কোথায় পাবো তাদের-৬

১.
শরীফ উদ্দিন স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় একদিন টার্ন আউট প্যারেডে । আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। একেবারেই নতুন। প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। আমদের পাশে ক্লাস এইটের ভাইয়ারা। হঠাৎ সেখান থেকে তানজিন ভাই আমদের আব্দুল্লাহ কে ডাক দিলেন
-আব্দুল্লাহ কাম হিয়ার
আব্দুল্লাহ দৌড়ে গেল। তানজিন ভাই বললেন
-ওই যে দেখতেছ বড়ো চশমা পরা একজন স্যার আসতেছে উনারে গিয়া জিজ্ঞেস করবা, স্যার ghost মানে কি?

বিস্তারিত»

পিছু ফিরে দেখা……

ছোটবেলা থেকে নিজেকে ভাল ছাত্র হিসেবেই জানতাম। ক্লাশে রোল কখনো ১ থেকে ৩ এর বাইরে যায়নি, অন্তত ক্লাশ সিক্স পর্যন্ত। ক্লাশ ফাইভে বৃত্তি পাওয়া এবং ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া এই দাবী কে আর জোড়ালো এবং পাকাপোক্ত করেছে। এলাকাতে তখন আমি একজন আদর্শ ছেলে হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম ছিল যে, সব বাবা মা রা ই চাইতেন তাদের ছেলেটি ও যেন এরকম আদর্শবান হয়।

বিস্তারিত»

নতুন দিনের মিছিলে…

আমার বন্ধু ভাগ্য খুব ভালো। কিন্তু আসল ভাগ্যটা খারাপ। এ কারণেই ভালো বন্ধুগুলোর সাথে নানা রকম গ্যাঞ্জাম লাগে। মধুর গ্যাঞ্জাম না, এক্কেবারে সিরিয়াস টাইপ…এই জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সবসময় উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। কখন কি থেকে কি হয়ে যায়…

পঁচা ছাত্র ছিলাম। আইডিয়াল স্কুল আমাকে ঢাকা শহর থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দিবে না বলে ঠিক করলো…হুদাই তাদের মান সন্মান ডুবাবো…আমি খুশী। কার এতো সখ পড়ছে ফাইনাল পরীক্ষার পর এইসব আজাইরা জিনিস নিয়ে সময় নষ্ট করার…এই সহজ ব্যাপারটা আমি বুঝলেও আমার মা বুঝলোনা।

বিস্তারিত»

বিড়ম্বনা…

প্রথমত আমি এখানে নবাগত, অনেক নিয়ম কানুন ই জানিনা। কোনটা করলে কি হয় কি না হয় কিছুই জানিনা। তার উপর বাংলা টাইপিং এ আবার ওস্তাদ। এত কিছুর পরেও দমিনি। অনেক কসরত করে দুই টা লেখা পোস্ট করলাম। কিন্তু কোথায় যেন লেখা গুলো হারিয়ে গেলো। তাই আবার লিখতে বসলাম। দেখি এবার কি হয়।

আমি আজই সদস্য হলাম এই ব্লগ এর। Almost সারাটা দিন ই এখানে কাটালাম।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ

হারিয়ে গেছে বন্ধু মিজান- মিজানুল মাহবুব। মেধাবী ছিল। আঁকার হাতটা ছিল দারুণ। বুয়েটে যখন স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হলো আমরা কেউ অবাক হইনি। ক্যাডেট কলেজে ঢুকে আমাদের অধিকাংশ বন্ধুর ড্রইংয়ে হাতখড়ি হয়েছিল। সেসময় মিজান, সোহেলসহ কয়েকজনকে আমরা রীতিমতো ঈর্ষা করতাম।

মিজান স্থাপত্য পড়া শেষ করে ছোটখাট কিছু কাজ করছে এমন সময় তার অসুখটা ধরা পড়লো। দুটো কিডনিই তার পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বন্ধু মিজান হারিয়ে গেল ১৯৯৩ সালে।

বিস্তারিত»

ভালবাসি তোমাকে

(ফ্র্যান্ডশিপ ডে উপলক্ষ্যে জিহাদকে গিফট করা হলো এই কবিতাটা।)

ছিপছিপে তার বদনখানি
মিষ্টি কোমল মুখ
এরই মাঝে খুঁজে ফিরি
এক পলকের সুখ।

নীলাম্বরী শাড়ি পরে
সামনে যখন এলো
আকাশ থেকে নামলো পরী
আমার মনে হলো।
লজ্জাবতী লতার মতো
কুঁকড়ে গেল নিমিষে
ছুটে কোথায় পালাতে চায়
অধর ছুঁতেই গ্রীবাদেশে।

টেলিফোনের ওপার হতে
বললো যেদিন আমাকে,

বিস্তারিত»

গরু নাকি ঘোড়া ?

আমার বেসিকে কিছু প্রব্লেম আছে। বছরের এগারো মাস যখন ব্লগ লিখার আইলসামিতে ভুগি তখন শুধু পরীক্ষা সামনে আসলেই লিখতে লিখতে কী বোর্ড ভাইংগা ফেলতে ইচ্ছা করে। সামনে আর মাত্র দুইদিন। কাজেই আমি লিখতে বসলাম। দেখি দুই একটা কী বোর্ড ভাংগতে পারি কীনা।

ক্লাস নাইন ফর্ম বি। টার্ম এন্ড পরীক্ষার কোন একটা বিষয়ের অবজেক্টিভ পার্ট চলছে। গার্ড খুব সম্ভবত সালাম স্যার।
চারদিক শুনশান।

বিস্তারিত»

