অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (দ্বিতীয় পর্ব)

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)

“মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোন কিছু লিখার বড় রিস্ক হলো, যেই তা পড়ে তারই মনেহয়, সমস্যাটা বোধহয় তারও আছে।
মন ভাল হওয়া মন খারাপ হওয়া, সবার জীবনের অতি স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন একটি ব্যাপার।
আবার বাইপোলার ডিজঅর্ডার-এ আক্রান্তগণ যে হাই (ম্যানিক স্টেজ) ও লো (ডিপ্রেসিভ স্টেজ) এর মধ্য দিয়ে যান, সেটাও তো এক ধরনের মন ভাল মন খারাপ অবস্থা। তাহলে সবাই কে কি কিছু না কিছু বাইপোলার বলে গন্য করা যাবে?
না তা যাবে না। এখানে দেখতে হবে এই “মন ভাল মন খারাপ” হওয়াটা সীমার মধ্যে আছে কিনা?
এমন সীমা যা এগুলোকে সুনির্দিষ্ট ম্যানিক বা ডিপ্রেসিভ সাইকেল হিসাবে চিহ্নিত করে না। বরং স্বাভাবিক মন ভাল বা খারাপ হিসাবেই রাখে।
এখন তাহলে প্রশ্ন হলো, এই সীমাটা কিভাবে নির্ধারন হবে?
এই সীমা বোঝার একটা সহজ হিসাব হলো, ১) এই হাই বা লো কি তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে বা সামাজিক আচার আচরনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কিনা?
যেমন মন খারাপের বা অস্থিরতার কারনে অফিসে গিয়েও কোন কাজ করতে না পার, কোন দাওয়াতে যেতে না পারা। গেলেও অস্বাভাবিক আচরন করা, ইত্যাদি।
আর তাছাড়া বাইপোলারদের অনেকের জন্য আরেকটা সাইন হলো ২) নিজের মধ্যে সুইসাইডাল প্রবনতা খুজে পাওয়া। একেবারে সুইসাইডাল না হলেও ভ্যারিং ডিগ্রীর সেলফ হার্মিং কোন কোন টেন্ডেন্সি বেশ উচ্চহারে দেখা যায়।
‘মন ভাল হয় বা খারাপ হয়, কিন্তু তাতে এই দুইটার কোনটাই নাই’, এরকম হলে, চিন্তার কোন কারন নাই।
কিন্তু যদি কারো উচ্ছ্বাস পর্বটাকে কখনো বাড়াবাড়ি রকমের অথবা বিষন্নতা পর্বটাকেও বাড়াবাড়ি রকমের বলে মনে হয়, আমার মনেহয় একজন চিকিৎসক অথবা ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টের সাথে কথা বলে নেয়াটা কিন্তু খুব ভাল।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার নির্নয়ের জন্য এখনো কোন টেস্ট আবিষ্কৃত হয় নাই। আচরন ও ইতিহাস দেখে, ব্যাক্তি ও তাঁর পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলেই নির্ধারন করতে হয় – একজন বাইপোলার না কি স্বাভাবিক?
উনি বা ওনারা যদি ক্লিয়ার করে দেন যে সেরকম কিছু না, তাইলে তো শান্তির জীবন কাটাতে আর কোন অসুবিধা দেখি না …”

প্রথম পর্বটা পড়ার পড় অনেকেই নিজের অবস্থান বর্ননা করে, “তারা কতটা বাইপোলার?” – তা জানতে চাওয়ায়, এই উত্তরটা দিয়েছিলাম।
এই পর্বটা এখান থেকেই শুরু করছি…

