অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ -৩

[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
গত পর্ব
নয়ঃ
( ৩০ বছর আগের কথা , তখনো এটা ক্যাডেট কলেজ হয়নি। খুব সুন্দর একটা ছিমছাম স্কুল)
স্কুলটার নাম খুব সুন্দর অংকুর। অন্যসব স্কুলের মত হাই স্কুল কিংবা মাধ্যমিক স্কুল টাইপের লেজ এর সাথে নেই। মাধ্যমিক স্কুল হলেও নামটা শুধুই অংকুর। এখানকার রেজাল্ট খুব হাইফাই কিছু না হলেও প্রতিবছর বেশ সম্মানজনক ভাবেই সবাই পাশ করে বের হয়। তবে অন্য যে দিক দিয়ে অন্য কোন স্কুল এর কাছে কিনারেও আসতে পারবেনা তা হল এর পরিবেশ। অনেক বড় জায়গা নিয়ে এই স্কুল। একটা বিশাল খেলার মাঠ ছাড়াও এর আশেপাশে বিস্তর জায়গা। পিছনের দিকে অনেক গাছপালা হওয়াতে সেদিকটায় এখন কেউ যায়না মাঝে মাঝে শুধু দু একজন দুষ্টু ছেলের দল সেখানে গুলতি দিয়ে পাখি শিকারে যায়। এখানকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে দুষ্টামী বলতে সেগুলোই। অন্য স্কুলের মত এখানে কিন্তু কোন ছেলে কোন মেয়েকে শিস বাজায় না বাজে কথাও ছুঁড়ে মারে না।চিঠি লিখে ফেলার মত মনোভাব এখনো এদের আসেনা। এমন কি মেয়েরাও কখনো কেউ তাদের গায়ে ধাক্কা খেলে বলে বসে না ” অসভ্য”। বরং অস্থির হয়ে দেখে ছেলেটার কোথাও লাগল কিনা। বলা যায় খুবই সুন্দর একটা সুস্থ পরিবেশ। সত্যি এই স্কুলের ছেলেমেয়েদের পরিবেশটা খুব হিংসা করার মত।
ক্লাস সেভেনে সেদিন ক্লাস নিচ্ছিলেন রকিব সাহেব। তিনি আবার এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রচন্ড রাগী মানুষ। ওনাকে কেউ কোন ছাত্র কিছু জিজ্ঞেস করেনা। তিনি মাঝে মাঝেই কোন একটা ক্লাসে গিয়ে একটা কিছু ক্লাস নেন। আজ সেভেনে। এই ক্লাসের ছেলেপিলে এখনকার মধ্যে সবচেয়ে দুরন্ত। রকিব সাহেব ক্লাসে ঢুকেই দেখেছেন বিশাল একটা গোল আড্ডা তার মধ্যমণি হয়ে আছে সামিয়া। এই মেয়েটি এত কথা বলতে পারে। যখন স্যারদের ক্লাস চলে এবং সবাই স্যারের দিকে তাকিয়ে থাকে তখন কথা বলার মানুষ না পেয়ে সে একা একা তার কলম খাতা এইসবের সাথেই কথা বলে। ওর কথা সবাই জানে এই স্কুলের। স্কুলের সবার সাথেই তার মহা খাতির। একেবারে কর্মচারি থেকে শুরু করে উপরের ক্লাসের সব ভাইয়া আপুরাও। এইত গত মাসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে যেই ব্যাচটা বেরিয়ে গেল তাদের ফেয়ারওয়েল এর মধ্যে সামিয়ার কান্না আর থামেনা। বড় আপুরা তো ওকে সামলাবে কি ওর কান্না দেখে নিজেরাই কান্না শুরু করে দিয়েছে। আর ভাইয়ারা কাঁদেনি অবশ্য তবে সবার চোখ ছলছল করেছে। ছেলেদের মনে হয় সবার সামনে কাঁদতে নেই। কোন ভাইয়া নাকি সামিয়াকে সবসময় পিচ্চি ডাকত সেই ক্লাস ১ থেকে তার জন্য তার সেকি কান্না। আর ঐ আপুটা যিনি সবচেয়ে সুন্দর আর সবচেয়ে মিষ্টি করে কথা বলতে পারত তাকে তো সামিয়া কিছুতেই ছাড়বে না। সে এক কাহিনী হয়েছিল সেদিন। স্কুলের পিচ্চি গুলাও কিন্তু সামিয়া আপু বলতে একেবারে পাগল। কারণ সামিয়া আপু ওদের অনেক গল্প শুনায়। আসলে আমার মনে হয় যখন সবাই ওর বকবক শুনতে শুনতে চলে যায় ও তখন পিচ্চিগুলাকে ধরে।
