কলেজ হাসপাতাল (স্মৃতিচারণমূলক অথবা গীবত নির্ভর পোস্ট)

হাসপাতাল জায়গাটা সাধারণভাবে কারোরই খুব পছন্দের জায়গা হবার কথা নয়। মৃত্যুর গন্ধে আচ্ছন্ন মৃত্যুপথযাত্রীদের পাঞ্জা লড়বার জায়গা কারি বা পছন্দ হয়। কিন্তু জগতের অনেক বিষয়ের মত এ জায়গাতেও ক্যাডেট কলেজগুলো অনন্য। হাসপাতাল জায়গাটা ক্যাডেটদের কাছে খুব বেশি অপ্রিয় হবার কারন নেই। বরং ডজার ক্যাডেটদের কাছে তা বেহেশততুল্য। রবিবাবুর ছেলেবেলার মত ক্যাডেটদের শরীর বেয়াড়া রকম ভালো হয়। তারপরেও থেমে থাকে না হাসপাতাল নামক জায়গায় গমন এবং ক্লাশ প্রেপ কিংবা পিটি ফাঁকি মারার সুযোগ নেয়া কিংবা দল ধরে বান্দ্রামি করবার বেহেশতি সুযোগ।

আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন রইস বিষুদের উপদ্রবে মির্জাপুরের ক্যাডেটদের জীবনে ত্রাহি রব উঠেনি বরং অথরিটি ছিলো বেশ লুজ। তাই প্রেপ ক্লাশ ডজ মারা ছিলো মোটামুটি নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। হাসপাতালের দুর্গম অবস্থানও ক্যাডেটদের মনে ভয় ধরাতে পারেনি। নাইট প্রেপ ডজ মেরে ফেরবার সময়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে শেয়ালের মুখোমুখি হবার ব্যাপারটা বরং বেশ এক সাসপেন্সের জন্মই দিতো আমাদের মনে। হাসপাতালের অবস্থান আপাতদৃষ্টিতে যতই দুর্গম হোক তা ছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কবিমনা ক্যাডেটরা সেই খানে এক মাস যাপন করলে নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্য অনেক কবি ও কাব্যে সমৃদ্ধ হতো একথা বলা যায় নিঃসন্দেহে। আর উপরি পাওনা ছিলো হাসপাতালের পাশ দিয়ে কলেজের বাইরে চলে গিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন সাথে বিড়ি খরিদ করার সুবর্ণ সুযোগ। তাই হাসপাতালে ক্যাডেটদের ভিড় নেহায়েত কম ছিলো না।

এই হাসপাতালের কর্ণধার তখন আমাদের ডাক্তার স্যার। তাঁর নাম শুনে যদি বা কেউ সদ্য সাবেক সেনাপ্রধানের চেহারা চোখে ভাসান তবে এক জায়গাতেই মিল খুঁজে পাবেন — তার মাথার উপর ক্রমবিস্তৃত চকচকে টাকের মাঝে। ফৌজি পোশাকের ভীতি আমার ছোট বেলায় থাকলেও ডাক্তার স্যারকে দেখার পর তা বেশ কেটে যার। তাকে দেখে আমরা অনেকেই শান্তি শান্তি বোধ করতে থাকি। তবে স্যারের আবেগ ছিলো প্রচণ্ড। সেই দিনটার কথা আজো আমার চোখের সামনে ভাসে। কলেজের কোন এক প্রোগ্রামে স্যার উঠে গেলেন বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে। স্যারের আবৃত্তি এতটাই আবেগঘন হয়ে পড়ে আমাদের মাঝেই কেমন একটা বিদ্রোহী ভাব এসে উপস্থিত হয়। সেই বিদ্রোহীভাব মিলিয়ে গিয়ে আমরা আত্মরক্ষায় রত হই কিছুক্ষণের মাঝেই। কারণ স্যার আবৃত্তির মাঝে ” আমি বেদুঈন আমি চেঙ্গিস” বলে ডায়াসকে জোরে ঝাঁকি দেন দুইবার। আরও কিছুক্ষণ পরে “আমি উম্মাদ আমি ঝঞ্ঝা…” বলে তার দু হাত মুঠো করে বিপদজনক ভঙ্গিতে ছুড়ে দেন। তাঁর সেই বিদ্রোহী ঘুষিতে আন্দোলিত হয়ে তার সামনের মাইক উড়ে আসে প্রায় আমাদের কাছে……… যাহোক সেই কথা বাদ দেই। আমাদের মাঝে স্যারের প্রচলিত নাম ছিলো “মি.এইস”। দুষ্টলোকেরা বলে স্যার নাকি রোগীর অসুখের বিবরণ শোনার আগেই ওষুধের ঘরে “এইচ” লিখতেন, তারপরে যেই অসুখের কথাই বলুক না কেন রোগীর কপালে জুটত রামঝাড়ি। আমাদের কলেজের ২৯তম ব্যাচ (৯১-৯৭) তাঁর নাম দিয়েছিলো “সফদার”। ছোটবেলায় পড়া সফদার ডাক্তার কবিতা জানার বদৌলতে আমার নিজেরও কিছু লাভ হয়েছিলো সে সময়। বড় ভাইদের কাছে সেই কবিতা লিখে দেবার বদৌলতে ডাইনিং হলে সুইট জুটেছিলো অনেকগুলো।

