তব্যসহ। প্রয়োজনে উদ্ধৃত করা যাবে।

সবশেষে, আপনাদের মন্তব্য এবং আলোচনা আশা করছি। কেউ যদি মনে করে থাকেন — এমনটি করাটা অপ্রয়োজনীয় ছিল, নির্দ্বিধায় তা বলুন। যদিও আমি মনে করি সম্পূর্ণ এর বিপরীতটাই।

আসুন কুম্ভীলকবৃত্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। ভালো মন্দ যাই লিখি সৎভাবে লিখি। সিসিবির পরিবেশ সুন্দর ও নৈতিকতাময় রাখি। হ্যাপি ব্লগিং!

১৬২ টি মন্তব্য : “আমি কেন ডঃ রমিত আজাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার — এডমিন সমীপে”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    এতোক্ষণ মিঃ আজাদের লেখা কাফের ভাই পড়ছিলাম। বিমবিষার ভাব হলো পড়তে পড়তে।

    আমাদের মাঝে মত পার্থক্য থাকতেই পারে; কিন্তু লেখকের ভাবনার দরিদ্রতা এবং মননের নিচতার যে পরিচয় পেলাম তাতে লজ্জিত না হয়ে পারলাম না।

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আমিও গভীর সহমত জানাচ্ছি।

    আমি আরও যোগ করতে চাচ্ছি যে সিসিবির নীতিমালায় যাই থাকুক, প্লেজিয়ারিজমের ব্যাপারে এডমিনরা যদি নমনীয় হন, সেটাও তাঁদের এক্সপ্লিসিটলি বলা উচিৎ।
    সেক্ষেত্রে আমি নিজেকে এই "অনৈতিক" ব্লগস্ফেয়ার থেকে গুটিয়ে নেবার কথা ভাবতে পারবো।

    রাগের না, যুক্তির কথাই বলছি ভাই.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    শতভাগ একমত নূপুরদা। চৌর্যবৃত্তির পাশাপাশি ওনার মাঝে অপবিজ্ঞান, কুসংস্কার এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের ও ব্যপক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। একজন রাস্তার মোড়ের আংটি-তাবিজ বিক্রেতা এধরনের কথাবার্তা বলে থাকলে তাতে সমাজের খুব একটা ক্ষতি হয়না। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচয়দানে সদাগ্রহী একজনের কাছ থেকে আসা এরকম লেখা সমাজের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমাদের উচিত যার যার জায়গা থেকে সাধ্যমত এগুলোর প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা। আপনি ঠিক সেই কাজটিই করেছেন। :hatsoff: :hatsoff:


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    নূপুরদার সাথে একমত।
    তবে আমার মতে রমিত আজাদ ভাইএর সিসিবিতে লেখালেখি জারি থাকলেই ভালো। আর যে সমস্ত জায়গায় উনার লেখালেখি ভিজিবল দেখি সবখানেই স্তুতিবন্যার সুনামি 😀 একমাত্র এখানেই উনি বাটে পড়েছেন (এখনও আছেন মনে হয় 😀 ) যেহেতু সব সার্চ করলেই পাওয়া যায়, সো নেট বাসীরা ইনার এই সিচুয়েশনটাও দেখলো :grr:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. রাব্বী (৯২-৯৮)

    দাবির সাথে সহমত!

    ডঃ আজাদকে কারণদর্শানোর নোটিস দিক এডমিন, সাথে ব্লগ পোস্টিং এর অধিকার সাময়িকভাবে রহিত করা হোক। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে পাকাপাকি ব্যান করা হোক। তবে ব্লগগুলো আর্কাইভে থাকুক।

    এডমিনের সক্রিয়তা দেখতে চাই এই বিষয়ে।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    প্রথমেই সিসিবি'র এডজুটেন্টের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    @নূপুর ভাই,

    আপনাকে যতদূর জানি, তাতে আমার বিশ্বাস আপনি ব্যক্তি ডঃ রমিত আজাদ নয়, বরং প্লাজিয়ারিজমের বিরুদ্ধে। একারনে এই ব্লগের শিরোনামটা আমার মনে হয় খানিকটা অন্য রকম হলে যথার্থ হতো। যেমন- 'কৃতকর্ম' না বলে সরাসরি 'প্লাজিয়ারিজম'ই উল্লেখ যেতো। অবশ্য আমি এটাও স্বীকার করছি যে আপনার অনেক ধকল গেলো এই 'গোবর ছানা'র কাজটা কড়তে গিয়ে। ইচ্ছে ছিল নিজেও খানিকটা লেগে থাকার। কয়েকদিন পরে এইটুকু পুষিয়ে দিতে প্লাজিয়ারিজম নিয়ে একটা ব্লগ পোষ্ট করার ইচ্ছে থাকল 🙂


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      মাহমুদ তোমার কি মনে হচ্ছে না সিসিবিতে মিঃ আজাদ এবং প্লেইজারিজম প্রায় সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভাইয়া?

      মিঃ আজাদের মত আমরা বাকী সিসিবিয়ানরা যদি এখন কবিতা চুরি করে সিসিবিতে পোস্ট করা শুরু করি তবে সিসিবি ছাপবে তো? আমার যুক্তি হবে, ছাপতেই হবে কারণ আমার পূর্বসুরী ডিড ইট! কপি পেস্ট প্রবন্ধকার হিসেবে তুমি আমায় দেখতে পেলে খুশী হবে, ভাইয়া? হাউ এবাউট সিদ্দীকা কবিরের বই লাইন বাই লাইন টুকলিবাজি করে যদি একটি রান্নার ব্লগ লিখি, কেমন হবে বলো তুমি?

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        আপা,

        আপনি ভুল বুঝেছেন মনে হচ্ছে। এর দায়টা আমি নিজের ঘারেই নিয়ে নিচ্ছি। তাই, আরেকবার চেষ্টা করি আমি উপরের মন্তব্যে কি বলতে চেয়েছি-

        আমরা ত' ব্যক্তিকে সমালোচনা করছি না, করছি তাঁর একটা অপরাধকে। অপরাধ করেছেন বলেই ডঃ রমিত আজাদ আমাদের আলোচনায়/সমালোচনায় এসেছেন। আর সেই অপরাধটা হচ্ছে প্লাজিয়ারিজম। সেই জন্য নূপুর ভাইয়ের ব্লগের শিরোনামে অপরাধী ব্যক্তির নামের সাথে অপরাধটাও উল্লেখ করলে ব্যাপারটার মধ্যে কোন প্রকার অস্পষ্টতা থাকেনা।

        মাহমুদ তোমার কি মনে হচ্ছে না সিসিবিতে মিঃ আজাদ এবং প্লেইজারিজম প্রায় সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভাইয়া?

        মানছি যে, বিদ্যমান আলাপের প্রেক্ষিতে এইটা বেশ যুতসই একটা পর্যবেক্ষণ। কিন্তু সংগত কারণে অপরাধ দিয়ে ব্যক্তিকে ডিফাইন করার ব্যাপারটায় আপনার সাথে দ্বিমত করছি। এরচেয়ে প্লাজিয়ারিজমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিসিবির এডজুটেন্টের কাছে তোলা দাবিটাকেই চলুন আরও জোরালো করি। এখানে আমি ডঃ রমিত আজাদ একটা উপলক্ষ্য মাত্র। তার শাস্তি চাইছি মূলতঃ প্লাজিয়ারিজমের জন্য, অন্য কোন কারণে নয়। তাই এখানে প্লাজিয়ারিজমকেই আমি মুখ্য হিসেবে দেখছি, ব্যক্তিকে নয়।

        আশা করি, এবার আমার বক্তব্য আঃরও স্পষ্ট করে বলতে পেরেছি। তবে সব কিছুতেই যে একমত হতে হবে এমনটাও ত নয়, কি বলেন? 🙂


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
  7. দিবস (২০০২-২০০৮)

    রমিত আজাদ ভাই এই পোস্টে এসে কিছু বলবেন বলে আশা করছি। উনি এতদিন যাবৎ যে সব ব্লগ দিয়ে আসছিলেন বেশীরভাগই পড়া হয় নাই। এর অন্যতম কারন যে কয়েকটা পড়েছি সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথার ফুলঝুড়িটাই বেশী থাকে। আর এবারের ব্যাপারে এডমিন পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা আসবে বলে আশা করছি।


    হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি

    জবাব দিন
  8. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    সত্যি দুঃখজনক নূপুর দা।
    যদিও আমি নিজেই কপি পেষ্টের বাইরে না। তবু চেষ্টা করি রেফারেন্স দেবার।

    হয়তো রমিত ভাই জ্ঞান ছড়িয়ে দেবার যুক্তি দেবেন।
    কিন্তু ওয়ে টা ভুল মনে হয়েছে।
    আমি নিজে অনেকের অনেক লেখা শেয়ার করি। কিন্তু সেগুলো বেশিরভাগ ফেবু তে। এবং লেখকের নাম সামনে পিছনে দিয়ে দিই।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  9. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    তবে কবিতার যে লিংক দিয়েছেন সাবিনা আপা আরেকটি লেখায় তাতে আতংকিত বোধ করছি। দুজন একই লেখক প্রমাণিত হোক এই আশা করছি।
    আর নয়তো বিশাল শকড হবো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  10. মঞ্জুর (২০০২-২০০৮)

    বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন সিসিবিতে ঢোকা হয় না। এই পোস্টের কারণেই মূলত ঢুকলাম। রমিত আজাদ ভাইয়ের বিশাল ব্লগটি পড়া হয়নি। কিন্তু প্লেইজারিজমের ব্যাপারটি যা দেখলাম সেটি অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা অনেক সময় কোনকিছু ভালো লাগলে সেটি ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে কার্টেসি দিয়ে দিই, অথবা কোন কোন সময় কালেক্টেড লিখে দিই। কিন্তু এই একই কাজটি ব্লগের ব্যাপারে করা যায় না, বা ব্লগের যে একটি স্বকীয়তা আছে এই ব্যাপারটি হয়তো রমিত আজাদ ভাইয়ের মাথায় আসেনি। আমি একথা বিশ্বাস করতে চাই না নিজের নামে চালানোর জন্য উনি ডেলিবারেটলি একের পর এক লেখা কপি করেছেন। কিন্তু একথা দিবালোকের মত পরিষ্কার যে যুক্তি প্রমাণ কোন কিছুই উনার পক্ষে নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই উনি এসে উনার ভুলের দায় স্বীকার নিক।

    জবাব দিন
  11. Plagiarism is the "wrongful appropriation" and "stealing and publication" of another author's "language, thoughts, ideas, or expressions" and the representation of them as one's own original work.[1][2] The idea remains problematic with unclear definitions and unclear rules.[3][4][5] The modern concept of plagiarism as immoral and originality as an ideal emerged in Europe only in the 18th century, particularly with the Romantic movement.

