এশিয়া প্যাসিফিকঃ শান্তি- সমৃদ্ধি অথবা যুদ্ধের ডামাডোল ?

বিশ্বায়ন,শিল্পায়ন, মুক্তবাজার অর্থনীতি- এই শব্দগুচ্ছ প্রচলিত হওয়ার কয়েক শত বছর আগে জন্ম চাঁদ সওদাগরের। তারও অনেক আগে থেকে বাঙালি জানে- ‘বাণিজ্যেই লক্ষ্মীর বসতি’।

এই একবিংশ শতাব্দীতে বাণিজ্যের শক্তিতে বিশ্বাস করে না এমন দেশ খুঁজে পাওয়ার চেয়ে দু -একটা জ্যান্ত ডাইনোসর পাওয়া বরং বেশি সহজ। এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বর্তমান বিশ্ববাণিজ্যের ইঞ্জিনঘর। রাজনীতি ও অর্থনীতির মনোযোগী পাঠকের জন্য এই অঞ্চলের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

চিলি থেকে চীন ও কোরিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।এখানে পৃথিবীর বৃহত্তম তিন অর্থনৈতিক পরাশক্তি ( যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন) ও উদীয়মান বাজার অর্থনীতির ( সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, লাতিন আমেরিকা) আবাস । এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও মানব-সম্পদের সম্ভাবনা নিয়ে বলা হয়, ‘‘ সভ্যতার ইতিহাসে ভূমধ্যসাগর হল অতীত, আটলান্টিক বর্তমান এবং প্রশান্ত মহাসাগর ভবিষ্যত।”

গত দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবৃদ্ধি যেখানে ছিল যথাক্রমে ১.৬% ও ১.৭%, সেখানে পূর্ব-এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫.৪%, লাতিন আমেরিকার ৪.৬% এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ৫.৯%।

জীবনযাত্রার মান বিস্ময়কর উন্নতি লাভ করেছে। লাতিন-আমেরিকান অঞ্চলে মধ্যবিত্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং এশিয়ায় সাতগুণ!

এশিয়া- প্যাসিফিক অর্থনৈতিক জোট (এপেক)- ভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের প্রায় অর্ধেক পণ্য লেনদেন করে থাকে। এতদিন উন্নত বিশ্বের কারখানার ভূমিকা পালন করলেও, এশিয়া- প্যাসিফিক এখন প্রযুক্তি, বিনিয়োগ ও পণ্যসামগ্রীর অন্যতম বাজার। এপেক এর সদস্য দেশগুলো পৃথিবীর ৮০ শতাংশ কম্পিউটার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-পণ্য তৈরি করে। চীনের কথাই ধরা যাক। সুদূর চিলিতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ চীন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লাতিন আমেরিকাতে ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক, আইডিবি এবং ইউ এস এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক সম্মিলিতভাবে যে পরিমাণ ঋণ দিয়েছে, চীন একাই তার চেয়ে বেশি ঋণ প্রদান করেছে।

ভাষা-সংস্কৃতি-ইতিহাসের ভিন্নতার বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে পূর্ব-এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে সংযুক্ত ও পারস্পরিকভাবে নির্ভরশীল এলাকা। ১৯৯২-৯৩ সালে তাদের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল বৈশ্বিক রপ্তানির ১৪ শতাংশ, ২০০৭-০৮ সালে তা দাঁড়ায় ৩০ শতাংশে।

দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক পরাধীনতা থেকে মুক্ত হওয়া এই দেশগুলো নিজেদের নতুন শক্তি সম্পর্কে শুধু সচেতন-ই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আগ্রহী। প্রশান্ত মহাসাগরের জলরাশিতে ঘূর্ণিঝড় ওঠা হয়ত তাই সময়ের ব্যাপার। পারস্পরিক নির্ভরতা সত্ত্বেও পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে কয়েকটি কারণে।

প্রথমত, চীনের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি । ২০১৩ সালে চীন পরোক্ষভাবে দক্ষিণ চীন সাগরকে তার ‘নিজস্ব বলয়’ হিসেবে ঘোষণা করে
( পূর্বে শুধু তাইওয়ান ও হংকং কে এই বলয়ের ভেতর ধরা হত ) ।
বিবাদ-পূর্ণ দ্বীপের কাছে ভিয়েতনামী জেলেদের আটক করায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আর এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি জাপানের সাথে চীনের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্ক শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরেকটি বড় বাধা। ঝি জিনপিং রাষ্ট্রপতি হওয়ার কিছুদিন পরই চীন সরকার পূর্ব চীন সাগরে নতুন করে ‘বিমান প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ এলাকা (ADIZ)’ প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে নির্দিষ্ট এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে। আগ্রাসী নীতির নেপথ্য কারণ হতে পারে- দ্রুত বর্ধনশীল সামরিক শক্তি, জাতীয়তাবাদী চেতনার উত্থান এবং অন্য পরাশক্তিগুলোর উপর অবিশ্বাস। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস চীন পরিদর্শন করতে গেলে জে-২০ ও আন্তঃমহাদেশিয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে পিপলস লিবারেশন আর্মি। বার্তা পরিষ্কার। প্রয়োজন হলে চীন শক্তি প্রয়োগে মোটেই দ্বিধা করবে না।

