আমার চলে যাওয়া!!!

কয়টা বাজে দেখতে পারলে খুব ভাল হত-ভাবলাম আমি। বেশ কিছুক্ষণ আগে কে জানি বলে গেল আর দেড় ঘণ্টা বাকি। কতক্ষণ আগের কথা সেটা, আধা ঘণ্টা? বিশ মিনিট? আমি হাঁক ছেড়ে ডাক দিলাম,
-‘আনিস ভাই, এই আনিস ভাই…’
-‘জ্বি ভাইয়া, কিছু বলবেন?’
-‘আর কতক্ষণ বাকি?’
-‘উম্‌…আর পঁচিশ মিনিট বাকি…কিছু এনে দেব??’
-‘না থাক, থ্যাংক ইউ!’

আর পঁচিশ মিনিট! তারপরই সব কিছুর উর্ধ্বে চলে যাব আমি।

বিস্তারিত»

টুশকি ১২

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১৩]

১. কুমিল্লার একটা ইউনিটে জনা ত্রিশেক নতুন সৈনিক যোগদান করেছে। এ্যাডজুট্যান্ট জিজ্ঞেস করল, “সামনে বক্সিং কম্পিটিশন আছে, কে কে বক্সিং করবি”? কেউ হাত তোলে না। যথারীতি সিএসএম ঘন্টাখানের রগড়ায়ে নিয়ে আসে।

বিস্তারিত»

টেবিল পার্টি

বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর একটা ট্রেডিশন ছিল যে কোনো ব্যাচ যাবার আগে টেবিল মেটদের সাথে টেবিল পার্টি দিবে। তো এই টেবিল পার্টির সময় বিভিন্ন সমস্যা হয়।আমাদের ব্যাচ এর সমস্যাগুলো আমি টেবিল হিসেবে এখানে লিখছি: B-)

১। ৪ নং টেবিল এর পার্টি হয় ৩০৪ নং রুমে। খুব ভাল ভাবে পার্টি শুরু হল,পরীক্ষার্থী নাইম তো ব্লেজার,টাই,সু পরে পার্টি তে আসলো।গান বাজনা খাওয়া দাওয়া শেষ এ আমরা টয়লেট থেকে হাল্কা ধুয়া পান করে এসে করিডরে গল্প করতেসি ঔ সময় ডিউটী মাষ্টারের হাউসে আগমন।এসে দেখে ঔ রুম থেকে জুনিয়ররা মুড়ী,মিষ্টীর প্যাকেট,চানাচুর এর প্যাকেট ঝাড়ু দিতেসে।স্যার এসে তার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে ফেললো।(কেউ ভাব্বেন্না যে সে n-95 নামক ৫ মেগা pixel ক্যামেরা দিয়ে ছবিটা তুলসে।তিনি তার vga ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে ভাব মারতে মারতে হাউসে ঘোড়াঘোড়ি করলো ) সেদিন তাকে বিট দেয়ার কথা ছিল কিন্তু এই কারণে দেয়া হলনা।তিনি অবশ্য পরে আর তা রিপোর্ট করেন্নাই।

বিস্তারিত»

পি কে পাল স্যার এবং আমার ধরা খাওয়ার কাহিনী

তখন আমি ক্লাস টুয়েলভে। তারিক হাউসের এক নম্বর রুম আমার ঠিকানা (হাউসের একদম প্রথম রুমটাই আমাদের আর কি)।কাধে ছয় দাগই উঠেছে এর বাইরে কিছু যোগ হয়নি, যাইহোক আসল গল্পে আসা যাক। আগেরদিন ছুটি থেকে কলেজে ফিরেছি তো ওইদিন আমাদের প্রেপ ছিল না। আমার মন খুব খুশি কারণ এইবার ছুটিতে যেয়ে একটা মহা কাজ করে ফেলেছি। আমি আর মিরজাপুরের কয়েকজন আমরা ঢাকায় বেইলী রোডের অফিসারস কলোনীতে আড্ডা দিতাম।

বিস্তারিত»

বাংলা ভার্সেস ইংরেজি

[মরতুজা ভাইয়ের “আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা” ব্লগে শার্লীর কথাগুলো পড়ার পর মনের ভিতর যা যা এসেছিল তার প্রায় সবই বলে দিয়েছে মাসরুফ। থ্যাংকস ব্রাদার, কথাগুলো যথার্থভাবে তুলে ধরার জন্য। এর বিপরীতে মন্তব্য করতে যেয়ে ওভার ওয়েট হয়ে গেল। তাই সেটাকে ব্লগের সম্মানে সম্মানিত করলাম। কয়েকদিন না লেখার গ্যাপটাও চামে পূরণ হবে…. 😛 ]

