চুমু-সংক্রান্ত

১.
“মদ ছোঁবেনা কোনদিন, আমাকে ছুঁয়ে
কথা দাও!” — অপ্রস্তুত ঠোঁট চুঁয়ে
এরপর আলগোছে
আধপেগ নীট চুমু ঢেলে
অনুনয়ে শুধায় এরকম,
“ক্যানো, আমি কি মদের কিছু কম?”

২.
ছেলেটির ঠোঁট ফাটে
মাখেনা ভেস্‌লিন,
মেয়েটি যত্নবান
ওরা ঠোঁটে ঠোঁটে লীন

বিস্তারিত»

নিঃস্বঙ্গ মস্তিস্ক

একলা আছি, একাই রবো
একা একাই সুখ পোড়াবো।
কেউ হবেনা সঙ্গী যখন
কী লাভ দেখে মিথ্যে স্বপন,
ব্যর্থতাকে সাথী করে চলব আজীবন।
একলা আছি, একাই রবো
একলা রবে মন।

বিস্তারিত»

বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে…!!!

(শিরোনাম দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। পিচ্চির (আমার ভাতিজা) বসন্ত হয়েছে…আজ দুপুরে ওর সাথে মারপিট করার সময় ওর গায়ের বসন্ত আমার গায়ে লেগেছে…ব্যাস এই হল নামকরণের ইতিহাস…)

পরশুদিনের আগ পর্যন্ত ভাতিজাকে নিয়ে আমরা সবাই চিন্তায় ছিলাম। বাসার হেল্পিং হ্যান্ড মেয়েটার বসন্ত হয়েছে…ওর থেকে পিচ্চির হবার আশঙ্কা অমূলক নয়। গতকাল আমাদের সবাইকে নিশ্চিন্ত করে (হবে কি না-এই চিন্তা থেকে মুক্তি!!!) দুই তিনটা বসন্ত দেখা গেল ওর গায়ে…আর এক দিনের মাথায় মোটামুটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে…ভাতিজা অবশ্য স্বাভাবিকই আছে…দেখে মনে হল না সে বসন্তের ভারে কাতর…তবে,

বিস্তারিত»

ক্লাইম্যাক্স

চমকে যাই শরীরে স্রোতস্বীনি জোছনা পতনের শব্দে
চমকে যাই আয়না দেখে আত্নপ্রতিকৃতির এই বিশ্বস্ত ওয়ার্কশপে
চমকে যাই নগরের শব্দে
রিকশার টুনটুন ঝংকারের বায়বীয় অনুনাদে
প্রেমিকা এবং প্রেম পৌরুষ মেরুদন্ড খুচড়া টাকা
দর্শক পার্কের গাড়ল গাছ আর হল্লা করে জেগে উঠা নাগরিক প্লাস্টিক প্রেম
চমকে যাই চায়ের কাপের ছলাৎ শব্দে
ছলকে উথলে পড়ে গাঢ় লিকারের জীবনীশক্তি কবিকূলের
চমকে যাই নক্ষত্রের রাতে বব ডিলনের এক্রোস্টিকের শব্দে
গড়াতে থাকি চমকানো চকমকি পাথর
চমকে যাই খসখসে কলম ছুরি হয়ে সাদা কাগজের হৃদপিন্ড ছিড়ে খুড়ে
একেকটা লাল চমকানো গোধূলী রঙ এর কবিতার আন্দোলনে
চমকে যেতে হয় প্লাবনের কালে ঢেউ প্রবেশের অখন্ড অবসরে
স্রোত স্রোত শুধু স্রোত চমকে যাই স্রোতের শব্দে
চমকে যাই ভালোবাসার বিষাক্ত অনুবাদে
যখন একপেয়ে দেবদূত হয়ে একটা সাদা বক
আর পাহাড়ী ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা সব চমকানো চিত্রকল্প স্রোতে ভাসে
চমকে দেয় আমাকে প্রথম বৃষ্টির সোঁদা আদ্র আকর্ষনী গন্ধ
এক সমুদ্র লাফিয়ে উঠে নীল ধূসর ময়লা আকাশে বিছিয়েছিল বৃষ্টি
ভেজা শরীর পরী ,চমকাতে হয় প্রকৃতি আমায় হিংসায় ফেলে
বৃষ্টি তোমায় জড়ায় চমকে যাই সুন্দর তুমি লাল রং মিশে লাল তুমি
চমকে যাই বাঁকা ঠোট বাঁকা দৃষ্টি চমকে যাই পরী ভালোবাসায় ।

