আমাদের বাঁশিওয়ালা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মানুষটাকে কাছ থেকে দেখেছিলাম দু’তিনবার। আকাশের মতো এমন বিশাল এক মানুষ। এমন সিংহহৃদয় মানুষ, আমাদের জাতির জীবনে একজনই এসেছিলেন। কিছুটা নিজের ক্যারিশমা, কিছুটা সাহস আর বাকিটা সময়- তাকে করে তুলেছিল এই জনপদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায়। মানুষকে ভীষণ বিশ্বাস করতেন তিনি। হয়তো রবীন্দ্রনাথের মতোই মনে করতেন, ‘মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’

এই বাঁশিওয়ালা আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে, বাঙালি জাতির মুক্তির যুদ্ধে।

বিস্তারিত»

রূপবিলাস (শেষ)


৭.
টেবিলটা খালি পরে আছে, সাথে চেয়ারটাও। মানুষটা নেই। সকাল থেকে ফোনগুলো সৌরভ-ই
ধরছে। বিরক্তিকর কাজ। বারকয়েক তার ইচ্ছে হয়েছে ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিতে কিংবা তার ছিঁড়ে
ফেলতে। দীঘি এত ধৈর্য্য কোথায় পায় বুঝে না সৌরভ। দীঘি আজ আসেনি, ফোন করেছিল অসুস্থ । সেদিনও কত চটপটে ছিল, এক রাতের মধ্যেই কি এমন হয়ে গেল!

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-৬

গ্রীলে এসে থমকে যাওয়া
উত্তল এই বৃষ্টি-বিন্দুর পেটে
সমস্ত শহর
উল্টো লটকে গিয়ে
দু’জনে আজ মুখোমুখি
বর্ষার বিকেলে।

বিস্তারিত»

সেই রাত্রির কল্পকাহিনী

এই কবিতাটা পড়ার আগে আমি এটার আবৃত্তি শুনেছিলাম, শিমুল মুস্তাফার কন্ঠে। এখনো মনে আছে, একবার শুনেই স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। প্রচন্ড অপরাধবোধ আর লজ্জায় আমার নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিলো। খুঁজে বের করে কবিতাটা পড়ার সাহস হচ্ছিলো না। কিন্তু তারপরও পড়েছি, নিজেকে ধিক্কার দেবার জন্যে বইটা কিনে এনে কবিতাটা খুঁজে বের করে পড়েছি। একবার, বারবার।

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ হইয়াও হইলো না শেষ)

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ হইয়াও হইলো না শেষ)
-ওয়াহিদা নূর আফজা

বানরের থেকে আমার পার্থক্য খুব একটা বেশি না। বানরের কোমরে দড়ি বেধে ঘুংগুর বাজিয়ে কেউ তাকে নাচতে বললে সে যেমন নাচতে শুরু করবে ঠিক তেমনি আমাকেও কেউ যদি বাহবা দিয়ে সমুদ্রে ঝাপ দিতে বলে আমিও কিছু না বুঝে অতি উৎসাহে তাই করতে যাব। এই যেমন আবার স্মতিচারণ নিয়ে বসা।

বিস্তারিত»

নরকবাস ২ – পুরুষ মানুষ

একটি কৌতুকের মতো।
ক্লাস নাইনের গরমের ছুটিতে আক্‌লিমা গেল তার ছোট খালার বাড়িতে বেড়াতে। ছোট খালা-খালু দুজনই তাকে নিজের মেয়ের মত আদর করে। বিশেষ করে খালুজান তো তার সাথে ‘মা’ ছাড়া কোন কথাই বলে না। খালার বিশাল বাড়িতে আক্‌লিমা একা এক ঘরেই ঘুমাতো। একদিন ঘুমের ঘোরে আক্‌লিমা স্বপ্ন দেখলো যে একটা গোখ্‌রা সাপ কিলবিল করে তার শরীর বেয়ে উঠে গলায় পেঁচাতে চাইছে। এরকম বিশ্রী একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে উঠতে যেতেই সে টের পেল যে স্বপ্নে নয়,

বিস্তারিত»

গল্পঃ অবলম্বন

“চোখে পানি আসলে কী দিয়ে মুছেন?”