    Plagiarism is considered academic dishonesty and a breach of journalistic ethics. It is subject to sanctions like penalties, suspension, and even expulsion. Recently, cases of 'extreme plagiarism' have been identified in academia.[6]

    Plagiarism is not a crime per se but in academia and industry, it is a serious ethical offense,[7][8] and cases of plagiarism can constitute copyright infringement. Soure: Wiki

    জবাব দিন
  12. এ কমেন্টটা আমি তার কবিতা ব্লগে পোস্ট করেছি। যাতে আরো বেশি পাঠকের নজরে পরে তাই এখানে দিয়ে দিচ্ছি।
    ===

    এই কবিতাটা রমিত আজাদ ভাই'ই প্রথম প্রকাশ করেছেন সামুতে। ২৫ আগষ্ট সকালে, সেখান থেকে নিয়ে কেউ হয়তো কপি করে কুড়িগ্রাম ব্লগে সেদিন দুপুরে পোস্ট করেছে। যেহেতু এটা একটু অন্য ধরনের কেস, কিউরিয়াস ছিলাম - তাই চেক করে দেখলাম। লিনক্ এখানে -

    http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30064635

    আমি আগেও একটা কমেন্ট করেছিলাম, যেন আমরা বাড়াবাড়ি না করি - তার যেটুকু দোষ সেটুকুর জন্যই উনি দায়ী - সেটা কতখানি বা কত বড় সেটার একটা নৈর্বক্তিক মাপকাঠি আছে। ad hominem বা ভিন্ডিক্টিভ যে কোনো ধরনের আচরন বা মাস হিস্টারিয়ায় যেন পাঠকরা কাবু না হয়, তার কোন কমেন্টে আগে কেউ আঘাত পেয়েছিল তাই ভিন্ডিক্টিভ হয়ে তাকে কাবু করা - এ রকমটা যেন কিছুতেই না হয়। সেরকম যদি হয় আমি বলব আমরা ইম্যাচুর পাঠক ও ইম্যাচুর মানুষ। আমি রমিত আজাদ ভাই কে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না বা তাকে ডিফেন্ড করতে আসিনি।

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ১) এতকাল তো জানতাম ad hominem মানে ব্যাক্তি আক্রমন, এইটা যে ভিন্ডিক্টিভের ও প্রতি শব্দ, জানা ছিল না!!!
      যা হোক, এই প্রথম ad hominem-এর একটা দাবী উঠলো।
      "প্রমানের দায়, দাবী কারির" - এই শর্ত পুরন করে এখন প্লীজ এসটাবলিশ ইওর কেইস যে কে কখন কোথায় রমিত কে ব্যাক্তি আক্রমন করেছে?
      আমি এখন পর্যন্ত তাঁর কাজের ব্যাখ্যা চাওয়া ছাড়া আর কিছু দেখি নাই।

      ২) তোমার দ্বিতীয় দাবী "তার কোন কমেন্টে আগে কেউ আঘাত পেয়েছিল তাই..."। প্লেজিয়ারিজমটা উদ্ঘটন করে রাব্বি। এরপর অন্যরা তাতে পার্টিসিপেট করেছে। তাহলে আঘাত পেয়ে আবেগের বসে ভিন্ডিক্টিভ যদি কেউ করে থাকে, সে হলো "রাব্বি"।
      তুমি কি এখন তোমার এই দাবীটারও স্বপক্ষে প্রমান হাজির করবা যে কেন তুমি মনে করো রাব্বি হ্যাজ গট সাম পারসোনাল ইস্যু উইথ হীম?

      আর এই প্রমানগুলা যদি করতে না পারো, তোমার দুইটা দাবীই স্বয়ংক্রিয় ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হবে।
      সেই ক্ষেত্রে মিথ্যা দাবী করে প্লেজিয়ারিজম আনকাভারে নিরলস কাজ করে যাওয়া দায়িত্ববান ব্যাক্তি বর্গ কে অকারন ডেসট্রাক্ট করার জন্য তোমার কাছে কি ক্ষমা প্রার্থনা না হোক, দুঃখ প্রকাশ কি আশা করতে পারি???
      টু সোহেল ৮৫-৯১


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • পারভেজ ভাই,
        ad hominem ও 'ভিন্ডিক্টিভ' দুটো আলাদা অর্থ বলেই দুটোই উল্লেখ করা হয়েছে। 'ad hominem 'বা' ভিন্ডিক্টিভ' লেখায় হয়তো সেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। আমি লিখেছি 'ad hominem বা ভিন্ডিক্টিভ যে কোনো ধরনের আচরন বা মাস হিস্টারিয়ায়' - তিনটা টার্মের উল্লেখ করেছি - অন্যটা 'মাস হিস্টারিয়া'। আমি কম লিখি তাই হয়তো বুঝাতে অসুবিধা হয়েছে। সরি।

        ‘ইসলামের স্বর্ণযুগ -৬’ লেখায় অনেক কমেন্ট এসেছে যাতে বোঝা যায় যে অনেকের সাথেই আগে ওনার কিছু আইডিয়া/ব্লগ ঘটিত কোনো কমেন্ট চালাচালি বা সে ধরনের কিছু হয়েছিল যেটা অনেকের মনে গেথে আছে। আমি যেহেতু এখানে রেগুলার না, তাই সেটা ফলো করতে পারছিনা। তবে এখন 'প্লেজিায়ারিজম' চার্জের সাথে সেগুলোকে যেন মিশিয়ে না ফেলা হয় তাই আমি এটা লিখেছি। কোনো একজনকে উদ্দেশ্য করে আমি এটা লিখিনি - একাধিক কমেন্টেই আমি এরকমটা পড়েছি।

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          প্লেজিয়ারিজম চার্জের সাথে অন্য কিছু এখনও কেউ মেলায় নাই।
          একটি প্লেজিয়ারিজম চার্জ খুড়তে গিয়ে, আরও অনেক প্লেজিয়ারিজমের অভিযোগ উঠে আসছে।
          তোমার কথার টোনে যে জিনিসটা নিতে পারছি না, তা হলো কনসার্ন ফর সাইড ইস্যু।
          মূল ইস্যু, অর্থাৎ প্লেজিয়ারিজম চলবে কি চলবে না, আনকাভার হবে কি হবে না, সরাসরি সে প্রশ্ন উত্থাপিত হবার পরেও (মাসুম কর্তৃক) তার কোন উত্তর এখনো পাই নাই। এটা হতাশাজনক।
          প্রায়োরিটির সমস্যা কি?
          অভিযোগের একটা ভিত্তি হলো কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা।
          তোমার কথা যদি ঠিক ধরে নেই যে কেউ একজন রমিতের উপর ভিন্ডিক্টিভ ছিল বলে সেটা চরিতার্থ করার জন্য মিছেমিছি তাঁর পিছে লেগেছে, তো ঘটনাপ্রবাহ কি তা সমর্থন করে?
          এইজন্য রাব্বীর প্রসঙ্গ টেনেছি, তাঁর সাথে রমিতের কি বাধাবাধি আছে তা উদঘটনে। শুরুটা সে ই করেছিল, প্রমান সহ।
          সেরকম কোন কিছু তো এখনো দেখলাম না। (দেখবো কি ভাবে, যা নাই ই)
          অন্য যারা রমিতের সম্পর্কে যা যা বলেছে সেগুলা হয় তাঁর এখানকার রেসপন্স সম্পর্কিত (পিছলামি, অফিসে রেফারেন্স থাকা, ইত্যাদি) নতুবা পুরাতন হতাশা (লিখা পড়ি না, এভয়েড করি, ইত্যাদি)
          প্রত্যেককে যে প্রতিটা ব্লগই পড়তে হবে, এমন তো না। কারো লিখা পড়ার উপযুক্ত মনে না হবার একশো একটা কারন থাকতে পারে।
          খাপ ছাড়া মনে হওয়ায় অথবা বিষয়বস্তু অপছন্দনীয় হওয়ায় যারা পড়ে না, সেটা তাদের প্যাসিভ মুভ।
          প্লেজিয়ারিজমটা আবিষ্কার হবার পর অনেকেই তাদের একশনের যৌক্তিকতা পেয়েছেন ও সেটা জানিয়েছে।
          এটা কে ভিন্ডিক্টিভ এটিচিউডের সাথে গুলিয়ে ফেলাটা একটা অভার রিএক্টিভিটি নয় কি?

          "আমি এক্সের ক্ষতি চাই, চলো দল বেঁধে তাকে ধরি" - এই অবস্থানটা হলো ভিন্ডিকেশন। কারন এখানে একটিভ মুভ থাকে।
          কিন্তু যখন কেউ বলে, "এক্সকে আমি বরাবরই এভয়েড করতাম। শুনলাম তার বিরুদ্ধে অমুক অভিযোগ উঠেছে। বুঝতে পারছি, আমার ঐ এভয়েড করাটা ঠিকই ছিল।" - এটা কিভাবে ভিন্ডিকেশন হয়? এখানে কি আছে সেরকম কোন একটিভ মুভ?

