রেল লাইনের মত স্বপ্ন পর্ব (৫-৮)

রেল লাইনের মত স্বপ্ন
পর্ব ৫

একটা বিরাট বিল্ডিংয়ের সামনে বহু মানুষ জমা হয়েছে। এটা কি সেই শপিং মল? মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধ চলছে! চারিদিকে গুলির শব্দ, মানুষের চিতকার। আমি কোনমতে গলা বাড়িয়ে সবাইকে বললাম “এখানে কোন হাসপাতাল আছে? প্লিজ আমাকে নিয়ে চলুন!” কিন্তু কেউ শুনে না আমার ক্লান্ত গলার ভাংগা আওয়াজ। উলটো ভয় পায় আর বলে “আপনার পায়ে কি হয়েছে? রক্ত ঝরছে কেন?”
তখনি রফিক সাহেবকে দেখলাম একপাশে চুপ করে দাঁড়ানো। দেখে মনে হল, এই লোকটাই পারবে হয়ত আমার অনুরোধ রাখতে! জোর গলায় ডাক দিতে প্রস্তুত আমি। কিন্তু কিছুই বলতে পারিনি উনাকে। টলে পড়ে গিয়েছিলাম ঠিক তার সামনে। ওই ভয়ংকর সময়ের বাধা পেরিয়ে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। কিভাবে, কার সাহায্যে- এসব কোন জবাবই তিনি আমাকে আজো দেননি। খুবি মুখচোরা মানুষ তিনি।
আমাকে শেষ মূহুর্তে রক্ত দিয়ে, অপারেশন করে,বহু সাধনা করে বাচানো গেলেও আমার সন্তানকে বাচানো যায়নি। ৭ মাসের অনাগত সন্তানটির অনাগমনে পৃথিবীর কোথাও কোন পাতাটি পর্যন্ত নড়েনি। কেবল বুকের মাঝখানে আজীবন কষ্টের একটা নদী জন্ম নিল আমার বুকে।
২১ দিন কেটে গেল। কত ভেবেছি রাতুল আসবে! তন্ন তন্ন করে আমাকে খুজে বের করবে! ঝাপ দিয়ে জড়িয়ে ধরব! ছেলের মৃত্যুতে সে হয়ত ভেঙ্গে পড়বে।তবুও তার বুকে মাথা রেখে আকুল হয়ে কাদব।
“কি ভাবছেন এতো?” রফিক সাহেবের কন্ঠে ধ্যান ভেঙ্গে গেল।
আমিঃ কই কিছু না তো!
রফিকঃ ডাক্তার বলেছে পায়ের সবটুকু ভালো হতে আরো লম্বা সময় লাগবে। কিন্তু ভয় নেই।ওষুধটা নিয়ম করে খেতে হবে।
আমিঃ আমার পা ভালো হবে না আমি জানি
রফিকঃ হবে নিশ্চয়ই হবে
রবার বুলেটের তীব্র আঘাতে আমার ডান পা একেবারে অকেজো।আমি নিজেই বুঝি। অথচ এই নিরীহ লোক টা কি প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাকে সান্তনা দেবার!
রফিকঃ অবশেষে ডাক্তার সাহেব রাজী হয়েছেন। আজ আপনি বাসায় যেতে পারবেন।
কোথায় যাব আমি? রাতুলতো আমাকে আর ভালোবাসে না। ওখানে ফিরে যাবার মানে হয় না আর। একটাবার খুজতে পর্যন্ত এলো না। হয়ত আমার মৃত্যুতেই তার মুক্তি! নিজের বাড়িটা ভাড়া দিয়েছি। অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে বুক কেপে উঠল আমার।সন্তানটাও রইল না।কি আশায় বেচে রব আমি!
হাসপাতালের বিশাল অংকের বিল চুকিয়ে আমাকে রিলিজ করলেন রফিক সাহেব।বাতাসের আগে হনহন করে হেটে যাওয়া আর হল না। ক্রাচে ভর করে কি আর হরিণীর মত ছুটে চলা যায়!
