ফটো ব্লগ : জাস্ট সেলোগ্রাফী-০২

আগের পর্ব

বাহ, আগের সেলোগ্রাফী তে সবার মন্তব্য পড়ে ভালোই লাগলো। অনেকেরই দেখি সেলোগ্রাফীতে আগ্রহ আছে।

আমার সেলোগ্রাফী করতে বেশ মজা লাগে। তাই যেখানেই যাই, সেলোগ্রাফী চলতে থাকে সবসময়।

বিস্তারিত»

লিটুর ঘুম আসে না

লিটুকে নিয়ে বড় একটা সমস্যা হয়েছে। বড় বলতে বিশাল। লিটু কয়েকদিন ধরে ঘুমাচ্ছে না।

এমনিতে লিটু বাঁদর প্রকৃতির ছেলে। হেন কোনো অপকর্ম নেই যা লিটু করতে পারে না। ১২ বছরের ছেলের পক্ষে সম্ভব এমন প্রায় সবকিছুই সে ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। যেগুলো করেনি সেগুলো সম্ভবত এজন্য যে এখনও সময় হয়ে ওঠেনি। সময় এবং সুযোগ পেলে সেগুলোও সে করবে সে বিষয়ে লিটুকে যারা চেনে তারা মোটামুটি নিশ্চিত।

বিস্তারিত»

আমার এমওআই শিক্ষা

ক্যাডেট কলেজে নতুন শিক্ষক যারা যোগদান করতেন তাদেরকে একটা স্বল্পমেয়াদী কোর্স করতে পাঠানো হতো ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে তাদেরকে শেখানো হতো “মেথড অফ ইন্সট্রাকশন” বা এমওআই (অনুমানে নির্ভর করে বলছি)। এর উদ্দেশ্য কিভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং এইডের সাহায্যে ক্লাস নিতে হয়, কিভাবে ছাত্রদেরকে শতভাগ ইনপুট দেয়া যায় সেটা শেখানো । আমরা কলেজে থাকতে থাকতেই ব্যাপারটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই কোর্স করে স্যারদের কতখানি উত্তরণ ঘটত তার মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার ছিল না।

বিস্তারিত»

আরো একটি অনু গল্প

১.
রাত দ্বিপ্রহর প্রায়। শহর থেকে মাইলখানেক দূরে পাহাড়ী রাস্তা। অন্ধকার চিরে হেডলাইট দু’টি এগিয়ে চলছে। প্রকৃতির নিস্তব্ধতা আরো বেশি রহস্যময় করে তুলেছে এই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথটাকে। একটু পরেই এখানে একটা খুন হবে, এ সবই যেন তার আয়োজন।

এসব নিয়ে অবশ্য তাদের কোন চিন্তা নেই। তারা কেবল শিখেছে পরস্পরের সাথে জুড়ে থেকে কাজ করে যেতে। এ ছাড়া অন্য কোন চিন্তা তাদের মাথায় খেলে না।

বিস্তারিত»

নীল ছবি

১৯৯৮।
টাইটানিক নামের একটা ইংরেজি সিনেমার নাম খুব শোনা যাচ্ছে তখন। বিল্লাহ বলত এই ছবিতে নাকি অনেক ”সীন” আছে। ”সীন” বোঝার অবস্থা তখনো আমার হয় নি। ছবিতে মাঝে মধ্যে নায়ক নায়িকার হাত ধরাও আমার কাছে কম্পিউটারের কারসাজি! হাত ধরাই অনেক কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু হলেই মাথা আপনা আপনি নিচু হয়ে যেত। কখনো কখনো দেখেও ফেলতাম। রাস্তার পাশে স্টুডিওতে কোন হিন্দী নায়িকার উদার কোন ছবিতে মাঝে মধ্যে চোখ পড়ে যেত।

বিস্তারিত»

