আজকের সিসিবি

বাংলালিংক যতই দিন বদলের কথা বলুক, কিছু মানুষের দিন বদলায় না। এই যেমন আমি-
সেই আজো পরীক্ষা থাকা সত্বেও করবীর হাতে বানানো ব্রেকফাস্ট ত্যাজ্য করে অফিসে এসেছি…..সেই আজও হাজিরা খাতায় লালকালি। সেই আজও একটি সিগারেট ধরিয়ে পিসি ওপেন করেই ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।

কিন্তু আজ ব্লগে ঢুকেই মাথা নষ্ট। সযতনে কাল সন্ধ্যায় প্রথম পাতায় কয়েকটি পোস্ট রেখেগিয়েছিলাম। আগের দিনগুলোর মতই সেগুলি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ নম্বরে থাকার কথা।

বিস্তারিত»

আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…

খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।

বিস্তারিত»

“প” নাকি “ফ”

১।
মিলন ষ্টাফ ক্যাডেট পার্খ কে বলতেন, আই ফার্থ……এদিক আয়
আর ক্যাডেট ফাত্তাহ কে বলতেন, আই পাত্তাহ… এদিক আয়
তো এই কথা শুনে ফাত্তাহ ভাই উনা কে জিজ্ঞাশা করলেন যে , ” ষ্টাফ,আপনি সবসময় প কে ফ বলেন কেন?”
মিলন ষ্টাফ এর সহজ উত্তর, “আমি তো “ফ” কে “ফ” ই বলি কিনতু সবাই “ফ” বুঝে…”
২।
পিকনিক এ যাবার সময় বাস এর ব্যাক বেঞ্চে বসে সবাই গান ধরলাম,

বিস্তারিত»

হিয়ার লাইজ দ্যা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

১।
ব্ল্যাকবোর্ডে নাম লিখার সময় ক্যাডেট অনেক সময়ই ঐচ্ছিক-অনৈচ্ছিক ভুল করে ফেলতো। ‘ক্ষুরসিধা বানু’, ‘ষাঁড়মীণ’ লিখে বেদম পিটন খেয়ে পুনঃ যেই লাউ সেই কদুই …… অতিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত এই ভুল গুলিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখা হোত।
২।
রাতজেগে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ পাশের হাউজ থেকে ক্লাসমেট এসে খুব ডাকাডাকি, ‘দোস্ত দেইখা যাও, তাড়াতাড়ি’। কি এমন জিনিস যে কাল সকালে দেখা যাবে না? প্রশ্নের উত্তরে বলল ‘সকালে সুইপার আসার আগেই দেখতে হবে’।

বিস্তারিত»

প্রথম আলোর জন্মদিন : অভিনন্দন কমরেডস

[ বিষয়টি ক্যাডেট কলেজের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। একসময় প্রথম আলোতে কাজ করতাম। তাই প্রথম আলোর জন্মদিনে আজ প্রথম আলো ব্লগে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাবলাম তোমাদের সঙ্গেও শেয়ার করি। কারো ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় জানিও।]

প্রথম আলোর আজ জন্মদিন। বেশ সশব্দে এবং সগৌরবে দিনটি আজ পালন করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও আলোচিত সংবাদপত্রটি। অভিনন্দন প্রথম আলো, অভিনন্দন প্রথম আলোর সব সাংবাদিক-কর্মীকে।

বিস্তারিত»

৭ টি কাটপেষ্ট কৌতুক : সফট,সেমিহার্ড,হার্ড (নিজ দায়িত্বে পড়িবেন)

১.
টিনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’
টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়?
পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’
টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো।

বিস্তারিত»

টুশকি ৯

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [১০]

১. বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, নিচের ছবির এই মুরগীগুলো আমাদের মাঝে পরিচিত “এরশাদের মুরগী” নামে। ধারণা করা হয় অনেকদিন আগে কোন একসময় লাইবেরিয়া ভিজিট করতে এসে লেজেহোমো এরশাদ এই দেশের প্রেসিডেন্টকে যেই মুরগীগুলো উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন এরা তারই বংশধর।

বিস্তারিত»

কিংবদন্তির কথা-২

এষান ভাই প্রসঙ্গে আগের লেখাটায় বলেছি যে “আমাদের মাঝেও কিছু মহান (!!!) ক্যাডেট থাকে। যারা তাদের স্বীয় মহিমায় নিজেকে কিংবদন্তির পযর্য়ে নিয়ে যান। পুংটামিকে যারা শিল্পের পযর্য়ে নিয়ে গেছেন । তো সাধারণভাবে মনে করা হয় যে দীর্ঘদিনের অক্লান্ত ঘাওড়ামি, রগড়ানি, “মাস্তানি “ এইসবই হল কিংবদন্তী হউয়ার মূলমন্ত্র। কিন্তু তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। মন্ত্র ছাড়াও কেউ কেউ কিংবদন্তী হয়ে যান। আৎকা কোন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘটানো অনেক ঘটনাই হয়ে যায় হিট,