বিস্তারিত»

পেন ড্রাইভ রক্ষা – (হালকা জ্ঞান)

ভাইরাসযুক্ত কম্পিউটার এর হাত থেকে নিজ পেন ড্রাইভকে রক্ষা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পেন ড্রাইভে ডামি ফাইল তৈরী করে ফ্রী স্পেস 0 করে দেয়া। যাতে নতুন কোন ফাইল কপি হবার জায়গা না থাকে। আর করা যায় খুব সহজে আলাদা কোন সফটওয়্যারও লাগেনা। প্রথমে Pen Drive properties থেকে free space এর পরিমান byte এ দেখে নিন। মনে করি এটা 123,456,000 byte. এবার আপনার পেনড্রাইভটি যদি D:\ হয় তাহলে Command Prompt এ গিয়ে টাইপ করুন fsutil file createnew d:\Dummy 123456000 এরফলে D: ড্রাইভে Dummy নামে 123456000 byte এর একটা ফাইল তৈরী হবে এবং আপনার পেন ড্রাইভের Free Space হবে 0 এখন এই পেন ড্রাইভে নতুন কিছুই কপি হবেনা অর্থাৎ Write Protected।

বিস্তারিত»

আশার ঘর

অখাদ্য কবিতা দিয়ে বিরক্তির উদ্রেক ঘটানোর চেষ্টা হতে আমি বিরত হই নি।

জীবনের সাদা দেয়ালে
কালিমা লেপন করে করে
আজ যখন দেয়ালটার দিকে
চাইলাম, দেখি সাদা
কোন বিন্দু আর অবশিষ্ট
নাই। চুনকামের চেষ্টা
করে আর লাভ নাই।

বিস্তারিত»

আমরা যেভাবে মেঘ মাপি


বোদলেয়ারে বিশ্বাস নাই, ব্যাটা ভণ্ড প্রতারক
আমাদের চোখে আশ্চর্য মেঘদল গুঁজে দিয়ে
বেকুব মরণের ওপারে চলে গেছে চুপচাপ।
আমরা কতিপয় অসহায় সংহার তার
বিস্ফারিত চোখে খুঁজি ফাঁকা নীলাকাশ,
তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের আকাশ
নীল থেকে ক্রমশ ধূসর হয়;

বিস্তারিত»

কাছে এসেও যেন আরো দূরে চলে যাচ্ছি…

Rahman vai,

অনেক দিন হয়ে গেল সিসিবিতে আপনাকে পাচ্ছি না।
আপনি, সায়েদ ভাই, এডিসন ভাই উনাদের খুব মিস করছি।
সায়েদ ভাই তো থাকেন, কিন্তু মাউস দিয়ে কমেন্ট করে চলে যান।
ভাইয়া, তাড়াতাড়ি আসেন তো, সেই সাথে বাকিদেরও বেঁধে নিয়ে আসেন।
(সিনিয়রকে বাঁধতে চাওয়ার জন্য আগেই ১০০ :frontroll: দিয়ে নিলাম।)

মাজহার ভাইকে নিয়ে আপনার ব্লগটার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিস্তারিত»

সহি খোয়াবনামা

[ভূমিকাঃ তারেক-এর লেখাটা পড়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে মনে পড়ে গেলো। চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা — মাত্র এই দুটো উপন্যাসের জনক তিনি। অথচ তাতেই চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। ছোটগল্প মোট ক’টা লিখেছেন জানিনা, আর সেটা নিয়ে খানিকটা তো জানলাম তারেক আর মাওলা ব্রাদার্স এর কল্যাণে।

আজকের লেখাটি লিখেছিলাম ‘৯৭ এর জানুয়ারিতে, ৪ তারিখ ইলিয়াস মারা যাবার পর। অস্থি-র ক্যানসার হয়েছিলো। কলকাতায় এসে চিকিৎসা করিয়ে আক্রান্ত পা-টি ছাড়া তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়,

বিস্তারিত»

যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে রইবো কত আর-

সূচীপত্রের সিঁড়ি বেয়ে আমি টপাটপ নামতে থাকি, আটাশে গিয়ে থামবার কথা, কিন্তু তেইশ পর্যন্ত গিয়েই থেমে যেতে হলো! মাওলা ব্রাদার্স থেকে বের হওয়া গাট্টাগোট্টা আকৃতির বই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের রচনাসমগ্র প্রথম খন্ড। বইয়ের শেষের ফ্ল্যাপে প্রকাশক বলে দিয়েছেন ইলিয়াসের আটাশটা গল্প নিয়ে এই সমগ্র, এমনকি ভুমিকায় লেখকের ছোট ভাই খালিকুজ্জামান ইলিয়াসের বক্তব্যও তাই, গল্প আছে এখানে আটাশটি। কিন্তু আসলে তা নেই! এক দুই তিন চার করে বেশ কবার আঙুল বুলিয়ে গুনে গুনে গেলাম,

বিস্তারিত»

সালাউদ্দিন এবং অন্যরা

ধরা যাক কাজী সালাউদ্দিন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নন। তিনি সাধারণ সম্পাদক কিংবা সহ-সভাপতি। সভাপতি জাতীয় সংসদের …. আসনের সাংসদ এবং …. মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ত। দেশের ফুটবল মাঠে দর্শক হয় না দেখে সালাউদ্দিনের মন খুব খারাপ। তার খেলোয়াড়ী জীবনে দেখেছেন আবাহনীর ম্যাচ মানে গ্যালারিভর্তি মানুষের উল্লাস, শুরুর বাঁশির আগে তার জুতার ফিতা বাঁধার একটা অভ্যাস ছিল, সেটা দেখেও দর্শকরা লাফাত। আর এখন!

বিস্তারিত»

স্বপ্ন

আমার স্বপ্ন, খড়কুটো ধরে ভেসে থাকা
উচ্ছিষ্ট মানুষের মতো নয়।
আমার স্বপ্ন- নয় কোন দরিদ্র নটের,
‘বিত্তবানের’ মিছে অভিনয়।
আমার স্বপ্ন, পরিশ্রমী কৃষকের প্রাণ,
তার সোনা আঊষের যৌবনবতী ক্ষেত;

বিস্তারিত»

বন্ধু

অখাদ্য পর্যায়ের কবিতা লিখে মানুষের বিরক্তির উদ্রেক ঘটানোর মানসিকতা কাজ করছে আজ। তাই আরও একটা কবিতা।

“বন্ধু আমার একটা কথা শোন।”
“না।”
“কেন?”
“তোকে আর ভালো লাগে না তাই।”
“এত বড় পাপ কি করেছি
যে সব ভালো লাগা
বৃষ্টি মাখা বাতাসে উড়িয়ে দিলি!”

বিস্তারিত»

বিবেকের সাথে কথোপকথন

দ্রষ্টব্যঃ স্বপ্নচারী ভাইয়ের পোস্টটা পড়ার পর এই কবিতার থিমটা মাথায় আসে।

বিবেকের সাথে কথোপকথন
করে বারবার হেরে যাই।
আমায় পরাজিত হতে দেখে
হাস্য উপহাস করে আমার বিবেক।

বিস্তারিত»

সাবধান! মহিলা সিট!!

প্রায় প্রতিদিনই একুশে পরিবহনে করে ভার্সিটি যাওয়া হয়। এই বাসে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নিয়মটা মোটামুটি কঠোর ভাবেই মেনে চলা হয়। আর সেটা মানতে গিয়েই মাঝে মাঝে ঘটে বিচিত্র কিছু ঘটনা।

মহিলা সিটে পুরুষ বসা নিষেধ। বসলেও বাসে মহিলা উঠা মাত্র তা ছেড়ে দিতে হয়। কারন কথা-যুদ্ধে নারীর জয় সবসময়ই হয়। তাছাড়া প্রথম আলোর ঐ বিজ্ঞাপনটা প্রচারের পর থেকে বাসে দাঁড়িয়ে থাকা সচেতন পুরুষেরাও সদ্য উঠা মহিলার পক্ষে ‘backup force’ এর মত কাজ করে।

বিস্তারিত»