এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২

চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ ফলো করার সময়ে দুচারটা নতুন দলের নামের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাদের অনেক গোল হজম করার কারনে। যেমন: জায়ার, হাইতি। পড়ে ঐ জায়ারে মোহম্মদ আলী ফোরম্যানকে হারালে সবাই কে বলতে পেরেছিলাম, “জায়ার চিনো না? ওয়ার্ড কাপে নয় গোল খাওয়া দলটা।

ফাইনালের আগ পর্যন্ত অল্প কিছু প্লেয়ারকে নামে চিনতাম বিচিত্রার কারনে। তখন বাসায় বিচিত্রা রাখা হতো তাই। এঁরা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেন বাওয়ার, রবার্টো রিভোলিন আর য়ুয়ান ক্রাউফ। আবার ফাইনালের পর ফাইনালের গোলদাতা পল ব্রাইটনার, গার্ড মুলার, আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা লাটোর নাম জেনে গিয়েছিলাম পরদিনের পত্রিকার কল্যানে।

আমার বড় ভাই যেহেতু চ্যাম্পিয়ান হওয়া জার্মান ও গার্ড মুলারের সাপোর্টার হয়ে গেল, পিঠাপিঠি হিসাবে বিরুদ্ধাচারনের জন্য গার্ড মুলার আমার শত্রু হয়ে গেল। লাটোকে পছন্দের মূল কারন ছিল নামটা মনে রাখার জন্য সহজ। আমি ভাইয়ার সাথে কোমড় বেধে ঝগড়ায় লিপ্ত হতাম লাটো যে মুলার থেকে বড় তা প্রমান করতে। তবে ঐসব ঝগড়া কখনো শেষ হতো না।

আটাত্তরের বিশ্বকাপটাও নাদেখা ও প্রথমতঃ বিচিত্রা ও ইত্তেফাকের বিশ্বকাপ সংখ্যা কেন্দ্রিক জ্ঞান নির্ভর। ব্রাজিলের ক্যাপ্টেনসি করবেন রিভোলিনো। এটা ছিল বিরাট খবর। কারন তিনি পেলের সাথে খেলেছেন। আর তত দিনে পেলে সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে তাঁকে ফুটবলের দেবতা হিসাবে ভাবা শুরু করে দিয়েছি। আর্জেন্টিনা সম্পর্কে শুরু থেকেই তেমন কোন আগ্রহ ছিল না সঙ্গত কারনেই। চ্যাম্পিয়ান হবার পড়ে অবশ্য জেনেছিলাম ওদের এক প্লেয়ার মারিও ক্যাম্পস গোল্ডেন বুটও পেয়েছিল।

আটাত্তর পর্যন্ত বিশ্বকাপের চেয়েও বাংলাদেশে মানুষের অনেক বেশী আগ্রহ ছিল ঢাকার লীগ ফুটবলে। এর বাইরে যেটুকু আগ্রহ দেখেছি তা মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপ, আর ভারতের আইএফএ শীল্ড, খুববেশি হলে কোলকাতা লীগ পর্যন্ত। কোলকাতা লীগ কেন? কারন ঢাকায় বসে রেডিওতে ওখানকার ধারা বর্ননা বাংলায় শোনা যেত যে, তাই। আসলে, ফুটবল এমন জিনিষ, চোখে না দেখে, কানে না শুনে কেবলই পড়ে আগ্রহ জাগানো খুবই কঠিন কাজ।

আর তা থেকে বাচাতেই ৮২ সালে এদেশে প্রথম বিটিভিতে সরাসরি কিছু খেলা দেখানোর প্রয়াশ নেয়া হয়। বাকিগুলার হাইলাইটও দেখানো হতো অন্য সময়ে। এসএসসির লম্বা ছুটিতে ছিলাম বলে গোগ্রাসে গিলতাম সব। অবাক হয়ে দেখলাম কত আগে থেকে চেনা লাটো, ব্রাইটনার তখনো খেলছেন। ব্রাজিলের জিকো, ফ্যালকাও, সক্রেটিস, জুনিয়ার হয়ে উঠলো কাছের মানুষ। মিশেল প্লাটিনি, বিগনিউ বনিয়েক, ব্রুনো কন্টি, এন্টোনিওনি, ক্যাব্রিনি, রসি, ব্রায়ান রবসন, অস্কার, প্যাসারেলা কত কত নাম মুখে মুখে ঘোরা শুরু হলো।

রেইনিং চ্যাম্পিয়ান হিসাবে আর্জেন্টিনার নাম আর তাঁদের নতুন সেন্সেশন ম্যারাডোনার নাম অনেক আগে থেকেই পত্র পত্রিকা মারফত চাউর হতে থাকে। যারা প্রথম বারের মত দল বেছে নিচ্ছেন তারা রিস্ক ফ্রি হবার জন্যই চ্যাম্পিয়ান দলের সমর্থক হয়ে গেলেন। আমরাতো পুরনো পাপী, আমাদের সেই সুযোগ রইলো না।