আমেরিকায় তিন শতাংশ মানুষ বাইপোলার। নারীপুরুষের হার প্রায় কাছাকাছি।
গ্লোবাল হার এক শতাংশ বা তাঁর থেকে সামান্য বেশি।
আমাদের দেশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যায় থাকাদের হার ১৬% এর চেয়ে বেশি বলে বাইপোলারদের হার মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশএর কাছাকাছি না হবার কোন কারন দেখি না। অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে এই হারটা খুব এলার্মিং কিছু বলে মনে না হলেও এটার অন্য গুরুত্ব কিন্তু আছে।
১) কে সাফার করে, সেই বিচারে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে নাকি দুইভাগে ভাগ করা হয়। কিছু সমস্যা আছে যাতে আক্রান্তগন নয় বরং অন্যরা সাফার করে। যেমন স্কিজোফ্রেনিয়া। আবার কিছু সমস্যা আছে যাতে অন্যরা না, আক্রান্তরা সাফার করে ও তা এমনভাবে যা অন্যরা টেরও পায় না। বাইপোলার হলো দ্বিতীয় ক্যাটাগরির। আর এই কারনে বেশির ভাগ সময়ে অন্যেরা জানতেও পারে না যে তাদের খুব ঘনিষ্ট একজন এভাবে সাফার করে যাচ্ছে। এই রোগটা চিকিৎসার আওতায় না আসার এটা একটা বড় কারন।
২) ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের কমপ্লেন বেশি চোখে পড়ে বলে, চিকিৎসার আওতায় এলেও বাইপোলার ডিসঅর্ডার আক্রান্তদের অনেক সময়ই বিষন্নতার রোগি হিসাবে গন্য করেই চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এতে বিষন্নতা পর্বে তারা তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারলেও ম্যানিক পর্বটা আনট্রিটেড থেকে যায়। এই অবস্থা নতুন নতুন জটিলতার সৃষ্টি করে থাকে।
৩) বাইপোলারদের মধ্যে সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি অতি উচ্চ। অন্যান্য মানসিক রোগের তুলনায় প্রায় সর্বোচ্চ। আর সেলফ-হার্মিং তো খুবই কমন। এটার কারন মূলত এই যে এঁরা ডিপ্রেশন স্টেজে নিজেকে অপ্রয়জনিয় ভেবে শেষ করে দিতে চায়, কিন্তু সেসময়ে সেই এনার্জিটা থাকে না। কিন্তু যখন ম্যানিক স্টেজে যায়, তখন তো এনার্জি, ইনোভেশন, এডভেঞ্চারিজম সবে তারা থাকেন ভরপুর। এসব মিলিয়ে সবাই কে বোকা বানিয়ে তখন এমনভাবে কাজটা সেরে ফেলে যে সবার বোবা হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন গতিই থাকে না…
৪) এরা বিবিধ ড্রাগ ও সাবস্ট্যান্স এবিউজের ঝুকিতে থাকে অনেক বেশি। ডাউন স্টেজটা খুব কফি, এনার্জি ড্রিংক, ইয়াবা জাতীয় স্টিমুলেন্ট বান্ধব। আনট্রিটেড অবস্থ্যায় ঐ সময়টাতে এগুলো যে তাদের চাঙ্গা রাখে তা তাঁর নিজে নিজেই আবিষ্কার করে ফেলেন। সমস্যা হয় এগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়লে তারা হাই স্টেজেও তা চালিয়ে যায়। তখন তা তাদের হাই কে হাইপারে নিয়ে গিয়ে তাদের আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে ফেলে দেয়।
আবার, হাই স্টেজে ড্রিংকিং, গাজা/চরস, ফেন্সিডিল জাতীয় রিলাক্সিং নেশা তাদের জন্য প্রশান্তি দায়ক। কিন্তু অভ্যস্ত হয়ে গেলে সেটা লো স্টেজেও কন্টিনিউ করা লাগে। তখন তা তাদের ডিপ্রেশনকে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়।
বাই পোলাররা নেশাখোর হিসাবে সবচেয়ে বাজে ধরনের অভ্যাসে নিয়োজিত হয়। প্রায়ই দেখা যায় তারা একাধিক নেশার বস্তুর কাছে আত্মসমর্পন করে দ্রুত তাদের বিপদ ডেকে আনে। এডিক্টেড বাইপোলারদের মধ্যে তাই মালটিপল সাবস্ট্যান্স এবিউজ জনিত এডিকশনের হার তাই বেশি।
৫) বাইপোলাররা মুড সুইং-এর কারনে খাদ্যে নিয়ন্ত্রন খুব একটা রাখতে পারে না। অন্যদের চেয়ে এঁদের মধ্যে স্থুলতার হার তাই অনেক বেশি। পাশাপাশি, হার্ট ডিজিজের হার দ্বিগুন। এঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় অনেক আগেই এবং সহজেই নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে। এঁদের মধ্যে হাইপারটেনশন, নিদ্রাহিনতা জনিত অন্যান্য কমপ্লিকেশন অনেক বেশি দেখা যায়।