দ্বিতীয়ত, এশীয় দেশগুলোর ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব ও উগ্র জাতীয়তাবাদের নব্য উত্থান। এশিয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলোর পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই শীতল। সার্কের উদাহরণ এক্ষেত্রে দেয়া যেতে পারে। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। অথচ, উল্লেখযোগ্য কোন সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি সদস্য দেশগুলো। পূর্বএশিয়া যদিও আসিয়ান ও এপেক এর মত কার্যকরী জোট গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, সাম্প্রতিককালে উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থান এক অশনি সংকেত বহন করছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কালে রচিত জাপানের সংবিধান পরিবর্তনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২০১৩ সালের শেষদিকে তিনি বিতর্কিত ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে গেলে, নানকিং ও কোরিয়াতে জাপানী আগ্রাসনের স্মৃতি উত্তেজনা সৃষ্টি করে । চীন সরকার আবার এর প্রতিবাদে ‘নানকিং গণহত্যা দিবস’ ও ‘জাপানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয় দিবস’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে।

এর সাথে গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত আছে প্রাকৃতিক সম্পদ ও সমুদ্রসীমার মালিকানা নিয়ে বিরোধ। সেনকাকু-দিয়াউ দ্বীপ নিয়ে চীন-জাপান টানাপোড়েন, সার্বভৌমত্ত্বের প্রশ্নে তাইওয়ানের সাথে চীনের বিবাদ, সমুদ্রসীমা নিয়ে চীন-ফিলিপাইন বিরোধ গত কয়েকবছর ধরেই সরগরম রেখেছে রাজনীতির মঞ্চ।

তৃতীয়ত, মার্কিন শিলাজাত জ্বালানি উৎপাদনের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনার কাঠামোয় বিশাল এক ভারসাম্যগত পরিবর্তন ঘটবে। নর্থ ডাকোটা ও টেক্সাসে বিপুল পরিমাণ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদিকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির প্রভাবশালী জোট ওপেক জানিয়েছে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ২০ ডলারে নামলেও তারা তেলের উত্তোলন কমাবে না। ফলাফল গত বছরের জুন থেকে জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল জ্বালানি তেলের অন্যতম ক্রেতা হওয়ায় ( ২০১২ সালে জাপান পৃথিবীর ৩৭% তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যাবহার করে) ঊর্ধ্বমুখী সরবরাহ ও নিম্নমুখি দাম বিশ্ব রাজনীতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বর্তমানে এশিয়ায় অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে। প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট গ্যাস এর দাম ১৫-১৮ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া তে সরবরাহ শুরু করলে দাম কমে দাঁড়াবে মাত্র ১০ ডলারে। কমে যাবে উৎপাদন খরচ, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বাড়ানোর এই অভাবনীয় সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে চীন রাশিয়ার সাথে গত বছর ৪০০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে। সেই সাথে নিশ্চিত করেছে আগামী ৩০ বছরের জ্বালানি সরবরাহ।

চতুর্থত, চীনের আপত্তি সত্ত্বেও দক্ষিণ-চীন সাগরে মার্কিনী হস্তক্ষেপ উত্তেজনা ক্রমেই বাড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ডারউইনে ২৫০০ মার্কিন মেরিন সেনা নিয়োজিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দক্ষিণ-চীন সাগরে চীন ও আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলোর সামরিক কার্যকলাপে মার্কিন নজরদারি আরো মজবুত হবে। যা চীন সরকার কোনোভাবেই বরদাস্ত করতে রাজি না। কৌতূহল জাগতে পারে দক্ষিণ-চীন সাগর নিয়ে এত আগ্রহ কেন সবার । এখানে রয়েছে ১১ বিলিয়ন ব্যারেল তেল, ১৯০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ও পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মৎস্যসম্পদের মজুদ ।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকা

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকা

গত এক দশকে এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোর মাঝে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রতিযোগিতার মুলেও রয়েছে লাভ-লোকসানের খতিয়ান। যেমন জাপান তার ৬২ শতাংশ লোহা আমদানি করে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়ার মোট গ্যাস রপ্তানির ৮০ শতাংশ যায় জাপানে। এই বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল যে জলসীমার উপর দিয়ে যায় তার মালিকানা নিয়ে ৭ টি দেশের মধ্যে( জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ব্রুনেই)বিরোধ চলছে।

