স্বপ্ন বদল

একে একে প্রায় সবার নাম, স্কুল আর লক্ষ্য জানা গেল। সমাজে আদৃত কোন পেশাই বাদ পড়ল না এবং সেই সাথে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার  অঙ্গীকারও সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হোল । বড় শহরের নামজাদা স্কুল থেকে মফস্বল বা গণ্ডগ্রামের অপরিচিত স্কুলের কিশোরদের স্বপ্নিল চোখের ঝিলিক দেখে ফর্ম মাস্টার আপ্লুত। এমন স্বপ্নময় পরিবেশেও আমি ঘামতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার পালা এগিয়ে আসছে, আতংকে আমার গলা শুকিয়ে আসছে। ভর্তির সময়ে পড়া ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ প্রানপনে মনে করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে মূল্যবান অনেক সময় নষ্ট হয়েছে আসলে আমি জীবনে কি হতে চাই ভেবে। এই মুহূর্তের লক্ষ্য একটা গ্রহণযোগ্য জীবনের লক্ষ্য উপস্থাপন। আর মাত্র চারজন। এই মুহূর্তে ঘন্টা পড়লে কেমন হয়! লাভ হবে না, কারন সপ্তম শ্রেণীর আজই প্রথম ক্লাশ। বই পত্র ইস্যু হবে মিল্ক ব্রেকের পরে।কি দরকার পড়ানো বাদ দিয়ে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে এসব বায়নাক্কা! এসব আলোচনা করলেই কি সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর সব হাবিজাবি হয়ে যাবে নাকি? এই মাত্র আরেকজন তার মামার মত সামরিক প্রকৌশলী হওয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করে সকলের প্রশংসায় কুড়িয়ে বসল। সামরিক প্রকৌশলী আবার কি? আর মাত্র তিন জন, আমার মাথা ফাঁকা হয়ে গেছে। শুধু মনে পড়ছে রচনায় পড়া সেই নীতি বাক্য ‘লক্ষ্যহীন জীবন হালবিহীন নৌকা্র ন্যায়’। হায়রে জীবন, লক্ষ্য নির্ধারণেই শেষ আজ।সর্বনাশী ঝড় বা ভূমিকম্প এখন সব লণ্ডভণ্ড করলে বেশ হত!কিয়ামত হলেও মন্দ হয় না। কিন্তু হায়, কিছু না কিছু না! আরও একজন শেষ করল।ইস এখন যদি মৃত্যু হত, বেচে যেতাম। শপথ করলাম আজ সারারাত ভেবে কিছু একটা লক্ষ্য ঠিক করব। শুধু একবার যদি সুযোগ পাই। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি, আরেকজন উঠল, গড়গড়িয়ে বলে জাচ্ছে সে কেন ডাক্তার হতে চায়, মুখস্থ কাজে লেগেছে বোঝাই যায়। করুন চোখে আমার পাশে বসা কাল লিকলিকে ছেলেটার দিকে তাকালাম, তার নাম জানা হয় নি।হাঊসের সবাইকে চিনলেও অন্য হাঊসের সবাইকে আজই প্রথম দেখছি। আর একজন এরপরই আমি। সব গুলিয়ে যাচ্ছে, ফাঁসির মঞ্চে উঠার আগে নিশ্চয়ই এমন হয়।  