এইসব কারনে আনট্রিটেড অবস্থায় থাকলে আত্মহত্যা করার সুযোগ না পেলেও বাইপোলারদের গড় আয়ু হয়ে পড়ে অন্যান্যদের চেয়ে কম।

এবার চিকিৎসা নিয়ে দুচার কথা বলে এই পর্ব শেষ করি। বিস্তারিত পরবর্তি পর্বে আলাপ করার ইচ্ছা থাকলো।

মনে রাখতে হবে যে বাই পোলার ডিজঅর্ডার এমন একটা সমস্যা যা কারো পক্ষেই নিজে নিজে ট্রিট করে ভাল থাকা সম্ভব না।
প্রথমতঃ, চিকিতসকের সরনাপন্ন তো হতেই হবে, সারাজীবনই চিকিতসকের তত্ত্বাবধানে পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতা নিয়ে এর চিকিতসাটা চালিয়ে যেতে হবে।
এই জন্য কেউ যখন বাইপোলার হিসাবে ডায়াগোনাইজড হন, পরিবারের সকলকেসহ চিকিতসকের সাথে বসে রোগের ধর্ম ও রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি বুঝে নেয়ার প্রয়োজন আছে।

আশার কথা হলো ঠিক মত চিকিৎসা চালানো হলে ও সহযোগিতা পেলে বাইপোলারগণও অন্য আর দশটা মানুষের মত খুবই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন…
(চলবে)

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (শেষ পর্ব)

৩,৬৪৪ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (দ্বিতীয় পর্ব)”

    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      কি বিপদ!
      প্রথম বাক্যেই তো ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলাম "মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোন কিছু লিখার বড় রিস্ক হলো, যেই তা পড়ে তারই মনেহয়, সমস্যাটা বোধহয় তারও আছে।" - বলে।
      তাও যদি সেরকম মনেহয়, তাহলে ব্যাপারটা একটু চেক করে নেয়া ভাল...
      কি বলো?


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    হাইপার স্টেজটা অতোটা বিপদজনক মাত্রায় না গেল বা ইন্ডিভিজুয়াল প্যাটার্ণ ভেদে অতোটা ডেস্ট্রাকটিভ না হলে কিলার ইন্সটিংকট ডমিন্যান্ট হয় না ।
    আমার জানা চারজন মানুষ আছে যাদের নিয়মিত এই ডাগনোসিসের ঔষধ সেবন করতে হয় ।
    যারা সেভাবে সুইসাইডাল স্টেজের পেশেন্ট নয়। তবে হ্যাঁ । দে আর ভালনারেবল টু এনি ডেম স্টেজ অন এনি অড টাইম।
    সো যারা এ পর্যায়ের নয় তাদের ব্যাপারেও এ বিষয়ে সতর্কতা আবশ্যক ।

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    "......কিলার ইন্সটিংকট ডমিন্যান্ট হয় না"
    ঘটনা সত্যি কিন্তু মনে রাখা দরকার, আনট্রিটেড থাকলে দীর্ঘদিনে নতুন নতুন কি কি আরও কমপ্লিকেসি যে তৈরী হবে, তা কিন্তু কেউ জানে না।
    "... সো যারা এ পর্যায়ের নয় তাদের ব্যাপারেও এ বিষয়ে সতর্কতা আবশ্যক" - একদম ঠিক কথা।
    আর এই কারনেই ঘনিষ্টজনদের কাছে অবস্থাটা জানা থাকা, প্রয়োজনিয় ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা খুবই জরুরী...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap: :clap: :clap:

    আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে কেউ পছন্দ করেন না। বাইপোলার বল, ডিপ্রেশন বল অথবা স্কিতসোফ্রেনিয়ার পেশেন্ট সবাই আমাদের কাছে পাগল। সামাজিক স্টিগমার কথা আর নাইবা বলি!

    মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরো লেখা চাই, ভাইয়া!

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      "মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরো লেখা চাই, ভাইয়া" - এই তো, বিপদে ফেলে দিলে আপু...
      মানসিক স্বাস্থ্য তো আসলে আমার এক্সপার্টাইজ না।
      তাই এটা নিয়ে কোন কিছু লিখা আসলেই বেশ পরিশ্রমের কাজ।
      তারপরেও এই লিখাটায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম আশেপাশে থাকা কিছু মানুষের এমন কিছু অদ্ভুত আচরন দেখে যা আর অন্য কোনভাবে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিলো না।
      তোমার বলা ঐ সোশাল স্টিগমার কারনে তাদের সরাসরি জানাতে পারছি না চিকিৎসার আওতায় আসার কথা।
      আবার আমি যে স্টিগমাটাইজড নই বরং চিকিৎসা করা হলে নৈতিক থেকে শুরু করে যে কোন রকম সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক, সেটাও জানানো সম্ভব হচ্ছিল না।
      তাই এই কলম তুলে নেয়া এক ঢিলে অনেক পাখী মারতে।
      ১) নিজের জ্ঞানটাও পরিষ্কার করলাম,
      ২) অন্যদের তথ্য দিয়ে সোশাল ট্যাবু দূর করার চেষ্টা করলাম,
      ৩) বন্ধুদের সাহস দিলাম উৎসাহ দিলাম - চিকিৎসার আওতায় যেতে,
      ৪) আরও অনেক কিছু...

      ভাগ্যিস কমেন্টটা করেছিলে?
      তাই তো সুযোগ হলো এত এত ব্যাখ্যা প্রদানের.........


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  4. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। খুব ভালো লাগলো।
    প্লিজ আর লিখুন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে।
    খুব অবহেলিত এই দিকগুলো।
    গবেষণার লাইনে চলে আসার আগে চেষ্টা করছিলাম সাইকিয়াট্রি নিয়ে পড়ার। সে সময় বাসায় এটা নিয়ে যে মনোভাবের শিকার হয়েছিলাম তা আমাকে স্তব্ধ এবং ক্ষুব্ধ করে দিয়েছিল।

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      "প্লিজ আর লিখুন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে।"
      লিখতে তো চাই, প্যাশনের কারনে। কিন্তু পূর্ব বিদ্যার দৌড় কম বলে যে পরমান পড়াশুনা করা লাগে, তাতে হতদ্যম না হয়ে উপায় থাকে না।

      "......চেষ্টা করছিলাম সাইকিয়াট্রি নিয়ে পড়ার। সে সময় বাসায় এটা নিয়ে যে মনোভাবের শিকার হয়েছিলাম তা আমাকে স্তব্ধ এবং ক্ষুব্ধ করে দিয়েছিল..."
      সেদিক থেকে আনীলার ভাগ্য বেশ ভাল।
      ওর সাইকিয়াট্রি পড়ার ইচ্ছার কথা জেনে আমি তো খুবই উৎসাহ দিলাম... 🙂 🙂 🙂
      দেখি, শেষ পর্যন্ত ওর ইচ্ছাটা কতটুকু টিকে থাকে!!!


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  5. বহু দিন যাবত নিজের Behave নিয়ে চিন্তায় ছিলাম অনেকটাই আমার সাথে মিলে। এই যেমন হটাৎ অনেক ভাল। তারপর কেমন জানি সবকিছু ঘুলিয়ে যায়। কিন্তু ওর কোন বিশেষ কারন ও নেই।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।