সেই সামিয়া আজকের আড্ডার মধ্যমণি। সবাই ওর কথা খুব মন দিয়ে শুনছিল। বেশ একটা মজার সংবাদ দিচ্ছিল সামিয়া। যদিও কেউ বিশ্বাস করেনি। কারণ সামিয়া বলছে স্কুলটা নাকি আবাসিক হয়ে যাবে। সবাই নাকি ওরা এখানেই থাকবে। এত মজা কি কখনো হয়। চাপাটা তাই সবাই বিশ্বাস করতে চাইলেও করতে পারছেনা। ওরা জানে যেটা হওয়ার আশায় ওরা বসে থাকে সেটাই কখনো হয়না। হবে সব বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি ঘটনাগুলা। তাই সামিয়া যখন বলছিল এখানে হোস্টেলে সবাই মিলে থাকলে কি কি মজা হবে সেটা তারা গোগ্রাসে গিলছিল। সবটাই যে সামিয়া সত্যি বলেছে তা কিন্তু নয়। সামিয়া দেখেছে সত্য কথা গুলা কখনোই মজার হয়না। তবে সে মিথ্যাও বলবেনা। সে তখন তাই করে কি সত্যির সাথে তার কল্পনা গুলাও জুড়ে দেয়। বেশ একটা মজার হয় তখন। ছেলেমেয়ে গুলোকে তখন দেখলে মনে হচ্ছিল এখনই তারা বাসায় গিয়ে বইখাতা ব্যাগ নিয়ে চলে আস্তে চাচ্ছে এখানে। তবে তাদের মধ্যে একজন যে কিনা এখনো মায়ের সাথে স্কুলে আসে সে কিন্তু ব্যাপারটায় খুব একটা মজা পাচ্ছে না। কিন্তু সবার আগ্রহ দেখে ও বলতেও পারছেনা যে আম্মু পাশে না থাকলে ওর এখনো ঘুম আসেনা।
এরই মধ্যে একজন খুব বিজ্ঞের মত বলে উঠল আমাদের তো তাহলে দুটা হোস্টেল বানাতে হবে। সবাই বলে উঠল কেন দুটা কেন। ও বলল একটা ছেলেদের আরেকটা মেয়েদের। সবাই খুব জানতে আগ্রহী হয়ে উঠল কেন কেন? কিন্তু বেচারা ঠিক জানেনা কারনটা কি। শুধু বলল নাহ ছেলে মেয়ে একসাথে থাকা ভাল না। সবাই আবার প্রশ্ন কেন ভাল না? ঠিক তখনই ভিপি স্যার ক্লাসে ঢুকাতে বেচারা বেচে গেল।
রকিব সাহেব ক্লাসে ঢুকে কিছু বললেন না। তিনি কিছু বলেন না কখনো শুধু একটু তাকালেন। তাতেই সবাই যে যার জায়গায় চলে গেল। স্যার পড়ানো শুরু করলেন। কিন্তু কারোই পড়ায় মন নেই। সবাই উশখুশ করছে। এই ক্লাসটা নেওয়ার কথা ছিল জামান স্যার এর। খুবই ভালো স্যার। ওনার ক্লাসে খুব মজা হয়। তিনি এত সুন্দর করে পড়ান কারো মনেই হয় না যে উনি পড়াচ্ছেন। মনে হয় যেন গল্প করছেন।সেই জায়গায় রকিব স্যার আসাতে সবার অনেক সমস্যা হয়ে গেল। কারণ সবাই ঠিক করে রেখেছিল আজ সামিয়ার চাপাটা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করবে জামান স্যারকে।
সামিয়া কিন্তু বেশিক্ষণ পারল না চুপ করে থাকতে। সে টুপ করে দাঁড়িয়ে গেল। রকিব সাহেব অবাক হয়ে ভুরু কুঁচকে তাকালেন। তার ক্লাসে কেউ কোনদিন কথা বলেনা কিছু জিজ্ঞেস করেনা। সামিয়া হাত তুলে অপেক্ষা না করেই দাঁড়িয়ে স্যার কে বলল “স্যার আমাদের স্কুল নাকি আবাসিক হয়ে যাবে”। রকিব সাহেব এটা শুনে কিন্তু খেপলেন না কিছুদিন হল এই প্রস্তাব এসেছে। অন্য সময় হলে সামিয়া পড়ার বাইরে কথা বলার জন্য একটা ঝাড়ি খেত আজ তা হল না। ” হ্যা এটা ক্যাডেট কলেজ হয়ে যাবে।” সামিয়া দিগ্বিজয়ের মত চারদিকে তাকাল ভাবখানা কি বলেছিলাম না। যদিও সে বুঝতে পারে নি স্কুল হঠাৎ কলেজ হয় কিভাবে। ওর বড় আপু কলেজে পড়ে সেটা তো অন্য জিনিস কলেজের নাকি কোন ড্রেস থাকেনা। একটা জামা পড়ে গেলেই হয়। ক্যাডেট শব্দটাও সে বুঝতে পারেনি। কথা শুরু হয়ে গেলে সামিয়া আর থামতে পারেনা। সে তাই বলেই যাচ্ছে খুব মজা হবে ওরা সবাই এসে হোস্টেলে থাকবে। সেদিন যে ওরা মজার একটা খেলা শেষ করতে পারেনি তার কারণ ছিল পিয়ালের আম্মু চলে এসেছিল ওকে নিয়ে যেতে তেমনটা আর হবেনা। রকিব সাহেব এবার খেপে গেলেন। সামিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বসতে বললেন। আর সাথে বললেন ” তুমি সেখানে থাকতে পারলে তো”। সাথে একটা ক্রূর হাসি। সামিয়া কিছুই বুঝতে পারলনা। এই স্কুল ছেড়ে সে কোথায় যাবে। সেই ক্লাস ১ থেকে সে এখানে। গতবছর আব্বু যখন ওকে অন্য একটা খুব ভাল স্কুলে ভর্তি করতে চাইল তখন সে কেঁদেটেদে সেটা থামিয়েছে।