আমার পাশের ছেলেটা নির্বিকার, উঠে দাড়ালো আর আমাকে বাচিয়ে দিল।   

 – ‘ আমি সুকুমার রায়ের মত ছড়া লেখতে চাই, কামরুল হাসানের মত ছবি আকতে চাই, বাবরের মত দিগবিজয়ী হতে চাই, ফেলুদা হতে চাই, জাভেদ মিয়ান্দাদের মত ক্রিকেট খেলতে চাই, কেনেডির মত রাষ্ট্রপতি হতে চাই, কিশোর কুমারের মত গান গাইতে চাই, গ্যালিলিওর মত বিজ্ঞানী হতে চাই…।’ তালিকাটা আরো লম্বা হওয়ার আগেই ফর্ম মাস্টার থামিয়ে দিলেন। ততক্ষণে ক্লাশে পিনপতন নিরবতা। সবাই লিকলিকে দুর্বল অথচ দৃঢ় ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে। ফর্ম মাষ্টার নিজেকে সামলে নিতে সময় নিলেন। এরপর তাঁর বক্তব্যের সারসংক্ষেপ করলে দাঁড়ায়, ক্লাসরুম রসিকতার জায়গা না এবং একযুগ চাকুরী জীবনে তিনি এমন বেয়াদব আর পাগলাটে ক্যাডেট পান নি। তুলনায় অনেক কম বেয়াড়া ছেলেও কলেজে এক দুই বছরের বেশি টিকেনি, এখনি সাবধান  না হলে খারাপ ডিসিপ্লিনের কারনে তার কপালে খারাবি আছে ইত্যাদি। পরিশেষে প্রথম সুযোগেই এবিষয়ে তার বাবার সাথে আলাপ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

জীবনের লক্ষ্য বিষয়ক আলোচনা সেখানেই শেষ হোল। অপরাধের প্রকৃতি না বুঝলেও সকলেই  অপরাধী চেহারা নিয়ে নিস্তব্ধ, কেবল সে ই নিরবিকার দাঁড়িয়ে।এমন নিস্তব্ধটায় কতক্ষন কেটেছিল জানিনা, সব ভালর মত সব মন্দেরও শেষ আছে।

মিল্কব্রেকের ফলিনে দাঁড়িয়ে ফিসফিসিয়ে আলাপ হোল। তার নাম শওকত আর রাজশাহী শিরইল স্কুলের ছাত্র। লাইব্রেরীতে বই খাতা ইস্যুর দীর্ঘ অপেক্ষায় আলাপের সুযোগ হোল।

-তুমি এক জীবনে এতকিছু হতে চাও? নাকি রসিকতা করছিলে, স্যার খুব রাগ করেছেন কিন্ত…।

উচ্ছল হাসির দমকে চারিদিক সচকিত করে সে আমার ঘাড়ে হাত রাখলো,

-‘রসিকতা করব কেন, আমার তো আসলেই সব হতে ইচ্ছা করে…। মাঝে মাঝে আমি ইবনে বতুতার মত বিশ্ব ভ্রমনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি, কিম্বা  টারজানের দেশ কংগোর জংগলে ঘুরে বেড়াতে চাই।‘

 …’আচ্ছা তুই কি হতে চাস?’

-‘কিছু হতে চাই না… অজান্তে বলে ফেললাম।‘

-বাহঃ দারুনতো, কিছুই হতে চাস না!

আমাকে অবাক করে সে হাসল না। ফিসফিসিয়ে যেন নিজেকেই বলল… ‘তবে কিছু না হওয়াটা সহজ না, কিছুই হবনা…অদ্ভুত তো!’

পরদিন থেকেই মেধা যাচাই পরীক্ষা এবং অবধারিত ভাবেই যাচ্ছেতাই ফলাফল সবাইকে স্বপ্নের রঙিন আকাশ থেকে ভূমিতে আছড়ে ফেলল। জীবনে প্রথম ফেলের স্বাদ পেয়ে অনেকেই মুষড়ে পড়ল। সেই সাথে জীবনও সংকীর্ণ হতে হতে ড্রিলের অনুশীলন আর নভিসেস ড্রিলের প্রস্তুতির বেড়াজালে বন্দী হয়ে গেল। সারাদিনে একাডেমিক আওয়ারেই সবাধীনতার কিছুটা শীর্ণ আলোর উত্তাপ আমাদের বাঁচিয়ে রাখতো। যদিও অংক, ভূগোল আর ইংরেজী গ্রামারের ক্লাশ আতংকের মহিমা ছড়াতে কার্পণ্য করত না। ধীরে ধীরে আমরা একে অন্যকে জানতে শুরু করলাম।