ফেইসবুক বিড়ম্বনা

আমার বউ রোজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মনোযোগ দিয়ে প্রথম যে কাজটা করে, সেটা হলো, ফেইসবুকের অজস্র ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ধরে ধরে গণহারে ইগনোর করে দেয়। ব্যাপারটা ওর জন্যে বেশ বিরক্তিকর, সন্দেহ নেই। আমার এসব জ্বালাতন নেই, তাই ওর দূর্ভোগ দেখে প্রায়শই মুখ টিপে হাসি। মাঝে মাঝে আমাকে ডেকে দেখায়, দুয়েকজন একদম প্রথম মেসেজেই বিয়ের প্রস্তাব পর্যন্ত দিয়ে বসে, এইরকম দুয়েকটা মেসেজ দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে!

বিস্তারিত»

ফটো ব্লগ : আমার জাস্ট সেলোগ্রাফী

অনেকদিন থেকে লেখার সময় করে উঠতে পারতেছিনা। অফিসে খুব ই প্রেসার এ আছি। খালি কাজ আর কাজ।
এর মাঝেই একটু পর পর সিসিবি চেক করি আর কমেন্ট দেই। (যাতে ইমোই থাকে বেশি)।

আজকে রায়হানের বিরিশিরি এর ছবি গুলো দেখে আমারো শখ চাপলো আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করার।

বিস্তারিত»

সদাচারিয়ান

তেসরা জুন, ১৯৯৯, নিরাপদ কাউন্টার, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড।
ওয়েটিং রুমে আমার সামনেই দুই ঝুটি করা গাপুস গুপুস একটা মেয়ে বসে আছে, সাথে বাপ মা ভাই বোন…। তাদের সাথে অনেক ব্যাগ বোঁচকা, একটা থেকে উঁকি মারছে বাটার জুতার প্যাকেট। মিট করে একটা হাসি আসলো ভেতর থেকে, মনে হয় সমগোত্রীয়। জিজ্ঞাস করব কিনা ভাবতে ভাবতেই ওপাশের আপুটা হঠাৎ জিজ্ঞাস করে বসলো, আচ্ছা শুন, তুমি কি ক্যাডেট কলেজের?

বিস্তারিত»

কালো সে যতই কালো হোক…!!!

আমাদের ইনটেকে বর্ণ বৈষম্য ছিল না বললেই চলে। আমরা বেশিরভাগই ছিলাম শ্যামলা কিংবা উজ্জ্বল শ্যামলা। একেবারে ফর্সা বা একেবারে কালো ছিল হাতে গোনা দু’একজন। শুরুতে যে বললাম- বর্ণ বৈষম্য ছিল না, তার প্রমান হচ্ছে বাকি দুই পার্টিদেরকে নিয়েই আমরা শ্যামলা পার্টি সবসময় হাসাহাসি করতাম। হাসাহাসি করা নিয়ে কোন সাদা-কালো ভেদাভেদ ছিল না…

যাইহোক, নামকরণের স্বার্থকতা প্রমানের জন্য আজ শুধু আমাদের কালো এক বন্ধুর গল্প বলব।

বিস্তারিত»

##সে##লা##ই##

এখন চোখের ওপরে খড় দিয়ে তৈরি সুতো আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে কেউ একজন আমার চোখ সেলাই করে দিচ্ছে। চোখের দু’পাতারা চিরে গিয়েছিলো জন্ম-মুহূর্তে। তারপরে চেরাফুটোয় গলগলিয়ে রঙ ঢুকেছে, আলো বাতাস পিতা মাতা সহোদরা ঢুকে গেছে এবং মেডুলায় তাদের কাদালেপা ঠাণ্ডাঘর বানিয়েছে। সে চোখচেরা গুহামুখেই প্রবল প্রতাপী তরুণীর শাদা শাদা স্তন আর যোনি ঢুকে গেছে সাথে করে কুষ্ঠভিখারিনীর গলিত হাত আর নখ, জটামাখা চুল।

বিস্তারিত»