          এইবার ad hominem নিয়ে বলি।
          প্রথম কথা হলো, এটা মূলত ঘটে যুক্তি খন্ডনে।
          যখন প্রাপ্ত আর্গুমেন্টের উত্তর না দিয়ে আর্গুমেন্ট প্রদানকারীর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করা হয়।
          মূল অভিযোগ করা হলো প্লেজিয়ারিজমের। প্রমানসহ।
          লেখক সেটার পক্ষে সাফাই দিলেন এবং কার্যতঃ অভিযোগটা মেনেই নিলেন।
          সমস্যা বাধলো, সেটাকে যখন তিনি ও তাঁর ফলোয়াররা গ্রহনযোগ্য আচরন বলে দাবি করা শুরু করলেন।

          এইক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম হয়েছে কি হয় নাই, সেটা কিন্তু এখন আর বিচার্য নয়। বিচার্য হলো, সিসিবিতে এই প্লেজিয়ারিজম চলবে কি চলবে না?
          এই যখন অবস্থা, তখন প্রথম কথা হলো ad hominem-এর ক্ষেত্রটা কি?
          আসলেই কোন ক্ষেত্র নাই।
          আমি বরং তোমার লিখাতেই কিছুটা ad hominem এর গন্ধ পাচ্ছি।
          এমনটা মনে হওয়ার যৌক্তিক কারন দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি ধরে নিয়েছো, আগে রেষারেষি ছিল বলেই কেউ কেউ রমিতের বিরুদ্ধে যুক্তি দিচ্ছে।
          এইজন্য তোমার কাছে স্পেসিফিক প্রমান দাবী করলাম।
          সেটা কিন্তু পাশ কাটিয়ে গেলে এই কনসার্ন জানিয়ে যে "এখন 'প্লেজিায়ারিজম' চার্জের সাথে সেগুলোকে যেন মিশিয়ে না ফেলা হয়"।
          আমার তো এখন আবার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হচ্ছে, "প্লেজিায়ারিজম চার্জের সাথে সেগুলোকে কে যে মিশিয়ে ফেলা হতে পারে" - এমনটা মনে হবার কারন কি?
          আমার উপদেশ হলো, আমরা দীর্ঘ খোড়াখুড়ি করে এমন একটা অবস্থানে এসেছি, যেখানে রমিৎ ব্লগে "কপি-পেস্টে"র (অর্থাৎ প্লেজিায়ারিজমের) অভিযোগ অস্বীকার করে নাই। এবং এটাকে গ্রহনযোগ্য বলছে।
          আমরা সেটা মানছি না।
          এর বাইরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের আর কোন ইস্যু নাই।
          তাই নতুন করে অন্য কোন ইস্যু (যেমন: ad hominem, ভিন্ডিকেশন, ভেনডেটা, ইত্যাদি) এখানে ঢুকানো থেকে বিরত থাকাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
          ওগুলো এনে সমস্যা কমবে না, বরং বাড়বে।
          সাড়ে তিন হাজার (বা কাছাকাছি) সদস্যের এই ব্লগে বেশিরভাগই যদি রমিত-মডেলে কাট-পেস্ট ব্লগ নিয়ে খুশি থাকে, কার কি বলার থাকে তাতে?
          সেক্ষেত্রে আমরা যারা কাট-পেস্ট সাহিত্য মানতে পারি না, তারা না হয় তফাৎ হয়ে যাবো।
          কিন্তু আমরা যারা এখন পর্যন্ত ঐ কাট-পেস্ট সাহিত্য বিরোধী, তাদের কথা যদি মানা হয় তবে এই কাট-পেস্ট ব্লগিং কালচার সিসিবিতে এক্সপ্লিসিটলি বন্ধ করতে হবে।
          রমিতকে ব্যানের কথা বলেছি, লিখার অধিকার কেড়ে নেওয়া অর্থে না, বরং এ যাবত পোস্ট করা লিখাগুলি খারাপ-উদাহরন হিসাবে রেখে দেয়ার জন্য, (একটিভ অবস্থায় সে যেন ওগুলো মুছে দিতে না পারে)।
          আর কাট-পেস্ট সাহিত্যে থেকে বেরিয়ে এসে সে যদি লিখে, লিখুক না?
          সমস্যা কি?


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • রাব্বী (৯২-৯৮)

            পারভেজ ভাইয়ের কথাগুলো খুব স্পষ্ট এবং যুক্তিসঙ্গত।

            যেহেতু আমার নাম এসেছে তাই দুটো কথা বলি। ব্লগএ আমি তেমন নিয়মিত ছিলাম না। রমিত ভাইয়ের কান্ডকীর্তি প্রথম চোখে পড়ে জুলাই মাসে। তখন ব্যস্ত থাকায় গা করিনি। তারপর আবার আগস্ট মাসে দেখি, সে পোস্টে হিব্রু এবং আরবি লেখা তুলে দেয়া। সার্চ করে একটু বিরক্ত হই। দেখি একি গতি এবং কলেবরে তার ব্লগ এগোচ্ছে। এবং লেখার সিংহভাগই অন্যের এবং যেটি দিয়ে পাণ্ডিত্যপূর্ণ ব্লগ নিজের নামে ছেপে চলেছেন। সবশেষে, ইসলামের স্বর্ণযুগ ৬ পড়ে ভাবলাম দেখি প্রমাণসহ তুলে দিলে উনি কি বলেন। আমি আশা করিনি এটার এত তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে। গণ প্রতিক্রিয়াতে আমার যে লাভটি হয়েছে তা হলো, রমিত ভাই প্রথমদিকে আমার দিকে তেড়ে আসলেও, গণরোষের সামনে ওনার আমাকে ছেঁড়ে ওনার নিজের পশ্চাৎদেশ বাঁচাতে দৌড়োদৌড়ী করতে হয়েছে।

            এখানে একটি কথা বলে রাখি, ওনার "কাফের ভাই" ব্লগ এর পর আমি আর কোনদিন পুরোপুরি ওনার আর কোনও ব্লগ পড়িনি। মাঝে মাঝে খুলে বিষয়বস্তু দেখতাম। ওজন কলেবর দেখে আবার চলে যেতাম। সত্যি কথা বললে, বিষয় অনেক ভারি এবং কিছু ক্ষেত্রে আগ্রহ উদ্দীপক হলেও লেখাগুলো তেমন টানতো না। তাই, ওনার প্রতি কোনও ব্যক্তিগত আবেগ বা অনুরাগের বশে না, নেহায়েত চুরিটার উপর বিরক্তি থেকে কমেন্ট করে উনি ঠিক কি কারণে এই কাজটি করছিলেন সেটি জানতে চেয়েছিলাম। আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম যে উনি একজন যথেষ্ট সিনিয়র শিক্ষক হয়েও এই কাজটি বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং সবাইকে ঠকাচ্ছিলেন। আর তারপর, বাকি কাজটা সবাই মিলে করেছে।

            পুরো ব্যাপারটা আসলে খুব তাৎক্ষনিক ছিল। এখানে কেউ পরিকল্পনা করে আসেনি। তবে এটা সত্যি ওনার অতীত রেকর্ড ভাল নয়। তবে সে রেকর্ড, আমার কমেন্টের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেনি। আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবেও চিনি না। ওনার লেখাই ওনাকে এখানে উপস্থাপিত করেছে স্বমহিমায় এবং প্রাপ্তিটুকু দেরিতে হলেও কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থার জন্য কাউকে যদি দায়ী করতে হয়, সেটি ডঃ আজাদ নিজে।

            এই জাতীয় ব্লগ গুলিতে একটি প্রবণতা আগেও খেয়াল করেছি, কেউ কেউ জাতির বিবেক সেজে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং মূল ফোকাস ১৮০ ডিগ্রি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। এবং বাহাস তৈরি করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে কখনো সফল হন না। ব্যাপারটি বরাবরই বেশ ইন্টারেস্টিং!


            আমার বন্ধুয়া বিহনে

            জবাব দিন
            • পারভেজ (৭৮-৮৪)

              চমৎকার একটা ব্যাখ্যায় নিজের অবস্থান বর্ননা করলে।
              আমার মনেহয়, এটার খুবই দরকার ছিল।
              আমরা কে কিভাবে এই প্রক্রিয়াটার সাথে যুক্ত হয়েছি, সেটার খোলাখুলি বর্ননা থাকা দরকার।
              এখানে যে কোন ব্যক্তি পর্যায়ের ইস্যু ছিল না, সেই রেকর্ডটা রাখা খুবই জরুরী।
              জরুরী এই কারনে যে এতে করে অন্য অনেক কুযুক্তি ও দোষারোপের ক্ষেত্র প্রস্তুতি বাঁধা প্রাপ্ত হবে।

              রমিত আজাদের প্রতি নমনিয় যেসব মন্তব্য এসেছে, সেগুলার অনেকগুলা পড়েই আমার মনে হয়েছে, তাদের লিখা এই ধারনা প্রসূত যে সিসিবিতে রমিতের সাথে কারো কারো ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনেই তারা দল বেঁধে তাঁর একটা নন্দিত (সামুতে) স্কলারলি ব্লগের উপর চড়াও হয়েছে।
              একটি ব্লগ ক্রেডিট বিহীন কপি-পেস্টে জর্জরিত, সেটা স্বীকার করার পরেও তাঁর পক্ষে সাফাই গাইবার লোক জটে কি করে, ভাবতেই তো গায়ে কাঁটা দেয়।
              দেশে মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে সত্য, কিন্তু তা অনেক সময় মেনে নিতে হয় পরিস্থিতির চাপে। তাই বলে এমন একটা উন্মুক্ত পরিবেশেও আমরা মূল্যবোধের চর্চ্চা করবো না, সেটা কেন হবে?
              অপরাধ স্বীকার করার কারনে কন্সিকুয়েন্সে নমনিয়তা দেখানো যেতে পারে তাই বলে অপরাধটাকে হালাল করে দেয়ার কোন সুযোগ তো নাই।
              তাই না?


              Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

              জবাব দিন
              • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                ভাইয়া, নবীজিরা সারাবছর সিসিবিতে পা রাখেন না কিন্তু যখনই কোন ঘটনা ঘটে তখনই তারা ওহি নিয়ে লোটাকম্বল হাতে নসিহত করতে চলে আসেন। আমার বড় মায়া হয় সাম্যের গান গাইতে আসা এইসব চক্ষুকানা এবং তথাকথিত নিরপেক্ষবাদী চ্যালা চামুন্ডাদের প্রতি।

                চিয়াসর্, সিসিবিয়ানস! মাচ লাভ 😀

                জবাব দিন
                • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                  আপুমনি, তুমিও দেখি আজকাল সেইরাম লেভেলে চলে যাচ্ছো 😀 😀 😀 😀

                  এক একটা যা বাণী দিচ্ছো না, এক্কেরে স্বর্নাক্ষরে বাধিয়ে রাখবার মত।
                  বাধাতে না পরলেও, সিগনেচার হিসাবে রেখে দেয়ার মত তো অবশ্যই।

                  এত কিছুর পরেও তাই শেষ কথাটা আসলেই "দি লাস্ট ওয়ার্ড" :
                  "চিয়াসর্, সিসিবিয়ানস! মাচ লাভ" (সম্পাদিত)


                  Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                  জবাব দিন
                    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                      আড্ডা যখন শুরু করলাই, চালাই আরেকটু।
                      যদিও লগড-ইন দেখাচ্ছে, তবে ঘুমিয়ে গিয়েও থাকতে পারো।
                      ১০ কমেন্টের লিমিট যতক্ষন আছে, আরও কিছু তো লিখাই যায়।
                      তাই না?