বিস্তারিত»

রিভিউ পাড় হওয়া বুঝি হোলনা আমার

১।
ধুপীতে কাপড় দেয়ার কি চমৎকার সিস্টেম ছিল কলেজে আহারে। ধুপীতে আন্ডি গেঞ্জি ধুইতে দিয়া ক্লাস সেভেন-এর এক ক্যাডেট বেদম প্রহার খাইলো। ক্লাস এইট-এর রুম লিডার প্রহারের ফাকে জিজ্ঞাসা করলো ‘ধুপী’র চিট-এ কোথাও তো আন্ডি আইটেম টা নাই, তাও তুমি দিলা ক্যান ?’ ক্লাস সেভেন-এর উত্তর ‘নতুন সিরিয়াল নম্বর দিয়া হাতে লিখা দিছিলাম আন্ডারওয়্যার এ্যান্ড স্যান্ডোগেঞ্জি’।

২।
কেমিস্ট্রি ক্লাসে ম্যানা মিন মিন করে কি যে বলতো,

বিস্তারিত»

নিয়তির নির্মম প্রতিশোধ!!!

মোঃ হাসমত আলী মানুষ হিসাবে খুবই নিকৃষ্ট শ্রেণীর। লোভী, ধূর্ত, হীন মনের অধিকারী। বয়স পঁঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ বছর। স্ত্রী ও দুই কন্যা- আয়শা ও আম্বিয়াকে নিজ জেলা মাদারীপুর রেখে ম্যারিড ব্যাচেলর হিসাবে চাকুরি করছেন। কর্মজীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক। মানুষ যেমনই হোন না কেন, হিসাব তিনি খুব ভাল বোঝেন-এটা তার চরম শত্রুও মেনে নেবে।

বিস্তারিত»

অতি উৎসাহিত হইয়া তৃতীয় ব্লগ

১।
যখনকার সময়ের কথা বলছি, তখন ‘ফিট ইতনা মাস্ত, নো এ্যাডজাষ্ট’ আন্ডি বাজারে অতটা এ্যাভেইলেবল ছিল না। সারাদিন আন্ডি এ্যাডজাষ্ট করতে করতে কারও কারও নামই হইয়ে গেলো ‘স্ক্র্যাচার’। লাইভ অভিনয় ব্যাতিত ‘স্ক্র্যাচার’এর অভুতপুর্ব স্ক্র্যাচিং টেকনিক বর্ণনা করা ডিফিকাল্ট। তিনি ক্লাস চলাকালিন সময় পুরোটাই ব্যাস্ত থাকতেন ওই কাজে। কখনও পকেটে হাত দিয়া, কখনও ফুটবল খেলার আগে ওয়ার্ম-আপ করিবার ভংগিতে হাটু ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া, কখনও বা সরল মনে লোকলজ্জা বা ক্যাডেটলজ্জা ভুলে ফ্রি-ফ্র্যাঙ্ক হাত চালাইয়া।

বিস্তারিত»

