লতাগুল্মের গালগল্প

আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম। ফার্ণ ঝাড়েবংশে বেড়ে সুন্দরের চাইতে অসুন্দরকেই প্রকাশ করছিল শত রূপে। ছিল একটা ম্যান্ডারিন গাছও। নিজের শখ মেটাতে আতিক অনেক গাছ কিনেছে বটে কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় একাকী সেসবের আদরযত্ন করা হয়নি। আমরা কৃষিপ্রধান দেশের মানুষ; এক মুঠো মাটি পেলে আবাদ করতে ভুলি না; সে নাইট কুইন হোক কিংবা ঝিঙেফুল!

অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার ব্যাপারটি মাথায় রেখে বইপত্তর ঘাঁটাঘাটি শুরু করে দিলাম। নিজেরাই সারি সারি পেভার বিছিয়ে তারই মাঝে গাছপালার জন্য বেড বানালাম। সকাল বিকাল টিমস গার্ডেন সেন্টারে ছুটোছুটি করে প্রাকৃতিক সার, গাছের বাকলকুচি আর পাথরকণা বয়ে নিয়ে এলাম বাড়ি। অনেক গবেষণার পর অ্যাগাভে এটেনুয়াটা, ইউকা, নানান জাতের এলোভেরা, ক্যাকটাই, ফার্ন আর বাহারি সাকুলেন্ট পছন্দ করলাম। সাকুলেন্ট শে্রণীর গাছপালারা তাদের পাতায় পাতায় পানি জমা করে রাখে দূর্দিনের কথা ভেবে, তাই এদের পাতারা হয় ভারী। এরা দেখতে ভারী সুন্দর, যত্নআত্তির ধার ধারেনা বললেই চলে। রোদে ক্ষরায় পাতায় জমানো জল দিয়ে সাকুলেন্ট দিব্যি বেঁচে থাকে। আমাদের বাগানে ক্রাসুলা নামের ছোট একটি গাছ আছে, সোনালী সবুজাভ বর্ণাঢ্য রঙে রূপে রূপময়ী হয়ে আলো ছড়ায়। ছোটখাট ভারী পাতায় তার টুলটুলে লাবণ্য উপচে পড়ে। আছে সবুজ লালের ক্যাকটাসও।

শেষ বিকেলের আলো আঁধারে বাগানে পানি দেয়ার সময়টা উপভোগ করি। সবুজ লতাগুল্মের সাথে আমার খানিক কথোপকথন চলে এই সময়ে। স্টার জাসমিনের লতানো শরীরে নতুন কুঁড়ি, ধবধবে সাদা। ফুলগুলি অনেকটা আমাদের শিউলি ফুলের মত, বোঁটার কমলারঙা রূপটা কেবল নেই তার। স্টার জাসমিনের গাছ দুটো আমার উপহার পাওয়া সম্পদ। পশ্চিমে বাগানবিলাসী মানুষেরা পালা পার্বণে সমমনা বন্ধুদের গাছপালা উপহার দেয়। বড়দিনে মিসেস জে’র থেকে পাওয়া প্রীতি উপহার ছিল দু’খানা স্টার জাসমিন।

সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই আলো আঁধারিতে তৃষ্ণাতর্ গাছে পানি দিতে দিতে আমাদের বাড়ির ছাদের বাগানটির কথা মনে পড়ে। ময়মনসিংহের বাগানের ফুল ফোটাতে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না। আমার ছোটবোনের বাগান ছিল সেটি। ওর বাগানের বেলী ফুলের সুরভি এখনো মনের মণিকোঠায় জেগে আছে। আরো ছিল অর্কিড, গোলাপ, এবং নানারকম পাতাবাহার। বাড়ির প্রবেশপথে ঝোপানো গাঢ় গোলাপীর একখানা বোগেনভ্যালিয়া ছিল আমাদের। তেমন কোন যত্নআত্মি ছাড়াই এই গাছ বারান্দার গ্রীল বেয়ে তিনতলার ছাদ অবধি পৌঁছে গেল। পূর্বের সীমানা ঘিরে ছিল নারকেল আর সুপারী গাছের সারি। নিচতলায় বাবা বড় আকারে দোলনা লাগালেন। বাবা মায়ের কোলে বসে দোল দোল দুলুনির স্মৃতি এখনো সমুজ্জ্বল!