                      সিসিবি বা অন্যত্র লিখালিখি শুরুর পর পাওয়া এইসব ভালবাসার যন্ত্রনাও কিন্তু কম না।
                      আগেকার না-লিখালিখির মানে এরকম ভালবাসাহীন জীবনে জানতামই না যে আমি আসলে কারো ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য কিনা।
                      এখন সেটা পেয়ে টেয়ে একদিকে যেমন লোভ বেড়ে গেছে, অন্যদিকে তা হারাবার মত কিছু ঘটলে বা হারালে খুবই অস্থির সময় কাটে।
                      কেন এমন ঘটলো? কি ছিল অপরাধ? এসব ভেবে ভেবে বিষণ্ণ হয়েও যে উঠি না, তা না।

                      অভিজ্ঞতাগুলো প্রথম প্রথম ঘটছে দেখে তার সাথে তাল মেলাতে কিছু ঝামেলা যাচ্ছে।
                      সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে বলেই মনেহয়.........


                      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                  "১০ কমেন্টের লিমিট যতক্ষন আছে, আরও কিছু তো লিখাই যায়।"- এইটা ত জানতাম না? (সম্পাদিত)


                  There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                  জবাব দিন
                  • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                    "কত অজানারে..."
                    অনেক কিছুই হয়েছে নতুন নতুন।
                    তবে সেলফোন ফ্রেন্ডিলি হওয়াটা আর লগ-ইন সহজ করাটা কিন্তু চমৎকার ব্যাপার।
                    যখন তখন সেলফোনে দেখা যায়, কমেন্ট করা যায়।
                    কখনো একা মনে হয় না।
                    সবসময়েই মনেহয় চেনা পরিচিতজনদের একটা ক্রাউডের ভিতরেই যেন আছি.........


                    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                    জবাব দিন
                  • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                    মাহমুদ, আমাকে লেখা তোমার মন্তব্যের উত্তরে একখানা প্রতিমন্তব্য লিখেছিলাম। উত্তর লিখতে এসে দেখি তোমার মন্তব্যটিই উধাও হয়ে গেছে 🙁 তার বদলে এডিটেড লেখা কিছু একটা দেখি পারভেজ ভাইয়ার নামে শোভা পাচ্ছে। হায়!

                    যাই হোক, এটি হয়তো ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মরিয়া গেল টাইপের কেইস 😀
                    ভাবছি, শেষমেশ তৈমুর লং এর কপি পেস্টো ভূত আসিয়া আমাদিগের ঘাড় না মটকায় :grr:

                    জবাব দিন
                    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                      আপা,
                      মন্তব্যটা পোষ্ট করার পর মুহুর্তেই মনে হল যে ওটা এই প্লাট ফরমে না-বলে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে বলাটাই শ্রেয়। কারণ, কনটেক্স এর প্রভাবে বক্তব্যের অর্থ নানান রকম হয়ে থাকে। আপনি চাইলে আপনার প্রতি মন্তব্য আমাকে ইমেইলে (mahmud735এটgmail.com) পাঠিয়ে দিতে পারেন। সেখানে আলাপ করা যাবে।


                      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                  • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                    ইমেইলে বা আপিসে অথবা টেরাসে অন্য একদিন আড্ডা হবে নিশ্চয়ই। আজ থাক। ব্লগের আলাপচারিতাটি ব্লগেই করা যুক্তিযুক্ত, মাহমুদ। যে মন্তব্যটি হারিয়ে গেছে পোস্ট থেকে ধরে নাও তার উত্তরও লোপাট হয়ে গেছে। নো ওরি। তুমি মুছে ফেলার আগেই আমার কাছে নটিফিকেশন চলে এসেছিল। আমি পড়েছি তোমার মন্তব্য। ইস্পাততুল্য একটি প্রতিমন্তব্যও লিখেছিলাম। যাই হোক, আমার আর আয়রন লেডি হওয়া হলো না এই জীবনে B-)

                    জবাব দিন
                • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

                  সাবিনাপু, এইসব সাম্যের গান গাওয়া গাতকদের ব্যাপারে তো ডক ভানু অনেক আগেই বইলা গ্যাছে -

                  ক্যামেরার সামনে আপনারে এক্কেবারে সাক্ষাৎ পরমহংসের ভাব ধইরা ইঞ্চি মাইপা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত কইরা কথা কইতে হইবো – মানে, চোররে দুইটা গালি দিলে যার মাল চুরি হইছে তারেও গুইনা গুইনা ঠিক দুইটা গালিই দিতে হইব, চোর গনপিডানি খাইলে যার চুরি হইছে তারেও গনপিডানি দেবার জন্য দেশবাসীরে উদ্বুদ্ধ কইরা জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে হইবো।

                  O:-) :-B O:-)


                  গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

                  জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          "মনে হয় না সে আর আসবে..." 😛 😛 😛

          এই ব্লগের মডারেটরদের যে আদর করে "মডু" যায়, এখানে আমার বছর দুই কাটলেও তা জানা ছিল না।
          আগে কাউকে এরকম বলতে শুনেছি বলেও মনে পড়ে না।
          আমাদের সবার অপরিচিত আনরেজিস্টার্ড মন্তব্যকারী সোহেল কিভাবে এত কনফিডেন্টলি মডারেটরদেরকে মডু সম্মোধন করলো ("ব্লগের মডুদের প্রতি আমার একটি সবিনয় অনুরোধ..." - বলে) সেটা আমার কাছে তাই এক বিরাট জিজ্ঞাসা!!!
          মডারেটর কারা কারা, আমি জানি না।
          তবে যারাই হোক, এই ব্লগের প্রিন্সিপাল খ্যাত লাবলু ভাইয়ের সাথে কনসাল্ট না করে তারা বড় কোন ডিসিশন নেয় বলে আমার মনে হয় না।
          সেই অর্থে, ঘোষিত না হলেও লাবলু ভাইয়ের অঘোষিত অভিভাবকত্বের একটা ছায়া মডারেশন টিমে আন্দাজ করতে পারি। আর তাই "সিসিবির মডারেটর" কতাটা শুনলেই সেটা থেকে লাবলু ভাই কে পৃথক করে ভাবাটা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

          যেই মডারেশন টিমে লাবলু ভাইয়ের বিন্দুমাত্র ছায়া থাকার সম্ভবনা দেখতে পাই, সেখানকার যার সাথে যত ফ্যামিলিয়ারিটিই থাক না কেন, প্রকাশ্যে সেটাকে "মডু" ডাকায় ব্যক্তিগত ভাবে ঘোর আপত্তি আছে আমার।

          সেখানে ব্লগে অতি অপরিচিত ও আনরেজিস্টার্ড কাউকে হঠাৎ করে "মডু" বলে কথা শুরু করতে দেখাটা আমি গ্রেইন অব সল্ট সহযোগেই নিতে চাচ্ছি।
          ভুল বললাম কি কিছু??????


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

            চোরের মায়ের বড় গলা জানো তুমি, ভাইয়া B-)
            কলজেটারে বাইরে আনে যখন খুশী চাইয়া
            মডু এডু ডরায় বুঝি? কে তোমারে কইসে?
            তামাম চুরির সাক্ষী তাহার সব দেরাজে রইসে 😛

            সাক্ষীরা সব কই গেল ভাই? আও গো ব্লগে পান খাইয়া যাও :-B
            বেত্তমিজের মতন কইরা গাল ফুলাইয়া কও যে,
            চুরি নয়কো, বেভুলে 'সে' করছে মিস্টেক ইট্টু
            তাই বইলা কি তোমরা বেবাক লাগাও এতো গিট্টু :brick: :brick: :brick: :brick:

            জবাব দিন
          • জিহাদ (৯৯-০৫)

            পারভেজ ভাই,

            সোহেল ভাই ব্লগের পুরোনো মন্তব্যকারী। সম্ভবত সিসিবির শুরুর দিক থেকে অনিয়মিতভাবে মন্তব্য করে আসছেন। আর মডু শব্দটা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। লাবলু ভাই নিজেও ব্যবহার করেছেন অনেক সময়। এটা নিয়ে আমরা বেশি সিরিয়াস না হই 🙂


            সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

            জবাব দিন
            • পারভেজ (৭৮-৮৪)

              নাহ, সিরিয়াস কিছু না।
              সামান্য আনকম্ফোর্টেবল আর কি।
              গত দু'বছরে মডু কথাটা কখনো শুনেছি বলে মনে পড়ে না তো, সেই রকমের একটা আনফ্যামিলিয়ারিটিজনিত ডিসকমফোর্ট আর কি।
              তাছাড়া সিসিবির ব্লগার হিসাবে আমি তো তোমাদের কাছে শিশুই। দুবছরের শিশু।
              সেই অর্থে তোমারা হলা সিনিয়ার ব্লগার। অবশ্যই গাইড করার অধিকার রাখো।
              কারন পুরানা ইতিহাস তো তোমারা জানো, আমি জানি না - তাই না?

              কমেন্ট করতো কিন্তু কখনো রেজিস্টার করে নাই, এটাকেও সহজ ভাবে নিতে পারি নাই।
              তবে তুমি যখন বলতেছো, ঠিক আছে "টেকিং ইট ইজি..."


              Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

              জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        চোরচোট্টা বাটপার দেখি সব আজ পলাইসে :gulli2:
        উগার তলে, গোয়াল ঘরে লুকাই মাথা বাঁচাইসে :gulli:
        আবার যদি আসিস ফিরা লইয়া চুরির দস্তা :gulti:
        জানিস তবে উপায় নাহি মাপতে হইবো রাস্তা B-)

        তথ্যসূত্রঃ
        ১ঃ টাইম ইজ আপ!
        ২ঃ মানীর মান আল্লায় রাখে
        ৩ঃ ইহা একটি রমিত আজাদ, সোহেল, অর্ণব এবং তদীয় সমর্থকগণের যৌথ প্রযোজনা

        জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      আরো বেশী পাঠক যেন পড়তে পারেন তাই আবারও তোমাকে বলছি সোহেল। তৈমুর লংকে নিয়ে লেখা মিঃ আজাদের আধিভৌতিক কল্পকাহিনীটি পড়ে এসো! সেখানে নূপুর মিঃ আজাদের মৌলিক রচনাসমূহের খানিক ব্যবচ্ছেদ করেছেন টুকলিবাজির লিংক সহ। এটি মিঃ আজাদের চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতেই করা হয়েছিল। সেখানেও তোমার সুচিন্তিত মতামত আশাকরি পাবো। আর হ্যা, কী যেন পড়েছিলাম ছোটবেলায়, ঐ যে চোরের সাক্ষী....ব্লা ব্লা ব্লা!