মিশন একাডেমী

তখন আমি ক্লাস এইট এ পড়ি।আব্বা বিদেশ থেকে আসছে ,অনেক চক্লেট নিয়া আসছিল parents day তে। পরের দিন ছিল ফখরুল স্যার এর ক্লাস।উনি আবার ক্লাস টাইম এ ডেস্ক চেক করতো।কিন্ত হাউসে নিতে পারবোনা কারণ আমি মাত্র ক্লাস এইট এ পড়ি এবং জুনিয়র ও আসেনাই।কি আর করা ডেস্ক এ রেখেই চলে গেলাম।রাতে ডিনার এর পর এসে আমি,মেহেদি এবং রেজা প্লান করলাম যে আমরা একাডেমি তে যাব যার যার খাবার আনতে।তো প্লান করে একটা লোহার স্কেল,খাবার এর জন্য প্যাকেট এবং ডাইনিং হল প্রিফে্কট ইয়াদনান ভাই এর দোয়া নিয়া রওনা হলাম একাডেমির পথে।গিয়ে স্কেল দিয়ে জানালা খুললাম,জানালার ভিতর দিয়ে হাত দিয়ে খুললাম দরজা।তারপর যার যার খাবার নিয়ে আবার দরজা লাগিয়ে হাউসে এর দিকে রওনা হলাম খুব খুশি আমরা এত বড় কাজ করলাম।একাডেমি ক্রস করে সামনে আগাব সেই সময় দেখলাম কে যেন সাইকেল এর উপর বসে আসে।আমাদের তিনি ডাক্লেন গিয়া দেখি রাশেদ স্যার(নাহিদা আপার জামাই)।ব্যাগ চেক করলেন তারপর খাবার গুলা নিয়া বললেন শেরে বাংলা হাউসে এ গিয়া হাউসে অফিসে দাড়াতে।আমরা তাড়াতাড়ি হাউসে এ গিয়া ভাইয়াদের বললাম বাচাতে,ভাইয়ারা বলল দেখি কি করা যায়???এক টু পর মোল্লাহ স্যার এবং রাশেদ স্যার এসে আমাদের ডাক্লেন হাউসে অফিসে।ভাব্লাম আজকে মোল্লাহ স্যার কি মাইর ই না দে আল্লাই জানে।কিন্ত কি জন্য যানিনা মোল্লাহ স্যার সেবার আমাদের মারলেন না শুধু একটা করে statement লেখালেন।পরের দিন সকালে ফরম ক্লাস এর পর রাশেদ স্যার আবার আমাদের ডাকলেন কারন কিছুক্ষণ আগে ভাইয়ারা গিয়া স্যার কে request করল যেন আমাদের মাফ করে দেয় এবং খাবার গুলা ফেরত দিয়া দেয়।তো স্যার আমাদের ডেকে বলল তোমাদের খাবার আমি ফিরত দিয়া দিব কিন্ত আস্তে আস্তে।“”””প্রতিদিন সকালে ফরম ক্লাস এর পর আসবা এবং আমি মারার পর এগুলা খাবা””””তো প্রথম দিন হিসেবে আমাদের বেশি মারা হল।এভাবে ২/৪ দিন গেলাম তারপর আর যেতে হয়নাই কারণ স্যার এর transfer হয়ে scc চলে গেল যাবার আগে আমাদের কাছে মাফ চাইল এবং খাবার গুলা ফেরত দিয়া গেল।কিন্ত খাবার পাওয়ার পর দেখলাম খাবার বলতে গেলে কিছুই নাই বিশেষ করে আমার চক্লেট গুলা।স্যার এর বাসায় তখন চক্লেট খায় এমন ২ টা বাচচা এবং একটা সুন্দরি বউ ছিল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কাহন

১।
সায়েন্স, আর্টস টেস্ট পরীক্ষার পর আমাদের মাত্র চারজন আর্টস পেয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন, যার স্বপ্ন ছিল এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হবার, বেদম বিমর্ষ হয়ে গেলো। ফস্ ছিলেন ওই পরিক্ষার ইন-চার্য। একমাত্র ফস্-ই পারেন তাকে সায়েন্স দিতে। পোলাপানের বুদ্ধিতে জুম্মার নামাযে ফস্ এর পাশে বসে অনেক দোয়া দরুদ পরে ক্যাডেট তার মনবাঞ্ছা প্রকাশ করলে ফস্ বল্লেন ‘তুই এয়রোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইংলিশে বানান কর, যদি পারস, প্রিন্সিপালের হাতে পায়ে ধইরা হইলেও তোরে সায়েন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবো’।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজে চান্স

আমরা তখন গাজিপুর থাকতাম। প্রথম ক্যাডেট কলেজের নাম শুনতে পাই অনিল স্যারের কাছ থেকে। উনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং সেই স্কুল থেকে নাকি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায়। আব্বু খুব শখ করে ওই স্কুলে ভর্তি করে দিল আর আমিও খুব শখ করে পড়াশুনা শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষার সময় চলে আসল। আমার সিট পরেছিল ঢাকা রমিজউদ্দিন স্কুলে। পরীক্ষার সময়ের একটা স্মৃতি খুব মনে পরে যে ইসরাইল হক স্যার গার্ড ছিলেন আর একটা ছেলেকে নকল করার সময় পাকড়াও করেছিলেন আর ছেলেটা স্যারের পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছিল।

বিস্তারিত»

পটকা মাছ আর ভাউয়া ব্যাং

কলেজে জীবনে কোনদিন স্বেচ্ছায় মঞ্চে উঠিনি। কারন মঞ্চে উঠতে যে প্রতিভা লাগে তার কোনটাই আমার ছিলনা। একবারই উঠেছিলাম, তাও সেবার লটারির মাধ্যমে প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়েছিলো তাই। জীবনে কোনদিন দুই টেকাও লটারীতে পাই নাই, কিন্তু ওইদিন ঠিকই লটারীতে নাম উঠছিল। কপাল!

তবে একবার স্বেচ্ছায় সেমি-মঞ্চে উঠেছিলাম আর কি। সেমি-মঞ্চ মানে কলেজ পিকনিকে খাওয়া-দাওয়ার পর যে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সব ক্লাসের ছেলেরা কিছু না কিছু করে দেখায়।

বিস্তারিত»