মুসলিম ইন আমেরিকা-১: এট্‌ দি এয়ারপোর্ট

সকাল ৭:৪০, ২৪শে মে, ২০০৯
বসে আছি ল্যাম্বার্ট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ইন সেইন্ট-লুইস
ট্রিপ প্ল্যানঃ সেইন্ট-লুইস টু সিন্সিনাটি টু নিওইয়র্ক টু আবুধাবি টু ঢাকা!!!!!! :awesome:

কিছুক্ষন আগে সিকিউরিটি চেক পার হয়ে আসলাম। আমার খুব একটা অসুবিধা হয় নি, আব্বুকে হাল্কা স্পেশাল চেক করল…হয়ত ফার্স্ট নেম “মুহাম্মদ”
দেখে…সে যাই হোক…এইসব কোনো ব্যাপার না…
অনেকেই হয়ত ভাবছেন…মুসলমান হিসেবে আমেরিকান এয়ারপোর্টে আমাদের ডিসক্রিমিনেট করা হচ্ছে…এটাকে আমি এত হাল্কা ভাবে কেন নিচ্ছি…হ্যাঁ, এটা
সর্বজনবিদিত যে, এয়ারপোর্টের মত কিছু হাই-প্রাইওরিটি জায়গায় মুসলমানদের একটু অতিরিক্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তবুও আমি বলব, ওভারঅল
আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটি বেশ ভালই আছে। সারপ্রাইজ্‌ড??? আমার চার বছরের আমেরিকার আভিজ্ঞতা থেকে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি,
আমেরিকাতে বসে আমি যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পেয়েছি, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে (বিশেষ করে মুসলিম
দেশগুলোতে) তা বর্তমান সময়ে পাওয়া দুস্কর। উদাহরন? তুরস্কের কথাই বলি…

দুপুর ২:০৯
বসে আছি সিন্সিনাটি এয়ারপোর্টে, ফ্লাইট ডিলে হয়েছে ২ ঘন্টা…ধুর!!! :thumbdown:

তো যাই হোক…তুরস্কের কথা বলছিলাম…মুসলিম মেজরিটি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে হিজাব পরা মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারে না। অথচ আমেরিকাতে
এইরকম কোনো আইন নেই। বেশ কিছুদিন আগে, আমেরিকার একটি স্কুল এক মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরতে বাধা দেবার চেষ্টা করছিল কিন্তু আমেরিকার
ফেডারেল কোর্ট অবশেষে সেই ছাত্রীর হিজাবের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হল, যেখানে একটি মুসলিম প্রধান দেশ আইন বানিয়ে
একটি মুসলিম ট্রেডিশনকে দমনের চেষ্টা করছে, সেখানে আমেরিকার কোর্ট সেই মুসলিম ট্রেডিশনটিকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

আরো কয়েকটি উদাহরণ দেইঃ দাঁড়ি রাখা নবীজির একটি সুন্নাত। কিন্তু মিশরে সরকারীভাবে এই দাঁড়ি রাখার বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা চালানো হয়। আমি
আরো শুনেছি যে, কেউ লম্বা দাড়ি রাখলে মিশরে তার বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু, আমেরিকায় এসে কেউ হাঁটু সমান দাঁড়ি রাখলেও তার বিরুদ্ধে
সরকারের কোনো আক্রমনাত্নক পলিসি নেই। মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশে (সম্ভবত সিরিয়া), যারা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে, তাদেরকে
নাকি সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ জেলে ধরে নিয়ে যায়। আমি আমেরিকাতে বসে প্রতিদিন ২-৩ ওয়াক্ত নামাযে মসজিদে যাচ্ছি বিনা ভয়ে। এইসব
উদাহরণ এর মাধ্যমে আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে, ধর্ম-কর্মের ব্যপারে মুসলমানরা আমেরিকাতে বসেই বেশী সুবিধা ভোগ করছে। অধিকন্তু, আমেরিকা সামান্য
কিছু দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে সুন্নি ও শিয়ারা বসবাস করছে একে অন্যের অধিকারহরন অথবা রক্তক্ষরণ না করে।

এর পর আসা যাক দুর্নীতি আর ঘুষের কথায়… দেশে থাকতে ‘ইসলাম শিক্ষা’ ক্লাসে একটি হাদিস পড়েছিলাম, “ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামী”।
আমাদের দেশে ঘুষ না দিয়ে কাজ হয় এমন সরকারী প্রতিষ্ঠান একটাও আছে কিনা সন্দেহ। ড্রাইভিং লাইসেন্স, জমি রেজিষ্ট্রেশন,
ফোন লাইন নেয়া…একটি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য যেই বেসিক জিনিসগুলো দরকার… কোনটাতেও?

