ছেলেদের প্রেমে ডুবে থাকার ১১টি লক্ষন

নারীদের বলছি।
ধরুন, আপনি বুঝতে পারছেন, ছেলেটি আপনার ব্যাপারে আগ্রহি। কিন্তু ঠিক কতটা আগ্রহী সেটা জানতে চাচ্ছেন। এই হলো আপনার জন্য সমাধান। এই সেই এগারোটি লক্ষন, যা বলে দেবে, সে আপনার প্রেমে কতখানি ডুবে আছে বা আদৌ আছে কিনা:
১) সারাক্ষন আপনার কথা মনে পড়লেও “তোমার কথা সারাক্ষন মনে পড়ে” – এরকম কথা বলে ফেলাটাতে ছেলেরা সচরাচর পিছপা থাকে। সেইক্ষেত্রে, কিভাবে বুঝবেন, “সে যে আপনার কথা ভাবে?”
যদি দেখেন, হঠাৎ হঠাৎ, কারনে অকারনে সে আপনাকে খুজে বেড়াচ্ছে আর পেলেই অজুহাত দিচ্ছে, “না তেমন কিছু না, ঐ আর কি, হঠাৎ একটা জিনিষ দেখলাম (বা শুনলাম)। আর সাথে সাথে তোমার কথা মনেপড়ে গেল। ভাবলাম, “দেখিতো তুমি কি করছো…” ইত্যাদি।
২) আপনি বলার আগেই যদি সে নিজে থেকে আপনার দরকারটা অনুমান করে নেয় ও সেটা পুরনে উদ্যত হয়, বুঝবেন সে আপনাতে ডুবে আছে। ছেলেরা এটা করে, কারন সঙ্গির কাছে তারা নিজেদের কেবলই এস্থেটিক নয় একজন প্রয়োজনিয় মানুষ হিসাবে থাকতে চায়।।
৩) নিজের কাছে যখন আপনার নিজেকে তেমন একটা পরিপাটি লাগছে না, অথচ সে বলে ফেলে, “বাহ্‌! দারুন লাগছে তো তোমাকে?” নাহ, এটাকে মতলবি কথা ভাববেন না। ভালবাসায় ডুবে থাকা ছেলেগুলার কাছে অকারনেই প্রিয়তমাকে সুন্দরিতমা মনেহয়। কারনে হোক বা অকারনে, তাঁর কাছ থেকে যত বেশি বেশি আপনার সৌন্দর্য্যের প্রশংসা পাবেন, ধরে নেবেন, সে আপনাতে ডুবে আছে।
৪) “মায়ের কাছে আজ তোমার কথা বললাম” অথবা “মা আজ তোমাকে নিয়ে বললো…” ইত্যাদি মা সংশ্লিষ্ট কোনো কথা যদি সে আপনাকে বলে, সেটা একটা সুখবর। মায়ের প্রতি একধরনের অন্ধ নির্ভরতা ছেলেদের জন্ম থেকেই থাকে। সেটার মধ্যে আপনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়ার অর্থ হলো, সে সেই নির্ভরতাটা আপনার কাছেও পেতে চাচ্ছে। হালকা-পলকা ভালবাসায় ছেলেরা এমনটা করে না। কেবলমাত্র গভীর ভালবাসা জাগলেই তাঁরা এটা করে।
৫) সে তাঁর স্বাভাবিক বা আনন্দের কথা আপনাকে শোনালে এতে বিশেষ কিছু থাকে না কারন ছেলেরা এসব কথা সবাইকেই বলে। কিন্তু যখন সে আপনাকে তাঁর দুর্বলতার, কষ্টের, সমস্যার কথা শোনায় – বুঝবেন, আপনাকে সে আস্থায় নিয়েছে। এমন কিছুতে সে আপনাকে অংশীদার করেছে, যা সে অন্যদের করবে না। আপনি তাঁর কাছে স্পেশল বলেই এটা সে করেছে। ছেলেরা সবার কাছে নিজেদের ভালনারেবল রূপ দেখায় না। কেবলমাত্র খুব কাছের মানুষদের জন্য সেটা রিজার্ভ করে রাখে। আপনাকে বলার অর্থ, তার কাছে, আপনি খুব কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছেন!!!
৬) আপনি কখন কোথায় আছেন, কখন কি করছেন, সময়টা কিভাবে কাটাচ্ছেন – এসব বিষয়ে যদি সে আপনাকে কথা বলতে উৎসাহ দেয়, আপনাকে নিয়ে আগ্রহ জানায়, আপনার বর্ননার আনন্দময় অংশে আনন্দিত হয়, দুঃখের অংশে ভারাক্রান্ত হয় – বুঝবেন, সে আপনাতে ডুবে আছে। অবশ্য সে যদি এই কাজগুলো আপনার অগোচরে বা অন্যের মাধ্যমে করার চেষ্টা করে, সেটা কিন্তু আবার ঠিক না। আগ্রহ ও নজরদাড়ি (স্টকিং) এর পার্থক্য কিন্তু আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
৭) আপনার হাটাচলা, খাওয়া-দাওয়া, পোষাক পরা, সাজগোজ, উঠাবসা, ইত্যাদি সম্পর্কিত আচরনের মধ্যে যে যে সুক্ষ ভিন্নতাগুলি আছে, সেগুলো যদি সে লক্ষ্য করে এবং বিভিন্ন উপলক্ষে সেগুলোর কথা আপনাকে শোনায়, বুঝবেন, আপনি তাঁর কাছে শুধু পছন্দেরই না, কাইন্ড অব পুজনিয়ও হয়ে উঠেছেন।
৮) নিজেদের শক্ত পোক্ত দেখাতে আবেগময় কথা ছেলেরা সাধারনতঃ কমই বলে থাকে। সেই সব চেপেচুপে কথা বলার অভ্যাসে থাকার মধ্যেও যদি হঠাৎ হঠাৎ তাঁরা বলে ফেলে কবে কখন কিভাবে কাউকে মিস করছিলো, সেটা একটা সুখবর।
আপনাকে সে মিস করেছিল – এই সুখবরটা তাঁর মুখে পেয়ে থাকলে অভিনন্দন জানুন। সে আসলেই আপনাতে ডুবে আছে। খুবই ডুবে আছে।
৯) বিভিন্ন ভাবে সে যদি এই বার্তাটা সময় সময় আপনার কাছে পৌছায় যে, যত যাই ঘটুক, “সে সবসময় আপনার পক্ষেই থাকবে”, “আপনার পাশেই তাঁকে পাবেন”, “আপনিই হলেন তাঁর প্রায়োরিটি”, ইত্যাদি – জানবেন, তাঁকে আপনি জয় করে নিয়েছেন। অবশ্য জয় করার পরেও তাঁকে রাখবেন কি রাখবেন না, সে পছন্দ আপনার আছে…
১০) সেকি আপনাকে এমন কোনো নামে ডাকে যা আপনার নাম না কিন্তু তাঁকে সেভাবে ডাকতে শুনলে আপনি আনন্দিত হন? এটা তাহলে একটা সুখবর। সে তাহলে আপনার সাথে দীর্ঘস্থায়ি সম্পর্কে জড়াতে চায়। আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে অনীহ হন, তাঁকে আপনার খুব কমন নামটি ব্যবহারে উৎসাহ দিন।
১১) এত সব কিছুর পাশাপাশি সে কি হঠাৎ হঠাৎ অতি আবেগের মুহুর্তগুলোতে বলে ফেলে, “আজ তোমাকে দারুন সেক্সি লাগছে!” বা এজাতীয় কোনো কিছু? তা যদি হয়, বুঝবেন, সে তাঁর ভালবাসার বার্তা শারিরীকভাবে পৌছানোর জন্যেও প্রস্তুত। তবে সেটা নেয়া বা না নেয়া নির্ভর করবে আপনার পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপরে।