সেই সুইট ভক্ষণের পাপেই কিনা স্যারের সফদার রূপটির সাথে পরিচয় হয়ে যায় আমার বেশ দ্রুত। ভুল চিকিৎসার ফল হিসাবে প্রায় যমদূত দর্শনের সম্ভাবনাই জেগেছিলো। সেই সময় হাসপাতালের অন্য মানুষগুলোর সাথে পরিচয় ঘটে। মির্জাপুরে স্টাফদেরকে ক্যাডেটরা ওস্তাদ নামে ডাকে। “ওস্তাদ” শব্দটা শুনে প্রথম আমার কাছে যত মধুর লেগেছিলো জহির ওস্তাদের “বোক সিং” ঘাড়ে জুটার পর সেই মাধুর্য প্রায় হারিয়েই গিয়েছিলো। সেই মাধুর্য ফিরিয়ে আনেন প্রথম হাসপাতালের পঙ্কজ ওস্তাদ। অসুস্থ ক্যাডেটদের চিত্ত বিনোদনের নিমিত্তে তিনি উসকে দেন তাদের মাঝেকার সুকুমার বৃত্তিকে। তিনি নিজে ছিলেন শখের কবি। তার লেখা কবিতা কিংবা কখনো সেটায় সুর দিয়ে গানও শুনাতেন তিনি। সুকুমার বৃত্তি না জাগাতে পারলেও সেন্স অফ হিউমার বাড়াতে তিনি ২০০ ভাগ সফল। তার কবিতা ও গান নিয়ে প্রায় হাসির খোরাকেই পরিণত হলেন তিনি।

হাসপাতালের আরেক ওস্তাদ ছিলেন ” মি. খিচুড়ি” খ্যাত ইদ্রিস ওস্তাদ। তার মি. খিচুড়ি নাম শুনে আমার অনেক দিন পর্যন্ত ধারণা ছিলো তিনি বুঝি খিচুরি খেতে খুব পছন্দ করেন। পরে অবশ্য অনুসন্ধানে জানা যায় তার এি নামের ব্যুৎপত্তি ঘটেছে খিচুড়ি , মি.খিচুড়ি, মিসেস খিচুড়ি সংক্রান্ত “দম ফাটানো হাসির” কোন কৌতুক থেকে !!!! ফ্লপার হিসাবে ইদ্রিস ওস্তাদের বেশ সম্ভাবনা থাকলেও তিনি ঢাকা পড়ে যান “শক্তিমান”
সোহরাব ভাইয়ের কাছে। একই জায়গার মেডিক্যাল এসিসট্যান্টদের পদের হেরফের দেখে (ওস্তাদ, ভাই, আপা, স্যার) বাইরের যে কেউ হয়তো দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে। যেহেতু আপার কথা উঠলো আমাদের সিস্টার কাতায়ান্নি মতান্তরে কৈতি রাণী সিস্টারের কথা বলতেই হয়। আপসুস!!! রবি বাবুর ফটিক যদি কাতায়ন্নি কে দেখত তবে তার মামীর দৃষ্টিকে কখনোই স্নেহশূন্য দুগ্রহের মত মনে হতো না। প্রায় যমদূত দর্শন কালে তিনি আমাকে কুরবানীর গরুর মতো করে চেপে ধরে যেভাবে ওষুধ গিলিয়েছিলেন তা আজও আমার কাছে দুঃস্বপ্নে হানা দেয়।