রফিকঃ আপনার বাসার ঠিকানাটা বলেন, আমি ট্যাক্সি ঠিক করে আনি।
আমিঃ আমার কোন বাসা নেই। আপনার বাসায় কি জায়গা হবে আমার? পা টা ভালো হলেই চলে যাব। ভাবী কি রাগ করবে?
রফিকঃ বাসা নেই মানে? রাতুল সাহেবের বাসা কি আপনার বাসা নয়?
আমিঃ এখন মনে হয় আর নেই
রফিকঃ আমিতো মিথ্যা করে বলেছি আমার বউ আছে। নয়তো হাসপাতালের সবাই সবসময় পাশে থাকা দেখে, কিছু ভাবতেও পারত।নানা প্রশ্ন হত।আমিতো একা থাকি।আপনি কিভাবে থাকবেন আমার বাসায়? এতিম আমি। বাবা মাও নেই।
আমিঃ তাহলে কি উপায়! এই রাস্তাতেই ছেড়ে যান আমাকে।
রফিকঃ তা কি আর হয়! ঠিক আছে চলেন দেখি। বাড়ীওয়ালা আন্টীকে বুঝানো যায় নাকি

রেল লাইনের মত স্বপ্ন
পর্ব ৬

কাঠালবাগানের ছোট্ট বাসাটা রফিক সাহেব এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন যে, দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়।সামনেই খোলা ছাদ। আর তাতে একের পর এক শুধু গোলাপের টব। যতদূর চোখ যায়, শুধুই টকটকে লাল গোলাপ চোখে পড়ে।চোখে চশমা পড়া এই লোকটার চোখে যে কত রহস্য লুকিয়ে আছে, কে জানে!
রফিকঃ আপনি বসুন। আমি চা করে আনি।আমার বন্ধুরা আমার চা ভালো বলে।
ক্রাচে ভর করে সারাটা ছাদ ঘুরে বেরালাম।চা খেলাম। খোলা আকাশের নীচে কতকাল এভাবে হাটিনি।নিজেকে মুক্ত পাখির মত লাগছে।খানিকটা আহত মুক্ত পাখি!
সন্ধ্যায় বাড়ীওয়ালী আন্টী এলেন।বুড়ো মানুষ, তাও এতো চটপটে।দেখেই বোঝা যায় বেশ ফিটফাট মানুষ।
বাড়ীওয়ালী আন্টিঃ কি গো বাবা, কতদিন হয় দেখা কর না।তোমার আঙ্কেল বলে তুমি নাকি বাসায় এসেই চলে যাও। তাই আমিও আর আসিনি।এইটা কে?
রফিকঃ ইনি হলেন…ইয়ে মানে…
বাড়ীওয়ালী আন্টিঃ ও বুঝছি। তা কবে বিয়ে করলা?
রফিক সাহেব ইতস্তত করে কিছু বলার আগেই আমি বললাম “এইতো ২ মাস হলো। আমার পায়ে একটা অপারেশন হয়েছিল। তাই একটু ব্যস্ত ছিলো। আসলে আন্টী আমরা বাবা মাকে না বলেই…” লাজুক লাজুক হাসি দিয়ে কোনমতে আন্টীকে বিদায় করা গেল।
রাতের রান্নাটা রফিক সাহেব ভালই করলেন। খিচুড়ী আর ডিম ভাজি।কিন্তু শোয়ার ব্যাপারটা হল ঝামেলার।সোফা নেই। তাই খালি মেঝেতেই ঘুমালেন রফিক সাহেব।আর আমি পা ছড়িয়ে বিছানায়।
হাসপাতালে এসি ছিল। তাছাড়া রাতুলও আমাকে বেশ আরামপ্রিয় করে ফেলেছে। এখানে এসি ছাড়া, তার ওপর একদম ছাদে বাসা। ভীষণ গরমে তাই ঘুম হল না।সকালে আমি তাড়াতাড়ি উঠে নাস্তা বানাতে গেলাম। বেচারার অফিস যেতে না হলে দেরি হয়ে যাবে।
চুলাটা উপরে,তাই দাঁড়িয়ে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে না।রুটি বানানো শেষ। কেবল ভাজা বাকী।কিন্তু হঠাত ধাক্কা লাগল পাশের দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা ক্রাচে।ক্রাচের পড়ে যাবার শব্দে রফিক সাহেব জেগে গেলেন।
রফিকঃ কি করছেন আপনি?