শেষ পর্যন্ত সেই মহেন্দ্রক্ষন এল। আমরা প্রথম সরাসরি বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে বসলাম। খেলা হচ্ছে আর্জেন্টিনা আর বেলজিয়ামের মধ্যে। ম্যারাডোনা তো বটেই, গোটা আর্জেন্টিনা টিম তাঁদের নতুন সমর্থকদের চরম হতাশ করলো। সেইরকম কোন পরিকল্পনার ছাপ গোটা খেলায় দেখলাম না। যা দেখলাম তা হলো, বার বার ম্যারাডোনার পড়ে যাওয়া ব্যাথ্যায় কাকানো আর ফ্রীকিক আদায়ের চেষ্টা। মাঝখানে দুম করে এক গোল দিয়ে সেই যে বেলজিয়াম এগিয়ে গেল তা আর শোধ হলো না পুরো খেলাতে।

আরেকটা আপসেট ঘটেছিল আলজেরিয়ার কাছে পঃ জার্মানের হারের মধ্য দিয়ে। জয়সুচক গোল করার কারনে বেলুমি আমাদের কাছে সুপার হিরো। তবে এর পরেও জার্মান ঠিকই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয়ে পরের রাউন্ডে উঠে যায় ক্যামনে ক্যামনে।

ক্যামেরুনের খেলাগুলো ছিল অদ্ভুত। ৯০ মিনিটের মধ্যে ৮০-৮৫ মিনিটই বল থাকতো ওদের অর্ধে। একুশ জন প্লেয়ার ঐ অর্ধেক মাঠে এক বলের পিছনে ছুটাছুটি করতো। বিপক্ষ গোলকিপার মাঝে মাঝে মাঝ-মাঠে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতো। ক্যামেরুনের পোস্টে কম করে হলেও শ খানেক শট নেয়া হতো অথচ এক সুপার গোলকিপার ছিল ওদের, নাম টমাস এনকোমো। পেপারে লিখতো নকমো। নাকাইম্যা টাইপের নাম হলে কি হবে, প্রত্যেকটা বল সে শুধু ঠেকাতই না, রীতিমত উড়ে উড়ে ধরতো। অদ্ভুত স্কীল। চোখ ধাঁধানো। দুইটা খেলায় কোন গোল না খেয়ে পার করে ইটালির সাথে প্রথম গোল খায়। কিন্তু কি অবাক কান্ড, ঐ খেলায় ওরা একটা গোলও করে বসে। সেটাও গোল খেয়ে সেন্টার করার সাথে সাথেই। ঐ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনই একমাত্র দল যারা অপরাজিত অবস্থায় প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল।

এই বিশ্বকাপেই পাওয়ার ফুটবল কাকে বলে, দেখলাম পঃ জার্মানির কাছে। অথচ তার মধ্যেও রুমানিগে, ব্রাইটনার, লিটবার্স্কীর খেলা মন জয় করে নিয়েছে।

আমার সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা হয়েছিল, দেশি ফুটবলের উপর থেকে সব আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।

পুনশ্চঃ

১) মাঝে মাঝে ভাবি, তখনও তো প্রাইভেট সেক্টর সেইভাবে ছিল না, এই খেলাগুলো স্পন্সরড হতো কিভাবে? যে উত্তরটা সবচেয়ে কাছাকাছি মনে হয়, তা হলো – এগুলো সদ্য চেপে বসা সামরিক শাসন থেকে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য সরকারি অর্থে করা কর্মযজ্ঞ। বিশ্বকাপ দেখিয়ে ভালই অলস করা গিয়েছিল দেশের রাজনৈতিক কর্মকান্ড।

২) ইটালির সাথে ড্র করলেই যেখানে ব্রাজিল সেমিফাইনালে চলে যায় তারা দুর্দান্ত এক দল হয়েও হেরে যায়। জিকো তখন বলেছিল, “ফুটবল ইজ গোলস, এন্ড দে স্কোরড ওয়ান মোর দ্যান আস” – শুনে ভেবেছিলাম, তাইতো, সত্যিইতো, এইভাবে তো কখনোতো ভাবি নাই।

বিশ্বকাপ নিয়ে আরও কিছু লিখা:

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি

আরো কিছু স্মৃতিচারন: ১৯৮৬-৯৪

দর্শক ক্যাটাগরি নিয়ে একটি অনুব্লগ

২২ টি মন্তব্য : “এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ১৯৯৭/৯৮ এর দিকেও সম্ভবত মারদেকা কাপের ধারা বিবরণী রেডিওতে শুনেছি। ভুল হতে পারে বা আগেও হতে পারে তবে মারদেকা কাপের কথা মনে আছে। ৯৭/৯৮ এর দিকে আবাহনী-মোহামেডানের খেলার ধারা বিবরণীও কাকার সাথে মাঝেমাঝে বিকালে বসে শুনতাম মনে পড়ে।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      এখনো অনেক ধারা বিবরনি হয় রেডিওতে। কিন্তু সেগুলো শোনার ইচ্ছা সেই যে ৮২-তে হারিয়ে ফেললাম, আজও তা ফিরে পাই নাই।
      কি গভীর মনোযোগ আর উত্তেজনা নিয়েই না এককালে তা শুনতাম, এখন তা কি করে বোঝাই?