দশঃ
সামিয়া কিছুই বুঝতে পারছেনা। এবছরই নাকি অংকুর স্কুলে তার শেষ বছর। অন্য স্কুলে যেতেই হবে। এই স্কুল নাকি এখন শুধু ছেলেদের হয়ে যাবে। ওরা নাকি এই সুন্দর স্কুলের নামটাও চেঞ্জ করে দিবে। সামিয়া তো ভাবতে পারেনা তার এতবছরের বন্ধু বান্ধবীগুলা আলাদা হয়ে যাবে। ওর শুধু কান্না আসে। শুধু হাসিব বলে আমি বলেছিলাম না ছেলেমেয়ে একসাথে থাকতে পারবেনা। সামিয়া কারণ বুঝতে পারেনা বুঝতে চায়ও না। ও শুধু চায় এদের সবার সাথে থাকতে। সে এখন প্রতিদিন নামাজ পরে। নামাজ এর পর মোনাজাত এ ও কি বলে তা যদি বড়রা টের পেত। ও চাচ্ছে ওদের সহকারী প্রধান শিক্ষক রকিব সাহেব যেন মরে যায়। কেন যেন মনে হচ্ছে এই লোকটাই সব ঝামেলার মূল। এই লোকটা মরে গেলেই আর কোন ঝামেলা হবে না। ওকেও এই স্কুল ছেড়ে চলে যেতে হবে না। সেদিন ওকে অনেক বকেছে রকিব স্যার। ওরা সবাই মিলে খেলছিল তখনই এই লোকটা কোথা থেকে এসে খুব বকা দিয়েছে ওদের। এই লোকটাও হাসিবের মত বলেছে ছেলে মেয়ে একসাথে কিসের খেলা। তাই সামিয়ার রকিব স্যার এর উপর অনেক রাগ। মনে হয় ইনিই ইচ্ছা করে মেয়েদের কে নতুন কলেজটায় নিতে চাচ্ছেন না।
অবশেষে স্কুলের স্পোর্টস ডে টা চলেই আসল। সামিয়ার আজ অনেক মন খারাপ । আজই নাকি ওর শেষ দিন এই স্কুলে। তবুও সামিয়া অনেক আশা নিয়ে আছে। শেষ মুহুর্তে হয়তবা রকিব স্যার স্বিদ্ধান্ত চেঞ্জ করে ওদেরকেও নিয়ে নিবেন। সব প্রাইজ দেওয়া শেষ প্রধান শিক্ষক কি কাজে যেন না থাকাতে রকিব সাহেবই সমাপনী ভাষণ দিচ্ছেন। একেবারে শেষে তিনি বললেন এর পরের বছর থেকে এটা ক্যাডেট কলেজ হয়ে যাবে। ৭ থেকে শুরু হবে। নিচের সব ক্লাস বাদ হয়ে যাবে। মেয়েরা বাদে ৭ থেকে উপরের ক্লাসের ছেলেরা যে যার ক্লাসেই থাকবে আরো অনেক কিছু বললেন। সামিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। কিছু কানে যাচ্ছেনা। রকিব সাহেব ভাষণ শেষ করার পর সব অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সামিয়া ছুটে গেল রকিব সাহেব এর কাছে। ওর