আমাদের নীচতলায় বিশাল একটি গন্ধরাজ ফুলের গাছ ছিল। গন্ধরাজ গাছেরা অতোটা বড় হয়না সাধারণত। আমাদের গাছটি মায়ের আদরযত্ন পেয়ে মানুষের মাথা ছাড়িয়ে গেল। এই একটি গাছের জন্য ফুলের মৌসুমে আমাদের বাড়িটি সুরভিত হয়ে থাকতো। একবার বর্ষাকালে বৃষ্টির তোড়ে ইয়া বড় একটা ঢোঁড়া সাপ সিঁড়িঘরের পাশে কুন্ডলী পাকিয়ে বসেছিল। সবাই বললো, গন্ধরাজের তীব্র গন্ধের কারণে সাপ চলে এসেছে, সুতরাং গাছ কাটো! বড়দের নানা বাহানা থাকে জীবনভর, ভাগ্যিস আমার বাবা সেসবে কখনো সায় দেন নাই।

গন্ধরাজের পাশেই ছিল একটি মেহেদি গাছ। চাঁদ রাতে সাহারা বুয়া বাড়ির মেয়েদের জন্য খয়ের মিশিয়ে মেহেদি বাটতে বসতো। পাড়ার মেয়েরা আঁচল পেতে মেহেদি পাতা তুলতো। সন্ধ্যা হলে আমরা বোনেরা সারি বেঁধে মেহেদি পরতে বসতাম। মেহেদির কারুকার্য বলতে ছিল হাতের তালুতে বড় একখানা বৃত্ত এঁকে নারকেল শলার কাঠিতে সেটিকে ভরাট করা। এরপরও বাচ্চারা ধৈর্যচ্যুত না হলে বৃত্তের চারপাশে রেখা আঁকা হতো। এখনকার মত বাহারি নকশা তখন কেউ আঁকতে পারতো না। আমাদের নীচতলায় টুলুরা যখন থাকতে এলো তখন মেহেদির পাশে ওরা একটি তুলসী গাছ লাগালো। টুলুর দিদিমা ভোর হলে তুলসী গাছের গোঁড়ায় মাটির প্রলেপ দিতো। মেহেদি আর তুলসীতে মিলে এরপর বহুকাল ভাব ভালবাসা ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কখনো সামাজিক সম্পর্ক বিনষ্ট করে নাই।

সিডনীর পেছনবাটিতে ম্যান্ডারিন, তীব্র সুগন্ধী পাতার কেফির লাইম, বাতাবী লেবু, চেরী পেয়ারা, ব্লুবেরী, আখ, আর ট্যানজেলো লাগালাম। ট্যানজেলো গাছে কুঁড়ি এসেছে এই গ্রীষ্মে প্রথমবারের মত। ট্যানজেলো হলো ট্যানজেরিন (কমলালেবু) আর পমেলোর (বাতাবীলেবু) হাইব্রিড সংস্করণ। রসালো ট্যানজেলো খেতে মাঝারি মাপের মিষ্টি। একে আদর করে কেউ কেউ ‘হানিবেল’ বলেও ডাকে। চেরী পেয়ারার গাছটি বেশ ছোটখাট হলেও এবার ফুল ফোটাতে ভোলেনি সে। ছোট ছোট গুটিকয় পেয়ারা ধরেছে গাছে। চেরী পেয়ারার আকৃতি ঠিক চেরীর মত অতটা ছোট নয়। বাইরে সবুজ আর ভেতরে গোলাপরঙা চেরী পেয়ারা নুন মরিচ ছিটিয়ে খেতে বেশ লাগে। ডালিম গাছটি ফুলে ফলে ভরে আছে। দেশে ডালিম গাছ দেখিনি বলতে গেলে। পশ্চিমে ডালিমের কদর ভারী, দামও বেশ। একটি ডালিম তিন ডলারে বিকোচ্ছে এখানে। ডালিমের রসের সুখ্যাতি আরো বেশী তার নানান গুণের কারণে। কেফির লাইম পাতার খ্যাতির শেষ নাই। লাইমগুলো দেখতে বদখত হলেও পাতার সুরভিত গুণের কারণে নানান দেশের হেঁশেলে তার আদর। টম ইয়াম সু্যপতো কেফির লেবুপাতা নইলে চলবেই না। পশ্চিমে কেফির লেবু কেউ খায় না। সিডনীর বাজারে এর পাতা বিকোয় না কিন্তু আটলান্টাতে এক সময়ে আমরা এটি পঁচিশ ডলারে এক পাউন্ড কিনতে পারতাম, এখন সেটিও মেলেনা।