আমিঃ এই তো আপনার জন্য নাস্তা বানাতে গিয়েছিলাম। অফিস যাবেন না আপনি?
রফিকঃ আমার অফিস ছুটি। আপনি ব্যাস্ত হবেন না প্লিজ। চুপ করে বসুন। ডাক্তার বলেছে পায়ে ভর না দিতে।
আমিঃ পা তো আর ভালো হবেনা। তাই ক্রাচে ভর দিয়ে কাজ করার প্র্যাক্টিস করছি
এভাবেই চলতে থাকল দিন। রফিক সাহেব এখন শুধু রফিক হয়ে গেছে। “তুই” হয় নি। কিন্তু “তুমি” হয়ে গেছে।খুব ভাল বন্ধু হয়েছি আমরা।
আজ ৯ দিন হলো শুনি অফিস ছুটি। কেমন সন্দেহ লাগল।অবশেষে জিজ্ঞাসাই করলাম। হেসে রফিক বলল যে, “চাকরিটা নেই”।২১ দিন অফিস না যাওয়ায় চলে গেছে।হায়! তাহলে চলবে কিভাবে!
আমিঃ ল্যাংড়া পালতে গিয়ে চাকরিটাই গেল দেখি!
রফিকঃ ল্যাংড়া না লেংড়ী
আমিঃ এখন চলবে কিভাবে? লেংড়ী কি ভিক্ষা করে খাওয়াবে?
রফিকঃ আপাতত না।একটা নতুন চাকরির চেষ্টা করি। না পেলে না হয় একটা কাঠের গাড়ি বানিয়ে নিব!
আমিঃ কাঠের গাড়ি?
রফিকঃ ঐ যে, রাস্তায় দেখ না, ল্যাংড়া ফকিররা চালায়? দুইজনে মিলে ভিক্ষা করব। তুমি বসে থাকবে। আমি ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাব।

রেল লাইনের মত স্বপ্ন
পর্ব ৭
চাকরি তো আর গাছে ধরে না যে ঝাকি দিলেই পড়বে।প্রতিদিন ঘুরে ঘুরেও কোন চাকরির হদিস মেলেনি।একদিন রুটি বানাতে এসে দেখি আটা শেষ।আরেকদিন চাল শেষ।নিজের নাস্তা বাচিয়ে রফিক এর প্লেটে তুলে দিই, তার অগোচরে।কিন্তু যেদিন শেষ এর পালা শুরু হল, তখন আর উপায় রইল না। টিনের তলার মুড়িটুকু, গুড়সহ খেয়েও দিন ফুরায় না।বাড়ীওয়ালী আন্টি বড় ভালো মানুষ।কিন্তু ২ মাসের ভাড়া বাকি পড়ায়, সেই ভালোমানুষ আর রইলেন না। সকাল বিকাল এসে নিজের কষ্টের কথা বলেন।অবশেষে একদিন বলেই দিলেন বাসা ছেড়ে দিতে।
একদম ভেঙ্গে পড়ল রফিক।নিরুপায় হয়ে গেলাম বাবার বাড়ি।বাবা-মা তো আর নেই! বিয়ের পর রহিমা খালাও নেই।বাড়ির ভাড়াটা উঠিয়ে নিয়ে আসি।২ মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
কিন্তু ভাড়া উঠাতে গিয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম।ভাড়া নাকি রাতুল তুলে নিয়েছে।সবসময় আমিই তুলি। আমি নেই, তাই হয়ত তুলেছে।
ভাড়াটিয়াঃ আপনি বেচে আছেন?
