ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ক)

একজন মানুষ যখন বিদেশ যায়, পড়তে কিংবা কাজ করতে, তখন সেই বিশেষ দেশটির প্রতি মায়া না জন্মালেও যেই এলাকায় থাকা হয় সেই এলাকাটির প্রতি হয়তো মায়া হয়তো ঠিকই জন্মায়। এই মায়ার গাঁথুনি তৈরী হয় অভ্যাসে ও সুরক্ষিত থাকে আবেগে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছোট এক শহর ছেড়ে দেশে পাড়ি জমিয়েছি প্রায় সপ্তাহ দুয়েক। দেশে আসার আগে ঘুরে বেড়িয়েছি শিকাগো, ক্যানসাস সিটি, সল্ট লেক সিটি, ও লাস ভেগাস। বিশাল অট্টালিকা, আলোকসজ্জিত ডাউনটাউন, দামী রেস্তোরা, হাতের নাগালে গণপরিবহন ব্যবস্থা, ছিমছাম পাড়া, প্রতিবেশী কি নেই এই শহরগুলোতে।

উপরের লিখাটুকুর দিকে তাকিয়ে মনে করার চেষ্টা করছি ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে লিখা শুরু করেছিলাম। কিছুতেই মনে করতে পারলাম না। দেড় মাস আগের খসড়া ফেলে রাখলে এমনটাই বুঝি হয়। আমেরিকার শেষ কয়টি দিনের ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ছবি/ভ্রমণব্লগ লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্রিয় বাঙলাদেশ, আমাকে তাঁর স্বভাবসুলভের চাইতে একটু বেশী স্বাগত জানিয়ে ফেলায় খেই হারিয়ে ফেলেছি। আমেরিকার দূরদূরান্তের বাস্তবতা বিবর্জিত মফস্বল হতে বাঙলাদেশের নির্মম বাস্তবতায় এসে পড়াটা ছিল খানিকটা সাঁতার না জেনে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আছড়ে পড়ার পরে ব্যথায় উপলব্ধিঃ পানি নয় শক্ত মাটিতে পড়েছি।

থিসিস সুপারভাইজারকে যখন বলছিলাম স্প্রিং সেমিস্টারে দেশে রিসার্চের কাজ করা সম্ভব হবে না, ৫ জানুয়ারীর পরে দেশে ঝামেলা হবে। উনি মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘How could you be so sure?’
উত্তরে শুধু বলেছিলাম, ‘You will see!’
আমেরিকা ছাড়বার দিন দুয়েক আগের ইমেইলের কথাটি ছিল, ‘You are right. It looks pretty bad to me. Stay safe.’

২৯ জানুয়ারী দেশে আসবার পরের প্রথম এক সপ্তাহ ভয়ে বাসা থেকে বের হইনাই। পরিচিত বন্ধু, বড় ভাইরা ঠাট্টা তামাশা করে বলতেন, ‘আমেরিকান মোকা ককটেলের ভয়ে বাসা থেকে বের হয় না।’ ভাবতাম কে বেশী করুণার পাত্রঃ ককটেলের ভয়ে বাসায় লুকিয়ে থাকা আমি নাকি সহিংসতাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে মেনে নেয়া এই মানুষগুলো? এরপর দিন গড়িয়েছে, সহিংসতাকে আলিঙ্গন করে বাসে চড়েছি, রাডারের মত ঘাড় ডানে বায়ে ঘুড়েছে, এরপর আরো দিন গড়িয়েছে, বাসে উঠে ঝিমাতে শুরু করেছি। আবারো ভেবেছি, কে বেশী করুণার পাত্র?

এরই মাঝে ডঃ অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। আমরা বললাম, ঐ অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কি দরকার ছিল? হুমকি পাওয়া সত্বেও তিনি কেন পুলিশকে জানাননি? এসে পড়লো বিজ্ঞান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। তর্ক হলো -মনস্কতা ও -বাদ নিয়ে। কেউ নালিশ করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে। সেটা নিয়ে গ্রাম-বাঙলার বউদের মত গা-টেপাটিপি করলেন অনেকে। এদিকে ভদ্র কিংবা অভদ্র ভাষায় গালিগালাজ হলো। তবে ঠিক যেন শান্তিমত গালিগালাজ করা গেলো না। ‘এই ব্যাটায় তো হিন্দু। হিন্দুরে নাস্তিক, ব্লগার বইলা যুইত মত জোশটা পাওয়া যাইতেসে না। আইচ্ছা তয় এই বেটায় ভালা না। খুব খ্রাফ।’ এত কিছুর মাঝে সকল কথার মূল কথা হলো আমরা একজন গবেষক, প্রকৌশলীকে হারালাম। এতে অবশ্য বাঙলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কিছু আসে যায়না। আমি সপ্তাহ তিনেক সময় দিয়েছি ব্যাপারটা ভুলে যাবার জন্য। দেখা যাক।

এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন কান্ডারীর এক কান্ডারী যুক্তরাজ্যকে গুঁড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল বাঙলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশ ভাসলো আনন্দের সাগরে। এই বিজয়কে স্বাগত জানাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট একদিনের জন্য হরতাল শিথিল করলো। তাই আমি ট্রাফিক জ্যামে একটি ঘন্টা বেশী বসে থাকলাম। রুবেল-হ্যাপীকে নিয়ে চটুল এবং কখনো অনধিকার চর্চার মত মন্তব্য আমরা করে ফেললাম। গতকাল হাইকোর্টে মামার এক আইনজীবি সাহেবের সেরেস্তায় বসে জানতে পারলাম হ্যাপীর আইনজীবি গতকাল মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আইনজীবিরাও বাদ থাকবেন কেন? চটুল মন্তব্যে ও হাসির দমকে চা ছিটকে সাদা শার্টে পড়লো, সিগারেটের ছাই চোখে ঢুকলো।

আগামী ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির নির্বাচন। আইনজীবি সাহেবের সেরেস্তায় বসে অপেক্ষার প্রহর গুনবো নাকি নীল (বি,এন,পি সমর্থিত প্যানেল) ও সাদা (আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল) দলের কতজন প্রার্থী এসে নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্ড ও লীফলেট গুনবো তা ভাবছিলাম। নীল কিংবা সাদা লীফলেটের আচ্ছাদনে ঢেকে আছে গোটা বারান্দা। এত কাগজের অপচয় না দেখলে বোঝার উপায় নেই। পছন্দের প্যানেল কোনগুলো তা আইনজীবি সাহেব ও উনার সহকর্মীদের উঠে দাঁড়ানো, হাত মেলানোর ধরণ ও আগ্রহ দেখে সহজেই অনুমান করে নিলাম। একসময় জানতে পারলাম নির্বাচনী প্রচারণা তথা আদালত পাড়ার রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখন ফেইসবুক। দুই দলের প্রত্যেক প্রার্থীই ফেইসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালত পাড়ার এই রাজনীতির সাথে কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে যখন নরসিংদী জেলা জজ আদালতে। তখন আমার সিনিয়ার, এ্যাডভোকেট মনসুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনী প্রচারণায় বহু আইনজীবির বাড়ি গিয়েছি কথা বলেছি। পানির মত খরচ হয়েছে টাকা। ধারণা করছি সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে একই ঘটনা আরো বড় আঙ্গিকে হবে। ধারণা সত্য প্রমাণ করলেন সেরেস্তার এক আইনজীবি। গত বছর কোন এক প্যানেলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিভিন্ন জেলা সমিতির সম্ভাব্য ভোটারদেরকে বিলাসবহুল বাসের এবং যেসব জেলায় বিমান চলাচল করে সেখানে বিমানের রাউন্ড-ট্রিপ টিকেট কেটে তাদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন। ধারণা করি সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বাৎসরিক নির্বাচনে মোট খরচের সংখ্যাটি কোটিতে দশকের ঘরে।

সবশেষে, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ কয়টি দিনের প্রস্তুতির খবর জানতে আমরা চলে যাব আমাদের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি মোকাব্বির সরকারের কাছে। মোকাব্বির আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?!! …….

২৬ টি মন্তব্য : “ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ক)”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বাহ, একেবারে ভিডিও রিপোর্টিং 🙂

    আমাদের সকল ধরনের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য আমার মনে হয় শুধু নির্বাচন ব্যয় আর পরবর্তীতে সেটা পুষিয়ে নেবার কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরন বের করাই মনে হয় যথেষ্ট। তারপ্র সেটা ধরে চিপা দিতে পারলে বাকি সব লাইনে চলে আসবে। কিন্তু অদূর বা দূর, কোন ভবিষ্যতেই এর আশা দেখছি না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      বইসা থাকতে থাকতে বিরক্ত হইয়া ভাবলাম একটু ভিডিও করে রাখি এই নাটক! নির্বাচনের খরচ ও খরচ উঠানের পরবর্তি কার্যক্রম যদি বাইর করতে পারতাম তাইলে তো হইসিলই! :duel:


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    খারাপ লাগলো
    ভাল লাগলো
    মজা লাগলো।

    ক্যান জানি মনে পড়লো
    "আমার চাই টাকা, নইলে জমি।"


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আগে মোবাইল থেকে পড়লে ইমো দিতাম।
    লেখকরা কষ্ট পেতেন, ভাবতেন না পড়েই ইমো দিচ্ছি।