হাসপাতালে ক্যাডেটদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোক ছিলেন সোহরাব ভাই। তার কিম্ভুতকিমাকার শরীরিক গড়নই যথেষ্ট ছিলো তার জনপ্রিয় হবার। তার সাথে যোগ হলো তার অবলীলায় চাপা মারার দুর্নিবার ক্ষমতা। প্রায় সময়ই তিনি খুবই সাধারণ মানের (মতান্তরে ফ্লপ) জোকস করে তার বিশাল ভুড়িতে হাত চেপে দুলে দুলে হাসতেন। সোহরাব ভাই ডিউটিতে থাকলে আমাদের এক জন গিয়ে সোহরাব ভাইকে চাপা মারতে ব্যস্ত রাখতো আর বাকিরা মেতে উঠতো ক্রিকেট খেলায়। আমার কাছে অবশ্য ক্রিকেট খেলার চাইটে কম আকর্ষণীয় ছিলো না সোহরাব ভাইয়ের গল্প শুনা। তাই শব্দ চয়ন ছিলো দুরন্ত। যেমন: “সোহরাব ভাই, হাসপাতালের মেঝ টা কেমন ময়লা দেখেছেন “। সোহরাব ভাই: ” আরে অপেক্ষা করো। কয়েকদিন পড় এইখানে ওয়াশিং মেশিন (আসলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার) ছাইড়া দিমু। সব ফক ফকা হয়ে যাবে।”
কিংবা, ” সোহরাব ভাই, ওর হাতটা এরকম ভাবে ফুলে গেছে কিভাবে? কিছু কামড়াইছে?” সোহরাব ভাই, ” হেহে ……. আরে বুঝলা না। গান্ধী পোকার খুব উপদ্রব শুরু হইছে। গান্ধী পোকাই ওরে কামড়াইছে “( গান্ধীর মত নিরীহ পোকার এমন ভয়ংকর দিক সম্বন্ধে বিরাট জ্ঞান প্রাপ্তি)। সোহরাব ভাইয়ের রোমহর্ষক কাহিনী ছিলো কোন এক এসকারশনে নাফ নদীতে ডুবে যাওয়া কোন ক্যাডেটের গল্প। সেই ক্যাডেটকে সোহরাব ভাই কীভাবে বাঁচিয়ে ভুলে বার্মার পাহাড়ে উঠে যান আর সেখানকার আর্মিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আবার ফিরে আসেন—– কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগে সোহরাব ভাইয়ের চোখের কোণায় জল দেখা যায়। তৎকালীন টিভি সিরিজের কোন একটার নায়কের নাম হিসাবেই তার ” শক্তিমান” নামটা প্রাপ্ত হন।

আরেকজনের নাম করতে ভুলে গেছিলাম। তিনি হলেন ক্ষিতীশ স্যার। তার সাথে আমার পরিচয়ের স্মৃতি খুব সুখকর নয়। কারণ তার সময়কাল ক্যাডেট কলেজ ভর্তির মেডিক্যাল পরীক্ষার……..। সেই গল্প বরং থাক । আমরা কলেজ থেকে বের হবার কিছুদিন পর জানতে পারি ক্ষিতীশ স্যার আর নেই। এই দুনিয়া ছেড়ে তিনি চলে গেছেন অনেক দূর। হয়তো হয়তো বা এই যে আমাদের সেবা করা যেই সব মানুষের গল্প করলাম তাদের কেউ কেউ হয়তো নেই। তাদের সবার জন্যই প্রার্থনা করি। কলেজ হাসপাতালে ছোট সময়ে বিচিত্র মানুষদের পরিচয়ে আমরা আনন্দ নিয়েছিলাম, জানি আমাদের উটকো রসিকতা তারা ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখেছেন। সেই সব মানুষগুলোকে মনে পড়ে তাদের মাঝে যারা জীবিত আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু আর যারা নেই তাদের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করি।

৪,১৩৯ বার দেখা হয়েছে

৩৯ টি মন্তব্য : “কলেজ হাসপাতাল (স্মৃতিচারণমূলক অথবা গীবত নির্ভর পোস্ট)”