বহুকাল আগে আটলান্টাতে আমার একখানা এলোভেরা গাছ ছিল। তলোয়ারের মত বড় বড় রসালো পাতায় কাঁটা ছিল তার। আমার যত্নের আতিশয্যে সাধের এলোভেরাটিকে বেশী দিন বাঁচানো যায়নি। দেশে এলোভেরাকে ঘৃতকুমারী বলে জানে। এখানে দেখি এলোভেরার জুস খায় অনেকেই; বিশেষত সুন্দরী মেয়েরা এই ঘৃতকুমারীর সবিশেষ সমঝদার। এরা কি ঘৃতকুমারী খায় বলেই কি সুন্দরী, নাকি সুন্দরী বলেই ঘৃতকুমারী খায় সেটি অবশ্য আজো জানা হলোনা। আমি একদিন তাজা এলোভেরার রস পান করবার চেষ্টা করেছিলাম। কেমন যে পিচিছল একটা স্বাদ! আমাদের কান্ডকীর্তি দেখে বন্ধুরা বললো, বাড়িতে লাউ কুমড়ো কইরে? দুটো পুঁই ডগা কিংবা তিনটে বেগুন নইলে বাঙালী বাড়ি হয় নাকি আবার! আমি কারো টিপ্পনিতে কান দিইনা। সজনে ডাটা কিংবা কুমড়ো ছেঁচকি রাঁধতে চাইলে কোন রকমে একবার লাকেম্বাতে চলে যেতে পারলেই হয়। স্বদেশী খালাম্মারা সেখানে মাছ-পটলের দোলমা থেকে কলিজি সিংগারা অবধি নিয়ে বসে আছেন। দেশের জলপাই থেকে শুরু করে থানকুনি পাতার রস অবধি মেলে লাকেম্বার দোকানপাটে। তাই লাউডগি আর ধনেপাতা চাষাবাদের ভার অন্যের কাঁধে চাপিয়ে আমি নিশ্চিত থাকি এবার। গেলবার পুঁই, জুকিনি, লাউ কুমড়ো ইত্যাদি বহুবিধ শাকপাতার আবাদ করেছিলাম। দিনশেষে মশার উৎপাতে পারগোলাতে বসে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়তো। খানাপিনা নিয়ে বাঙালীর ভাব আর ভাবনার সীমা নাই। আম বাঙালী দিনের এক চতুর্থাংশ সময় হয় নিজে খাওয়ার কথা ভাবে, নয়তো কাউকে খাওয়ানোর কথা ভেবে আকুলিবিকুলি করে। নিজেরা ভোজনবিলাসী হলেও নিত্যদিন হেঁশেলটিকে ঠিক আপন ভাবতে পারিনা। আমাদের মত ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষের জন্য শাকপাতা, আলু মূলো, ফল ফলাদি তাই আশির্বাদ হয়েই এসেছে পৃথিবীতে। সূর্যের তেজ খানিক কমে এলে এরাবিকার পেয়ালা হাতে সুকুমার রায়ের সন্দেশ নিয়ে বসি। জীবনে তিতকুটে করলা আছে জানি; তবে মজাদার সন্দেশও আছে বৈকি!

