উপলব্ধি

বেশ কিছুদিন যাবত পেশাগত ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আসতে পারিনি। নিজে লেখা তো দূরে থাক, অন্যদের লেখা পড়তেও ব্লগে আমার আসা হয়ে ওঠেনি। প্রচন্ড খারাপ লাগছিল এই দিন গুলোতে। কেমন যেন একটা অপূর্ণতা সব সময় ঘিড়ে রাখত আমাকে। সবকিছু ছাপিয়ে, আমার অনুপস্থিতির কারণ ও আমার বাবার স্বাস্হ্যের খবর জানতে চেয়ে ব্লগের অতি পরিচিত মুখ সিরাজের মেইলটি ব্লগে আসার জন্য আমাকে আরো ব্যকুল করে তুলেছিল । কিন্তু তারপরেও কিছু করার ছিলনা।

বিস্তারিত»

জীবিতদের গালগল্প

তখন আমরা বসে আছি ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরের সামনে। ভেতরে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার বন্ধু, আমাদের বন্ধু -আলম। ওর বুক আর করোটি ফুড়ে দিয়ে গেছে যে বুলেট দুটো, ডাক্তাররা তার খোঁজ করছেন ওর শরীরের ভেতর হাতড়ে হাতড়ে। আমি ভেতরে যাই না, বুকে জমে থাকা ভালো লাগা অজস্র স্নৃতির ভীড়েই থাকুক ও, লাশকাটা ঘরে শুয়ে থাকা চিরে ফেলা শরীরটাকে ওই স্নৃতিগুলোর সাথে নাই বা যোগ করলাম।

বিস্তারিত»

স্বাগতম পর্যন্ত পইড়া ফেলছি… :-)

পড়া শুরু করছিলাম রাত তিনটায়, এখন বাজে ৬ টা ৪০ (সকাল), একটানে ব্লগের সবগুলান লেখা পইড়া ফেললাম। প্রবাস জীবনের যেদিন শুরু হইছে এর পর থাইকা মনে হয় এত অল্প সময়ে এতবেশি হাসি নাই।

ধন্যবাদ ব্লগের উদ্যোক্তাদের এবং লেখকদের আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। ভবিয্যতে লিখব, এখন ঘুমাতে যাই, খালি হাই উঠছে।

-নন্দঘোষ

বিস্তারিত»

টুকিটাকি

আজকে আই ইউ টি তে আমাদের ব্যাচের চারজন এসেছিল। রিসাত UK থেকে দেশে এসেছে একমাসের মত সময়ের জন্য। তাই আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল আবার চলে যাবার আগে। তো বেশ একখান আড্ডা হয়ে গেল। ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন একত্রিত হলে যা হয়। খালি কলেজের আলাপ। সেই আড্ডার সুত্র ধরে পুরান কিছু কাহিনী আজ আবার মনে পড়লো।

…….

নুরুল হক স্যার তখন সোহরাওয়ার্দী হাউসের হাউস মাস্টার।

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ২

(ঠিক করেছিলাম শুধু প্রথম দিন, প্রথম মাস আর প্রথম টার্মের কথা লিখবো। পরে ভাবলাম…ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আজকাল অনেক কম লেখা পড়ছে সবার…আরেকটু সূচনা দিয়ে এটাই আরেকটু টেনে নিয়ে গেলে কেমন হয়… তাই এই লেখা)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ১

২. ভর্তির আগের গল্প
আমাকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করার শখটা আমার আব্বার। দুই খালাতো ভাইয়ের একজন ছিল রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট…যে কিনা পরে আর্মির মেজর,

বিস্তারিত»

সি সি বি আড্ডা (আপডেট)

নির্ধারিত দিনে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব ফাঁকা না থাকায় স্থান নির্ধারিত হয়েছে: স্টার রেস্টুরেন্ট , ধানমন্ডি ২।
দিন: ২৮ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার, বিকেল পাঁচটা।

এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত আশা করছি।
যে কোন রকমের যোগাযোগের জন্য নিচে কনট্যাক্ট নম্বর দেয়া হল:

কামরুল হাসান: 01912856797
রবিন (প্রিন্স): 01711506701
রায়হান আবীর: 01670414782
জিহাদ: 01717295204

