সেবা প্রকাশনী

ফয়েজ (৮৭-৯৩) খেরোখাতা – ছোট্ট বেলার নায়কেরা, চমৎকার লেখাটি পড়লাম।
শেষ লাইনটি ছিলঃ আহা সেবা প্রকাশনী, তোমার ঋণ কি কোনদিন শোধ করতে পারবো বলে মনে হয়?
পরে কমেন্টে এসেছেঃ সেবারে নিয়া আরও পোষ্ট আসা দরকার।

আমি এ ব্যাপারে একমত। নেশার মতো ছিল সেবার বইগুলো। আমাদের সময়ে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, রোমাঞ্চপন্যাস তেমন ছিল না। হিরো বলতে রানার মত ছিল না কেউ। সেবা প্রকাশনীর প্রবল প্রভাবে,

বিস্তারিত»

একটা গোপন কথা ছিল বলবার

মায়ের কাছে শোনা; আমার জন্ম নাকি এক ঝড়ের রাতে, কালবৈশাখী ঝড়। মুষুলধারে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার তান্ডব উপেক্ষা করে তুমি বাইরে বসেছিলে, নানাবাড়ির বারান্দায়, চওড়া বেঞ্চিটির উপর। ভেতর বাড়ি থেকে আমার গগনবিদারী কান্না শোনবার জন্য তোমার অধীর উৎকন্ঠা। আমি নাকি পৃথিবীর আলোয় এসে ছোট্ট চোখ দুটো পিটপিট করে কিছু খুজছিলাম, বোধহয় তোমাকেই। আমায় দুহাতে জড়িয়ে তুমি প্রাণভরে দেখছিলে, আর আমি, পরম মমতার ছোয়া পেয়ে যেন নিজের অস্তিত্বের মর্মার্থ উপলব্ধি করে নিচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

মোর্শেদ- আমাদের ৫০ নম্বর

ক্যাডেট জীবনে যাদের ব্যাচে কোন আউট হওয়ার ঘটনা বা কোন ক্যাডেট চলে যাওয়ার ঘটনা নেই তারা খুব ভাগ্যবান্‌। আমাদের ব্যাচের ৫০ জন ক্যাডেটের মধ্যে ৪৭ জন কলেজ থেকে শেষ দিন একসাথে বের হয়েছিলাম। আমাদের ৩ জন বন্ধু আমাদের সাথে ছিল না। ক্লাস ৮ এ মোর্শেদ কলেজ ছেড়ে চলে যায়, কারণ সিনিয়রদের কিছু ব্যবহার ও সহ্য করতে পারে নি। পরবর্তিতে আমাদের আরও দুইজন বন্ধু মুরাদ এবং রহমান ক্লাস ৯ এ কলেজ আউট হয়ে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

আমার ফুটবলপ্রীতি

ফুটবল খেলাটার সাথে আমার কেন জানি খুব একটা প্রেম নেই =(( । ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কিছুটা ভাল হবার কারণে মা-খালারা আমাকে গাব্দু-গুব্দু (মতান্তরে ৩০ ব্যাচের শাহীন ভাইয়ের ভাষায়হোঁদল কুৎকুৎ) বলে ডাকতেন। সেই আমি আমার এই দেহ নিয়ে তড়িৎগতিতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াব এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তবে চট্টগ্রামের ষোল শহরে বন গবেষণা কেন্দ্রে আব্বুর যখন পোস্টিং ছিল তখন পাহাড়ের উপরে পাড়ার অন্যান্য বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলার সময় গোলকীপারের পোস্টটা আমার জন্য বাধা ছিল।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – ছোট্ট বেলার নায়কেরা

১।

জাহাজের বদ-রাগী ক্যাপ্টেন গুলি করে খালাসী ব্যাটাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল আর কি। শেষ মুহুর্ত্তে তিনি হাত দিয়ে ক্যাপ্টেন কে ঠেলে দেয়াতেই সেই যাত্রায় বেঁচে গেল খালাসীটা। অবশ্য কৃতজ্ঞ খালাসী এর প্রতিদান দিতে সপ্তাহ দেড়েকে বেশি নিলনা যখন তার নেতৃত্বে সব অফিসারকে মেরে মেরে জাহাজ দখল করে নিল কর্মচারীরা। খালাসীটা প্রানে বাচিয়ে রাখল তাকে, কিন্তু অন্য বিদ্রোহীদের চাপে তাকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সহ নামিয়ে দিতে বাধ্য হল কঙ্গোর গহীন জঙ্গলে,