বিকাল ৪:৩১
বসে আছি ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বয়িং ৭৩৭ এ , ক্রজিং অল্টিটিউডঃ ৩৯০০০ ফিট

তো যা বলছিলাম, বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষ একটি সাধারণ লাইফ লিড করতে চাইলেও জীবনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে কোনো না কোনো
জায়গায় ঘুষ দিতে হবেই…ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক। ড্রাইভিং লাইসেন্স, জমি রেজিষ্ট্রেশন, ফোন লাইন এর মত জিনিসগুলো একটি মানুষের জীবনে
অনেকটা বেসিক নিডের মত, আর এইসব ক্ষেত্রে ঘুষ না দিলে বাংলাদেশে কিছুই হয় না…সুতরাং এইসব ক্ষেত্রে ঘুষ খাওয়ার মাধ্যমে দুর্ণীতিবাজ আমলারা
শুধু নিজেদেরই ক্ষতি করছেনা, অন্যান্য মানুষদেরও পাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ মুসলিম দেশগুলোর একই দশা।
এখন আসা যাক আমেরিকার কাহিনীতে। আমেরিকাতে ঘুষ একেবারে নেই তা আমি দাবি করব না, কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ তার ড্রাইভিং লাইসেন্স,
জমি রেজিষ্ট্রেশন, ফোন লাইন, স্কুল ভর্তি ইত্যাদির মত বেসিক নিডগুলো পূরণ করতে একটি টাকাও ঘুষ দিতে হয় না…সুতরাং ঘুষের দিক থেকে বিবেচনা
করলে, একজন মানুষের পক্ষে আমেরিকাতে বসে ইসলামানুযায়ী জীবনযাপন করা সহজতর।

সকাল ৭:২৪
বসে আছি ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস এ-৩৪৫ এ (অফটপিকঃ খুব ভাল এয়ারলাইন্স, আম্মুর এক বন্ধুর সুবাদে বিজনেস ক্লাসে সিট পেয়েছি)

ওভারঅল, আমেরিকার চার বছরের আভিজ্ঞতা থেকে আমি বলব, এয়ারপোর্টের মত কিছু জায়গায় সামান্য ডিসক্রিমিনেশেন থাকা সত্ত্বেও,
আমেরিকান মুসলিমরা বেশ শান্তিপূর্ন জীবনযাপন করছে। And as a muslim, I would rather live in America than any
other muslim country in the world.

এই পর্বটা এইখানেই শেষ করছি। পরবর্তী দুটি পর্ব হবে আমেরিকার বিশেষ দুইজন মুসলিম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে। উনারা উভয়ই আমেরিকান খ্রীষ্টান
পরিবারে জন্মগ্রহন করেছেন এবং ইসলাম ধর্মের সাথে পরিচিত হবার পর মুসলিম হয়েছেন এবং আমার মতে, তাঁরা বিংশ শতাব্দীর সেরা মুসলিম
ব্যক্তিত্বের কাতারে পরেন। পড়ার আমন্ত্রন রইল।

২,৭০২ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “মুসলিম ইন আমেরিকা-১: এট্‌ দি এয়ারপোর্ট”

  1. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এতদিন সবাই অ্যামেরিকায় মুসলিমদের ডিসক্রিমিনেশন নিয়েই বলত। আপনি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বললেন। সবকিছু অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন। খুব ভাল লাগল। অ্যামেরিকায় ব্যক্তিস্বাধীনতা সত্যিই ঈর্ষনীয়।

    জবাব দিন
  2. খুবই ভালো লাগল ভাইয়া।
    এই রকম ব্যক্তিস্বাধীনতা সত্যিই ঈর্ষণীয়। আমি মুহাম্মদের সাথে একমত.........

    পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂

    বিভিন্ন মুসলিম দেশের অধিকর্তারা যে আইন দিয়ে এবং পৃষ্ঠপোষক হয়ে মুসলমানদের মূল কাজকর্মগুলোতে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে--- তার নজীর আগেই কমবেশি শুনেছি এবং তা সর্বজনবিদিত। 🙁 🙁

    জবাব দিন
  3. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে মুসলমানদের অবস্থান(সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষিতে আমেরিকায়) জানতে পারছি। খুবই ভালো লাগল লেখাটা পড়ে। আমি সব আইনের সাথে পরিচিত নই বলে কোন পক্ষ নিচ্ছি না এখনই। পরবর্তিতে একটু পড়াশুনা করে এই ব্যাপারে কিছু লিখব আশা রাখি।