      জবাব দিন
    • মাসুম (৯২-৯৮)

      ভাইয়া আপনার তথ্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এখানের কারো নামে মিথ্যা অপবাদ আসুক এটা অবশ্যই কেউ চায় না। তবে আপনার শেষ প্যারাগ্রাফটা ঠিক কাকে/কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন সেটা খোলশা করে বললে ভাল হয়। এখানে কেউ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে সেটাও প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। সর্বশেষে জানতে চাই মূল বিষয়বস্তর ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কী? আপনি কি মনে করেন তিনি Plagiarism করেছেন? না কি করেন নি?

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সেটা হলে আমরা মনে হয় সবাই খুশি হবো।

      তবে লেখক রমিত ভাই এর প্রতি একটা প্রশ্ন ছিলো।
      আমার ধারণা উনি উনার বিরুদ্ধে আরোপিত সব লেখা, কমেন্ট পড়ছেন।
      আর আলোচনা শুধু এখানে নয় ডিবেট ফোরামেও হচ্ছে।
      উনি উনার স্বভাবচরিত রীতিতে এইগুলা উপভোগ করছেন।
      সাধারণত কেউ কমেন্ট করলে উনি প্রায় সাথে সাথেই উত্তর দেন।
      এবং অতীতে উনার আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে উনি তালগাছের একক মালিকানা দাবি করেন।
      যতোই উনি বলেন জানতে চান, শিখতে চান। আদৌ তা নয়।
      মোটা দাগে
      * উনি ইসলাম ফলো করেন, গর্ব বোধ করেন এজন্য (কোন সমস্যা দেখি না এতে)
      কিন্তু এটা করতে গিয়ে তিনি ইতিহাসের ইসলামী ভার্সন টা বেছে নেন। একজন একাডেমিক এরকম করলে তা খুবই দুঃখজনক।
      * রমিত ভাই এর ভালো রকম হিন্দু বিদ্বেষ আছে। তার লেখায় ও সেটা প্রকাশ পায়।
      * রমিত ভাই ইহুদি দের ও ঘৃণা করেন। ইহুদি নিধনের জন্য হিটলারের ব্যখ্যা উনার খুব প্রিয়।
      * পাহাড়ি দের নিয়ে উনার মন্তব্য ও অবস্থান আপত্তিজনক।
      * এবং অত্যন্ত দুঃখজনক এই যে উনার লেখার কেউ সমালোচনা করলে তার ধর্ম তিনি টেনে আনেন। কোন দেশে আছেন সমালোচক সেটা টেনে আনেন। এবং তাকে ঐ দেশের দালাল বানাতে দ্বিধা করেন না।

      কবিতার ব্যাপারে সাফাই টা রমিত ভাই নিজেই দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি দেন নি।
      এবং ইচ্ছাকৃত ভাবেই তিনি তা দেন না।

      পুরো ব্যাপারটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        বিগত দুইদিন চোর পুলিশের খেলায় আমরা যারপরনাই বিরক্ত এবং ক্লান্ত। নীতির প্রশ্নে আপোষ করার মত কোন কার্যকারণ নেই। সিসিবিকে ভালবাসি বলেই আমরা একক এবং যূথবদ্ধভাবে নানান দেশ থেকে মিঃ আজাদের কুম্ভীলকবৃত্তির প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রথমদিন বিপুল বিক্রমে তিনি নিজের সাফাই গেয়েছেন কিন্তু এরপর ব্লগে তাকে দেখা গেলেও তার মুখ থেকে টু শব্দটিও উচ্চারিত হয়নি এবং আমাদের প্রশ্ন কিংবা অভিযোগের উত্তর দেন নাই।

        সিসিবিতে এই প্রথম লেখা চুরির অভিযোগ করা হয়েছে কারো বিরুদ্ধে, একটি দুটো নয় অসংখ্য লিংক দেয়া হয়েছে কপি পেস্ট সাহিত্যকর্মের। হেইট দা সিন নট দা সিনারের মত দুটো চারটে বাণী লেখা যেতে পারতো এখানে। সিনারটিকে আমরা ঘৃণা করছি না বটে তবে কে না জানেন দূর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যাজ্য (এক্ষেত্রে অবশ্য pseudo বিদ্যানের কথা বলা হচ্ছে)

        জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        রাজীব, মিঃ আজাদের একই অংগে এতো রূপ জানিনা তো 🙁

        সিসিবিতে আমি সদ্যোজাত ব্লগার না হলেও আজ আমার লেখালেখির বয়েস মোটে এক হলো এখানে। তোমাদের সবার তুলনায় নিতান্তই শিশু আমি। সতি্য কথা বলতে কি, মিঃ আজাদের একটা লেখা পড়েছিলাম আগে বাট আই লস্ট মাই এপেটাইট। ভাল লাগেনি বলে মন্তব্য করা হয়নি কখনোই। গতকাল 'কাফের ভাই' পড়লাম প্রথমবারের মত। এটিই তার মৌলিক লেখা হয়তো। ব্লগ আর মন্তব্য পড়ে আমার বমনেচ্ছা হয়েছে, জানো। কী রুচিহীন, ধর্মান্ধ আর রেসিস্ট একজন মানুষ তিনি! সেই সাথে এখন যোগ হলো তার চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস।

        জবাব দিন
        • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

          হ্যা দুঃখজনক আপা।
          কাফের ভাই য়ে আমরা যারা সরব হয়েছিলাম উলটো তাদের কে বিভিন্ন ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে।
          এবং যারা রমিত ভাই এর মতের পক্ষে বলেছেন ঐ পোষ্টে রমিত ভাই তাদের বাহবা দিয়েছেন। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে তোমরা লাইনে আছো আর বাকিরা যারা সমালোচনা করছে তারা গন কেস।
          এবং আরো দুঃখজনক এই যে রমিত ভাই এর মতো করে ভাবার মতো মানুষ/এক্স ক্যাডেটের অভাব নেই।


          এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

          জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        "এবং অত্যন্ত দুঃখজনক এই যে উনার লেখার কেউ সমালোচনা করলে তার ধর্ম তিনি টেনে আনেন। কোন দেশে আছেন সমালোচক সেটা টেনে আনেন। এবং তাকে ঐ দেশের দালাল বানাতে দ্বিধা করেন না।" - ad hominem-এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরন।

        যিনি নিজে যত্রতত্র ad hominem করে যাচ্ছেন তাঁর হয়ে অন্যদেরকে ad hominem-এর দায়ে দোষারোপ করাটা শুধু অযৌক্তিকই না হাস্যকরও বটে.........


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  13. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)
    একটি উদাহরণ সৃষ্টি করা বর্তমান এবং ভবিষ্যত সদস্যদের জন্যে। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তার একটি নজির স্থাপন করা আমাদের কর্তব্য বলে আমি মনে করি।

    :just: ষণ্ডচক্ষু



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
  14. সেলিনা (৮৮-৯৪)

    এই পোষ্টের সাথে সহমত প্রকাশ করছি। এই ব্লগের সদস্য এবং একজন পাঠক হিসেবে প্লেজিয়ারিজমের বিরুদ্ধে এডমিন প্যানেল কঠোর অবস্থান নেবেন বলে আশা করছি।

    জবাব দিন
  15. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    নূপুর দার লেখার সাথে সহমত।
    শুধু একটা লেখায় সমস্যা থাকলে কথা ছিলো।
    উনার অনেক লেখাতেই সমস্যা পাওয়া গেছে।
    এটা একই সাথে দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক।
    সিসিবি এডু র হস্তক্ষেপ আশা করছি।
    ধন্যবাদ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  16. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমার সময়ের হিসেবে কাল গভীর রাতে লিখেছিলাম এ ব্লগখানা। তারপর সারাদিনের ছুটোছুটির মাঝে সবার মন্তব্য/আনাগোনা লক্ষ্য করছিলাম। এ সময়ের মধ্যেও এডমিন এর সাড়া না পেয়ে আমি হতাশ ও অবাক। যদি কোন বাড়াবাড়ি রকমের কোন আবদার করে থাকি অন্তত আমাকে তো বলুক যে, আপনি যা বলছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়!

    আমি আশা করেছিলাম আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যগণ একটি জোরালো ভূমিকা রাখবেন তাঁদের মূল্যবান মতামত ও উপলব্ধি প্রকাশ করে। বরং বহুদিনের অদেখা তরুণ বন্ধুদের উপস্থিতি দেখে আমার মধ্যে অনেক আশার সঞ্চার হয়েছে। আমি জেনে গেছি পরিবর্তনের মশালটি নিয়ে যাবে অপেক্ষাকৃত ছোটরাই, আমরা বুড়োরা তা অনুসরণ করবো। অনেক প্রিয়মুখকে দেখতে পেলাম --- যাদের অনেক মিস করছিলাম।

    ডঃ আজাদের সঙ্গে আমার মহা খাতির না থাকলেও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে (বলে আমি এখনো ভাবতে চাই)। তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ন হাবভাবের জন্যে সমীহই করতাম তাঁকে। সমীহর জায়গায় এখন এসেছে হতাশা -- এটুকুই। আমি স্পষ্টভাবেই জানি --- কুম্ভীলকবৃত্তির এ অপকর্মটুকু আপনাদের কেউ করেছেন এমন প্রমাণ পেলে আমি একইভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাতাম। আমি চাই আমার লেখাগুলো যাচাই করে নেবেন। বিনাপ্রশ্নে ছেড়ে দেবেন না। হয়তো ভাবছেন --- মিষ্টি করে কথা বলা আমি, মনভোলানো কবিতা লিখি যে আমি, সে আমি কি কখনো অন্যের একটা দুটা কবিতা নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারি? সন্দেহ হলে সাথে সাথে ধরবেন --- চক্ষুলজ্জা করবেন না। আমার সব লেখা এখানেই (অফিসে কিছুই নেই)।

    অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  17. ব্লগের মডুদের প্রতি আমার একটি সবিনয় অনুরোধ:
    আমি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই ব্লগের কমেন্ট হিসেবে একটা লম্বা কমেন্ট করব - বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। সময়ের অভাবে এখন লিখতে পারছিনা। সেটা পড়ার আগ পর্যন্ত যেন 'রমিত আজাদ' ভাই এর প্লেজিয়ারিজম ব্যাপারে কোনো পার্মানেন্ট সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়। টেম্পোরারি ok। এটা কেবলই অনুরোধ। Thank you.