কলেজে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাগানে কাজ করতে হতো আমাদের। সকালের খাবারের পর সাদা সালোয়ার কামিজ পরে বাগানে যেতাম দলবেঁধে। জুনিয়র ক্যাডেটরা আগাছা পরিষ্কার করতো, বড় বোনেরা ঘুরেফিরে তদারক করতেন মাঝেমধ্যে। প্রতিবার ছুটির শেষে বাড়ি থেকে আমরা একটা গাছ নিয়ে কলেজে ফিরতাম। পরদিন প্রিন্সিপ্যাল স্যারের উপস্থিতিতে মহা আড়ম্বরের সাথে বৃক্ষরোপণ অভিযাত্রায় সামিল হতাম আমরা। নিজেদের লাগানো গাছে পানি দিতাম ছুটির দিনে। আমার একটি পেয়ারা গাছ কলেজ থেকে বের হওয়ার সময়ে মাথা ছুঁই ছুঁই উচ্চতায় চলে গিয়েছিলো। পরে শুনেছিলাম, সব গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছিল আমরা চলে আসার পরপরই।

কারপোর্টের দক্ষিণে লতানো যুঁথির গাছটি বেড়ে উঠলো বলে। পাশেই অ্যাগাভে এটেনুয়াটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের শহরে কোথাও এটেনুয়াটা দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অস্ট্রেলিয়াতে যখন প্রথম এটি দেখি, আচমকা মনেহলো, আরে! এতো দেখি পুরো গাছটাই একটা সবুজ বড় ফুল! পাতায় পাতায় তার মুগ্ধতা! অ্যাগাভে এটেনুয়াটাকে বলে বাগানের শোভা। অস্ট্রেলিয়ার বাড়িতে অন্য গাছপালা না থাকলেও দুই একটা অ্যাগাভে এটেনুয়াটা থাকবেই। অ্যাগাভে এটেনুয়াটার নানারকম বাহারি নাম আছে। এই গাছের ফুলের রূপটি মরাল গ্রীবার মত বলে কোথাও একে বলে ‘সোয়ানস নেক’ আবার কোথাও বা একে ‘লায়নস টেইল’ বলে জানে লোকে। অ্যাগাভে এটেনুয়াটার ফুল ফোটাতে অনেক বছর লেগে যায় বলে একে সেনচুরী গাছও বলে কেউ কেউ। এক একটি অ্যাগাভে এটেনুয়াটার ফুল ফোটাতে দশ থেকে বারো বছর অবধি লেগে যেতে পারে। রাজহংসীর গ্রীবা সদৃশ বিশাল ফুল ফোটার পর মা গাছটি মরে যায়; মা গাছের আশেপাশে ততোদিনে অবশ্য অনেক ছা গাছ জন্মে যায়।

আটলান্টার বাড়ির পোরটিকোতে দেশী পাটের শিকেয় রঙবেরঙের পিটুনিয়ার চারা ঝুলিয়েছিলাম। আদরযত্ন পেয়ে সেবার গ্রীষ্মে টব উপচে ফুল ফুটলো। বেগুনী, গোলাপী আর লাল সাদা পিটুনিয়াতে রঙীন হয়ে উঠলো আমাদের বারান্দার ঝুলন্ত বাগান। হঠাৎ একদিন গাছে পানি দিতে গিয়ে দেখি পিটুনিয়ার পাতার ঝোপে ক’খানা খড়কুটোর মাঝে দুটি ডিম। কোন এক বোকা পাখির কান্ড! আমরা গাছে পানি দেয়া বন্ধ করে দিলাম। বেশী দরকার না পড়লে পোরটিকোতে কোণের দিকে যাইনা। গ্রীষ্মের খরতাপে আমার সাধের পিটুনিয়া শুকিয়ে দড়ির মত ঝুলে রইল। কিছুদিন পর কচি কন্ঠের কিচিরমিচিরে বুঝতে পেরেছিলাম নতুন প্রাণের আগমন ঘটেছে।

১১ টি মন্তব্য : “লতাগুল্মের গালগল্প”