ক্যাডেট কলেজে ভালো অনেক কিছু শিখেছি।

বিস্তারিত»

একটু শুনবেন গল্পটা

আচ্ছা আপনার কি একটু সময় হবে আমাকে দেবার? আমার কাছে একটা গল্প আছে আপনাকে বলার জন্য। গল্পটা আমি একটু খুলে বলতে চাই, “মন খুলে বলা” যাকে বলে। আর এই কাজটা তো এক তরফা জমে না, বুঝতেই পারছেন, তাই আপনাকেও “একটু মন খুলে” শুনতে হবে। তা না হলে তো আমি বলে ঠিক তৃপ্তি পাব না। আর একটা ছোট্ট শর্ত আছে আমার, গল্প শুনে আপনার মন একটু “ক্যামন ক্যামন” করলে আমাকে কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না।

বিস্তারিত»

বিজ্ঞানী চাচার কীর্তি

বাবা চিৎকার করে উঠলেন, টিভি চলছে না কেন? কে কোথায় আছিস?

কোনো সমস্যা হলেই বাবা বাড়ির সবাইকে ডেকে সমবেত করে ফেলেন। সবাই এসে তার সমস্যাটা শুনে যেতেই হবে। কিছু করুক না করুক তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু শুনতে হবে। এবং সবাইকে না শোনানো পর্যন্ত তিনি থামবেন না।

বিস্তারিত»

প্রাপ্তবয়ষ্ক

রস্ময় স্যারকে একক হিসেবে না ধরলে আমাদের শিশুতোষ সাহিত্য পাঠের সূচনা ক্লাস এইটে। টাংগাঈলের বিখ্যাত ভাই, ছুটি শেষে একবার নিয়ে আসলেন দীপালী এবং জলসা নামে দুটি অমর পত্রিকা। সেই থেকে শুরু। আগে শুধু ভাল ছাত্ররাই লাইটস অফের বাঁশীর পর বাথরুমে বসে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এই দুইটি পত্রিকা হাউসে আসার পর আমরা সবাই ভালো ছাত্র হয়ে গেলাম, রাতের বেলা বাথরুম খোলা পাওয়া যায় না এমন পরিস্থিতি।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধুয়া বিহনে-৩

আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
ক্লাস সেভেনে কলেজে জয়েন করার কিছুদিন পর আমরা প্রথম যে আন্ত-হাউজ প্রতিযোগিতা পেয়েছিলাম সেটা ছিলো ফুটবল। এবং সেখানে আমাদের ব্যাচের রুম্মান জুনিয়র গ্রুপের সেরা ফুটবলার। জুনিয়র গ্রুপ মানে সেভেন থেকে নাইন। সেখানে সেরা প্লেয়ার সব সময় ক্লাস নাইন থেকে হয় সেটা বাকি কলেজ জীবনের পুরোটা সময় দেখে এসেছি। কিন্তু সেই প্রথম (এবং সম্ভবত শেষ) ক্লাস সেভেনে নতুন গিয়েই কেউ সেরা ফুটবলার হয়ে গেলো।

বিস্তারিত»

ছন্নছাড়া স্মৃতি

ছন্নছাড়া(আগের পর্ব)

১. স্যার আমাদের ইসলাম শিক্ষা পড়াতেন। নাদুস নুদুস চেহারায় শিশুসুলভ হাসি লেগে থাকত, ক্যাডেট কলেজে অনেকটা বেমানান। এ বিষয়ের পরীক্ষা প্রস্তুতি হত সবচেয়ে আলাদা, বিভিন্ন রঙের কলম-পেন্সিলের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। পরীক্ষার খাতায় লেখার চেয়ে মিনার, মসজিদ, চাঁদ-তাঁরা আঁকাতেই আগ্রহী ছিলাম সবাই। শিল্পী মনটাকে উজার করে দিতাম পরীক্ষার খাতায়, দেখার মত জিনিস হত একেকজনের খাতা। সব সহ্য করতেন স্যার।

বিস্তারিত»

আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা

(এই লেখাটা আমার প্রথম বাংলা কিবোর্ডে লেখার অভিজ্ঞতা। কারও কাছ থেকে সামহয়ার সম্পর্কে শুনে ব্লগ লেখার একটা খায়েশ হয়েছিল। তবে সামহয়ারের তামশা খুব একটা বুঝে উঠতে পারার আগেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রথম যেকোন কিছুর ব্যাপারে সবসময়ই সবার একটা বিশেষ দুর্বলতা থাকে। অনেকটা প্রথম প্রেমের মত হয়ত। তাই লেখাটা মানে নিম্ন হলেও হারিয়ে ফেলতে চাইনি। বৈদ্যুতিক অন্তর্জালের কোন এক কোনায় নাহয় পড়ে থাকুক। আমি মাঝে মাঝে চোখ বুলাব,

বিস্তারিত»

পুরোনো কিন্তু সোনালি স্মৃতি

আগের কথাঃ লেখাটা ছিলো এই ব্লগে আমার প্রথম লেখা। তখন বাংলা টাইপ প্রায় পারতাম না। তাই লেখাটা বাংলিশ এ দিয়েছিলাম। সম্ভবত জিহাদ কষ্ট করে বাংলায় টাইপ করে দিয়েছিলো। আর যেহেতু লেখালেখি থেকে অনেকদিন দূরে ছিলাম তাই বেশি লিখতে পারি নাই। হঠাত লেখাটা চোখে পড়লো। মনে হলো অনেক কিছু লেখার ছিলো আরো। তাই কিছু অংশ সংযোজন করে আবার দিলাম।যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য বিশেষ করে।
লেখার প্রেক্ষাপটঃ হঠাৎ খুঁজে পেলাম আমার পুরোনো একটা লেখা।এটা লিখেছিলাম কলেজ থেকে বের হবার দুই দিন আগের রাতের বেলা।হঠাত বের হবার আগে ভাব চলে আসছিলো।

বিস্তারিত»

আমি কি মিস করি?

আমি আসলে লেখক না, তাই মনের ভাব ঠিকমত প্রকাশও করতে পারিনা, লেখকরা বলে কিছু লিখতে গেলে, আগে নিজের ভেতরে একটা ভাব আসা দরকার, তারপর লেখাটা বেরিয়ে আসে….আমি যখন সি.সি.বিতে ঘোরাঘুরি করি, একা একা থাকি তখন খুব ভাব আসে…আর তখননি একটা Text Document নিয়ে বসে পড়ি, লিখার চেষ্টা করি..কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি ” রাশেদ ভাইয়ের গানের মত ” আমি পারিনা, পারিনা, কিছুই পারিনা…” আর মনে মনে নিজেকে গালি দেই ”

বিস্তারিত»

বিবাহনামা

[ বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট কেবলমাত্র বিবাহিতদের জন্যে। যুবক ও অবিবাহিত ভাইয়েরা শত হস্ত দূরে থাকুন। তবে… কথা আছে, পুরাতন প্রেমিকেরা এই লেখা পড়িতে পারেন। আপনাদের জন্যে জরুরী অবস্থা আপাতত শিথিল:-) ]

২০০৭ এর জানুয়ারির কোন এক রাত। সদ্য দেশ থেকে ফিরেছি, বিবাহ করে মোটামুটি যুদ্ধ জয়ী সেনাপতির মতন নূরানী হাসি সারাক্ষণ আমার চোখে মুখে। কারো সাথে দেখা হলেই খানিক কথাবার্তার পর পেটের মধ্যে ভুটভাট শুরু হয়ে যায়,

বিস্তারিত»

ক্রমশ নির্মীয়মান দৃশ্য কিংবা চরিত্রের গল্প

আচ্ছা, আচ্ছা।

আসো এইবার একটা গলপো বানাই আর পড়ি, পড়ি আর বানাই। আমি কদ্দুর ধরে রাখতে পারবো তার থেকেও বড়ো দায় তুমি, তোমরা কদ্দুর টেনে যেতে পারবা, বা কদ্দুর এক জায়গায় আটকে দাঁড়িয়ে পেনিট্রেইট করতে পারবা। তার মানে আমি এখানে চতুর শকুনির মতো প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ ভেক নিলাম। শুরু থেকেই সব খেলা তোমার। র‌্যাকেট-ব্যাট, জুতো-মোজা পরিয়ে তোমাকে নামিয়ে দিলাম। আমি খালি মাঠের কিউরেটর।

লোকে বলে গলপের শুরুতে খুব আকর্ষণীয় করতে হয়।

বিস্তারিত»