আমিঃ মানে কি?
ভাড়াটিয়াঃ রাতুল ভাই বলেছে, আপনি নাকি আক্সিডেন্টে…
আমিঃ না, আমি হাসপাতালে ছিলাম।
ভাড়াটিয়াঃ কিন্তু আমি যতদূর জানি, ভাই, পাগলের মত সব হাসপাতাল খুজেছে। আমাকে সাথে নিয়েও কয়েক জায়গায় গিয়েছিলেন
আমিঃ খুজেছে তাহলে!( মনে মনে)
ভাড়াটিয়াঃ রাতুল ভাই মনে হয় বিদেশ যাবে বলেছিল
আমিঃ ভাড়া কবে তুলেছে?
ভাড়াটিয়াঃ আপু, গত মাসে আর এ মাসেরটা গত পরশু।
আশাহত হয়ে ফিরলাম ঘরে। পানি ছাড়া কিছুই নেই আর পেটে দেয়ার মত।আমার ওষুধের পেছনেই সব টাকা চলে যায়। পা তো ভালো হবেই না। শুধু শুধু ওষুধ খেয়ে কি লাভ!
অবশেষে ১৫ দিন পর রফিক তার এক বন্ধুর অফিসে চাকরি পেল।গোলাপগাছগুলোর জন্য মায়া লাগছিল।বাসা ছেড়ে গেলে হয়ত এই গাছগুলো আর সাথে নেয়া হত না।খোলা ছাদের বাসা পাওয়া খুবই কঠিন।
এলিফ্যান্ট রোডে গিয়েছিলাম রফিকের সাথে জুতা কিনতে। হঠাত দেখলাম রাতুলকে। কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম বিয়ের পাগড়ী কিনছে।তাই চুপ করে সরে গিয়েছিলাম রফিককে সাথে নিয়ে।ভাড়াটিয়া বলল আমাকে রাতুল অনেক খুজেছে। এজন্য খুজেছে যে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায়, আমি মরেছি কি না! যাতে আরেকটা বিয়ে করা যায়!
বহুবার ভেবেছি রাতুলের কাছে সব ভুলে, চলে যাব। কিন্তু যে হাসপাতালে একবারও আসেনি আমার খোজে, যে আমার সন্তান কেবল ছেলে বলে, তাকে ভালোবাসেনি। যার কারণে আমি আজ আমার ছেলে হারিয়েছি, তার কাছে কেন ফিরে যাবো?
আজ ৪ মাস হয়ে গেছে। আমি এখনো ক্রাচে ভর করেই হাটি। রফিকের কথামত পা ভালো হয়নি।কিন্তু আমার কথামত আমি ওষুধ ছেড়ে দিয়েছি।কষ্টের পয়সা নষ্ট করে কি লাভ!
একদিন রফিকের অফিসের বন্ধু বিয়ের দাওয়াত দিল একটা কমিউনিটি সেন্টারে।আমি যেতে রাজি হইনি। কার্ডও খুলে দেখিনি।কিন্তু রফিকের জ়োড়াজুড়িতে যেতে হল।৪টা মাস একসাথে আছি। কিন্তু কোথাও কোনদিনই বেড়াতে যাইনি আমরা দুই বন্ধু।সবার সামনে ক্রাচে হাটবো ভাবতেই লজ্জা করছে। কিন্তু রফিক এতো সাভাবিকভাবে আমাকে নিয়ে ভেতরে গেল যে, আমি লজ্জিত হলাম না।

রেল লাইনের মত স্বপ্ন
পর্ব ৮
রফিক আমাকে তার সল্প আয় দিয়ে ৪ টা শাড়ি কিনে দিয়েছে।ঘরেই থাকি, ঘরেই পড়ি।ল্যাংড়া মানুষ।শাড়ি কি আর সালোয়ার কামিজ কি! দুটোতেই সমান কষ্ট হাটতে।দাওয়াত উপলক্ষ্যে গতকাল রাতেই একটা সাদা জুটকাতান কিনে এনেছে রফিক।
আমিঃ আবার শাড়ি কেন?