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমেরিকার ব্যক্তিস্বাধীনতার কতাহা শুনে ভাল লাগল।তবে সিরিয়া বা মিশরের ঘটনাগুলো আরেকটু ভাল সোর্স দিতে পারলে ভাল হত-৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য একটি মুসলিম দেশে জেলে যেতে হয় এটি একটি এক্সট্রাওর্ডিনারি ক্লেইম,এর জন্যে এক্সট্রাওর্ডিনারি প্রমাণের খুব প্রয়োজন-নতুবা ভুল ধারণার উদ্ভব হতে পারে।

    অফ টপিক-শাহেদ,ভাবিস না যে তোর লেখার সমালোচনা করছি,আসলে আমি নিজে অনেক ধরণের আনুমানিক ধারণাকে সত্যি ভেবে পরে ধরা খাইসি দেখে লিখলাম-আশা করি কিছু মনে করবি না।আর তোর ফোন নাম্বারটা দে-যোগাযোগ করব+বাসায় দাওয়াত খাওয়াব(আম্মু খুব ভাল রান্না করে) 😀

    জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ঠিক বলেছো, আমেরিকায় ব্যক্তি স্বাধীনতা ঈর্ষনীয়।

    কিন্ত তবুও, আমি আমেরিকা যেতে ভয় পাই। হালাল খাবার পাব কই? নামাজ পরবো কোথায়? এইসব হাবিজাবি চিন্তা। 🙂


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      পচ্চুর হালাল খাবারের দোকান পাবেন, এমনকী রেগুলার ব্রান্ডেড ফুড ষ্টোরগুলোতেও মাঝে মাঝে হালাল খাবার রাখতে দেখা যাচ্ছে আজকাল।


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  6. সালাম।

    সুন্দর ১টি লেখা।***

    জাপানে এসে প্রথম উপলব্দি করলাম ইসলাম কি ও মুসলমানদের কেমন হওয়া উচিত।

    জাপানীজ রিভার্টেড মুসলমানদের দেখে নিজের অবস্থা চিন্তা করে লজ্জ্বায় পড়ে যাই।

    আমাদের ভার্সিটিতে ২০০২-এ পর্যন্ত ৮জন জাপানীজ ও ১জন আমেরিকান ইসলামে রিভার্টেড হয়েছে। ওদের জন্য ইসলাম অনেক সহজ মনে হয়েছে কারন আগে ওদের ঈমান না থাকলেও আমল(কর্ম) খুবই ভাল ছিল।আর আমার ঈমান কিন্চিৎ থাকলেও আমল নেই বলে ওদেরকে দেখলে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়।

    ভাই শাহেদ, যদি পারেন ইউসুফ এস্টেসকে নিয়ে একটা লেখা আশা করি।

    জবাব দিন
  7. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    লেখাটা ভাল লেগেছে। আমারও সেরকমই ধারনা ছিল। অমুসলিম দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মচর্চা অনেক সহজ, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে।

    তবে মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মচর্চার আসুবিধাগুলো প্রমানসহ উপস্থাপন করলে ভাল হত। সেক্ষেত্রে হয়ত আমরাও বিষয়টা নিয়ে অন্যদের সাথে যুক্তি তর্কে যেতে পারতাম।

    জবাব দিন
  8. জাহিদ (১৯৯৭-২০০৩)

    দোস্ত, খুব ভাল একটা লেখা...আমেরিকার মত একটা ইহুদীশাসিত দেশে প্রবাসী মুসলিমদের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার সুযোগ দেখে ভাল লাগল... :thumbup: :thumbup: :thumbup:
    আশা করি পরবর্তী পর্বে প্রবাসীদের ধর্মচর্চার পথে অন্তরায়গুলোর অবতারণা থাকবে...

    জবাব দিন
  9. মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

    খুব ভাল লাগলো ভাইয়া লেখাটা পড়ে।আমেরিকা নিয়ে অনেক নতুন কিছু জানলাম।আর মিশর এর ঘটনাটা আমি ও আগে শুনেছি।ওখানে দাড়ি রাখলে আসলেই অনেক গ্যাঞ্জাম করে।
    ভাইয়া,আমরা আসলে ইসলামের বেসিক জিনিস থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি।আসল জিনিষ নিয়ে মাথে না ঘামিয়ে আলতু ফালতু জিনিষ নিয়ে বেশি নাচি।

    জবাব দিন
  10. রহিমা আফরোজা নূপুর (৯১-৯৭)