এই এগারোটি লক্ষনের যত বেশি তাঁর মধ্যে দেখবেন, বুঝবেন, সে তত বেশি আপনার হয়ে গেছে।
কিন্তু যদি তাঁকে এগুলো করতে না পারার পিছনে সদাসর্বদা অজুহাত দেখাতে ব্যস্ত পান, আর আপনাকে সেই অজুহাত মেনে নিতে পিড়াপিড়ি করতে দেখেন, বুঝবেন, সম্পর্কটা বেশিদুর গড়াবে না।
সতর্ক হোন, প্রস্তুত থাকুন সেই অশুভ দিনটি মোকাবিলার জন্য…

মূল যে লিখাটি অবলম্বনে এটা লিখেছি, তা পড়া যাবে এখানে:

৫,১০০ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “ছেলেদের প্রেমে ডুবে থাকার ১১টি লক্ষন”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    সালাম, ভাইজান! বহুদিন পর তোমার দেখা পাওয়া গেল সিসিবিতে। হাইবারনেশন থেকে বেরিয়ে আমাদের কাছে আসবার জন্য ধন্যবাদ।
    আমি তোমার তরিৎ লেখালেখির সবিশেষ ভক্ত। পাঠকের চাহিদার দাবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তুমি আমাদের সাথেই থেকো।

    তোমার এই লেখাটির সিংহভাগ দেখি কমন পরে যাচ্ছে, ভাইয়া!

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      সিসিবি যে আর কোনোদিনও ভাইব্রেন্ট হবে না, এইসব আচরন হলো সেটা মেনে নেয়ার একটা ডেমূনেস্ট্রেশন আর কি...
      তবে আর্কাইভাল ও সার্চ এডভান্টেজের ব্যবহারটা সাইলেন্টলিই করা যায়।
      সেটা কিন্তু করেই যাবো, ভিজিবল হই বা না হই!!! 😀 😀 😀
      সিংহভাগ কমন পড়ার খবরে টাশকিত!!!
      আর এই জন্য ::salute::


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।