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সোহেল ভাই
      আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে রমিত ভাই এর সাথে যোগাযোগ হয়েছে।
      যেহেতু আপনি তার পক্ষে দাড়িয়েছেন তাই রমিত ভাই আপনাকে এখন বিভিন্ন রেফারেন্স দিবেন বা দিচ্ছেন।

      বাই দ্য ওয়ে আপনি আর রমিত ভাই একই ব্যক্তি নাতো///
      ভুল হলে ক্ষমা চাইছি।
      ভালো থাকবেন।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  18. কাজী সাদিক (৮৪-৯০)

    রমিত ভাইয়ের পোস্ট (লেখা আর নাই বা বলি!) দুই একটার বেশী পড়া হয়নি। কিন্তু তার পোস্টের হার আর দৈর্ঘ্য দেখে হিংসাই লাগত... একটা মানুষ এত কাজ করে কিভাবে। এখন দেখি ভয়াবহ অবস্থা!

    ফ্লিকার আর ফেসবুকের কিছু ফটোগ্রাফি দলে আসা যাওয়া করি। অতি কদাচিৎ আমরা কিছু “চোরাই” ছবি পাই। অন্যের তোলা ছবি বেমালুম নিজের বলে চালিয়ে দেয়া খুব একটা দেখা যায় না। বেশীর ভাগ সময় অন্যের ছবিতে কিছুটা প্রসেস করে বা কিছু যোগ করে তারপর নিজের নামে প্রকাশ করার চেষ্টা হয়। শতকরা ৯৯ ভাগ সময় এই ছেলেমানুষি কাজটা করে আনকোরা ফটোগ্রাফাররা। কিন্তু প্রতিটা গ্রুপ-ই এই একটা বিষয়ে অসম্ভব কঠোর। “চুরি” প্রমাণিত হলে মাফ চেয়ে বা ভুল স্বীকার করে দলে থেকে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই, প্রথম অপরাধেই সরাসরি বহিষ্কার। এই ব্লগের অতি অনিয়মিত সদস্য হয়েও বলছি, প্লেজিয়ারিজমের প্রশ্নে জিরো টলারেন্সের বিকল্প নাই। এখানে “কে” না, শুধুমাত্র “কি” বিবেচ্য।

    আর, যত দ্রুত বিষয়টা সমাধা করে এগিয়ে যাওয়া যায় ততই ভাল।

    জবাব দিন
  19. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    নূপুরদা, আমি গত কয়েকদিন ধরে আজাদ সাহেবের কীর্তিকলাপ মনযোগ দিয়ে দেখছি। আগে থেকে উনার পিছলানি স্বভাব জানি বলেই খুব বেশি আগ্রহ হয় নি এখানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার। তবে এত কিছুর পরেও সেই চিরায়ত মজার প্যাটার্ণ যেটা ক্যাডেট ব্রাদার হুডের তার কিছু নমুনাও ফেবুতে দেখলাম। সব দেখে শুনে বুঝলাম আসলে আজাদ সাহেব যাদের মাথা ওয়াশ করছেন তাদের আচনি যতই বুঝান তেমন কোন লাভ হবার কথা না। এই জন্যই প্লেজিয়ারিজমের চেয়ে কেন উনাকে বুলি করা হচ্চে (এটা নিযে দ্বিমত আছে আমার) সেটা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ দেখলাম। যেমন সোহেল ভাইকেই দেখলাম অন্তত দুবার আজাদ সাহেবের পিঠ বাঁচানো মূলক কমেন্ট করার চেষ্টা করতে। অথচ মূল ইস্যু মানে প্লেজিয়ারিজম নিয়ে উনার তেমন টেনশন নাই। প্লেজিয়ারিজমের মত এমন গুরুতর ব্যাপারের চাইতেই ক্যাডেট বড় ভাই ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি বড় হয়ে গেছে। মযা হোক আমার কিছু মতামত বলি।

    প্রথমত কমিউনিটি ব্লগে কোন কিছু লেখার জন্য কাউকে দিব্যি দেয়া হয় নি। এখানে সবাই নিজের আনন্দের জন্যই লেখে বলে মনে করি। আগি আসলে বুঝার চেষ্টা করছি আজাদ সাহেবের এইভাবে কপিপেস্ট করবার দরকার পড়লো কেন? তার অবশ্য সহজ এনসার মনে পড়লো না। আমরা এখানে গবেষণা পত্র লিখছি না এমন ধারণা ধরে নিলেও অন্য কারো লেখা দাড়ি কমা সহ তুলে দেয়াও গ্রহণযোগ্য না। রিফ্রেজিং এবং প্যারাফ্রেজিং নামক দুইটা শব্দ বোধ করি সবাই জানেন। পিএইচডি ডিগ্রীধারী ভার্সিটির মাস্টার রমিত সাহেবেরও অজানা হবার কথা না। যেহেতু গবেষণা পত্র নয়, আরেকজনের লেখা নিজের মত করে রিফ্রেজ করে লিখলে ব্যাপারটা আসলে কোন সমস্যাই হতো না। তবে এভাবে কোন লেখা থেকে সরাসরি কপিপেস্ট করে দেয়া সেটা রিডিকুলাস। এসাইনমেন্ট কিংবা ল্যাব রিপোর্টে স্টুডেন্টরা ফাঁকি মারতে এমটা করে থাকে। তবে তারও পারপাস থাকে। এসাইনমেন্ট বা রিপোর্টের নাম্বারের প্রাপ্তির আশা থাকে। কিন্তু আজাদ সাহেব কী প্রাপ্তির জন্য এতটা কপিপেস্ট করলেন এবং সেটার বাহবা খুব গদগদভাবে অন্য জায়গায় নিলেন সেটা আসলেই আমার বোধগম্য নয়। কনফিউজড!!!

    তবে কাইয়ুম ভাইয়ের মত আমিও আজাদ সাহেবরে ব্যান করার পক্ষে না। এত কিছুর পরে আসলে সিসিবিতে উনি পোস্ট দিতে দুবার চিন্তা করার কথা। আর সেই চিন্তা করে প্ল্যাজিয়ারাইজ করা থেকে দূরে থাকলে সেটাই বরং ভালো। আপাতত উনি জেনে গেছেন, কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস এদিক সেদিক টুকিয়ে জড়ো করে বাহবা অন্য কোথাও পেতে পারেন, সিসিবিতে পাবেন না। বরং সিসিবিতে যে ধোলাই খাবেন তার লিংক মাঝে সাঝে অন্য জায়গায় পোস্ট করে দেওয়া যাবে। 🙂

    পরিশেষে আপনি রাব্বী ভাই এবং আরো কয়েকজন, পরিশ্রম করে এই কীর্তিকলাপ গুলো উদঘাটন করলেন তার জন্য একটা বড় হাততালি।

    জবাব দিন
  20. টিটো মোস্তাফিজ
    এডমিনের প্রতি আমার অনুরোধ — দ্বিধা না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যতই সময় পেরুচ্ছে ততই আপনাদের দোদুল্যমানতা প্রকট হচ্ছে। সিসিবির রেডবুকে যা আছে অন্তত তাকে বাস্তবায়ন করা আপনাদের দায়িত্ব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডঃ আজাদের আকাউন্ট স্থবির করে দেয়ার পক্ষপাতী। যেন তিনি কোন প্রমাণ লোপাট করতে না পারেন সেজন্যে তাঁর পোস্টগুলোকে কোন আর্কাইভে স্থানান্তর করা যেতে পারে। কোনমতেই পোস্ট মুছে দেয়া হোক এটি কামনা করছি না।

    সম্পূর্ণ একমত নূপুর ।


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  21. ব্লগ এডজুট্যান্ট

    সুপ্রিয় সদস্য,
    সিসিবি মডারেশন প্যানেলের সকল সদস্যের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে, এবং ডঃ রমিত আজাদের বিভিন্ন লেখায় অন্যের লেখার হুবুহু কপি পেস্টের প্রমাণ সাপেক্ষে ইতিমধ্যেই নিচের সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছেঃ

    ১. ডঃ রমিত আজাদের সদস্যপদ মডারেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এখন থেকে উনার কোন পোস্ট সরাসরি প্রকাশিত হবেনা। এবং উনি নিজে এরইমধ্যে প্রকাশ করা কোন পোস্ট কিংবা কমেন্ট মুছে ফেলতে পারবেননা।
    ২. অভিযোগ উঠা প্রতিটি পোস্টের একটি তালিকা এবং রেফারেন্সগুলো একত্রিত করা হচ্ছে প্রমাণ হিসাবে। অন্য সদস্যদের প্রতিও অনুরোধ থাকবে তার কিংবা অন্য যে কারও পোস্টে এরকম প্রমাণ পেলে সিসিবি মডারেশন প্যানেলের দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য।
    ৩. ভবিষ্যতে ডঃ রমিত আজাদের কোনরকম লেখায় এরকম কোন অভিযোগ পেলে এবং সেটি প্রমাণিত হলে উনার সদস্যপদ স্থায়ীভাবে রহিত করা হবে।

    সবাইকে ধন্যবাদ। সিসিবিকে জঞ্জালমুক্ত রাখতে এর সদস্যদের এই সরব প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি আমরা।

    জবাব দিন
  22. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    গত কিছু দিনের প্রাণ চাঞ্চল্য দেখে মনে হচ্ছে 'দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তবে দাগই ভাল!' 😉
    সিসিবিয়ানদের কলরব, আনাগোনা জারি থাকুক!

    বিঃদ্রঃ প্লেজিয়ারিজম বা কুম্ভীলকবৃত্তি দুটো শব্দই অনেক খটমটে। এরচেয়ে টুকিলিফাই শব্দটা কত সহজ ও শ্রুতি মধুর! 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  23. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ফেসবুকে একদিন অকস্মাৎ চোখে পড়লো আমার চারখানা লাইন হুবহু অচেনা এক জনের স্ট্যাটাস হিসেবে শোভা পাচ্ছে। আমি একটা লাইক দিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ।কয়েক বছর ধিরে আছেন মানুষড়ি আমার বন্ধু তালিকায়।
    অল্প কদিন আগে একটা লেখা কোথায় যেনো পড়েছি ভেবে মনে করতে পারলাম না। সার্চ দিয়ে বের করলাম। উনাকে জানালাম লেখাড়া অন্য কোথাও পড়েছি। পরে লিংকটাও দিলাম। শেষে দেখা গেলো লিখাড়া তারই। চার বছর আগে ফেবু নোটসে লেখা। আর আমি যেখানে পড়েছি ওখানে অন্য কেউ ওটা তার লেখা বলে চালিয়ে দিয়েছে। যেটা পোস্ট করা হয়েছে বছর দুই আগে।
    এখানে এমন অভিজ্ঞতা হবে ভাবিনি। আমি সময় হাতে থাকলে সব লেখা পড়ার (প্রথম পৃষ্ঠার বা যা মিস করে গেছি) পড়ার চেষ্টা করতাম (অতি সাম্প্রতি অনিয়মিত হয়ে পড়ার আগে)। রখন লম্বা লেখাগুলো অনেক সময় পড়া হতো খানিক দেরীতে। অনেক সময় বিষয় বা প্রস্তাবনা না টানলে পড়াটা বেশী বিলম্বিত হতো।
    আমি ভাবতাম এমিন তিথ্য ভিত্তিক একটা লেখার জন্য কতো কতো পড়া লাগে, বিশেষ করে সময় সং্খ্যা জাতীয় তথ্য এবং তাতে নিজের বিশ্লেষনের আংগিকটাকে তৈরী করবার জন্য।
    শ্রমের প্রশংসা করেছি বেশ কবার। পুরোনো লেখা কোনোটাই তার পড়া হয়নি আমার অর্ধ বতসরের সিসিবি আয়ুষ্কালে। কিন্তু গত কদিনে ঢু মারতে গিয়ে যা চোখে পড়লো ! আর একটা পুরোনো লেখা পড়ে যতোটা মর্মাহত হতে হলো ! তা ভীষণ পীড়াদায়ক।
    খুব হতাশ লাগছিলো, পারিপার্শিকতার সুস্থ্যতার শংকা নিয়ে।
    সিসিবির সিদ্ধান্ত আর তার আগে তথ্য উদঘাটনকারী সক্রিয় আলোচকবৃন্দ এবং এই ব্লগে বিষয়টাকে নথিগ্রন্থিতে সংযুক্তকারী সবাইকে সাধুবাদ।
    সিসিবি সরব সুস্থ্য প্রাণবান এগিয়ে যাক।
    সিসিবির জন্য তিন উল্লাস !