  1. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    ক্যাডেট কলেজের ভেস্ত হইল গিয়া হাসপাতাল....পিতি টাইমে ডজ মাইরা কী শান্তির ঘুমটা না হইত......এমুন ঘুম বহুত দিন ঘুমাই না 🙁


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    হেভি মজা পাইলাম।
    হাসপাতাল আসলেই একটা দারুণ জায়গা ছিল।
    আমাদের সময়েও হাসপাতাল ছিলো মজাদার, আমুদে, চাপাবাজ এমনতরো কর্মচারীতে ভর্তি।

    জবাব দিন
  3. সামীউর (৯৭-০৩)

    ক্যাডেট কলেজ হাসপাতাল তো শুধুমাত্র ক্যাডেটদের জন্য না। ক্যাম্পাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদেরতো স্বাস্থ্যসেবা দিতে হয়! এই জন্যই ( এই ডাউট সুন্দরি মেট্রন দেইখা আমারো হইসিলো, পরে বুঝছি 😀 )

    জবাব দিন
  4. সাব্বির (০৩-০৯)

    সবাই একে একে চলে গেছে , কিন্তু সোহ্‌রাব ভাই তার লিজেন্ডারী গাল-গল্প নিয়া এখনো আগের মতোই আছে ......কোন ব্রিগেডিয়ার এর ছেলে কলেজ এ ডাইনীং হলের ছাদে হেলিকপ্টার(!) নামাইয়া পলাইতে গেছিলো , আর তিনি কপ্টার এর পা ধইরা টাইনা নিচে নামাইয়া আনছেন(!), কোন বার ক্যাডেট রা এক্সকারশন এ পালাইয়া ইন্ডিয়া গেসিলো (উনি নাকি BSF এর গোলাগুলি'র মধ্যে থেকে ক্যাডেট দের বাচাইয়া আনছেন ! ).........এগুলা এখনো তিনি অত্যন্ত ধৈর্য নিয়া রিপিট করেন ........................ ;)) ;))
    আমিন ভাই...লেখা পইড়া হেভী মজা পাইছি :goragori:

    জবাব দিন
  5. খুব ই ভালো লাগলো...পাচ তারা,ডাউট নিয়ে দুই চারদিন হসপিটাল এ আরাম করতে জমা হওয়ার ঘটনা শুধু কাডেট কলেজ,বি এম এ আর ফৌজএই সম্ভব,আমিন কে ধন্যবাদ অনেকের পক্ষ থেকে স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য

    জবাব দিন
  6. ইফতেখার (৯৫-০১)

    আহারে আমাদের হসপিটাল ... যেই দুর্গম অবস্থান, তাও ডজিং এর কমতি নাই।

    ক্লাস ৯ পর্যন্ত তো মনে হয় হসপিটালেই বেশি ছিলাম ... বিরাট ডজার ছিলাম তো। পরে কি জানি কি হৈলো ... ভালো হয়া গেলাম। আর হাসপাতালে যাই নাই।

    আর সকাল বেলায় স্যারম্যাডামদের চুপি চুপি 'জিনিস' নিতে আসা 😉

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      শেষ কথাটা বুঝি নাই বস.....।

      নাইনের পর ভালো হয়ে গেছেন এই কথাতে বুঝা যায় আপনে আসলে সফদারের ফ্যান ছিলেন। তিনি তো মনে হয় আমাদের নাইন মানে আপনাদের টেন এর সময় চলে যান কলেজ থেকে নাকি 😀 😀

      জবাব দিন
      • ইফতেখার (৯৫-০১)

        মেডিক্যাল অফিসারের না ... আসলে ডজিং এর ফ্যান ছিলাম। নাইনের পরে অনেক ভ্যালিড কারনেও হসপিটালে যাই নাই আর 😉 - বন্ধুবান্ধব কাউকে দেখতে বা সুইট খেতে (মনসুর বা ইসহাক ভাই মাঝে মাঝে টিফিন ক্যরিয়ার ভরে সুইটস আনতো আমাদের জন্য) যেতাম ... নিজের জন্য যাওয়া বাদ।

