আজ আমাদের ব্যাচের জন্মদিন। গতকাল দুপুরে আমার অফিসের তেরতলার উপর হতে বৃষ্টির শুভ্রতরঙ্গ কেবল তেরবছর আগের (একদিন কম) একটি দিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমি অবশ্যি এমনিতে একটু বেরসিক আর কাঠখোট্টা স্বভাবের লোক। আবেগ খুব বেশি আমাকে ছোয় না। বৃষ্টি দেখে আমার বন্ধুদের চরম রোমান্টিক মূহুর্তে আমি “কিছুই লাগে না” জাতীয় নির্লিপ্ততায় অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে যাই । কিন্তু কিছু জায়গায় চরম বেরসিকেরও একটু ধাক্কা লাগে।
বিস্তারিত»এবিসি রেডিও’র ডামি ওয়েবসাইট : শুধু তোমাদের জন্য
এবিসি রেডিও’র ওয়েবসাইটটা দাঁড়াচ্ছে। এখনো অনেক কাজ বাকি। খবরটা নিয়মিত আপডেটও হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের কিছুই দেওয়া নাই। সংগ্রহশালা (আর্কাইভ) খালি। তবে ডামিটা দেখে হয়তো তোমরা ধারণা পাবে।
লাইভ স্ট্রিমিং করতে নাকি বিটিআরসির অনুমোদন লাগে। তাই ওই সুযোগ এখন রাখা হচ্ছে না। তবে নিশ্চয়ই এক সময় সেটা পারা যাবে। আসলে এটা নিয়মিত আপডেট করার জন্য মানুষ নাই। তবে শিগগিরই আইটিতে আরো দুজন লোক নিচ্ছি।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – খিচুড়ী খাইতে মনডা কান্দে
চিটাগাং এ ধুমায় বৃষ্টি পড়ে। ইসসিরে………………..।
কলেজে থাকলে ডাইনিং এ নির্ঘাৎ খিচুড়ী দিত। মাসুদ স্যার এইটা কামটা করত পুরাই উড়াধুড়া। বৃষ্টি হইলে নির্ঘাৎ খিচুড়ী। আর শুক্কুরবার হইলে তো কথাই নাই, এক নম্বর ফুটবল গ্রাউন্ডে খেলাটা যা জমত না, ফাটাফাটি। ইসসিরে………।
খিচুড়ীর সাথে যদি গরুর ভূনা বা ইলিশের ভাজি হইত, তাইলে লা জওয়াব। পত্রিকায় দেখলাম সাগরে নাকি মেল্লা ইলিশ ধরা পড়তেছে। গত তিরিশ বচ্ছরের মইধ্যে রেকর্ড।
বিস্তারিত»অপেক্ষা-আহসান কবীর(১/১৭)
বেক্সকা নাইট এ আমাদের যে সুভিনিয়রটা বের হয়েছিল সেখানে নিয়মিত লেখক সিসিবির সায়েদ ভাই এর মতো ১ম ব্যাচের আহসান কবীর ভাই ও আছেন।
এবারে ওনার লেখাটা পড়ে অন্যবারের মতোই ভাল লাগলো তাই চিন্তা করলাম সিসিবিতে শেয়ার করি
আশাকরি ভালো লাগবে।
অপেক্ষা-আহসান কবীর(১/১৭)
বিবাহ :
জেনারেল নলেজে এ আমরা সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্নরূপ শিখতাম। যেমন বিএ ডিসি- বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কপোরেশান।
গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার
বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:
২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।
অবচেতন সম্রাজ্য
কোথাও টু শব্দটি নেই। হঠাৎ ভারী শব্দের সাথে আলোকরশ্মির মতো কিছু একটার আবির্ভাব ঘটে। তারপর শুরু হয় একটানা যান্ত্রিক শব্দ। এভাবেই স্ক্রিনে আসে সিনেমার নাম: পুরো স্ক্রিন জুড়ে ক্যাপিটাল অক্ষরে লেখা INLAND EMPIRE. এর মধ্যে দিয়েই ডেভিড লিঞ্চ আমাদেরকে এক বিস্ময়কর surrealist (পরাবাস্তব) জগতে নিয়ে যান। দর্শক মাত্রই সিনেমার মধ্যে ঢুকে যেতে বাধ্য। রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে ভেসে আসে: Axxon N. The longest running radio play in history.