একটি বিরিসিরি ভ্রমণ…

১…

ঘর থেকে দু’ পা ফেলে আশুলিয়া কিংবা ফ্যান্টাসী কিংডম যাওয়ার তিনদিন আগে থেকেই, পোলাপান সবাইকে সেটা জানান দেয় ফেসবুকের কল্যানে। এসে আরেকদফা। বেলা এগারোটায় জিহাদ ফোন করে একঘন্টার মধ্যে বিরিসিরি যাওয়ার প্রস্তাব দিতে শুরুতেই আমার মনে আসলো আগের কথাটা। ইসস!! এতো সুন্দর একটা জায়গায় যাচ্ছি, অথচ মাইক দিয়ে জানান দিতে পারলাম না। আমার কাছে পয়সা-পাতি কখনোই তেমন একটা থাকেনা। কিন্তু সেদিন (শনিবার) প্রায় সাতশ টাকার মতো ছিল।

বিস্তারিত»

সাডেন চেক

ক্যাডেটদের কাছে খুব ভয়ংকর একটা শব্দ হল “সাডেন চেক”। কারণ সাডেন চেকের সময় কিছু না থাকলেও ধরা খাওয়ার চান্স থাকে। কিছুদিন আগের হারিয়ে যাওয়া ১০০ টাকার নোট কিংবা ভরসা ম্যাচ কিভাবে যেন সাডেন চেক কিংবা inspection এর সময় বের হয়ে আসে। ~x(
তো সেবার পেরেন্টস ডেতে আমরা এবং এস.এস.সি পরীক্ষার্থীরা টেবিল পার্টির জন্য প্রচুর খাবার হাউসে ঢুকাই। যথারীতি ৫/৬ টা টেবিল ধরা খেয়ে যায় টেবিল পার্টি তে।

বিস্তারিত»

সুগন্ধির খোঁজে…

দরজাটা খুলে বাইরে বেরুতেই ঠান্ডায় হি হি করে উঠল রনি। এখনো নভেম্বর মাস শেষ হয়নি, জাঁকানো শীত পড়ে গেছে এর মধ্যে। আজ অনলাইনে পত্রিকা পড়তে গিয়ে হালকা মেজাজ খারাপ হয়ছে, ৩৫ সেমি তুষার নিয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আসলো বলে। জ্যাকেটের কলার উপরে তুলে দিয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করল ও স্টুডেন্টস’ রেসিডেন্টের দিকে। হাঁটার সময় এই এক অভ্যাস রনির, দুনিয়ার হাবিজাবি জিনিস নিয়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করা চাই।

বিস্তারিত»

টুশকি ১৩

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৪]

১. আমার এক ইউনিট অফিসারের ছবির এ্যালবাম দেখতে বসলে শাড়ি পরিহিত একজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, “তোমার গোয়িং টু বি ভাবী” বলে। প্রায় বছর তিনেক পর সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই একটা হাসি দিয়ে বললেন,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন(শেষ পর্ব)

[পর্ব-১] [পর্ব-২]
ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর আলাদা হয়নি আমরা একেবারে। বের হয়ে ঢুকে পড়লাম বুয়েট কোচিং এ।কেউ গেল মেডিকেল কোচিং কেউ আই বি এ আবার কেউ বা আর্মি।তাতে কী?সবার কোচিং সেন্টারই ছিলো ফার্মগেট।ফল দাড়াতো এই আমরা কোচিং করতাম এগারোটা পর্যন্ত তারপর সারাদিন আড্ডা মারতাম ডিব্বা নামক এক জায়গায়।সেটা অবশ্য কোচিং করতে আসা সকল ছেলেরাই চিনতো।সেই দিন গুলো কেটে যেত বৈচিত্র‌হীন অথচ আনন্দময়।প্রতিদিন শেষেই মনে হত যেন এমনভাবে দিন কেটে যেত অনেকদিন -অসীম সময়।

বিস্তারিত»