রফিকঃ একটা বিয়ের দাওয়াত আছে
আমিঃ লেংড়ী নিয়ে যাবার দরকার কি?
রফিকঃ আমার বন্ধু নিয়ে যাবো, কেউ যদি লেংড়ী বলে, ঘুষ দিয়ে ফ্ল্যাট করে দিব
আমিঃ কিন্তু সাদা কেন?
রফিকঃ ভেবে দেখলাম, তোমাকে সাদাতেই মানাবে। কি হল! কাদো কেন? পছন্দ হয়নি?
আমিঃ অনেক বেশি হয়েছে পছন্দ, তাই কাদি
রফিকঃ তুমি কাদলে আমার জীবন বৃথা হয়ে যায় জানো?
রফিকের চোখের কোণে লুকানো পানি।অবাক হয়ে দেখছি, কী প্রচন্ড ভালোবাসা নিয়ে কথাগুলো বলছে এই লোকটি! ভয় লাগছে ভীষণ। রফিক কি সত্যি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে!
কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছি বহুদিন পর। সর্বশেষ রাতুলের সাথে তার ছোট খালার ছেলের বিয়েতে গিয়েছিলাম। রাতুলের সাদা রঙ পছন্দ। কিন্তু বিয়েতে শাদা রঙ তখন কেউই পড়ত না। আর এটা নিয়ে রাতুলের ছিল রাগ। আমি দুনিয়ার তোয়াক্কা না করে, রাতুলের কথামত বিয়েতে সাদা রঙই পরতাম।রাতুল ওইদিন মুগ্ধ হয়ে আমাকে দেখত।আজো সাদা শাড়ি পড়েছি।মাথায় একগুচ্ছ বেলীর মালা। সবাই নয়, কেউ কেউ মুগ্ধ হয়ে দেখছে আমাকে, কিন্তু পায়ের দিকে তাকানোমাত্র অবাক হচ্ছে। কেউ মুখের আফসোস লুকাচ্ছে, কেউ কানাকানি করছে।
সবার কানাকানি রফিকের চোখ এড়ালো না। রফিক তাই আমাকে সোফায় বসিয়ে, আমার হাত থেকে ক্রাচটা নিয়ে সোফার নিচে রেখে দিল।এখন নতুন যারা আমাকে দেখছে, সাভাবিকভাবে তাকাচ্ছে।কয়েকজন মহিলার সাথে আমার গল্প ভালোই জমে উঠল।
মহিলাঃ আপনার স্বামী কিন্তু বেশ হ্যান্ডসাম
আমিঃ উনি আমার স্বামী নন। বন্ধু
মহিলাঃ ও, তাহলে বিয়ে হয়নি? ভালই মানায় কিন্তু আপনাদের
আমিঃ ইয়ে মানে, আমরা শুধুই বন্ধু
মহিলাঃ বুঝেছি, বুঝেছি (মুখ টিপে হেসে)
রফিকঃ তুমি বস, আমি বন্ধুর সাথে দেখা করে আসি।
আমিঃ বেশি দেরী কর না। আমিতো ক্রাচটাও তুলতে পারব না নিজের হাতে। যদি কোন প্রয়োজন পরে, তোমাকে তো আর খুজতে যেতে পারব না।
রফিকঃ তোমার প্রয়োজন পরার আগেই চলে আসব আমি
মহিলাঃ বাহ কি প্রেম গো তোমাদের
আমি আর কিছুই বললাম না। এই মহিলাকে বোঝানো যাবে না।কিন্তু আমিও ভাবনায় পড়ে গেলাম।রফিক আমার জন্য এত করেছে আর করছে। আমাদের এই সম্পর্কের আসলে কি পরিচয়, শুধুই বন্ধুতা!

১,১৮২ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “রেল লাইনের মত স্বপ্ন পর্ব (৫-৮)”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।