ছায়া কিংবা ছবিঃ দুই

কৈশোরে বিভূতিভূষণ’র লেখা ‘পথের পাঁচালী’ পড়ে মন আটকে গিয়েছিল অপু’র চরিত্রে, কাহিনী’র বিন্যাসে, আর জীবনবোধ বিশ্লেষণে। অনেক পরে টেলিভিশনের পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের হাতে গড়া সেই উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন দেখেছিলাম।

পার্থক্যটা পরে বলছি।
বাংলা’র শিক্ষক শিখিয়েছিলেন – ‘অপু আমাদের সমষ্টিগত কৈশোর – ব্যাখ্যা কর। – এটি ছিল পরীক্ষার সবচেয়ে ওপেন কোশ্চেন!
সেই উপন্যাস আমার এখনো সেরা পড়ার তালিকায় – সবার ওপরেই আছে!

কাছে এসে, পাশে বসে, আকুল হয়ে যেমন একজন আরেকজনকে বলে, “তুমি আমার সামনে এলে একরকম, ছবিতে আরেকরকম। গাছের ফল গাছে একরকম, ঝুড়িতে আরেকরকম।”

তুমি নিজেই দেখো নিজেকে স্পর্শ করে, এই তুমি, আয়নার তুমি আর তোমার সেলফি’র তুমি-তে কতখানি তফাৎ!

অক্টোবর ১, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা।

৩ টি মন্তব্য : “ছায়া কিংবা ছবিঃ দুই”

মওন্তব্য করুন : লুব্ধক (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।