চোখে স্পষ্ট ঘৃণা। চিৎকার করছে সামিয়া। আমি এই স্কুল থেকে যাবনা। আমি আমার বন্ধুদের ছেড়ে যাবনা। আপনি খারাপ আপনি আমাদের ইচ্ছা করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। ওর আব্বু আর আম্মু এসে ওকে নিয়ে যাচ্ছে। ওর বন্ধুদের সবার চোখে জল। রকিব সাহেব কিন্তু কিছু বললেন না। সামিয়া তখনো চিৎকার করে যাচ্ছে। আমি যাবনা ……
সামিয়ার বন্ধুরা কিন্তু ২ মাস পরেই ভুলে গেল সামিয়াকে। ওদের নতুন বন্ধু হয়েছে। এবং তারা নতুন করে আবিষ্কার করল হোস্টেল লাইফটা অনেক মজার। যদিও আর্মি আর পুলিশের ড্রেস পরা কিছু লোক এসেছে এখানে যারা অনেক নতুন নতুন নিয়মের কথা বলে যাচ্ছে ওদের তবুও সব মিলিয়ে অনেক মজার জীবন। সামিয়া কিন্তু ভুলতে পারেনা। নতুন স্কুলে গিয়ে সামিয়া এখন আর কোন কথা বলে না। চুপ করে কোনায় গিয়ে বসে থাকে। ওর একটাও নতুন বন্ধু হয়নি। সেদিন ও শুনেছে একজন ওকে দেখিয়ে বলেছে এই মেয়েটা এত ভাব মারে কথাই বলতে পারে না মনে হয়। চোখ ফেটে কান্না আসে সামিয়ার। আগের স্কুলে সবাই ওর কত কাছের মানুষ ছিল। সবাই বলত সামিয়া তুই কি একটুও চুপ করে থাকতে পারিস না। আর এখানে…। ২ দিন পর পরই সামিয়া ক্যাডেট কলেজটার সামনে এসে দাঁড়ায়। এখন আর ওকে ভিতরে ঢুকতে দেয়না। প্রথম দিন জোর করে ঢুকতে নিয়েছিল বলেছিল একটু ওর বন্ধুদের সাথে দেখা করেই চলে যাবে কিন্তু গেইটের দারোয়ান যে কিনা আগে সামিয়াকে দেখলেই আদর করে একটা হাসি দিত সে এমন ভাব করল যেন তাকে চিনেই না। সেই থেকে আর ঢুকতে চায়না সামিয়া ভিতরে। দূর থেকে দেখে তার সেই প্রিয় মাঠ যেখানে সবাই খেলছে। দূর থেকে সে চিনতে পারে না ওর বন্ধুদের তাও ধরে নেয় ঐ যে বলে লাথি দিল যে ছেলেটা সেটা তমাল আর গোলকিপারে দাঁড়িয়ে আছে ভোটকু পিয়াল। চোখে পানি চলে আসে সামিয়ার। প্রতিদিন ভাবে আর কখনও আসবে না এখানে সবাই পঁচা। সবাই তাকে ভুলে গেছে। আর সবচেয়ে পঁচা রকিব স্যার। ও শুনেছে উনি নাকি এখন আর স্যার না উনি নাকি এখন ভিপি।
পরের পর্ব>>