        স্যার ম্যাডামেরা কন্ট্রাসেপ্টিভ ফ্রি পেতো তো ... নিয়মিতই তাদের দেখা যেত কোনার রুমে (ক্ষিতিশ বা ইদ্রিসের কাছে) লাজুক হাসি দিতে। হান্নান বিষু কেও কয়েকবার দেখা গেছে 😉 ক্ষিতীশ স্যার এই নিয়ে গল্পও বলতেন অনেক। কোন এক বিশেষ স্যার নাকি অনেক রাতে ফোন দিয়েছিলেন, উনি সাইকেলে করে দিয়ে এসেছিলেন।

        জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    আমিন ভাই,মোস্তফা কামাল মল্লিক স্যারের কথা মনে আছে?খুব ভাল মানুষ ছিলেন।
    ক্লাস ৮ এ একবার জন্ডিস হল,শরীর খুবই খারাপ,হাসপাতালে থাকতে খুব খারাপ লাগছিল,বাসায় যেতে ইচ্ছা করছিল।একদিন স্যারের কাছে গিয়ে বললাম,উনি ছুটির ব্যবস্থা করলেন।৩ সপ্তাহ ছুটি পেলাম।
    শুনেছি উনি এখন ঢাকার নেভী হাসপাতালে আছেন

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      মল্লিক স্যারকে আমার ভালো লাগলো। খুবই শান্ত শিষ্ট ধরণের মানুষ। একবার এথলেটিকসের স্টার্ট করানোর দায়িত্ব নিছিলেন। ফায়ার করার আগে খুব মোলায়েম সুরে বলতেন , "এথলেটরা তোমরা মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নাও..." যেটা শুনলে সব এথলেটই দৌড়ানো ভুলে দাঁড়ায়া যাইত (চামে আরেকটু গীবত কইরা নিলাম)। একবার পত্রিকায় দেখছিলাম মোস্তফা কামাল স্যার নিখোঁজ। খারাপ লাগছিলো। পরে শোনা যায় তিনি অপহৃত হইছিলেন। এখন ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো..।

      জবাব দিন
  8. আশরাফ (১৯৯৫-২০০১)

    আমিন
    সুন্দর লেখা। অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।
    আমার একবার উথাল পাথাল জর, ক্লাস সেভেন এ। সোহরাব ভাই সারারাত আমার সেবা করেছিল। এখন মনে হয় সেই দিন এর কথা।

    জবাব দিন
  9. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    কী খবর আমিন - কানাডা চলে আসছো? কোন স্টেটে আছো?
    যাইহোক অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেললাম। হাসপাতাল নিয়ে অনেক সুখের স্মৃতি আছে। মধ্যদিয়ে কতো সময় চলে গেছে। ভালো লাগলো তোমার অভিজ্ঞতা।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  10. ধন্যবাদ আমিন । শুধু জানিয়ে রাখি , কাত্তায়নি চক্রবরতি ছাড়াও আর ও একজন সিস্টার ছিলেন গীতা রানী নামে । দুজনের এত গরমিল যে বলে শেষ করা যাবে না । মনে কর একজন খাট, কাল ও অন্যজন লম্বা আর সাদা । আমরা ৮২ সালে ইন্ডিয়ান বাংলা ছবি দেখে দেখে গীতা সিস্টারের নাম দিয়েছিলাম সুচিত্রা । পরে জানতে পেরেছিলাম আমাদের বড় ভাই রা ও স্যার গণ আরও মধুর নাম দিয়েছিলেন । যাক বেশী জানা ভাল না ।।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      সদরুল ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পরে কোন রিইউনিয়নে গেলে গীতা রানী সিস্টারের গল্প শুনতে হবে।
      অফটপিক: আমাদের এসকারশনে বিএমএ তে আমাদের ওয়েলকাম করেছিলেন তখনকার মেজর সদরুল যিনি আমাদের কলেজের এক্স ক্যাডেট (৮১-৮৭) এবং আমাদের সোহরাওয়ার্দী হাউসের। আমি ভুল না করে থাকলে আপনি সম্ভবত সেই স্যার/ভাই। বিএমএতে আপনার বক্তব্যের দারুণ ফ্যান হয়েছিলাম। পরে অবশ্য ফৌজি লাইনে যাওয়া হয়নি। অল্প পরিচয়ে ফ্যান হয়ে যাওয়া মানুষটির সাথে কথা বলতে পেরে ভালো লাগলো।
      জয়তু সিসিবি। 🙂

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।