  1. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    খুব সুন্দর পোস্ট। গোছানো লেখা, সুবিন্যস্ত সুপরিচর্যাকৃত বাগানের মতই।
    ভাল লাগা কিছু কথাঃ-
    আমরা কৃষিপ্রধান দেশের মানুষ; এক মুঠো মাটি পেলে আবাদ করতে ভুলি না; সে নাইট কুইন হোক কিংবা ঝিঙেফুল! - 🙂
    মেহেদি আর তুলসীতে মিলে এরপর বহুকাল ভাব ভালবাসা ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কখনো সামাজিক সম্পর্ক বিনষ্ট করে নাই। - :clap:
    এরা কি ঘৃতকুমারী খায় বলেই কি সুন্দরী, নাকি সুন্দরী বলেই ঘৃতকুমারী খায় সেটি অবশ্য আজো জানা হলোনা - 🙂
    রাজহংসীর গ্রীবা সদৃশ বিশাল ফুল ফোটার পর মা গাছটি মরে যায়; মা গাছের আশেপাশে ততোদিনে অবশ্য অনেক ছা গাছ জন্মে যায়। -
    কিছুদিন পর কচি কন্ঠের কিচিরমিচিরে বুঝতে পেরেছিলাম নতুন প্রাণের আগমন ঘটেছে -

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কবি। লেখা প্রকাশ করে মনেহলো, আরও অনেক গাছপালার কথা বলা হয় নাই। বাড়ির ভেতরকার হাউস প্ল্যান্ট বাদ পড়েছে আমার লতাগুল্মের গল্পে। ব্রমেলিয়াড, পিস লিলি, লাকি ব্যাম্বু শুট, নানা রঙের গৃহবাসী ক্যাকটাস আর ইউকার কথা বলা হয় নাই। বহুদিন আগে একটি বনসাই এর মৃত্যু ঘটেছিল আমার হাতে। বামুন সব গাছের যত্নআত্মি করতে শিখি নাই; আতিক বনসাই কিনে নিয়ে এলো শখ পূরণ করতে। কিচেনের জানালার ঝুলে আছে নাম না জানা ক্ষুদ্রকায় সব সাকুলেন্ট। আকাশপাতাল মিষ্টি আম খেয়েছিলাম কিছুদিন আগে। ভাবলাম, কিউট একটা আম গাছ থাকলে মন্দ হতো না বাড়িতে। ব্যাকইয়ারডে সার বেঁধে আমের আঁটি বুনেছি মাটি খুঁড়ে। সকাল বিকাল পানির বন্যা বইয়ে দিই। আজ অবধি একটি আঁটি থেকেও চারা বেরোলো না।

      জবাব দিন
  2. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    অনেক গোছানো এবং সাবলীল বর্ণনারএকটা লিখা হয়েছে। বাড়ীর আশপাশকে চমৎকার করে উপস্থাপন করেছো আপু। পুরোই রোমান্টিক এবং নস্টালজিক। :clap:

    জবাব দিন
  3. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এরকম একটা লিখায় কিছু ছবি থাকলে আরও ভাল লাগতো।
    এক লহমায় মনের মধ্যে গেঁথে যেতো তা।
    তুমি দাও নাই তো কি হয়েছে, আমি আছি না?
    দিয়ে দিচ্ছি...
    Agave attenuata (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      তোমার ছবি আমার ব্লগটিকে পূর্ণতা এনে দিল, ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। আমার সবচাইতে বড় আকারের এ্যাটেনুয়াটার সাইজ প্রায় এমনই। মাঝারি মাপের আরো বেশ কয়েকটি গাছ আছে এদিক ওদিক। এ্যাটেনুয়াটার স্টেমগুলো সাধারণত মাটি থেকে এক হাত বা তারচেয়ে খানিক লম্বা হয়।

      জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      পরিপূণর্ বয়েসে এ্যাটেনুয়াটার ফুল আসে। বয়েসের ভারে ততোদিনে তার রূপে ভাটা পড়ে যায়। সোয়ানস নেকের ফুল হয় দেখবার মত, যদিত্ত আশেপাশের বাগানে ম্যাচিওর এ্যাটেনুয়াটা কদাচিৎ চোখে পড়ে! ফুল দেখলে বুঝতে পারি এবার বিদায় বলার পালা এসেছে!

      অনেক ধন্যবাদ ছবিটির জন্য।

      জবাব দিন
  4. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

    পশ্চিমে পিটুনিয়ার খুব জনপ্রিয়তা। তোমার ছবিটির মতই এখানে নানান রঙে পিটুনিয়া পাওয়া যায়। পশ্চিমের অধিকাংশে ফুলের মতই পিটুনিয়া দেখতে সুন্দর হলেও এর কোন সুবাস নাই।

    পিটুনিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।