৪২ টি মন্তব্য : “অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ -৩”

  1. দুটা দিন অনেক খুঁজেও আমি আগের দুই পর্ব থেকে কোন সুতা পেলাম না যেটা ধরে এগিয়ে নিয়ে যাব। তাই আমি ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলাম। একটা মেয়ে চরিত্র দরকার ছিল পরবর্তীতে যেটা (মানে প্রথম পর্বেই যার আবির্ভাব) পরী বা অন্য কিছু হবে। সেইটার জন্য আমি একটা নাম খুঁজছিলাম। অবশেষে আমাদের এখানকার ছোট আপু সামিয়ার নামটা দিয়ে দিলাম। কেমন হইল বুঝতেছিনা গল্পটা তবে আমি শিউর পরের জনের জন্য আরো টাফ করে দিছি।

    জবাব দিন
  2. কামরুল ভাই,

    অসাধারণ হইছে।

    চতুর্থ পর্বের লেখকের অপেক্ষায় আছি। থিমটা অনেকটা মার্কিন সিরিয়ালের মতন। একেক পর্ব একেক জন লিখে। অবশ্য আমাদেরটার কোন ধরাবাঁধা কাহিনীও নেই।

    জবাব দিন
  3. আগের পর্বটায় আমি একটু জটিল ও নিরস করে ফেলেছিলাম। এই পর্বে আমার প্রাণ ফিরে এসছে, নিঃসন্দেহে। আশাকরি, চতুর্থ পর্বের জন্য অনেক সাড়া পাওয়া যাবে।

    জবাব দিন
  4. জটিল হচ্ছে। কলেজের ধারাবাহিক গল্পবলা প্রতিযোগিতার কথা মনে পড়ে গেল। একবার তো ২য় প্রতিযোগী নায়ককে মেরে ফেলল। সবাই তো হা হুতাস শুরু করেছে। এইবার কি হবে। ৩য় জন ছিল বস্ (নাম মনে নাই) এস কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল, এতক্ষন একটা স্বপ্ন দেখছিলাম।

    কাহিনীগুলার সুতা জোড়া লাগার অপেক্ষায়...

    শামস/৯৬/ককক

    জবাব দিন
  5. আইহায় তপু ভাই!!! এই কি অবস্থাআআআআআ!!! শেষ পর্যন্ত আমার নামে ভূতের নাম???আমার নামের কপিরাইট আছে তপু ভাই.....তিনটা আইসক্রীম, নাইলে ২২২ ধারায় মামলা..

    জবাব দিন
  6. এইটা কি বললা আপু ভুত আসলো কোথা থেকে। এত সুইট মেয়েটা ভুত হতে পারে। এ তো হবে পরী। আর নামের কপিরাইট মেনে নিলাম। ওই যে মাশরুফ একটা পার্টি দিবে সেটায় আমি আইসক্রিম খাওয়াব।

    জবাব দিন
  7. তপু ভাই এই সব কি?? আইসক্রিম কি খালি পরী রাই খায় নাকি।আমাগো মত মানুষ তো আর বেশি খায়।কাজেই... মানুষ ডিংগিয়ে পরীরে খাওয়াইতে যাইয়েন না।ভিপি স্যারের পরে আপনাকেও তাহলে বোধহয় আর বাঁচানো যাবেনা 😀

    জবাব দিন
  8. ও হ্যা হ্যা। মনে অইসে মনে অইসে।
    তপু ভাই,এইবারের মত বাইচা গেলেন।তবে একবছরের নামে।নেক্সট ইয়ারে আবার চানাচুর,কোক আর আইস্ক্রিম দিয়া জানডা রি রেজিস্ট্রেশন করতে হব।
    খেয়াল কইরা... 😀

    জবাব দিন
  9. জ্বীনা জ্বীনা জ্বীনা। আইসক্রীম শুধু আমার, কাউরে ভাগ দিবোনা। জিহাদরে নিয়া কেউ জ্বীনের কাহিনী লিখছে? লিখে নাই...আর কাউরে নিয়ে কেউ কিছু লিখছে?...লিখে নাই...তাইলে কে বস??? 😀

    জবাব দিন
  10. বাঁচতে পেরে কিন্তু ভাল লাগেনাই। তারেক ভাইরে হিপ হিপ হুররে দিতে গিয়ে বুকে ব্যাথা লাগছে মনে হইছিল এই ব্যাটা কোথা থেকে আসল। হিপ হিপ হুররেটা আমার পাওয়ার কথা ছিল। হাহাহা

    জবাব দিন
  11. মেয়েঘটিত জটিল কুটিল চাল এইখানে চলবোনা।কেউ লিখেনাই তো কি হইসে।আমার লেখার টার্ণ তো এখনো বাকিই আছে।কাজেই লেখক চাইলে কী না করতে পারে?? 😛 আর তোমার নাম দিসে খাওয়ানোর কথা তো তোমার তপু ভাইরে।
    কাজেই অই সব হবেনা।তুমি খাইলে আমাগোরেও খাওয়াইতে হবে।ফার্স্ট এন্ড ফাইনাল...

    জবাব দিন
  12. হাহা... সিলেট কবে পাবনা রে ছাড়াইছে? পাবনা পাবনাই... পাবনার উপর দিয়া পাখি গেলেও একটা ডানা দিয়ে উড়ে যায়... [কেন যায় সেটা তো সবার জানা আশাকরি 😉 ]

    জবাব দিন
  13. আমরা এইটা এখানেই শেষ করে দেই। একটু লক্ষ্য রাখি যেন আমাদের রসিকতা বাঁশ দেওয়া কিংবা পঁচানো লিমিট না ছাড়ায় যাতে কেউ হার্ট হয়। এইটা লিমিট ছাড়ায়নাই কিন্তু একেবারে লিমিটে অবসথান করছে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।