    জবাব দিন
  24. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ফেসবুকে একদিন অকস্মাৎ চোখে পড়লো আমার চারখানা লাইন হুবহু অচেনা এক জনের স্ট্যাটাস হিসেবে শোভা পাচ্ছে। আমি একটা লাইক দিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কয়েক বছর ধরে আছেন মানুষটি আমার বন্ধু তালিকায়।
    অল্প কদিন আগে কোনো এক ফেবু গ্রুপে একটা লেখা কোথায় যেনো পড়েছি ভেবে মনে করতে পারলাম না। সার্চ দিয়ে বের করলাম। উনাকে জানালাম লেখাটা অন্য কোথাও পড়েছি। পরে লিংকটাও দিলাম। শেষে দেখা গেলো লিখাটা তারই। চার বছর আগে ফেবু নোটসে লেখা। আর আমি যেখানে পড়েছি ওখানে অন্য কেউ ওটা তার লেখা বলে চালিয়ে দিয়েছে। যেটা পোস্ট করা হয়েছে বছর দুই আগে।
    এখানে এমন অভিজ্ঞতা হবে ভাবিনি। আমি সময় হাতে থাকলে সব লেখা পড়ার (প্রথম পৃষ্ঠার বা যা মিস করে গেছি) পড়ার চেষ্টা করতাম (অতি সাম্প্রতি অনিয়মিত হয়ে পড়ার আগে)। তখন লম্বা লেখাগুলো অনেক সময় পড়া হতো খানিক দেরীতে। অনেক সময় বিষয় বা প্রস্তাবনা না টানলে পড়াটা আরো বেশী বিলম্বিত হতো।
    আমি ভাবতাম এমিন তথ্য ভিত্তিক একটা লেখার জন্য কতো কতো পড়া লাগে, বিশেষ করে সময় এবং সং্খ্যা জাতীয় তথ্য এবং তাতে নিজের বিশ্লেষনের আংগিকটাকে তৈরী করবার জন্য।
    শ্রমের প্রশংসা করেছি বেশ কবার। পুরোনো লেখা কোনোটাই তার পড়া হয়নি আমার অর্ধ বতসরের সিসিবি আয়ুষ্কালে। কিন্তু গত কদিনে ঢু মারতে গিয়ে যা চোখে পড়লো ! তাতে একটা পুরোনো লেখা পড়ে যারপরনাই মর্মাহত হতে হলো ! পুরো লেখাটাই ছিল ভীষণ পীড়াদায়ক।
    খুব হতাশ লাগছিলো, পারিপার্শিকতার সুস্থ্যতার শংকা নিয়ে।
    সিসিবির সিদ্ধান্ত আর তার আগে তথ্য উদঘাটনকারী সক্রিয় আলোচকবৃন্দ এবং এই ব্লগে বিষয়টাকে নথিগ্রন্থিতে সংযুক্তকারী সবাইকে সাধুবাদ।
    সিসিবি সরব সুস্থ্য প্রাণবান এগিয়ে যাক।
    সিসিবির জন্য তিন উল্লাস !

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      আপনাদের সবাইকে মিস করছিলাম লুৎফুল ভাই। এ ধরনের জটিল সময়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে, মানবেন নিশ্চয়ই। বিশেষত যাকে নিয়ে আলোচনা তিনি যখন বেশ সিনিয়র। সিসিবির মত জায়গায় একটা প্রবণতা থাকে --- 'সিনিয়র ইজ অলওয়েজ রাইট' ফিলোজফি চালানোর। পারভেজ ভাই ছাড়া আপনাদের কারো মতামত না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছিলাম বলাই বাহুল্য। আপনার বলিষ্ঠ অবস্থান এবং নান্দনিক কথার জন্যে কৃতজ্ঞতা।

      জবাব দিন
      • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

        সেলফোনে কয়েকদিন একটু করে দেখছিলাম। কিন্তু খুব একটা পড়বার ফুরসত পাচ্ছিলাম না। অন্য দু একটা গ্রুপে ছোটো লেখাগুলো পড়া পর্যন্ত দৌড় বেশ ক'দিন। এর মাঝে টের পেলাম। কিন্তু ভালো করে না পড়ে তো কিছু বলা যায় না।
        ভালো বা মন্দ কিছু মিস করে যেতে থাকলে ভাই ফেবুতে বা অন্য কোথাও আওয়াজ দিও।
        ক্যাডেট কলেজ পরিবারে ভ্রাতৃত্ববোধ কখনো কখনো এক রকম সমস্যা হয়েই দাড়ায়। তা ঠিক। কিন্তু নীতির প্রশ্নে ওটা ফিকে না হলে তো বিপদ।
        আমার অনাকাং্খিত অনুপস্থিতির জন্য দু:খিত। আর তোমকে সাধুবাদ। জানি তুমিও যারপরনাই ব্যস্ত থাকো। তার মাঝে দায়িত্ব পালনের হ্যাপাটা নিলে যেভাবে। সেই জন্য।
        ধন্যবাদ সাবিনাকে। ধন্যবাদ বন্ধু পারভেজকে। ধন্যবাদ নাম অনুচ্চারিত আর সবাইকেও যাদের সরব ভূমিকায় সংকট উন্মোচন ও সমাধান করা গ্যাছে।

        জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      একটু দেরীতে আপনার মন্তব্য এলেও অনেক ধন্যবাদ, লুৎফুল ভাইয়া। এই নিন আপনার খানিক জুড়িয়ে যাওয়া চা :teacup: এইবার বড় ভাইয়াকে কাছে পেয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে দু'চারটে সুখ দুঃখের 'গফসফ' করতেই পারি। কি বলেন 😀

      আমাদের রাব্বী বেচারা সোনামানিক্য ব্লগে মিঃ আজাদের চৌর্যবৃত্তির লিংক টিংক পোস্ট করে প্রায় নিগৃহীত হওয়ার মুখে ছিল। আমরা যখন এগিয়ে এলাম শুরুতে জানেন, ইতিউতি করে কাছের মানুষগুলোকে খুঁজছিলাম। ঝড়ো হাওয়ার আভাস পেলে ক্ষীণকায় স্বর্ণলতা যেমন আশ্রয় খোঁজে বটবৃক্ষের নীচে তেমনি নূপুরের মত আমিও আমাদের বড় ভাইয়াদের খুঁজছিলাম জোর বাতাসে বাঁচার জন্য। শুরুতে আমিই ছিলাম সকলের গুরুজন 😛 ব্লগের পোলাপানরা কেউ আমার পুত্রসম কেউবা ছোটভাইয়া। আমি এদের যতোই বড়আপু হইনা কেন বাচ্চাগুলোকে আমার সমমনা বন্ধু ছাড়া অন্য কিছু মনে হয়না। আমার বড় ভাইয়ারাও নিকট অতীতে সততই তাঁদের স্নেহ ও আশির্বাদে আমাকে সিক্ত করেছেন :hatsoff: এইবারও তাই বেকায়দায় পড়ে ভাইয়াদের খুঁজছিলাম ইতিউতি। এমন সময়ে যে মানুষটি বিপুলবিক্রমে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন তিনি পারভেজ ভাইয়া ::salute:: ::salute::

      এই মানুষটির সাথে আমার ব্যক্তিগত চিনপরিচয় নাই। ব্লগের বাইরে এক বেলার আড্ডাও হয়নি তাঁর সাথে। কিন্তু লেখালেখির কী শক্তি জানেন, আমার নয় কেবল; আমাদের দুর্যোগে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন সর্বশক্তি দিয়ে। যুক্তিতকর্ দিয়ে তুমুল লড়াই শুরু করলেন তিনি। সাথে সাথেই প্রায় অরূপদা এলেন আমাদের আশার আলো নিয়ে ::salute:: ::salute:: আর আমাদের তারছেঁড়া ছোট ভাইয়াদের কথা কী বলবো বলুন, ঝাঁকে ঝাঁকে পংগপালের মত কোথা থেকে যে এলো তাঁরা ::salute:: ::salute::

      সিসিবিতে নীরব পাঠকদের কথা আমি বলে এসেছি বারবারই। দুষ্টু প্রকৃতির এই নীরব পাঠককুল পাঠ পরবর্তী তাঁদের ভাললাগাটি পকেটে করে (তথ্যসূত্রঃ মোকা) নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন কিন্তু লগ ইন করে ভাল বা মন্দ লাগাটি উচ্চকন্ঠে বলেন না। কিন্তু সিসিবিতে বেতাল বেফাঁস কিছু ঘটলে নীরব পাঠক সরব হতে বিলম্ব করেন না! বয়েসে এনারা আমাদের তুলনায় তরুণ বটে কিন্তু যুক্তি ও প্রজ্ঞায় তাঁরা নমস্য বটে :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

      বিরুদ্ধস্রোতের যাত্রী যে নেই তা নয় মোটে; তাছাড়া মজ্জাগত ক্যাডেট ভ্রাতৃত্ববোধের ব্যাপারটি তো রয়েছেই। আলোচনার দুয়ার সবার জন্যই উন্মুক্ত আছে। রোগাপটকা ঝড় থেকে সুনামিও আমরা সম্মিলিতভাবে সামাল দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

      এডু/ মডুদের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল সব সময়েই। বুদ্ধিমানের মত তাঁরা সঠিক কাজটিই করেছেন :hatsoff: :hatsoff:

      দিনশেষে ভাঙা রেকর্ড আবারও বাজাই 😀 জয়তু সিসিবি :clap: :clap:

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        ধ্যাৎ, এইভাবে বলে নাকি?
        আমি আসার আগেই তো গ্রাউন্ড তোমার নেতৃত্বে রেডি করে ফেলেছো।
        আর ঐটুকু পার্টিসিপেট করাটা তো দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

        জানতে না পারাটাই আসলে বিলম্বের আসল কারন।
        সব ব্লগে তো আর ঢোকা হয় না, আর না ঢুকলে তো বোঝার কোন উপায় থাকে না, কি হচ্ছে ওখান, তাই না?