আর শওকতের সাথে আমার সখ্যতা আরও গভীর হোল।কলেজ লাইব্রেরির বিশাল সংগ্রহ ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করল। টিনটিন, নন্টে ফন্টে আর রূপকথার সিঁড়ি বেয়ে সত্যজিতের প্রফেসর শঙ্কু আর ফেলুদা, টেনিদা পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে সাদাত হোসেন মান্টো আর শরত চট্টোপাদ্ধ্যয়ে পৌছালাম। আমার সংকীর্ণ জগত নিজের অজান্তে ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে লাগল, সেই সাথে শওকতের সান্নিদ্ধে তার স্বপ্নগুলি আমাকেও আন্দোলিত করতে লাগল। আমিও দিগবিজয়ী সব সবপ্ন দেখতে শুরু করলাম।

সেইসাথে আতংকের সাথে জানলাম জীবনে কিছু না হতে চাওয়ার চিন্তা সে মাথায় নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার অদূরদর্শী উত্তর আর হঠকারিতার জন্য নিজেকে জুতাপেটা করতে ইচ্ছা হোল। এ বিষয়ে তার আগ্রহ আর আলোচনায় আমি মুষড়ে পড়তে লাগলাম। কেন যে সেদিন ওসব ছাইপাশ বলতে গেছিলাম!       

ততদিনে সময়ের পরিক্রমায় এস এস সি পরীক্ষা আর এর পর দীর্ঘ ছুটির অখন্ড অবসর। ততদিনে বইয়ের নেশা আমাকে পেয়েছে। মন্দ ভাল যে কোন বই সামনে এলেই পড়ে ফেলি। বাড়িতে অযত্নে ধুলো জমা বইগুলো দীর্ঘদিন বাদে তাদের হারানো মর্যাদা ফিরে পেল।

ছুটি শেষে কলেজে ফিরে নতুন আমাদের খুজে পেলাম। ছুটিতে দূরদর্শনে আর ভি সি আর এ দেখা হিন্দি সিনেমা মাথায় জট পাকিয়ে ফেলল। নিজেদের মধ্যে অমিতাভ, মিঠুন আর অনিল কাপুরের ছায়া খুজে ফিরতে লাগলাম। সদ্য শেষ হওয়া রিলায়েন্স বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনেককেই আচ্ছন্ন করে রেখেছে।

আর শওকত তখনও কিছু না হওয়ার গবেষণায় মগ্ন। তার অনুসন্ধান ততদিনে বাউল, বৈষ্ণবী, ফকিরী, সুফিবাদ আর জিপসিদের জীবন, সমাজ ব্যবস্থা আর দর্শন ছাড়িয়ে তুলনামূলক ধর্ম তত্তের অলিতে গলিতে পথের সন্ধান করছে।

এভাবেই হঠাত করেই যেন এইচ এস সি পরীক্ষা এসে গেল। আমরা অনেকে টেরই পেলাম না কিভাবে পরীক্ষা এত কাছে আসল। আমাদের ইংরেজী স্যারের ভাষায় ‘কিকিং এট দি ডোর’।আমার মত অনেকেই জুতসই প্রস্তুতি আরম্ভের পদ্ধতি উদ্ভাবনের গবেষণা অসম্পূর্ণ রেখে পরীক্ষায় বসলো। জগতের নিয়মেই একদিন পরীক্ষা শেষ হোল। আমরাও কলেজ ছেড়ে সীমানাহীন নিষ্ঠুর জীবনে প্রবেশ করলাম।

পরীক্ষা ফল প্রকাশের দিন যতই এগিয়ে আসতে লাগল, আমার আশংকা ততই পাখা মেলতে লাগল। রাজশাহীতে বন্ধুদের আড্ডাতে নিয়মিত বিষয়গুলিকে পিছনে ফেলে পরীক্ষার প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে আসতে লাগল। অবশেষে ফলাফল, মন্দ হোল না। অদ্ভুতভাবে শওকত ভাল নম্বর পেল, কেউ তাকে কোনদিন ক্লাশের বই পড়তে দেখেছে বলে মনে করতে পারল না।