বিস্তারিত»ফেসবুক, ই-মেইল আর মোবাইল যন্ত্রণা ও মাস্ফ্যুর জন্মদিন পাগলামির এক বিচিত্র অথচ আনন্দদায়ক অনুভূতি
আমি ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিন, ম্যারেজ এনিভার্সারি ইত্যাদিতে আপ্লুত হইনা। আমার জন্মটা নিয়েই মাঝে মাঝে কিছুটা আক্ষেপ আর কিছুটা হতাশার উদ্রেক হয়। এটা নিয়ে আমার হোম মিনিস্টারের সাথে যথেষ্ট গ্যাঞ্জাম আছে। জন্মদিনের উইশ করলে আমি কিছুটা বিব্রত হই আর কিছুটা লজ্জা পাই। যার কারণেই হয়তো উত্তরে যা বলা দরকার, তা বলতে পারিনা। মানুষ আমাকে আন-সোশ্যাল ভাবে।
নিজের জন্মদিনের কথা বরাবরের মত এবারও ভুলে গিয়েছিলাম। এমনকি অফিসে যেয়ে যখন চিঠিগুলোতে ০১ জুন তারিখ লিখছি তখনও।
বিস্তারিত»এডু বৃত্তান্ত
কলেজে এডজুটেন্ট স্যারের ভাবসাব দেখে মনে হইত আর যাই হোক জীবনে আর্মিতে গেলে অবশ্যই এডু হইয়ে ক্যাডেট কলেজে আসব-কি তাঁর শান শওকত(নো অফেন্স টু আমাদের এইখানের শওকত হোসেন মাসুম ভাই),কি তাঁর গেটাপ সেটাপ-পুরাই ঝিকিঝিকি পমপম মার্কা অবস্থা।ক্যাডেট লাইফে আমি মোট চারজন এ্যাডজুটেন্ট স্যার পেয়েছি-পিসিসির মেজর আজাদ স্যার(১), আরসিসির মেজর সাঈদ স্যার(২),পিসিসির মেজর ইউসুফ স্যার এবং সবশেষে সিসিআরের মেজর নবী স্যার।এঁদের মধ্যে মেজর ইউসুফ স্যার ছিলেন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে-প্রায় চার বছর।উনার কিম্ভুতকিমাকার কর্মকান্ড প্রায়শঃই ক্যাডেটদের নানান আনন্দের খোরাক যোগাত।
বিস্তারিত»গণ সমাচার
এই পোস্টটি দেয়ার আগে গণ শব্দটি নিয়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম :-B
সিনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেট যখন জুনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেটকে একটি নির্দিষ্ট কারণে ধোলাই করে তখন তাকে আমাদের কলেজে গণ বলে :chup:
অন্য কলেজে এটাকে কি বলে সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম :-/
নাম যেটাই হোক কাজ তো একটাই । গণ হল গণধোলাই এর সংক্ষিপ্ত রুপ ।
সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি আর তাই রক্ত গরম ।
বিস্তারিত»শৈশবে একচক্কর দিয়ে এলাম
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঘড়িটা এলার্ম দিলেও আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পৌনে ৮টায় ইকরামের ফোন পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়লাম। উত্তরা থেকে রওয়ানা হয়ে ও তখন আমার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে। সোজা টয়লেট, তারপর দাঁতব্রাশ, দাড়ি কামানো, গোসল এবং হালকা নাস্তা সেরে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হলাম ৪৫ মিনিটে। ২৯ বছর আগে কলেজ ছাড়ার পর এতো কাজ এতো অল্প সময়ে আর কখনো সেরেছি কিনা সন্দেহ!