২০১৩ সালে স্টকহোম আন্তর্জাতিক পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (SIPRI) প্রকাশ করে পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট কমলেও এশিয়ায় তা ঊর্ধ্বমুখী। ১৯৮৮ সালের পর থেকে শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় প্রতিবছর বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম উল্লেখযোগ্য হারে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে। এর মাঝে নতুন বছরে জাপানের প্রতিরক্ষা খাতে ৪২০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আগুনে নতুন করে ঘি ঢালবে। পরপর তিন বছর জাপান এই খাতে তার ব্যয় বাড়াল।
২০০০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব- এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলঃ
blog jan 1

নিচে গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের পরাশক্তিগুলোর সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি তালিকাভুক্ত করা হলঃ

blog jan 2

তবে কয়েকটি কারণে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীল পরিস্থিতি আশা করা যেতে পারে।
পূর্ব-এশিয়ায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করার মোক্ষম হাতিয়ার রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা নয় বরং সম্পদ ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা। আপন স্বার্থেই তাই ক্ষমতাসীন সরকারগুলো এমন কোন পদক্ষেপ নেবে না যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।
দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনে ও সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে শক্তিশালী ও কার্যকরী আঞ্চলিক জোট হিসেবে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে।
প্রযুক্তি আর পণ্যের সমারোহে মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় আড়ালটুকু নেই, প্রশান্তি-স্থিরতা সেই সাথে যাচ্ছে হারিয়ে। এরই প্রতিফলন হয়ত সমাজে-রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। পৃথিবীজুড়ে যেন অস্থিতিশীলতার মচ্ছব লেগেছে। কয়েকদশক ধরে যুদ্ধ- জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকা। পারমাণবিক যুদ্ধের এক টাইম বোমার উপর বসে ধ্বংসের প্রহর গুনছে দক্ষিণ এশিয়া। ইউরোপে মুসলিম-বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। স্থিতিশীল এশিয়া প্যাসিফিক তাই পৃথিবীর মঙ্গলের জন্যই প্রয়োজন।

৩,৩২২ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “এশিয়া প্যাসিফিকঃ শান্তি- সমৃদ্ধি অথবা যুদ্ধের ডামাডোল ?”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বেশ গোছানো লেখা! গ্রেট জব! :thumbup:
    অবশ্য আমি বিশ্ব শান্তির ব্যাপারে খুব আশাবাদী না। মাথার মধ্যে খালি কন্সপিরেসি থিওরি কিলবিল করে।
    খালি মনে হয় - যত সন্ত্রাস, যত হানাহানি... তত যুদ্ধ-বিগ্রহ, তত বেশি পরিমান অস্ত্র-গোলাবারুদের ব্যবসা বানিজ্য! 🙁

    তবে এটা ঠিক, হাজার কন্সপিরেসি করেও এশিয়াকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। শিক্ষার হার মোটামুটি মানে পৌঁছলেই আমাদের সামনে এগোবার বাঁধা অনেকাংশেই কমে যাবে। এর সাথে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করা যায়- আমাদের আর পায় কে? (খালি পাকিস্তানকে যদি খাবলা মেরে মঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়া যেত... ইশ! )


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    চমৎকার গোছানো লিখা। বিশ্লেষণধর্মী এরকম লেখা সময় পেলে লিখবে আশা করি।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. নাফিস (২০০৪-১০)

    নেট পার ক্যাপিটা বা জিডিপি গ্রোথ আমার কাছে অনেক সময়ই মনে হয় কিছুটা মিসলিডিং। উন্নতির একটা স্টেজে এসে সব দেশের ই উন্নতির হার এর স্লোপ একটা সময় ফ্লাট হয়ে যায়। এটা একধরণের চক্র। আর চীন এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ টা হবে এই গ্রোথ কে ১.৫ বিলিয়ন এর বিশাল জনগোষ্ঠির মাঝে ইন্টিগ্রেট করা। প্রবৃদ্ধির কথা বিবেচনা করলে চায়নার অনেক শহর ই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কে ছাড়িয়ে গেছে। আবার অনেক প্রদেশ এখনো তলানিতে পরে আছে.. বিশাল এই জনগোষ্ঠিকে কিভাবে এই উন্নতির আওয়তায় আনা হয় সেটা ও দেখার বিষয়। ইউএসএ কি এপ্রোচ নেয় সেটা আন্দাজ করা কঠিন হলেও এটা ক্লিয়ার যে ব্যালেন্স অফ পাওয়ার তাদের মাথা তে অলরেডি কাজ করছে। ওবামার ভারত সফর এর বেস্ট এক্সাম্পল।
    গোছানো ছিল লেখাটা। তথ্যবহুল। ভালো লাগছে ইনসাইট দেখে। লিখতে থাক... IR রিলেটেড আরো পোস্ট দিস... :thumbup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কৌশিক(২০০৪-২০১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।