*গেট টুগেদার সংক্রান্ত খবরাখবর এই ব্লগেই আপডেট করা হবে।

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম……এবং অতঃপর -১

১. কথাবার্তা
সব ক্যাডেটের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাগুলো অনেকটা একই রকম। কিছুটা ভয় ভয়, অনেকটা অনিশ্চয়তা আর তার সাথে সাথে বাবা মাকে ছেড়ে আসার কষ্টকে মেশানো অদ্ভুত একটা অনুভুতি। আজকে হঠাৎ ভাবতে বসলাম…আমার নিজেরটা কেমন ছিল? অন্যদের চেয়ে কি আলাদা ছিল? ভাবতে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই মনে পড়ে না। অনেক কিছুই মনে পড়ে পড়ে ভাব হয়। খারাপ লাগলো খুব। কলেজ থেকে বেড়িয়ে এসেছি আজ ৬বছর হলো প্রায়।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-২

৩.
ক্লাস শেষ হওয়ার পর এক স্যার চলে গিয়ে অন্য স্যার আসার আগে মাঝে মাঝে দুই এক মিনিট সময় পাওয়া যায়। সেই সময় আমরা খুব মজা করতাম। একজন অন্যজন কে পচানো, হিট-ফ্লপ রস করা সব হতো ওই সময়। কেউ গলা ছেড়ে গান গাইতো, কয়েকজন টয়লেটে যাবার জন্য দল বেধে বেরিয়ে যেতো। শুধু দু একজন তখনো ঘুমিয়ে থাকতো। কে আসলো, কে গেল, কার ক্লাস এই সব তাদের কাছে কিছুই মানে রাখে না।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন (পর্ব ২)

পাঁচ…..

ক্লাশ নাইনে সময় অদ্ভুত দ্রুত কাটতে লাগল।সময়টাকে আমার এখনও মনে হয় বড়ই মধুর।আমি দেখতে থাকি আমার বন্ধুদের চিঠি চালাচালি।এখন ই মেইলের যুগে হারিয়ে যাওয়া চিঠি তখন ছিল অদ্ভুত শিহরণ সঞ্চারী।যখনই কারো চিঠি আসত আমরা ছুটে যেতাম কোথা থেকে এল দেখতে।গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা চিঠিগুলো অবশ্যি দেখলেই বুঝা যেত।কেননা ওদের হাতের লেখা গুলো যেন একই রকম ছিলো।তা আলমের কাছে যে চিঠি আসত তা দেখার সুযোগ হতো আমার।শাহরুখ নামধারী কোন মেয়ের কাছ থেকে আসত চিঠিগুলো।আর আলমের চিঠি গার্লস কলেজে যেত রুশি নামের মেয়ের পক্ষ থেকে।ক্যাডেট কলেজের স্যারদের সন্দেহের হাত থেকে বাচার এই পদ্ধতি বোধ করি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছিলো।তাই স্যাররা বুঝে না বুঝার সুনিপুন অভিনয় করত যা পত্রপ্রেরক এবং প্রাপক দুই পক্ষকেই উৎসাহিত করত।রুশি-শাহরুক কিংবা রুশো-শাখরুনার এই অভিনয় চলতে থাকে পুরো ক্লাশ নাইন জুড়ে।প্রেম ভালোবাসা নামক সূক্ষ্ম মানবিক আবেগগুলোকে আমি চিনতে শুরু করি প্রিয় বন্ধু আলমকে দেখেই।পরের বন্ধে ম্যাবসে পড়তে যাওয়ার আগ্রহও বাড়তে থাকে এভাবেই।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – নিরাময় পর্ব

মন খারাপ থাকাটা কোন রোগ না। খারাপ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আমার তো প্রায় সব সময়ই মন খারাপ থাকে, হটাৎ হঠাৎ ভাল হয়ে যায়। যাহোক, মন খারাপ যদি কোন রোগ না হয় তাহলে এই পর্বের নাম নিরাময় দিলাম কেন? যেখানে নিরাময় সেখানেই তো রোগ। তেমন কোন কারণ নেই। তবে নিজে নিজে একটা কারণ বানালাম, সাত দিনের পথ যে বিষাদ পর্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল তাতে মন খারাপটা রোগ হিসেবেই দেখা দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