বিস্তারিত»নর এবং নারীর শব্দ কলহ
লেখাটি খুব সাধারণ মানের বিক্ষিপ্ত চিন্তা প্রসূত। তাই এটিকে খুব গুরুত্বের সাথে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি
১। একটি বইয়ের টাইটেল বাংলা অনুবাদ করলে এমনটা দাঁড়ায় পুরুষ এসেছে মঙ্গল হতে নারী শনি হতে। অর্থাৎ পুরুষ হল কল্যাণকর এবং শুভ। নারী অকল্যাণকর এবং অশুভ।
২। নার শব্দের অর্থ আগুন। এখন যদি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে খেলা করি দেখি কি দাঁড়ায়
নার = আগুন
নার+ই = আগুন+ই
নারী = আগুনি
আগুনি মানে আগুন হতে তৈরি।
শিথিলায়ন
ঘুম ধরানো আরাম বলয়, হালকা বোজা চোখ
মনের মাঝে চিন্তাগুলো একটু শিথিল হোক;
শ্বাস-প্রশ্বাসের উঠা-নামায় ছন্দ হবে ঢিল,
মনের সাথে ভাবের সাথে প্রকৃতির এ কি মিল!
গাত্রে যত দূষণ সবই হারাবে বাতাসে,
ধীরে ধীরে শরীর যেন শান্ত হয়ে আসে;
গভীর কল্পদেশে এবার হবে ভেসে যাওয়া ~
থিতিয়ে যাওয়া শরীর উড়ায় কোন উত্তুরে হাওয়া!
অস্তিত্বের পরিচয়ে শুধুই আমার মন
চিন্তাশক্তির নিমজ্জনে করে বিচরণ।
পুত্রের শিক্ষকের কাছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের পত্র
প্রাক কথনঃ
১। ক্লাস করতে গিয়ে এই কনটেন্টটা হাতে আসল। পড়ে ভালো লাগলো। ভাবলাম সিসিবির সংগে শেয়ার করে ফেলি। আমেরিকাকে যতই “মাইনাস” দেই, এটা তো সত্যি তারা কয়েকজন বড় নেতা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন।
২। অনুবাদ আমি করিনি। আমি অনুবাদ করা অবস্থায় পেয়েছি, তবে আমার কাছে ইংরেজী স্ত্রীপ্টটাও আছে। পাঠক যদি ইংরেজীরটাও পড়তে চায়, তুলে দিতে পারব।
৩। এটার সোর্স ক্লাস টিচার।
পুঁইশাক- এঁচোড়- শসা
ডিসক্লেইমারঃ আমার সৌভাগ্যে কেউ যদি ঈর্ষান্বিত হন, তাহলে আমার কিসসু করার নাই। পারলে নিজের দুলাভাইরে কলেজের প্রিন্সিপাল বানান গিয়া। আমার লগে পার্ট নিয়া লাভ নাই।
অফ টপিকঃ ভাবছিলাম ট্যাগ এ “রাজনীতি” দিব। সাহস হইল না।
———————————————————————————————————————
গতকাল দুপুরে বাসায় গিয়ে দেখি লাঞ্চে জটিল সব আইটেম। শসা দিয়ে চিংড়ী, পুঁইশাক-ডাল, এঁচোড় দিয়ে গরুর মাংশ, ইত্যাদি, ইত্যাদি। ঝাঁপ দিয়ে খাইতে বসলাম। আম্মু দেখি মিটিমিটি হাসে।
জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা…
আর কিছুদিন পরেই আসছে ৩রা জুন।আমাদের ব্যাচের(৯৯-০৫) জন্মদিন।১৯৯৯ সালের এইদিনেই কতিপয় বালক ও কিছু বালিকা তাদের বাসা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।সেদিন তাদের মন ছিল কষ্টে ভারাক্রান্ত।চোখের কোণা ছিল জলে ভরা।সেদিন তাদের কান্নার ১০ম বছর পার হতে যাচ্ছে।এরই মধ্যে তাদের জীবন নদীতে বয়ে গেছে অনেক জল-ধারা।কিন্তু তাদের আবেগে একবিন্দু ও ঘোলা হয়নি এত বছর পরেও।সেদিন তারা জানতো না,বুঝতেও পারেনি কেউ যে, জীবনের সবচাইতে মজার সময়টা তারা কাটাতে যাচ্ছে।
বিস্তারিত»