বিস্তারিত»

মুসলিম ইন আমেরিকা-১: এট্‌ দি এয়ারপোর্ট

সকাল ৭:৪০, ২৪শে মে, ২০০৯
বসে আছি ল্যাম্বার্ট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ইন সেইন্ট-লুইস
ট্রিপ প্ল্যানঃ সেইন্ট-লুইস টু সিন্সিনাটি টু নিওইয়র্ক টু আবুধাবি টু ঢাকা!!!!!! :awesome:

কিছুক্ষন আগে সিকিউরিটি চেক পার হয়ে আসলাম। আমার খুব একটা অসুবিধা হয় নি, আব্বুকে হাল্কা স্পেশাল চেক করল…হয়ত ফার্স্ট নেম “মুহাম্মদ”
দেখে…সে যাই হোক…এইসব কোনো ব্যাপার না…
অনেকেই হয়ত ভাবছেন…মুসলমান হিসেবে আমেরিকান এয়ারপোর্টে আমাদের ডিসক্রিমিনেট করা হচ্ছে…এটাকে আমি এত হাল্কা ভাবে কেন নিচ্ছি…হ্যাঁ,

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু – ৩

ডুব লুকোচুরি খেলছে হাঁস যুগল
দেখা না দেখায় কি কথা তাহার সাথে
এই তৃষ্ণায় এতো সামান্য জল।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ

২১ শে মে ১৯৯২ – প্রায় ৫৫০ এর মত নিবো’ধ কিছু বালক-বালিকার সাথে নিবো’ধ আমিও বোধশক্তি বৃদ্ধির জন্যে ক্যাডেট কলেজ নামক দেশের সনামধণ্য এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাণে নিজেকে বিষজ’ন দিলাম।জয়েন করার দিন আমার সাথে বাবা,মা ছাড়াও গিয়েছিল আমার প্রতিবেশী এক আপু।সবকিছুই ক্যামন যেন একটা ঘোরের মত মনে হচ্ছিল ।আর আমার এবং আমার সজ্জনদের যেভাবে আপ্যায়ণ করা হচ্ছিল আমার কাছে কলেজের সবাইকে মনে হচ্ছিল ফেরেশতা। আনুষ্ঠানিকতা ছেড়ে যখন হাউসে গেলাম তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল সব সিনিয়র ভাইরা আমার দিকে বিশেষ যত্ন নিচ্ছে ব্যাপারটা আমার কাছে আরও দারুণ লাগছিলন।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ৩

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব

যারা আগে কখনও অভিনয় করেনি তাদের দিয়ে এত স্বাভাবিক অভিনয় কিভাবে করান? আর আপনার সিনেমাগুলোর জন্য চিত্রনাট্য কিভাবে লেখেন?

আগেই বলেছি, আমার সিনেমার পুরো চিত্রনাট্য আগে থেকে প্রস্তুত করা থাকে না। প্রথমে একটি সাধারণ ধারণা এবং একটি চরিত্র মাথায় থাকে। সেই চরিত্রটি বাস্তবে খুঁজে পাওয়ার আগে চিত্রনাট্য নিয়ে খুব বেশী এগোই না।

বিস্তারিত»

সিসিবি থিম

অল্প ক’জন ক্যাডেটের সান্নিধ্যে জন্ম নেয়া সিসিবি প্রাঙ্গন আজ অনেক বড়, অনেক বিকশিত। হয়তো বলবেন এখনো শতভাগ পূর্ণাঙ্গতা আসেনি, তবুও মেনে নিতে হবেই সিসিবি প্লাটফর্মের বর্তমান অবস্থান ঈর্ষনীয় এবং প্রশংসার দাবীদার। শুধু স্মৃতিচারণের গন্ডীতেই নিজেদের আটকে না রেখে চিরতরুণ ক্যাডেটদের (এক্স-ক্যাডেট বলবো না, কারণ অন্তরে তারা আজো সেই পুরনো ক্যাডেটই রয়ে গিয়েছেন) বিচরণ ছড়িয়েছে বহুদূর। আজ এর সদস্য প্রায় হাজারের পথে এগুচ্ছে, আর পোষ্টের সংখ্যা তো বেশ আগেই দু’হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গিয়েছে।