    আপনার পোস্ট টা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলেই আমেরিকাতে অনেক বেশি ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। এখানে মুসলিমদের অবাধ ধর্মচর্চার সুযোগ আছে যা কি না অনেক মুসলিম প্রধান দেশেও নাই। বড় শহরগুলোতে বিশাল সব ইসলামিক স্কুল আছে, ছোট শহরে মসজিদ তো আছেই প্লাস প্রতি রোববারে সান ডে স্কুল হয় যেখানে ছোট বাচ্চাদের কোরান শিক্ষা দেওয়া হয়। টিচার চা সব ভলান্টিয়ার করেন সেখানে।
    নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরীতে যেতাম পড়তে, সেখানেও কোয়ায়েট যোনে ছিল মুসলিমদের জন্য নামাজ পড়ার জায়াগা।

    সবচেয়ে ভালো লেগেছে এখানে মেয়েরাও যে মসজিদে যেতে পারে এবং জামাতে নামাজ পড়তে পারে। যেটা আমাদের দেশে সম্ভব না। ঈদের জামাতে গিয়ে দেখি হাজারো দেশের হাজারো মুসলিম সবাই একই সাথে নামাজ পড়ছে, কি যে ভালো লাগে তখন!

    আমেরিকার মুসলিম কমিউনিটি অনেক স্ট্রং হচ্ছি দিন দিন।আমার ১০ বছুরে ভাস্তি যতগুলা সুরা পারে বা যেভাবে কোরান স্টাডি গ্রুপে পার্টিসিপেট করে, (সমবয়সী বাংলাদেশে আমার আরেক ইংলিশ স্কুলে পড়া ভাগ্নি সারাদিন দ্যাখে 'হানা মন্টানা', আরবী পারেনা/পড়তে ভালো লাগেনা!) তা দেখে খুব ভালো লাগে।

    তিন বছর আমেরিকায় থেকে এটাই অনুধাবন, এটলিস্ট ধর্মচর্চা করতে পারবেন এইখানে নির্দিধায়!

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    শাহেদ, খুব সুন্দর একটা লেখা।
    আমেরিকার ব্যাপারে হয়ত আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। তোমার লেখা পড়ে সেই ব্যাপারগুলোয় দৃষ্টিপাত করা সম্ভব হবে।
    পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দিয়ে দিও।

    জবাব দিন
  12. সামির (৯৯-০৫)

    আমার scc-র ফ্রেন্ড নাঈম,নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ আসছে।ওকে জিজ্ঞেস করলাম অইখানে সমস্যা হয় কেমন? ও বলল ঐখানে কোন সমস্যা হয়না,বরং এইখানে আসার পর বর্ণ বৈষম্যের শিকার হইতেছে।আমার বলার উদ্দেশ্য হইল,এত দূরে না যেয়ে আমাদের নিজেদের কথা একটু চিন্তা করি।আমরা নিজেরা কি ঠিক আছি? আমরা কি মুসলিমদের স্বাভাবিক ভাবে নেই? আমার সামনে কোন মুসলিম আসলে আমরা তাদের কি বলি? কারো দাড়ি দেখলে কি বলি? কেউ পাঞ্জাবি পরলে কি বলি? ৫ ওয়াক্ত মসজিদে গেলে কি বলি!! কোন মেয়েকে স্কার্ফ পরতে দেখলে কি বলি? আজ আর্মিতে ৩৫% লোক দাড়ি রাখার জন্য কজন হিন্দু চিন্তা করে আর ক্জন মুসলমান কমেন্ট করে? আমার নিজের কথাই বলি। আমাকেই সবাই স্বাভাবিক ভাবে নেয়না। আর যারা সুন্নতের উপর চলে তাদের দোষটাই যেন সবার চোখে সবচে বেশি লাগে। এরাও যে মানুষ, এদেরও যে ভুল হতে পারে এটা তারা ভুলেই যায়। উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে‍ আরো অনুৎসাহিত করা হয়। আশা করি সবাই এ ব্যাপারগুলো ভেবে দেখবেন।

    জবাব দিন
  13. শাহেদ_৯৭-০৩

    সামিরের বন্ধু, নুপুর আপা, সাইফুল্লাহ ভাই...সবাই আমার মনের কথাগুলো বলেছেন...ধন্যবাদ আপনাদেরকে...

    যারা আমার তথ্যগুলোর source জানতে চেয়েছেন, আমি খুবই খুশি হতাম যদি আমার পক্ষে কোনো বইয়ের/ আর্টেকেলের নাম দেয়া সম্ভব হত...কিন্তু আমি এগুলো মসজিদে বসে একজনের কাছ থেকে শুনেছি...তিনি নিশ্চই মসজিদে বসে atleast মুসলিম দেশের কুৎসা রটাবেন না...

    অফটপিকঃ নুপুর আপা আমার সিনিয়র হইয়া আমারে "আপনি" বলে কেন??? আমারে কি এতই বুড়া লাগে যে ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরের সিনিয়র আপা আমারে আপনি কয়... 😕

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শাহেদ_৯৭-০৩

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।