        আগেও অনেকবার বলেছি, আবারও বলছি, প্রাউড অব ইউ অল...
        (নাম মেনশন না করলেও বুঝতে পারছো, কারা কারা। মেনশন করতে গিয়ে কারটা মিস করি, সেই ভয়ে রিস্ক নিলাম না 😛 😀 😛 😀 )


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        আরেকটা কথা না বলে পারছি না।
        তোমার ভাষায় "আমাদের দুর্যোগে..." আরও জেষ্ঠ্য কাউকে না কাউকে পাশে পেতে যে চেয়েছিলে, সেটা বুঝলাম, জানলাম।
        কিন্তু দেখো, এখন এটা জলের মতো পরিষ্কার যে মনে মনে যতই চাও না কেন, আগ বাড়িয়ে কাউকে কিন্তু ডাকো নাই।
        অথচ ডাকাটা কিন্তু খুবই সহজ একটা পদ্ধতিতে হতে পারতো এবং কাক পক্ষীও তা টের পেতো না।
        তারপরেও এই যে না ডাকাটা, এর মধ্যে যে দুর্বার এক সততা আছে, সেটাকে ::salute:: না জানিয়ে আর কোন উপায় থাকে না।
        এখন বুঝি, তোমারা সদোদ্দেশ্যে, সততার সাথে সংগ্রামটা করে যাচ্ছিলে বলেই কোন সংশয় তোমাদের মধ্যে কাজ করো নাই।
        আর তাই আমি না এলেও তোমাদের এই সংগ্রামটা যাথার্ত ভাবেই তাঁর লক্ষার্জন করতে পারতো।
        না জানার কারনে যোগদানে দেরী হয়েছে ঠিকই কিন্তু আরও আগে জানতে পারলে আরও আগে যুক্ত হতে পারতাম, সেই আক্ষেপ একটু আধটু তো থাকবেই।

        তবে তাদের জন্য বেশ দুঃখ হচ্ছে, যারা তোমাদের পক্ষশক্তি হয়েও না জানার কারনে যোগ দিতে পারল না। :no: :no: :no:
        আর যারা পক্ষ শক্তি হয়ে এবং সংগ্রামের কথাটা জানার পরেও অভিমানে বা অন্য কোন ব্যক্তিগত কারনে তফাৎ থাকাটাকেই যথার্ত জ্ঞান করেছে - তাদের জন্য একরাশ করুনা!!! ~x( ~x( ~x(

        কামনা করছি, ভবিষ্যতে সবাই সঠিক নৈতিক অবস্থানের কথাটা মাথায় রাখবেন এবং নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন...


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          :boss: :boss: :boss: :boss:

          ডাকাডাকি যে কেউ কাউকে করেনি সেটি আমাদের সবার মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায়; এইজন্য কাউকে আইনস্টাইন হতে হয়না। কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের মতামত সিসিবিয়ানরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছেন অনেক আগেই।

          ফ্রেশলি পিকড কাঁঠালপাতার পাতুরির রেসিপি নিয়ে আসবো অচিরেই, ভাইয়া।

          তোমার জন্য ওভেন বেইকড গোট শ্যাংক পাঠালাম। ব্লাডিমেরির সাথে জমবে দারুণ। এনজয়!

          জবাব দিন
          • পারভেজ (৭৮-৮৪)

            এই কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা চিরকালই থাকে, আর গ্যাঞ্জাম পাকানোর চেষ্টা করে।
            কিন্তু তাতে কখনোই তেমন কোন লাভ হয় না।
            তারপরেও কেন যে তারা এই ফাজলামিটা করে, বুঝি না।
            "ওভেন বেইকড গোট শ্যাংক পাঠালাম। ব্লাডিমেরির সাথে জমবে দারুণ" - তাতো বুঝলাম কিন্তু শুক্রবারে তো বার বন্ধ।
            কি করি এখন ওটা দিয়ে?
            যাও, ফ্রিজে রেখে দিচ্ছি আপাততঃ। দেখি কাল যদি কিছু করা যায়...
            আপসোস টাটকা খাওয়া যাবে না।
            ফ্রিজের জিনিষ গরম করে খাওয়া আর সদ্য রান্না করা জিনিষ খাওয়া কি আর এক হলো???


            Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

            জবাব দিন
      • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

        দেরী যেহেতু করেছি জুড়ানো হলেও চা যে পেলাম সেটাই বা কম কি !
        যেটা উপরে নূপুরকে বলছিলাম। ঢু মারছিলাম বটে সেলফোন থেকে মাঝে মধ্যে। কিন্তু স্ক্রল করে একটা লেখা পড়া হয়রো বেশী হলে।
        এর মধ্যে টের পেলাম কিছু একটা হচ্ছে এখানে। তখন, যেটা নূপুর বলেছিলো, আস্বাভাবিক ট্রাফিক, সেটা চোখে পড়লো। আর চোখে পড়লো রান্নার রেসিপির বদলে টাবাসকো ওয়াসাবি। ঠিক সাম্বুকার মতোন লেখাগুলো। জি হ্যা সাবিনার। এর পর পড়তে শুরু করলাম। ইতিমধ্যে পারভেজের লং আইল্যান্ড আইস টি এসে গ্যাছে।
        আর সব শেষে যেদিন লিখবো মনস্থির করে আপডেট পড়ে নিচ্ছিলাম। দেখলাম এডু মডু অলরেডী ডেজার্ট সার্ভ করে দিয়েছে। সাম্পডুয়াস ডিনারটা মিস। কিন্তু তখনো তাজা গন্ধের রেশটুকু জোরালো আছে।
        সো মাস্টারশেফদের অগুন্তি ধন্যবাদ। নূপুরের প্রতি মন্তব্যে রাব্বীর নামটা অনুচ্চারিত ছিলো। এখনো যেমন থাকলো কারো কারোটা। সবাইকে সব্বাইকে আবারো ধন্যবাদ তোমার প্রতি এই প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে।
        লেট সিসিবি রক !
        লেট সিসিবি গ্লো !
        চিয়ার্স ফর অল দ্য রাইটার্স এন্ড রিডার্স (ইনক্লুডিং দোওজ হু রিড আনলগড এন্ড গো ব্যাক সাইলেন্ট উইথ পকেটফুল প্লেজার)।
        চিয়ার্স !

        জবাব দিন
  25. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    ইটা ফেলে যাই।
    পোস্টের সাথে সহমত এবং এডজুট্যান্ট স্যারকে সাধুবাদ।

    (অফটপিকঃ কাইয়ুম ভাই সহ অনেক পুরান পাপীকে জীবিত দেখে যারপরনাই আনন্দিত হইলাম 😀 )


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  26. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    শ্রীলঙ্কায় কিছুদিন আগে জুনিয়র কমান্ড এ্যান্ড স্টাফ কোর্স করতে গিয়েছিলাম, মাস তিনেকের জন্য। কোর্সের সিলেবাসে 'বুক রিভিউ' জিনিসটা অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রত্যেককে একটা করে বই নিয়ে রিভিউ সাবমিট করতে হয়েছিল (লিখিত)- সেই সাথে সেই রিভিউয়ের উপর একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনও দিতে হয়েছিল।
    যে কারণে এগুলো বলা- সেই বুক রিভিউতে আমার কিছু শ্রীলঙ্কান কোর্সমেট প্লেজারিজমের দায়ে ধরা খেয়েছিল। তাদের এই ধরা খাওয়ার বিষয়টা ইন্সস্ট্রাক্টররা প্রকাশ করতেন প্রেজেন্টেশন পরবর্তী ক্রিটিসিজমের সময়, এবং তখন তাদেরকে ভয়াবহ রকমের অপমান করা হত। সেই অপমানের তুলনায় ফেল করানোটা কোন বিষয়ই না। ইন্সট্রাক্টররা Viper নামক একটি প্লেজারিজম ডিটেকশন সফটওয়্যারের সাহায্যে মহানন্দে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতেন। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  27. অরূপ (৮১-৮৭)

    রাত প্রায় তিনটা বাজে। কোথাও একটা ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা দেখছিলাম। অনেক লম্বা একটা পোস্ট/ কমেন্ট আসবে। আশায় আছি ... একটু পরপর এসে ঘুরে যাই, কখন যে এসে যায়। আরও সময় বাকী, প্রায় ৪ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। অপেক্ষার সময় বড় দীর্ঘ। 🙁


    নিজে কানা পথ চেনে না
    পরকে ডাকে বার বার

    জবাব দিন
  28. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    এত পরে সাড়া দেবার জন্য দুঃখিত নূপুরদা। খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি, ৬ নম্বর স্বর্ণযুগে অবশ্য এই মুভিমেন্টের সাথে একাত্মতা জানিয়েছিলাম।

    যারা এর পিছনে এত সময় শ্রম দিয়েছেন তাদের সবাই কে ধন্যবাদ সেই সাথে এডু মডুদের ধন্যবাদ সময়োচিত সিদ্ধান্তের জন্য। আশা করি ভবিষ্যতেও আমরা সবাই সিসিবির মান রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  29. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    পোস্টের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কিছু বলা হয় নাই। সেটা বলতেই এলাম। যাকে নিয়ে কথা উঠেছে উনার লিখা সবসময় আমার কম্পিউটার মাউজের স্ক্রল বাটনের টানের উপরে থাকে তাই কতটুকু ক্ষিপ্ত হব বুঝতে পারছি না। কারণ পড়ে দেখি নাই। তবে বিদেশের পড়াশোনায় প্ল্যাজিয়ারিজম নিয়া যেই কারখানা করা হয় সেটা যেহেতু দেখে এসেছি সেহেতু বলতেই পারি অত্যন্ত নিম্মমানের ছিল ব্যাপারটা।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।