এ প্রশ্ন শুনলে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকাতে হয়। প্রায় বৃদ্ধ একজন মানুষ। পরনে আধ ছেঁড়া পাঞ্জাবী, ঢোলা পায়জামা। শীত নেই তবুও কানে মাফলারের মতন করে একটা গামছা জড়ানো। গায়ে এলোমেলো ভাবে নেতিয়ে যাওয়া একটা চাদর বিছানো রয়েছে। কাঁধে বাজারের থলির মতন একটা ব্যাগ। বৃদ্ধ রয়ে যাওয়া কয়েকটা দাঁত সম্বল করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসেন। যাবো যাবো বিকেলের আলোয়,

বিস্তারিত»

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম

রকিমুন্নেসা ম্যাডাম ছিলেন আমাদের ফর্ম টিচার। ভীষণ জাঁদরেল। ম্যাডামের হাউস এবং ফর্ম ফিলিংস আমাদের ক্যাডেটদের কাছাকাছিই ছিল।তার ফল ভোগ করতে হত আমাদেরকে, আমরা প্রতিদিন বকা (ম,গ,ক,ক তে বকাই ছিল, মারামারির গল্প আমি সামিয়ার লেখাতেই প্রথম পড়ি) খেতাম আগের দিনের করা এবং পরের দিনের না করা কাজের জন্য অগ্রীম। (একারণে ‘খ’ শাখার, বেজোড় ক্যাডেট নম্বরধারীদেরকে আমি একটু একটু হিংসা করতাম কারণ ওদের ফর্ম টিচার হতেন মজার মানুষগুলো।) ম্যাডাম খেলাধূলাতেও বেশ ভালো ছিলেন,

বিস্তারিত»

পেত্নী আছর…!!

…অয়োময় ও যাভিয়েরকে….

১.
শ্যাওড়া গাছের পেত্নী কয়
আয় কাছে আয় অয়োময়
করমু তোরে বিয়া,
অবাক পোলা চাইয়্যা রয়
পেত্নী হলেও মন্দ নয়
দেখতে বড়ই “ইয়া”.. :shy: :shy:

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ পর্ব)

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ পর্ব)
-ওয়াহিদা নূর আফজা

এদিকে বদলীপ্রাপ্ত সব পাকা চুলের স্যারদের মধ্যে শুধু একজন ছিলেন বয়সে তরুন। উনি রসের বিষয় রসায়ন পড়াতেন। স্যার প্রথম ক্লাস শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা মেয়েরা ক্লাসে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলাম। একদল বলছে উনার গোফ আছে আরেকদল বলছে নেই। আসল সত্যটা জানার জন্য দুদল থেকে দু প্রতিনিধি পলি আর নিলা স্যারের পিছু নিল।

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)
-ওয়াহিদা নূর আফজা

ক্যাডেট কলেজে আমার তিন বছরের জুনিয়র সেলিনা একদিন এই ব্লগটার সন্ধান দিল। সেই সাথে লিঙ্ক পেলাম ক্যাডেটদের লেখা প্রথম ই-বুকের। প্রথমে ই-বুকটা খুলে পড়তে বসলাম। লেখক যদি ধরে না রাখতে পারেন তবে কোনকিছু এখন আর শেষ পর্যন্ত পড়া হয়ে উঠেনা। অথচ এই ই-বুকটাতে চোখ এমনই আটকে গেল যে রাত প্রায় ভোর হবার উপক্রম।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক !

ফ্ল্যাশব্যাক !
এক হ্যাচকা টানে
তড়িঘড়ি করে সব কিছুই
উল্টো দিকে দৌড়াতে লাগলো।

শিল্পীর সদ্য আঁকা ক্যানভাস
প্রিয় কবির লেখা ভর্তি খাতা
শিক্ষকের তুখোড় লেকচার

বিস্তারিত»

নরকবাস ১ – আল্লাহর বিচার

কুইনাইন।
আপনাদেরকে আমি আজ আমার জীবনে দেখা এমন কয়েকটি কাহিনী শোনাবো যা আমি এপর্যন্ত গল্প বা আড্ডার ছলেও খুব একটা কাউকে বলিনি। আমার এ বক্তব্যটা আবার একটু স্ববিরোধী হয়ে গেল না তো? বলতে পারেন, ‘খুব একটা কাউকে বলিনি’ এমন গোপন কাহিনী আবার এমন জনসমক্ষে বলার দরকারটা কি? না, বিষয়টা তেমন গোপন কিছু নয়, আমার বা আমাদের পরিচিত কারো একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারও না। ঘটনাগুলো এমন যে আমাদের চোখের সামনেই অনেক সময় ঘটে যাবার পরেও বা নিজের কানে শোনার পরেও ঠিক বিশ্বাস করতে মন চায় না।

বিস্তারিত»

তোদেরকে ভুলি কেমনে…

মোবাইল এ হঠাৎ SMS আসার শব্দ। SMS টা পরতে লাগলাম

” দোস্ত, কেমন আছিস ? অনেকদিন তোদেরকে দেখিনা। খুব দেখতে ইচ্ছা করে। আমার একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, তাই তোদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিনা… ঠিক হয়ে গেলেই আমাকে পাবি… দোয়া করিস আর অনেক ভাল থাকিস…”
চোখে পানি এসে গেল। খারাপ লাগতে লাগল খুব। কেমনে ভুলি তোদের ?

বিমএ থেকে যখন ফোন দিস।

বিস্তারিত»