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        সেটাই চিন্তা করছি। একটা খেলা দেখছি না, শুধু শুনে কল্পনায়, কথা শুনে বুঝে নিচ্ছি ব্যাপারটার মাঝে এক ভিন্নধর্মী মাদকতা আছে। ভিন্টেজ কথাটা যদিও ফ্যাশনেবল কিন্তু সবার উচিৎ এই ভিন্টেজের আমেজ নেয়া।


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          শুধু খেলা না, সেই সময়ে রেডিওর নাটকগুলাও ছিল ম্যাজিকাল। এখন ওগুলিকে বলে শ্রুতি নাটক। শনি রবিবার দুপুরে শুয়ে শুয়ে চোখ বুজে রেস্ট নেয়া আর শুধু শুনে শুনে কল্পনায় নাটক দেখা, অদ্ভুত আমেজ।
          এখন আর তা হয় কিনা, তাও জানি না।
          নন্দিত নরক প্রথম শুনি ক্লাস ফোরে থাকতে। ১৯৭৪-এ।
          রাবেয়ার অসুস্থতার কারনে মন্টু কেন যে মাস্টার কাকা কে খুন করলো সেটা অনেককে জিজ্ঞাসা করেও বুঝতে পারি নাই। সবাই বললো, বড় হলে বুঝবে।
          ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর হাউস লাইব্রেরী থেকে নন্দিত নরকে নিয়ে সেটা পড়ার পর কারনটা বুঝি চার বছর পর। একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর পেতে চার বছর অপেক্ষা বড়ই যন্ত্রণার।


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

            রেডিও নাটক এক সময় নিয়মিত শুনতাম, বাসায় ডিস কানেকশন এসেছে অনেক পরে,রেডিও ছিল ৯৮ পর্যন্ত আমার নিত্ত সাথি। বুধবার রাত দশটার পর হতো, এছাড়াও নিশুতি অধিবেশনেও মাঝে মাঝে হতো। তবে বেশি ভাল লেগেছিলো বিবিসি বাংলার আয়োজন, ক্লাসিক কিছু সাহিত্য নিয়ে নাটক করেছিল।


            আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
            আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

            জবাব দিন
  2. sir.. প্রথম উত্তরটা ভাল লাগছে সবচে বেশি,, সামরিক শাসন থেকে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য সরকারি অর্থে করা কর্মযজ্ঞ। এবং দেশি ফুটবল থেকে বেশির ভাগ মানুষেরই আগ্রহ চলে গেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন হবে কিনা তার লক্ষণ ও দেখতে পাইতেছি না।

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ৮২-র কথা তেমন মনে পড়েনা - ম্যারাডোনার ওই ফাউলটা ছাড়া। তবে রথী মহারথীদের নাম পত্রপত্রিকায় পড়ে জানা হয়ে গেছিলো।'৮৬-র ম্যাচগুলোতে কারেন্ট থাকা না থাকা একটা বিশাল চিন্তার বিষয় ছিলো। রেডিওতে কখনো ফুটবল শোনার কথা মনে পড়েনা।

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আবারো ধন্যবাদ ভাই স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য। এসবের প্রায় কিছুই জানতাম না।

    রেডিও কমেন্ট্রি দারুন জিনিষ। ৮৮-৮৯ থেকে আবাহনীর খেলার কমেন্ট্রি দিয়ে শুরু। বাবার সাথে মাঠে গেলেও সাথে থাকতো রেডিও।