প্রকৃতি যখন ডাকে……

প্রকৃতির অনেক কাজের মধ্যে একটা বোধহয় মানব সন্তানদের সময়ে অসময়ে ডাকাডাকি করা। আর তার সেই গগণ বিদারী ডাকে সাড়া না দিয়ে বেশীক্ষণ থাকবে……এমন বুকের পাটা বোধহয় কারোরই নেই। কাজেই সেই ডাকাডাকির আগমুহূর্ত পর্যন্ত লক্ষ্মী ছেলের মতন বসে না থেকে স্থান কাল পাত্র বুঝে কাজ সেরে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। সমস্যা হলো…২/৩ বা ৩/৪ ঘন্টার বাস জার্নির ক্ষেত্রে ওই স্থান কাল পাত্র বোঝার কাজটা মোটেই ঠিকমতন করা যায় না।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর 1862- অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন…….

এক…..

অনেক ধরেই ভাবছিলাম ক্যাডেট কলেজের ঘটনা নিয়ে লিখব।ব্যস্ততা আর আলসেমি দুয়ে মিলে তা সম্ভব হচ্ছিল না।তারপরও আজ না বসে পারলাম না। এর কারণ একটি বিয়ের দাওয়াত। অনেকেই চমকে উঠতে পারেন,ক্যাডেট কলেজের সাথে বিয়ের দাওয়াতের আবার সম্পর্ক কি এই ভেবে। সম্পর্ক এজন্য দাওয়াতটি সেনাকুঞ্জে। সেনাকুঞ্জ নামটি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে এই লেখা।কারণ এই সেনাকুঞ্জেই তার বিয়ে হবার কথা ছিল। সে বলতে ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২।

বিস্তারিত»

ও ফাসানি…বলে যাও…

কখনো যদি একগাদা মানুষকে প্রশ্ন করা হয়…… “আচ্ছা, ফাসানো কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কে করতে পারবে?” – আমি সিওর……ওই একগাদা মানুষের ভিতরে ক্যাডেটগুলি সবার আগে ৩২ পাটি দাঁত বের করে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে যাবে। ক্লাস সেভেনের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপিলেরা মায়ের কোল থেকে সরাসরি ক্যাডেট কলেজে এসে লংআপ হয়ে উলটো করে ১০০০ থেকে কেঁপে কেঁপে ১ পর্যন্ত গোনার সময় দুবার ধুম করে মেঝেতে পড়বে……আর তৃতীয়বার সিনিয়রদের কাছে ক্লাসমেটদের নাম বলে দেবে ফল্টের জন্য……

বিস্তারিত»

আমাদের ছিপি!!!

CP- কলেজ প্রিফেক্ট; শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে খুবই গম্ভীর, রাফ এন্ড টাফ টাইপের সিরিয়াস কোন চেহারা…যাকে জুনিয়ররা খুব কমই হাসতে দেখে, যার সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে পারা জুনিয়রদের গর্ব করে বলার বিষয়…এমনকি স্যার-ম্যাডামরা পর্যন্ত তাকে সমঝে চলে…
সরি, রঙ নাম্বার!!!
আমাদের ইনটেকের CP, হাসান, সম্পুর্ণ অন্য রকম। হাসি-খুশি, ফান লাভিং…কলেজে ওকে কখনও সিরিয়াস হতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না…
একবার পৌরনীতির রেজাউল করিম (পেরেক) স্যার ছিলেন ডিউটি মাস্টার।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-১

ক্যাডেটদের ফাজলামি নিয়ে লেখা এই গল্প গুলির কিছু আমার নিজের দেখা, কিছু রি-ইউনিয়নে বড় ভাইয়াদের কাছে শুনা।

১.

আমাদের অনেক সিনিয়র কাশেম ভাই হঠাৎ করে একদিন পাগল হয়ে গেলেন।
গেমস টাইমে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে সবাই খেলছিল। হঠাৎ কাশেম ভাই বলা নেই কওয়া নেই গ্রাউন্ডের চারদিকে চক্কর দেয়া শুরু করলেন। প্রথমে কেউ দেখল না বা দেখলেও পাত্তা দিল না। কিন্তু গেমস টাইম শেষ হওয়ার পরও কাশেম ভাই চক্কর দিতেছে দেখে স্টাফ ডাক দিয়ে বললেন
-কাশেম ব্রেক আপ হয়ে গেছে,

বিস্তারিত»