জীবনের বাস্তবতায় আমাদের অনেকেরই স্বপ্নগুলো অদল বদল হয়ে গেল। ডাক্তার হতে চাওয়া কেউ ফার্মেসীতে ভরতি হোল, সামরিক বাহিনীতে যোগ না দিয়ে কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইল, এক ঝাঁক বিদেশে পাড়ি জমালো। আমিও নির্লজ্জের মত আমার আকাশ ছোয়া স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিলাম। কেবল শওকতই দৃঢ়ভাবে তার কিছু না হওয়ার লক্ষ্য আঁকড়ে রইল।  

একদিন সামরিক প্রশিক্ষন শেষ করে সেনা অফিসার হয়ে গেলাম। অন্য সবাই যে যার ক্ষেত্রে এগিয়ে চললো। শওকত তার স্বপ্ন নিয়ে অটল। ওর মোহাম্মদপুরের মেসে মাঝে মধ্যে যাই, কিছু বলতে গেলে বলে এই ত ভাল আছি। টিউশনি করি, পাবলিক লাইব্রেরিতে যাই, নীলখেত থেকে বই কিনি, …চলে যায়’। কয় টাকা পাস বললে হেসে বলে ‘কয়দিনের জীবন বলত! বাঁচতে আর কয় টাকা লাগে, নিজের মত বাঁচি, ওতেই আনন্দ’। এরপরেই বৌদ্ধ ধর্মের মুল ভাবনা, মমি রহস্য, তইমুর লঙ এর সমাধি অথবা সৌরজগতের অন্য গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব নিয়ে গল্প জুড়ত। কখনও শিবরামের হাসির গল্প, জামিনী রায় আর কামরুল হাসানের অংকন শইলীর মিল অমিল কিংবা সাইদ আনোয়ার বা ব্রায়ান লারার সাম্প্রতিক ইনিংস বিশ্লেষণ।সাথে বিনা দুধের চায়ের সাথে অবিরাম গোল্ডলীফ…। মাঝে মধ্যে আমার মেসে হঠাত হাজির হয়, কখনও মাঝ রাতে মাউথ অরগান নিয়ে উপস্থিত, ‘আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ… গানটা একবার বাজা’।

ধীরে ধীরে সবাই হাল ছাড়ল, পরিবার, বন্ধু…আমিও।  শেষবার রাতে ওর সাথে চাপ  আর কাবাব খেলাম। খাওয়া শেষে সিগারেট ধরিয়ে বাবর রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে  সভাবসুলভ হেঁসে বলল,

-‘জানতাম তুই আজ আসবি’।

-‘কি ভাবে জানতি’?

-তিনদিন জ্বরে ভুগলাম, সকাল থেকে ভাবছিলাম কাবাব আর পরটা খাব। তুই না আসলে কে খাওয়াতো!

-ডাক্তার দেখিয়েছিস?  স্বভাব সুলভ হাঁসি আর মাথা নড়ানোতে হ্যাঁ বা না দুই ই হ্য়। আমি চিনি বলেই এর মানে জানি।

-‘সামনের ডিস্পেন্সারী থেকে এক পাতা প্যারাসিটামল কিনে দে, তবে প্রাচীন গ্রীসে জ্বরের চিকিৎসা কি ছিল জানিস’?…   

ছুটির দিনে ভোরে দরজায় ধুমধাম আওয়াজ।পিয়ন জানালো, স্যার আপনার বন্ধু, জরুরি ফোন। ভোর থেকে নাকি চেষ্টা করছে, ধরার কেউ ছিল না। লাইনে আছে…। 

-তুই কোথায়?

-মেসে, কেন?