বিস্তারিত»

হয়ত ১০০, অবশেষে ১০০

রাজশাহীর পোস্ট যখন ৭ টি মাত্র তখন আমি সিসিবিতে প্রথম আসি। আজ সেই পোস্ট সংখ্যা ১০০ তে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি অন্যান্য কলেজের তুলনায় এই সংখ্যা তেমন কিছুই না, কিন্তু আমার কাছে এর মূল্য অনেক বেশি। কারণ মধ্যে এমন সময় গিয়েছিল যখন আমি ছাড়া রাজশাহীর আর কেউই ব্লগে উপস্থিত ছিলেন না। আমি যখন ব্লগে আসি তখন সামি ভাই, তৌহিদ ভাই ব্লগে বেশ নিয়মিত ছিলেন। তৌহিদ ভাই হঠাৎ যেন হারিয়ে গেলেন।

বিস্তারিত»

এশিয়ান হাইওয়ে ও বাংলাদেশ

এটি একটি তথ্যনির্ভর খুব সাধারন রচনা। যথাসম্ভব তথ্য নির্ভুল রাখার চেষ্টা করেছি। ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হলে আমাকে অবহিত করলে খুশি হব।

ভুমিকা = ১৯৫৯ সালে The Asian Land Transport and Infrastructure (ALTID) এবং Asian Highway পরিকল্পনার স্রস্টা Economic Commission for Asian and the Far East (ECAFE) নির্বাহী সম্পাদক উ ন্যুন। এশিয়ার দেশ সমুহের মাঝে বাধা ও বিরতিহিন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য এশিয়ান হাইওয়ের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।

বিস্তারিত»

দিনলিপি ০৪: আবোলতাবোল

১.১- ইদানিং কেনো জানি অফিস করতে একদমই ভালো লাগে না। বুঝতেছি না কেনো। এখনি এই কাহিনি হলে আরো তো সময় অনেক পড়ে আছে। কি যে হবে। প্রথমে ভাবতাম শুধু আমার। কিন্তু না, পরে অফিসে তানভীর বা অন্যান্যদের সাথে কথা বলে দেখি একি কথা সব দিকে। আগের দিনের মানুষ রাও কি এতো তাড়াতাড়ি বোরড হয়ে যেতো? কি জানি। নাকি যুগের অনূভুতি এটা। হতে পারে এক জায়গায় বেশকয়েক বছর চাকুরি করার ক্লান্তি।

বিস্তারিত»

কলেজ ছুটিতে মস্ত বড় সারপ্রাইজ!

কলেজ থেকে ছুটিতে আসা আমার জন্য সবসময়েই একটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। সত্যি কথা বলতে, ক্লাস সেভেন থেকে টুয়েলভ এর প্রতিটা মুহূর্তেই আমি থাকতাম হোমসিক। ক্যাডেট লাইফটার অন্য একটা মজা ছিল, এটা ঠিক; মজাও করেছি – কিন্তু সেটা আমার বাড়ির প্রতি দুর্বলতাটাকে কখনও ম্লান করতে পারেনি। ছুটির দিনগুলো শেষ হয়ে আসলে আমি আস্তে আস্তে মনমরা হয়ে পড়তাম। ছুটির প্রতিটা দিনই আমি উপভোগ করতাম। যদিও বেশীর ভাগ সময় কাটাতাম ক্যাডেট কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথেই।

বিস্তারিত»

রাফখাতা (সাপ্তাহিক…১)

ক. আহ… বৃহঃস্পতিবার রাত। সেই কলেজ লাইফ থেকেই সপ্তাহের সেরা সময়। মাঝে শুধুমাত্র বিএমএ’র ১ম তিন টার্মের বৃহঃস্পতিবার রাত বাদ দিলে এই রাত আসলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। তবে এখন কোর্সে এসে এই ভাল লাগার মাত্রাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ক্লাস, খাওয়া, পড়াশুনা, হোম এসাইনমেন্ট এই চক্করে পুরা যন্ত্র হয়ে গিয়েছি। তাই এখন বৃহঃস্পতিবার রাতগুলো আরো অসাধারন হয়ে উঠেছে।

খ. পুরো সপ্তাহের এই যান্ত্রিক জীবনের মাঝে মেন্টাল রিলিফের বিষয় আছে দুইটি…

বিস্তারিত»