    তবে রেডিও কমেন্ট্রির আসল মজা পেয়েছি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ইংলিশ প্রিমিয়াম লীগের কমেন্ট্রি শুনে। কলেজে বসেও লুকিয়ে রেডিও কমেন্ট্রি শোনা হতো। এখনো খেলা দেখার সুযোগ না পেলে মোবাইল এপ দিয়ে কমেন্ট্রি শোনা হয়।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      প্রযুক্তিগত ভাবে বিশ্ব যতই এগিয়ে যাক, বিপদের বন্ধু কিন্তু এই রেডিও। বাসে করে যাচ্ছেন খুব স্বাভাবিক টিভি নেই। টিভি থাকলেও সেখানে খেলা দেখাবে কোন দুঃখে। আপনার আছে রেডিও। সব দেশেই এটা সমান ভাবে প্রযোজ্য। এখানে বাসে মানুষজন নিয়মত খেলার বিবরণী শুনে।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        রেডিওর বিরাট সুবিধা হলো সব কাজ করতে করতেও শোনা যায়। দেয়ার ইজ নো সেপারেট রেডিও টাইম। সব সময়ই রেডিও টাইম।
        এইজন্যই খুব অল্প সময়ে দেশে এতগুলা রেডিও স্টেশন দাঁড়িয়ে গেছে।
        তবে যখন থেকে দেখলাম এদেশের ধারাভাষ্যকাররা জাতিয়াতি শুরু করেছে, মন গড়া ধারাভাষ্য দিচ্ছে, উৎসাহ আরও কমে গেছে।
        এবার আইপিএল এর অনেকগুলা খেলা রেডিও ভূমিতে শুনলাম। ভাল লাগলো।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  5. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমাদের জন্য ৯০ এর আগের সব কিছুই 'পঠিত জ্ঞান'। পড়ে যা জানি তা হল ৭৪ এ নেদারল্যান্ডস এর শিরোপা না পাওয়াটা ছিল একটি বিশাল ট্রাজেডি। যেমনটি ৫৪ তে ছিল হাঙ্গেরীর। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে দুই বারই সুন্দর ফুটবলের হন্তারক জার্মানী! পাওয়ার ট্রায়াম্পড এভরিথিং এলস...

    এজন্য ২০০২ পর্যন্ত জার্মানীরে সহ্য করতে পারতাম না। তবে এখনকার জার্মানী পাওয়ার ফুটবলের চেয়ে শৈল্পিক ফুটবলে মনোযোগী বেশি বলে দেখতে খারাপ লাগে না...

    ভাই, আপনার লেখা গোগ্রাসে গিলছি... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ফিফা যেসব নিয়ম কানুনের বেড়াজালে ফুটবলরে আটকাইছে, তাতে শৈল্পিক ফুটবল বেছে নেয়া ছাড়া কারো কোন উপায় নাই। আর জার্মান তো বুদ্ধিমান জাতি।
      আগে যেহেতু ফুটবলকে ভদ্র ভাষায় "ইন-কন্টাক্ট গেইম" আর অভদ্র ভাষায় "মরদের খেলা" বলে ডাকা হতো তাই অনেক কিছু ওভার লুক করে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ফুটবলের বিশ্বায়ন করে নারীদের ফুটবলে আনতে চাওয়ার কারনে প্লেয়ারদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং খেলার শৈল্পিক দিকে দৃষ্টি দেয়া ছাড়া গতি ছিল না।
      শুধু মরদের খেলা হবে কেন, ফুটবল হোক সবার খেলা।

      লাস্ট লাইনের প্রতিক্রিয়া 😀


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  6. রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)
    ঐ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনই একমাত্র দল যারা অপরাজিত অবস্থায় প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল।

    আসলেই এপিক কাহিনী। এই রকম কিছু এপিক কাহিনীর অংশ হয়েছে আমার দেখা বিশ্বকাপের মধ্যে(১৯৯৪-২০১০)। যেমন ১৯৯৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ ই তে ৪ দলের এবং গ্রুপ এফ এ ৩ দলের গ্রুপ পর্ব শেষে পয়েন্ট এমনকি গোল ব্যাবধান ও সমান হওয়া, ২০০৬ এ সুইজারল্যান্ড, কোন ম্যাচে কোন গোল হজম না করেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় (শেষ ১৬তে টাই ব্রেকারে), ২০১০ বিশ্বকাপে কোন ম্যাচে না হেরেও নিউজিল্যান্ডের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায়।

    আর গোল হজমের দিক থেকে সব চাইতে বেশি উদার দেখেছি আমার দেখা বিশ্বকাপের মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে।২০১০ বিশ্বকাপে পর্তুগালের কাছে ৭ গোল হজম করেছিল তারা।কিন্তু অবাক করা বিষয় হল গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তারা সেই লেভেলের ফাইট দিলো।২-১ গোলে হারছিল আর পুরো টুর্নামেন্টের একমাত্র গোল ও ওইটাই। সর্বসাকুল্লে মাত্র ১২ টা খাইছিল। 😛 আর ২০০৬ এ সার্বিয়া আর্জেন্টিনার কাছে হারছিল ৬-০ তে,মোট খাইছিল ১০ গোল ৩ ম্যাচে অবশ্য শেষ ম্যাচে আইভরি কোস্টরে ২ গোল দিসিলো।

    যাই হোক,কিছু লিজেন্ডের নাম পরে ভাল লাগলো। ::salute::


    একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।