ক্যাডেট_ক্যাডেট


মুহাম্মদের আগের ব্লগে একটা অতি বাস্তব কথা আছে। সেটা হলো যে, জামিলুর রেজা রসিকতা করে বলেছিলেন- একটা জায়গায় কোন ক্যাডেট থাকলে সে নিজে যে ক্যাডেট ছিল তা অন্য সবাইকে জানানোর জন্য খুবি চেষ্টা করে। বান্দরবন যেয়ে আমি তার আরেকটি উদাহরণ পেলাম।

বগা লেক। রাতের বেলা। আমরা সকালে থেকে বিকাল পর্যন্ত কেওক্রাডাং সফরে ছিলাম। বগালেকে ফেরত আসার পর আমি রেস্ট নিতে নিতে ঘুমিয়ে গেছি। ৯টার দিকে ঘুম ভাংছে। বাইরে দেখি অনেক কথা বার্তা (জায়গাটা এমনিতে অস্বাভাবিক নীরব)। মুহাম্মদরে জিজ্ঞাস করলাম। ও বলল ঢাকা ভার্সিটি থেকে নতুন আরেকটা দল আসছে এবং ওখানে ওদের কলেজের নাইম ভাইও আছেন। আমি বের হয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছি। ওনারা সবাই আগুন পোহাচ্ছিলেন। আমাদের পোলাপাইন ততক্ষণে মরে যাবার জোগাড়। বোরিং লাগছিল তাই ভাবলাম ওই পার্টির সাথে যোগদান করি। একটা ক্যাডেট যখন আছে তখন তো আর অসুবিধা নাই । কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম নাইম ভাইকে? আপনি কি মির্জাপুরের? আমি বরিশালের। তারপর চুপচাপ আগুনের কাছে গিয়ে বসলাম। ১ ঘন্টা বসে ছিলাম ওখানে। উঠার আগ পর্যন্ত নাইম ভাই ছাড়া আরো ৩ জন ক্যাডেটের সন্ধান পেয়েছিলাম। কিভাবে পাইলাম তাই বলব…

ওনারা মোট ছিলেন ৯ থেকে ১০ জন। ৫জন আপু আর ৪ জন কি ৫ জন ভাই। আপুদের মধ্যে দুইজন ক্যাডেট। ভাইয়াদের মধ্যে ২ জন।

প্রথমে আমি যখন নাইম ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাইয়া আপনি কি মির্জাপুরের। তখন উনি বললেন হ্যা। মুহাম্মদকে দেখার কথা জানালেন। তবে পার্ট মারার জন্য মনে নাম ভুলে যাবার ভান ধরলেন। তখনি পাশ থেকে আরেক ভাইয়ার উত্তর আসলে ক্যাডেটে জুনিয়ারের নাম মনে থাকে না। খালি সিনিয়ারের নাম মনে থাকে। (উনিও যে ক্যাডেট হয়ে বস হয়ে গেছেন বুঝিয়ে দিলেন)।

এবার আপুদেরটা বলি। একজন আপু আরেকজন কে জিজ্ঞাস করছে। কিরে ঠান্ডার মধ্যে এতক্ষণ বসে থাকলে আবার অসুখ করবে না তো। আমি তখন তাদের পাশে বসা। সেই আপুর উত্তর। ক্যাডেটে যাবার আগ পর্যন্ত আমার খুব অসুখ করতো। ক্লাস সেভেনের পর থেকে আর হয়না। (বুঝলাম)

যে আপু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনিও ক্যাডেট। তবে সেটা জানাতে তার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

অনেক্ষণ ধরে কেউ কোন কথা না বলাতে গান শুরু করার প্রস্তাব উঠল। কেঊ গাবেনা। তখন একজন বলল আয় চাকমা ভাষার গান গাই। ওতন পেগে মেঘে মেঘে মেঘলা দেবানতরে… তখনি পাশের আপুর উত্তর আরে এই গানটা… কলেজে ক্লাস সেভেনে কালচারাল ফাংশানে কে জানি গাইছিল?

১,৬৫০ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “ক্যাডেট_ক্যাডেট”

  1. কিচ্ছু করার নাই। ক্যাডেট থাকার সব রকম সুবিধা লুটার এইতো সুযোগ। আমি আর তুহিন একবার "Bangladesh Astronomical Association"-এর অফিসে গেছিলাম। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রথমে আমাদের বেলই দিলেন না। কথা শোনেন তো শোনেন না; দেখেন তো দেখেন না। প্রশ্ন করেন, "মেম্বার হয়ে অ্যাসোসিয়েশনকে তোমরা কি দিবা?" যে-ই শুনলেন ক্যাডেট সাথে সাথে বেল নিয়ে হাজির। আমাদের আর কথা বলতেই হলনা।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : muhammad2017

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।