সিসিবি সমাবেশ…

আগস্ট মাসে তপু ভাইয়ের বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে একটা সিসিবি সমাবেশ করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। তারপর এর সাথে যুক্ত হয় সমাবেশে জাফর ইকবাল স্যারকে আমন্ত্রণ করার ব্যাপারটা। আগস্ট মাস প্রায় এসে পড়েছে। এসে পড়েছে তপু ভাইয়ের ঢাকা আগমনেরও সময়। আমরা জানতে পারলাম আমাদের আরও কিছু প্রবাসী সদস্য এই সময় ঢাকা থাকবেন…

সমাবেশ হবে এইটা নিশ্চিত।

বিস্তারিত»

অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ৭

[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
গত পর্ব
১৬
ফর্মে চরম চিল্লাচিল্লি হচ্ছে। দুই দিকে দুই বিষয় নিয়ে চরম ফাটাফাটি অবস্থা। সামনের দিকে সবাই ফুটবল নিয়ে আছে। বিশ্বকাপ চলছে তাই এটা স্বাভাবিক।

বিস্তারিত»

Sick Report

Dear All

* Due to some electrical renovation taking place at the premise where CCB is hosted, the server may be down and http://www.cadetcollegeblog.com may be unavailable for certain period during coming 2/3 weekends. We’re extremely sorry for your inconvenience. As soon as the interruption is over the site will be available to you. The downtime may be for 2/3 hours each day.

বিস্তারিত»

সেই মোল্লা স্যার

কয়েকদিন আগে গ্রুপ মেইলে মোল্লা স্যারের সেল নম্বর পেয়ে স্যারকে ফোন দিলাম। আমরা যখন ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হই তখন স্যার ছিলেন প্রভাষক, আমরা ক্লাস সেভেনে থাকতেই হলেন সহকারী অধ্যাপক এবং তারও পরে সহযোগী অধ্যাপক। স্যার যখন এসোসিয়েট প্রফেসর এবং শের-ই-বাংলা হাউজের হাউজ মাস্টার তখনই আমরা কলেজ ছেড়ে চলে আসি। পরে জানলাম শেষমেষ উনি বরিশালের ভাইস প্রিন্সিপাল হয়ে রিটায়ার করেন। স্যার এখন একটা কিন্ডার গার্টেন স্কুল দিয়েছেন বাড়ির পাশে।

বিস্তারিত»

“আমার নাম নুরুজ্জামান মোল্লা……”

মোল্লা স্যারের মত অতীত ইতিহাস বরিশাল ক্যাডেট কলেজের আর কোন শিক্ষক সম্পর্কে জানা যায় না। স্যার যখন আশির দশকের শুরুর দিকে আমাদের কলেজে পোস্টিং এসে অন প্যারেড হলেন ঠিক সেই দিন থেকে তাকে নিয়ে কাব্য গাঁথা রচনার শুরু। ক্লাসে এসে যেই তিনি বললেন, “আমার নাম নুরুজ্জামান মোল্লা…..” ঠিক সাথে সাথেই পিছন থেকে এক ক্যাডেট গলা চিকন করে বলে উঠল,“…..আমি একটা কবিতা বলব”। ব্যস আর যায় কোথায়?

বিস্তারিত»

কান্না কিভাবে ঠেকাই ????????????

:salute: আগেই বলে রাখি আমি এই ব্লগের জুনিয়র মোস্ট মেম্বার। মাত্র ১৫ তারিখে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আমি বের হই এবং এখন আমি একজন এক্স ক্যাডেট। লিখতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি পাসিং আউট এর পর থেকে আজ নয়টা পর্যন্ত কলেজের জন্য একটুও কাদিনি। কিন্তু এই ব্লগকে ধন্যবাদ it made me cry for my college. আমাদের এই ব্লগের সদস্য আরো বাড়ানো দরকার। তাহলে আমরা আরো ভালোভাবে উপলব্দি করতে পারবো আমরা ক্যাডেট কলেজ থেকে কখনোই বিচ্ছিন্ন ছিলাম না।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট ডায়েরী ( ১৯৯৬ )—- ২

পূর্ব পাতা
মার্চঃ ২৪
ওফফ আজ ক্যাডেট কলেজের ভাইভা পরীক্ষা ছিল। একটা অবশ্য মজা হয় ক্যাডেট কলেজের এই পরীক্ষাগুলার দিন। বেশ পিকনিক পিকনিক ভাব হয়। আমার পরীক্ষা ছিল শহীদ রমিজউদ্দীন স্কুলে। ক্যান্টনমেন্ট এর স্কুল গুলা কেমন যেন। কখনো আমি এর আগে ক্যান্টনমেন্ট এ যাইনাই ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষা দেওয়ার আগে। আজ অবশ্য আমার বেশ টেনশন হচ্ছিল। কারণ আব্বুর সামনে ভাইভা প্র্যাকটিস করা ছাড়া আমি আসলে আর কিছুই করিনাই।

বিস্তারিত»

ঘটনা, নাকি দূর্ঘটনা

১.
ছোটবেলায় অন্যান্য সব পিচচি পোলাদের মত আমারও কিউরিসিটির সীমা-পরিসীমা ছিল না। বাপের পোষ্টিং তখন রাজশাহীতে। প্রতিদিন গোয়ালা এসে দুধ দিয়ে যায়, কিন্তু এই দুধ কোথায় থেকে আসে তা জানার আসীম আগ্রহ আমার। মাকে জিজ্ঞেস করলে বলে, গরু দুধ দেয়। তাও আমার প্রশ্ন গরু দুধ কোথায় থেকে দেয়, এবার মা বলে পেট থেকে দেয়। কিন্তু তাও পরিষ্কার হয় না আমার কাছে ব্যাপারটা। আমরা থাকতাম নিচতলাতে।

বিস্তারিত»