-আজ ভোরে সহরয়ারদী হাসপাতালে শওকত মারা গেছে। ডাক্তার বলছে হৃদরোগ, টের পায়নি সময় মত। তোর মেস থেকে একশ গজ দূরেই তো, তাড়াতাড়ি আয়।  

আজ আমি দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াই। আফ্রিকার কংগো, মিশরের পিরামিড, জরডানের পেট্রা, মক্কা মদিনা, ডেড সি, স্ট্যাচু অফ লিবারটি, পিকাদেলি সারকাস, কুতুব মিনার, বসরা,আইফেল টাওয়ার, তাজমহল থেকে সাগরদাড়ি, কুসুম্বা, ময়নামতি, মহাস্থান, নিঝুম দ্বীপ, পাবলাখালি রেঞ্জ, সোনা মসজিদ, বান্দরবন, নীলসাগর, তামাবিল… কোথায় না! আমার তো থামার উপায় নেই, আমি যে  শওকতের সাথে স্বপ্ন বদল করেছি।

৪,৫৫৫ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “স্বপ্ন বদল”

  1. রেজা শাওন (০১-০৭)

    জুনায়েদ ভাই লেখার বর্ণনাভঙ্গি খুব চমৎকার। আমি খুব একটা ভাল বুঝি না এসব ব্যাপার, স্বল্প জ্ঞান থেকে এটুকুই বললাম। লেখাটা মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

    সিসিবিতে লেখালিখি জারি রাখবেন আশা করি। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  2. জিহাদ (৯৯-০৫)

    খুব দারুণ লেখা আর মন খারাপ করা লেখা।

    সিসিবিতে নিয়মিত লিখবেন আশা করি। আর নামের পাশে সালটা দিয়ে দিলে সবার জন্য বুঝতে একটু সুবিধা হয়। ভালো থাকবেন, শওকত ভাইও আশা করি না ফেরার দেশে ভালো আছেন, নিজের মত করে।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    চমৎকার লেখা।
    কিন্তু এইটা কি গল্প ভাইয়া না সত্যি!
    আপনাদের ব্যাচের আশরাফ ভাই লন্ডোনেই। যোগাযোগ হয় প্রায়ই।

    আশা করছি আপনার লেখালেখি সিসিবি তে চালু থাকবে।

    এখন একটু বেয়াদবি করবো ভাইয়া।
    ০১ নামটা বাংলায় করলে কেমন হয়! সেই সাথে কলেজে অবস্থান কালটা!
    ০২ কিছু বানান ভুল আছে। আপনি যদি সময় করে একটু ঠিক করে দিতেন তবে লেখার আবেদনটা একটু বাড়তো বলে মনে হয়।
    ০৩ আরেকটি ব্যাপার আছে; যা আপনার সিনিওর বা ব্যাচমেটরা মনে করিয়ে দিবে।

    এখন আমি দেই
    :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    স্বপ্নবান মানুষগুলো বুঝি এভাবেই তাদের স্বপ্ন ও জীবন বিলিয়ে দিয়ে মিলিয়ে যায় স্বপ্নহীনতার দেশে! আর আমরা বড় স্বার্থপরের মত সেই স্বপ্ন জড়িয়ে বেঁচে থাকি, জীবন সাজাই ধারে পাওয়া স্বপ্ন দিয়ে, অভিলাষের প্রাসাদ গড়ি অন্যের স্বপ্ন গুড়িয়ে। শওকত ভাই বেঁচে থাকলে অবশ্যই একদিন দেখা করে প্রশ্ন করতাম, "শওকত কী করে হওয়া যায়?" :no:

    জবাব দিন
  5. ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০)

    ব্লগ অফ দ্য মান্থ :boss: :boss:
    ভালো থাকুন শওকত ভাই। আপনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমান।


    যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

    জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ভাইয়া,
    দারুন লিখেছেন। আগেই পড়েছি, কিন্তু ব্যস্ততার (আসলে আলসেমি) জন্য মন্তব্য করিনি।

    পাঁচতারা দাগায়ে গেলাম।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।