    গ্যালাক্সি এস ফাইভে খুব সুন্দর অভ্র ইউজ করা যা।
    কাল ডাউনলোড করলাম।
    বাঙলা য় কমেন্ট করা যাবে আরামে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    সরকার,

    আরে, তুমি দেশে বসে আছো? আর আমি ত' প্ল্যান করতেছিলাম একদিন তোমাকেসহ নূপুর ভাইয়ের বাসায় গিয়ে চমকে দিবো। মাস দু'এক আগে নূপুর ভাইয়ের বাসায় গেছিলাম বউসমেত। একরাত ছিলামও। দূর্দান্ত আপ্যায়ণ করেছিলেন ভাবী। আর তাদের মেয়ে টুপুরও অনেক মজা করেছিল আমাদের সাথে। নূপুর ভাইয়ের সাথে আড্ডার কথা না-ই বা বলি।

    তুমি কি আবার আসবে মিশিগানে, এই জুলাইয়ের মধ্যে?


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  5. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    একটা কথা না-বললে আসলে বোঝানো যাবে না নূপুর ভাইয়ের বাসায় আড্ডা মিস করা কত বড় মিস-
    ডিনার টেবিলে খাওয়া প্রায় শেষের দিকে অলরেডী একটা প্রমাণ সাইজের ইলিশের পেটি খাওয়ার পর ইন্দ্রানী ভাবি যখন জোর করে আরেকটা পেটি পাতে তুলে দিলেন, তখন গড ফাদার ডন ভিটো কর্লিয়নির মতো মনে হয়েছিল 'লাইফ ইস বিউটিফুল' :dreamy: (সম্পাদিত)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      দুঃখের কথা হইলো কি জানেন, দেশের চাইতে বড় ইলিশ মাছ বিদেশে পাওয়া যায়! কি একটা বর্ণনা দিলেন। পেটে মোচড় দিলো একটা! 🙁 সিসিবির চেনা মুখগুলার সাথে এক টেবিলে বসে আড্ডার ফোয়ারা ছুটছে, আহা এইটা চিন্তা করলেই। যাক ব্যাপার না। হবে হবে! :dreamy:


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      অদ্ভুত।
      আমেরিকা র পাবলিক দেখি বেশ বাঙাল রয়ে গেছে।
      আমরা ত কারো প্লেটে খাবার তুলে দিই না।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  6. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    একদিন ক্লাবে দেখলাম, তারপর কোথায় উবে গেলা? যাহোক, আমি প্রায়ই আজকাল ক্লাবে যাই। গেলে খোঁজ করো।
    লিখাটা চমৎকার হয়েছে।
    অনেকদিন পর লিখলে মনে হয়। তাতে কি লিখেছো যে, সেটাই বড় কথা।
    সকাল থেকেই দেখছি, কিন্তু পড়ার মত যুতসই ফুরসাত করতে পারছিলাম না।
    দেরীতে হলেও পড়ে ফেললাম এখন।
    ভাল থেকো। দেখা হবে......

    ও, হ্যাঁ, আমি কিন্তু একটা সাইকেল নিয়ে নিয়েছি। বিশিষ্ট সাইক্লিস্ট নাশাদের উপদেশ মেনে ওটাতে অভ্যস্ত হচ্ছি।
    সমস্যা হলো, পরিবারের প্রবল আপত্তি দূরে কোথাও যেতে দিতে। আর রাতে চালানোতে তো ভয়াবয় নিষেধাজ্ঞা।
    তাই দিনের বেলা টুকুস টাকুস চালাচ্ছি আর কি... (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      দিনেই চালান। রাতে দরকার নেই যদি না দল বেধে বের হন।
      এক্স ক্যাডেটদের সাইক্লিষ্ট গ্রুপ আছে কিন্তু।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        বেশী ইয়াং জেনারেশনের এইসব গ্রুপ কি আর আমারে সাথে নিবে?
        আর যদিও বা নেয়, যাওয়া কি ঠিক হবে?
        ওদের সাথে কোপ আপ করতে না পারলে পরে ওদেরকেই বিপদে ফেলা হবে আবার।
        কাছাকাছি জেনারেশনের কোন গ্রুপের সন্ধান থাকলে জানিও, চেষ্টা করে দেখবো।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ধন্যবাদ ভাই। ইদানিং হাইকোর্টে প্রচুর দৌড়াতে হচ্ছে। ফেরত আসতে আসতে বিকেল হয়ে যায়। বন্ধুরা ফোন করে কিন্তু ক্লান্তির কারণে ওমুখো হতে ইচ্ছা করে না। পরবর্তী যেকোন দিন গেলে আওয়াজ দিব! 🙂 সাইকেলটা কেনার জন্য টাকা জমানো শুরু করেছি! 🙂


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।